কোথাও ছিল না এমন, তাই সরাসরি একদিন ঢুকে পড়েছিলাম আপনার বাগানবাড়িতে, যেখানে পাখিদের চহলপহলের সাথে খোলা আকাশেও স্বপ্ন দেখা চলত।
একবার আপনিই বলেছিলেন, শুধু পাতা ভরে গেলেই হয় না, অনুভব করো কী লিখছ।
বিশ্বাস করুন, ঠিক সেই দিন থেকে কবিতাকে আরো বেশি করে আপন করেছি। আপনার বলা প্রতিটা কথাই অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলি, যেমনটি শেষ দেখায় আপনি বললেন, আর এসো না এখানে। লোকে পাঁচরকম কথা বলে, ভালো লাগে না।
সেদিন বেরোতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি সিঁড়িতে। পায়ের কড়ে আঙুলে এখনও নীল দাগ, আর বুকে গভীর ক্ষত যা মেশিনেও ধরা পড়ে না।
আমাদের মধ্যে "আপনি" থেকে "তুমি"-টা কত সহজ ছিল, অথচ জানানোতে ছিল ভয়। তাও একবার সাহস করে আপনার রঙিন মলাটের ডায়েরিতে নাম লিখে রেখেছিলাম, যা পরে দেখে আপনি খুব হেসেছিলেন।
কাউকে ভালো লাগা কি খারাপ? নাকি কবি কারো একার হয় না।
উত্তর পাইনি আমি।
এখনও বইপাড়া গেলে আপনার বই খুঁজি। কি করে লেখেন এমন, যা আমার ভেতর সত্ত্বাকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে আবার নতুন করে গড়তে চায়!
আপনার লেখা চরিত্ররা আমার সাথে একান্তে কথা বলে, আমিও আলাপ জমাই ঘুমিয়ে, নির্ঘুমেও।
তারপর রাতে দুটো গোলাপি ওষুধ আর হাতে আপনার লেখা বই, আমার জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও মহিনা সকল এভাবেই লুকোচুরি খেলে যায়। আর কমলা লজেন্স লোভী বাচ্চার মতো বোঝাতে চায়, এরপর যে নতুন লেখাটা আসবে সেটা শুধু তোমারই।
ততদিন মনখারাপের আরেক নাম কবিতা হোক,
কবিতা হোক।
(পরবাস-৭৯, ৯ জুলাই, ২০২০)