পরবাস-৭৯ সূচিপত্র


শেষ ভালো যার -
—
অনন্যা দাশ "সেটাতে অবশ্য কোন অসুবিধা হল না। মা-বাবা তো দুঃখে মর্মাহত কিন্তু আমি আনন্দের সঙ্গে সবাইকে ফোন করে করে বলে দিলাম প্রমিত বিশ্বাসের না আসতে পারার কথাটা।
হঠাৎ আমার মনে পড়ল, ..." (গল্প)
রাজবাড়ির রাত -
—
রাহুল মজুমদার "এবার আর কোনও সন্দেহ নেই, আমরা আটকে পড়েছি অতীতের ফাঁদে। শুনেছিলাম, আমাদের বিশাল কমপ্লেক্সটার জায়গায় আগে একটা বিশাল জমিদারবাড়ি ছিল, লোকে বলত রাজবাড়ি। কলেরায় ক-দিনের মধ্যেই শ্মশান হয়ে গিয়েছিল বাড়িটা।..." (গল্প)
শোধ -
—
বিশ্বদীপ সেনশর্মা "জীবনের কাজ প্রায় শেষ। এরপর যে চিন্তাটা মাথায় এল তাতে প্রভাসবাবু নিজের উপরই বিরক্ত হলেন। এ সময় মনের জোর রাখা খুব দরকার কিন্তু কদিন ধরে তিনি যেন কেমন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি ভিতরে এসে ..." (গল্প)
সার্থক -
—
রঞ্জন ভট্টাচার্য "সুধীন্দ্রনাথ শুনেছিলেন কথাগুলো। কারণ তিনি ঠিক সেই সময়েই ঢুকতে যাচ্ছিলেন ওই ঘরটিতে। কিন্তু ঢুকলেন না। ওই কথাগুলো কানে আসতে। ফিরে এলেন নিজের ঘরে। মর্মাহত হয়ে। তাঁর মনে পড়লো এই মন্দিরাই ..." (গল্প)
হারিয়ে যাওয়া নদী -
—
রূপসা দাশগুপ্ত "তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন তাহলে, নদী কোনো কোনো জায়গায় খুব সরু খাদের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে, তাই হঠাৎ বৃষ্টি হলে জল সেসব জায়গা দিয়ে ভীষণ জোরে বয়ে যায়, সঙ্গে থাকে গাছ পাথর ইত্যাদি। সাঁতার কোনো কাজে আসবে না ..." (গল্প)
মোহিতদাদুর হাতবাক্স -
—
নন্দিতা মিশ্র চক্রবর্তী "দাদুর কথা ভাবতে হবে চোখ বুজে। নে নে শুরু কর--'
ওর মোবাইলে নোটপ্যাড খুলে রেখেছে বুকাই। দাদু মোবাইলে স্বচ্ছন্দ ছিলেন। যদি কিছু বলতে চান নোটপ্যাডেই লিখবেন। ..." (গল্প)
ধারাবাহিক উপন্যাস
অন্তর্জাল (৩) —
অঞ্জলি দাশ "কিন্তু ও নিজে বলার আগে মা জানলো কী করে? হঠাৎ মনে পড়লো, বাড়ির কমপিউটারে একটা ফাইলে তমার দুটো ছবি আছে। মা কখনও সেটা দেখেছে? হয়তো দেখে থাকবে। কিন্তু ছবির সঙ্গে নামটা এলো কী ভাবে? অর্ণব নিশ্চয় কিছু না কিছু ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
প্রচ্ছদ |
১ |
২ |
৩ |
|
কালসন্ধ্যা (৫) —
মিহির সেনগুপ্ত "মহর্ষি বেদব্যাস যে আমাকে এই কর্মের নেতৃত্বে নিয়োগ করেছেন, সে কথা ইতোপূর্বেই আপনাকে বলেছি। যেদিনের কথা বলছিলাম, তা ছিল আমাদের এই যুদ্ধ বিরোধিতা, এক ব্যতিরেকি যুদ্ধ। হ্যাঁ, তাও একটা যুদ্ধই বটে। আমি শুরুতে এই যুদ্ধের স্বরূপ ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
প্রচ্ছদ |
১ | |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
|
কোথাও জীবন আছে (১২)
—
শাম্ভবী ঘোষ “আরে! ইয়ে দিল কা মামলা হ্যায় দোস্ত! এত হুড়ো দিলে চলে না। শিল্দা তো বড়, তাই ভাবেও বেশি, তাই হয়তো টাইম নিচ্ছে। দেখবি, কোনো একটা রোম্যান্টিক জায়গা থেকে বেড়িয়ে এসেই সাঁ করে বলে দেবে। তখন আবার তুই ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
প্রচ্ছদ |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
১২ |
হারাধন টোটোওয়ালা (৮) —
সাবর্ণি চক্রবর্তী "একটু থেমে আবার বলল, আপনার নাতিকে গভ্যে ধারণ করা ইস্তক আমার হতভাগী বুনটার রাক্ষসীর খিদে হয়েছে — দিনরাত খাই খাই করছে। আমি ওকে বলি, আমি গরীব মানুষ, কোথা থেকে তোকে ..." (ধারাবাহিক উপন্যাস)
প্রচ্ছদ |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
রম্য-ইতিহাস (ধারাবাহিক)
মহাসিন্ধুর ওপার হতে (১১) —
অমিতাভ প্রামাণিক "এই মিস্ট্রেসদের যত রমরমা, সবই কিন্তু রাজার জীবিতকালেই। কিন্তু জীবন তো অনন্তকালের জন্য নয়। একদিন না একদিন মৃত্যু এসে কেড়ে নেয় সমস্ত আহ্লাদ। আজকেই যে দেখাচ্ছে তার পেশির আস্ফালন, কালকেই হয়ত মুখ ভেটকে পড়ে থাকবে রাস্তায়, গায়ে ভনভন করবে মাছি, ..."
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
৮ |
৯ |
১০ |
১১ |
প্রবন্ধ, সমালোচনা, রম্যরচনা, স্মৃতিকথা, ...
পঞ্চাশ-ষাটের হারিয়ে যাওয়া কোলকাতার চালচিত্র (৮)
— রঞ্জন রায় " সন্তর্পণে ওদের গা বাঁচিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছি চোখে পড়ে বাঁকের মুখে দেয়ালের গায়ে পেন্সিল দিয়ে অপটু হাতে লেখা — নীলি তুমি গাধা!
আরে, এটা তো আমারই লেখা, ক্লাস থ্রি’তে। মনে পড়ে নিচের তলার নীলি ওরফে ..." (ধারাবাহিক স্মৃতিকথা)
প্রচ্ছদ |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ | ৭ | ৮ | |
সব কিছু সিনেমায় (৭)
—
জয়দীপ মুখোপাধ্যায় "কালিঘাটের চৌকো পটের বিচিত্র সম্ভার ছিল এই সোসাইটিতে। তখন মাথায় ঘুরছে, এই পটের ওপর একটা যদি ছবি করা যায়। এই পট দেখতে এসেই গগন ঠাকুরের আঁকা ছবিগুলো দেখেছিলাম, দেখেছিলাম অবনীন্দ্রনাথ, নন্দলাল বসু আর ... "
(ধারাবাহিক স্মৃতিকথা)
১ |
২ |
৩ |
৪ |
৫ |
৬ |
৭ |
|
বাংলা বানানে অ-বিকল্প বিধান এবং অন্যান্য সমস্যা
— উদয় চট্টোপাধ্যায় “পরবাস ৭৮-এ প্রকাশিত দেবদত্ত জোয়ারদারের প্রবন্ধ ‘বাংলা শব্দের পক্ষে ও বিকল্পে’ পাঠককে ঋদ্ধ করবে। তিনি তৎসম শব্দের হ্রস্ব-ই ও দীর্ঘ ঈ-কারান্ত বিকল্প বানানের তালিকা থেকে দীর্ঘ ঈ-কারান্ত বানানসমূহের সামূহিক নির্বাসনের বিষয়ে সহমত হতে পারেন নি এবং যুক্তিসহকারে...” (প্রবন্ধ)
বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: শতবার্ষিকী শ্রদ্ধাঞ্জলি
— রবিন পাল "হাঁটছি। চোখে পড়ল রাসবিহারীর দিক থেকে একটি ব্যতিক্রমী শোক মিছিল আসছে। সামনে, সবার সামনে বীরদর্পে হাত তুলে গান করতে করতে আসছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। বীরেন চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা—প্রতুল কর্তৃক সুরারোপিত—..." (প্রবন্ধ)
এ পৃথিবী তেমন বদলায়নি
— শুভময় রায় "২০০১ সালে অসুস্থ পিতার শিয়রে বসার জন্য প্রত্যাবর্তন ছাড়া ১৯৮৯ থেকে বেই দাও সেই শহরে ফিরে যাননি যেখানে তাঁর জন্ম। একবার যে গিয়েছিলেন, সে শহর .." (গ্রন্থ-সমালোচনা)
একটি পোকা ধরা বইয়ের গল্প
— সৌগত মুখোপাধ্যায় দীপ্তি ত্রিপাঠী সম্পাদিত একালের প্রেমের কবিতা বইটির নিবিড় পাঠ (গ্রন্থ-সমালোচনা)
পৃথিবীর প্রথম কমিউনিস্ট মোজেস হেস
— অংকুর সাহা "মোজেস হেসের জন্ম অবশ্য এই উল্লেখযোগ্য ঘটনার বেশ কয়েক বছর আগে ১৮১২ সালে—রাইনল্যান্ড তখনও নেপোলিয়নের উদার শাসনে। তাঁর বাবা–মা দুজনেই ইহুদি ধর্মযাজক বা র্যাবাই (rabbi)-এর বংশধর। কয়েক প্রজন্ম আগে হেস পরিবার ..." (প্রবন্ধ)
ট্রি-হাগারের দ্বন্দ্ব
— রাহুল রায় " সূর্যের বিকিরণের সঙ্গে যে তাপ পৃথিবীর বুকে এসে আছড়ে পড়ে তার অধিকাংশই প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে বিলীন হয়। কিন্তু কার্বন ডাই-অক্সাইডের একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে। তা হল প্রতিফলিত তাপের বেশ কিছু পরিমাণ ধরে রাখা ও তা শেষ পর্যন্ত ..." (প্রবন্ধ)
বুড়ো হওয়া সহজ কর্ম নয়!
— ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা "কোমর---আমার অবস্থাও তোমাদের মতোই, কিন্তু আমার আর ইমপ্ল্যান্ট কোথায়? এখনো আবিষ্কারই হয়নি। ...ভালো কথা, কাঁধ? কনুই? কবজি? তোমরা সবাই কেমন আছো? তোমাদের ভাগ্যি ভালো, এই মুটকির ওজন সারাদিন বয়ে বেড়াতে হয় না।.." (রম্যরচনা)
স্বর্গ হইতে
— পৃথা কুণ্ডু "সকল কুশীলব নির্বাচন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হইল। বিশ্বাবসুর বড় সাধ ছিল, উদ্গাতাকে দিয়া চন্দ্রবাবুর চরিত্র রূপায়ন করাইবেন। সে প্রস্তাব শ্রবণ করিয়া উদ্গাতা মাত্রাবিবর্জিত অতিমন্দ্রনিনাদে কহিলেন, ‘আ-মি তো আ-গেই কইসি, স্ট্যা-জে আর উ-ঠুম না। বরং চৌকিতে বইস্যা আ-পনাগো না-টকের ম-ঙ্গল কামনায় সা-মগান করুম।’ .." (রম্যরচনা)
গ্রন্থ-সমালোচনা
—ভবভূতি ভট্টাচার্য
কবিতা
আসমানি ডায়েরি -
দেবারতি মিত্র
তিনটি কবিতা
-
সুগত মুখোপাধ্যায়
তিনটি কবিতা -
দেবাশিস গোস্বামী
রক্তগোলাপ
-
কালীকৃষ্ণ গুহ
তিনটি কবিতা
-
দত্তাত্রেয় দত্ত
সুতো সুতো, ফেনা ফেনা
-
যশোধরা রায়চৌধুরী
সব হিসেবের বাইরে
-
অরণি বসু
তিনটি কবিতা
-
নিরুপম চক্রবর্তী
তিনটি কবিতা
-
আর্যা ভট্টাচার্য
তুমি, বৃষ্টিকে
-
দিলীপ মাশ্চরক
ভালোবাসার জন্য
-
নীলাদ্রি সরকার
গোধূলির ডাকপিওন # ৩৪
-
সুবীর বোস
হুজুগে গাজন
-
কুমকুম করিম
গল্প
অপূর্ণ
-
দিবাকর ভট্টাচার্য "ফর্সা মুখ। কোঁকড়া চুল। কখনো ধবধবে সাদা স্কুল ইউনিফর্মে। কখনো গাঢ় হলুদ ফ্রকে। কখনো ভোরের হাল্কা সাদা আলোয় সে কয়েক মুহূর্তের জন্য জানালার লাগোয়া বারান্দায় আসে। কখনো বিকেলের পড়ন্ত আলোয় গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে জানালার সামনে। শেষ বিকেলের আলো যখন ... ”
সু-কে অনি
-
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় "মীনাক্ষী বলল, “ওই জন্যেই তো আজ অর্ক এখানে আসছে শুনে, ওর সঙ্গে কবিরাজি কাটলেট খেতে চলে এলাম, নেভার কেম টু দিস প্লেস আর্লিয়ার। অনেক গল্প শুনেছি জায়গাটার। তাছাড়া অর্ক আজকাল প্রায়ই ... ”
দরজা
-
কৌশিক ভট্টাচার্য "প্রথমবার সঙ্গত কারণেই আশুতোষবাবু স্বপ্নটাকে খুব একটা পাত্তা দেননি। সকালবেলা আপনা থেকেই শরীরটা অনেক ঝরঝরে হয়ে গেছিলো। দিনের বেলা নানান কাজের চাপে ভুলেও গেছিলেন স্বপ্নটার কথা। কিন্তু অসম্ভব ব্যস্ত একটা দিনের পর দ্বিতীয় রাতেও যখন...
পিক-রব
-
রঞ্জন রায় " কিন্তু নিষিদ্ধ ফলের প্রতি লোভ হল মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তাই মানুষ ভিড়ের বাসে ফুটবোর্ডে ঝোলে, গাঁয়ের দিকে বাসের ছাদে ওঠে, বন্ধ লেভেল ক্রসিং দেখেও তাড়াহুড়ো করে রেললাইন পেরোতে যায় এবং ক্যান্সার বা টিবি হবে জেনেও সিগ্রেট খায়।
আমাদেরও সেই অবস্থা। ..."
সঞ্জীবনী
-
সমরেন্দ্র নারায়ণ রায় "তাই মহারাজ, ঠিক করেছি এমন ভাবে সর্বসাধারণের জন্য ভারতভূমির মহাকাব্যগুলির সহজবোধ্য টীকা লিখে রাখব যাতে সেগুলির সমাদর পুনরায় ফিরে আসে। আমার ছেলেও এ কাজে আমাকে সাহায্য করে, আমাদের আর কিছু নেই, ..."
বিয়ের খাওয়া,
লড়াই, এবং মাইনর ক্রাইসিস
অতনু দে-র তিনটি গল্পঃ " “আচ্ছা – সমীরবাবুদের বলবে তো?”
“ওঁদের ছেলে সবে সেরে উঠেছে। এখন বাদ দেওয়া যাক।”
“আর স্বাতীদের?” ..."
চুড়িঘর
-
ফাল্গুনী ঘোষ " “মাটির এই গয়নাগুলো দেখতে পারি?”
শশব্যস্তে মালিক সব গয়না বিছিয়ে দেবে...মাটি... পাথর... কাঠের ছাঁচ... সে শুধু একবার নেড়েচেড়ে দেখুক! আর মালিকের বোবা দৃষ্টিকে একটু সময় দিক মেয়েটির সমগ্র অস্তিত্ব জরিপের! "
বিয়া, বাটপাড়ি, মহব্বত—২০২০
নিবেদিতা দত্ত-র তিনটি অণুগল্পঃ "পলটু অবশ্য করিৎকর্মা। এরমধ্যেই চর লাগিয়ে (চর বলতে ওই সাত আট বছরের সাঙ্গোপাঙ্গ গুলো—ভোঁদাই, লটকে আর গুঁতো) বরটি কে জেনে নিয়েছে। ওই রাখোর দোকানের মাধব। আর ছেলে পেলে না কাকু। অমন ছিপলি মেয়ের ..."
পেন্সিল
-
প্রতাপ বোস
"একটা মৃদু হাসি খেলে গেল চিত্রলেখাদেবীর ঠোঁটে। হাতের তালুটা একবার ভালো করে দেখলেন। তারপর একবার উঠে হাত পা একটু ছড়িয়ে নিয়ে আবার বসে পড়লেন তাঁর বহু দিনের পুরনো ডায়েরিটা নিয়ে। ..."
ভয়
-
হীরক সেনগুপ্ত
" 'একটু পরেই শুলংগুড়ি৷ কন্ডাক্টরকে ম্যানেজ করেছি৷ এখানে কোন স্টপেজ নেই। বাস একটু স্লো করবে৷ তার মধ্যেই কুইক্ নামতে হবে। নামার সময় কোনো ভ্যানতারা যেন না দেখি--' কানের কাছে হিস্ হিস্ করে প্রণবেশ।
পূরবী আতঙ্কে কেঁপে উঠল৷ , ..."
পাঠিকা
-
ঝর্না বিশ্বাস
" আমাদের মধ্যে "আপনি" থেকে "তুমি"-টা কত সহজ ছিল, অথচ জানানোতে ছিল ভয়। তাও একবার সাহস করে আপনার রঙিন মলাটের ডায়েরিতে নাম লিখে রেখেছিলাম, যা পরে দেখে আপনি খুব হেসেছিলেন।
কাউকে ভালো লাগা কি খারাপ? নাকি কবি কারো একার হয় না। ..."
পালানোর পরে -
—
মুরাদুল ইসলাম "হাসনাত সাহেব নদীর দিকে তাকিয়েই বলছিলেন, আমি ছিলাম একজন ট্রেডার ভাই। স্টক মার্কেটে ট্রেডিং করতাম। শর্ট সেলিং। হঠাৎ, এমন খারাপ অবস্থা হইল আমার, সকল পুঞ্জি শেষ, অনেক বড় এমাউন্টের টাকা, তখনকার সময়ে ... "
ভবিতব্য
-
স্বরূপ মণ্ডল
"হাসপাতালের আঠারো নম্বর বেডে শুয়ে আছেন আচার্যিমশাই। আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। খাওয়ার সময় খাওয়া আর বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করা। পরিবার, পরিজন, পূজা-অর্চনা ছেড়ে এই কী ভাল লাগে! এর চেয়ে মরণ ভাল। কিন্তু যেখানে একটি জীবনের মূল্য এত বেশি সেখানে মৃত্যু...”
প্রতিদান
-
অঞ্জন ঘোষ
" মা--
আমার আর এখানে একটুও ভালো লাগছে না। এত খারাপ খাবার যে মুখে দেওয়া যায় না। বাথরুম নোংরা। আমাদের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অত্যন্ত বদরাগী। একটা কিছু এদিক ওদিক হলেই...”
জাদুওয়ালা
-
অতনু দত্ত
"বড় মন খারাপের সময় ছিল সে সব। বন্যা এলে মন খারাপ। কালবোশেখিতে ঘর ভাঙলে মন খারাপ, অসুখ বিসুখে মন খারাপ। কেউ দুনিয়া ছেড়ে ওপরে গেলে তো কথাই নেই। আর তাছাড়া ভর দুপুরে অশথ বা বট গাছের ছায়ায় বসলে এমনি এমনি মন খারাপ। মনের হদিশ পাওয়া ..”
ব্লীডিং হার্ট
-
চৈতালি সরকার
"পুরুলিয়ার বড়রা হাইস্কুল শুনে প্রথমেই ঠোক্কর খেয়েছিল কিছুটা। কীভাবে সম্ভব! এই কলকাতা ছেড়ে অত দূরে থাকা। তাও আবার মায়ের মাসতুতো বোনের বাড়িতে। ছোট থেকেই কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে একটা রাতও কাটায়নি পলাশ। একবার ..”
স্মৃতির সরণী বেয়ে
-
রূপা মণ্ডল
"কবিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “ভালো করেছ। কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে জানতে না চাওয়াই ভালো। এইবার আমি নামব। চলি, আমার ফোন নাম্বারটা সেভ করে নাও। নাইন এইট…”
তর্পণ
-
এম চিত্রা মূল হিন্দি থেকে অনুবাদ শম্পা রায়
"“বাবা তুমি এটা কি করেছ? বসবার ঘরে মায়ের ছবি টাঙিয়ে দিলে? মায়ের ছবি কি সৈয়দ হায়দর রেজার কোনো পেন্টিং? দেওয়ালটা কী খারাপ লাগছে দেখতে! ষাট-সত্তর হাজার টাকা জমাতে পারলে ভেবেছিলাম রেজার একটা পেন্টিং কিনে …”
চিনির বাড়ি
-
সিলবিনা ওকাম্পো মূল স্প্যানিশ থেকে অনুবাদ শর্বরী গরাই
“খেলনার ছেলে মেয়ে হয় না। ঘুড়িগুলো আমার ভালো লাগত কারণ মনে হত ওগুলো যেন বিশাল বিশাল পাখি, ওদের পাখায় চড়ে ওড়ার স্বপ্ন দেখতাম। আপনার কাছে হয়তো আমাকে ঘুড়ি উপহার দেবার কথা দেওয়াটা একটা খেলা ছিল, কিন্তু …”
বড়ি কাহিনী
-
সৌমি জানা
“কিন্তু একি! বাড়ির কাছাকাছি এসে অবাক হয়ে গেল সুকন্যা। কই উঠোনে ওর বড়ির থালাগুলো নেই তো! এখানেই তো রেখে গিয়েছিল তিনটে থালা, গেল কোথায়? এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল, পেল না খুঁজে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে উঠোনে …”
মঙ্গলের স্বপ্ন
-
সুদীপ সরকার
“সাত পাড়ার লোক খাইয়ে, প্রচুর খরচ-খরচা করে ছেলের বিয়ে দিয়েছিল লক্ষ্মীকান্ত। এক ছেলে, তায় রমরমিয়ে চলা সারের ব্যবসা, আর জমিজমা নেহাতই কম না। হতচ্ছাড়া মঙ্গল বেশিদূর লেখাপড়াটাও করল না, …”
মড়কের মাছি
-
উত্তম বিশ্বাস
“না আর ধৈর্য রাখতে পারল না গোবর্ধন! কাঁচা খেজুরের ছড় ভেঙে ওর বকনাটার পিঠের ওপর ছপাছপ ঘা কতক বাড়ি কষিয়ে দিল। ল্যাম্পের আলোটা উসকিয়ে সুমিত্রা খিলখিল করে হেসে উঠল, “ওই নাদন যদি উঠতি না পারে ওর কী দোষ?” …”
ভ্রমণকাহিনি, প্রকৃতি, বাকিসব
তালসারি: নির্জনতার আড়ালে অচেনা সমুদ্র
-
পায়েল চ্যাটার্জী "তালসারি নামটা শুনে বেশ কৌতূহল হয়েছিল। তাল গাছের সারির সঙ্গে সমুদ্রের লুকোচুরি খেলা এখানে। উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার এই গ্রাম এখনো প্রকৃতির খুব কাছের। শহুরে ব্যস্ততা ও কোলাহলহীন। ..."
প্রতিশ্রুতির দেশে: জর্ডন
-
প্রসেনজিৎ গুপ্ত " আগেই বলেছি পেত্রা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি। এর কত ছবি দেখেছি, কত বর্ণনা পড়েছি আর আজ নিজের চোখে দেখব ভেবেই পরম রোমাঞ্চিত হয়ে আছি।
অনেকের মত আমারও ধারণা ছিল যে পেত্রা একটি মন্দির কমপ্লেক্স। কিন্তু এখানে এসে ভুল ভাঙল।..."
parabaas@parabaas.com © 1997 - 2020 Parabaas Inc. All rights reserved. | |