Click below to read comments on other sections:
|
খুব অন্যরকম, খুব ভালো লাগলো। প্রচলিত ছক ভাঙার আয়োজন আছে, সুর আছে নিজস্ব। গড়বার মতোই চলন এ-উপন্যাসের। রকমারী চরিত্র আসছে, একে অপরকে ঘিরে প্রকাশ-অপ্রকাশ খেলছে ঐ নাচের মতো। চরিত্রেরা বাইরের বাস্তবতা ছুঁয়ে, ভেঙে বাস্তবতা-জটিল অভিজ্ঞতার অনুভূতি হয়ে যাচ্ছে, জীবনের আপন অসমাপ্ত কোলাজ হয়ে যাচ্ছে; পরিমিত অথচ গভীর গদ্যটান ভেতরে বইছে জলের মতো, স্রোতের মতো...
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় (৩রা আগস্ট, ২০২১; gautam...@gmail...)
আমি নিজেই এই উদ্যোগের একজন অনুবাদক; কাজেই অধিক বাগবিস্তার অশোভন হবে। কাউকে ছোটো করবার জন্য বলছি না; কিন্তু আমার মনে হয়েছে ফ্রস্টের কবিতার অনুবাদের মধ্যে স্বপন ভট্টাচার্যের অনুবাদটিই অনুকার্য অনুবাদকর্ম হয়েছে। তবে এ-প্রসঙ্গে আরও দু-এক কথা বলতে ভালো লাগবে।
প্রথমত, ইংরেজি মূল কবিতাটি গোড়ায় উপস্থিত করলে পাঠকবর্গের উপভোগ বাড়তো। আর বলা তো যায় না, এতরকম রূপগত বাঁধনে বাঁধা থেকেও যে এত ভালো মূলানুগ অনুবাদ করা সম্ভব, এ-দেখলে হয়তো নিছক পাঠকদের মধ্যেও কেউ কেউ ভবিষ্যতে এ-উদ্যোগটায় সক্রিয় উৎসাহ নিতেন।
সঙ্গীয় টীকায় কবিতাটির রূপগত চরিত্র বলা আছে; যদিও কেবলমাত্র ছান্দসিক পাঠকরাই তার মর্মগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু “মূল কবিতার ছন্দবিন্যাস চতুষ্পদী টেট্রামিটারধর্মী মাত্রাবৃত্ত” না বলে “আইয়াম্বিক চতুর্মাত্রিক চতুষ্পদী” (Iambic tetrametric quartets) বললে তা সঙ্গততর হতো, কারণ মাত্রাবৃত্ত ইংরেজি ছন্দ নয় । আইয়াম্বিক ছন্দের গতি এইরকম :
~’ ~’ ~’ ~’
এখানে একটি অনাহত (unstressed) দলের (syllable) পরে একটি আহত (stressed) দল আসে : দুয়ে মিলে একটি foot, metre, বা মাত্রা (এক্ষেত্রে ‘পদ’ বা ‘চরণ’ নয়) : and MILES to GO beFORE i SLEEP। চলনটা দুইয়ের ছন্দ। চারটি আঘাতে (বা মাত্রায়) একটি পংক্তি সম্পূর্ণ, তাই চতুর্মাত্রিক। বাংলা অক্ষরবৃত্ত (৪+২) জোড়-সংখ্যাভিত্তিক ছন্দ বলে তারও চলন দুইয়ের ছন্দে বাঁধা বলতে হয়। ইংরেজি আইয়াম্বিক ছন্দ কথ্যছন্দ, বাংলা অক্ষরবৃত্তও তাই। আমি সেইসব যুক্তিতে অনুবাদে অক্ষরবৃত্ত অবলম্বন করেছি; আইয়াম্বিক টেট্রামিটারের মিতভাষণের দিকটা বেশি করে ধরতে চেয়েছি। মূল কবিতাটা anapaest অথবা dactyl ছন্দে হলে বোধহয় মাত্রাবৃত্তই চেষ্টা করতুম, অথবা সাত মাত্রার ছন্দ।
স্বপনবাবু অবলম্বন করেছেন মাত্রাবৃত্ত, যেটা তিনের ছন্দে চলে। সে-ছন্দের বাঁধন তুলনায় ঢিলেঢালা। সেটা অবলম্বন করেও যে তিনি মূলের মেজাজটা অনুবাদে বেশি আনতে পেরেছেন, সে-সিদ্ধিটা আমাকে কবিতার ছন্দ ও কবিতার মেজাজের সহসম্পর্কের বিষয়টা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। আরও মনে পড়ছে, রবার্ট গ্রেভসের Vanity কবিতাটি আমি পূর্বোক্ত যুক্তির বশে অক্ষরবৃত্তে অনুবাদ করে তৃপ্ত হইনি। মাত্রাবৃত্তে নতুন অনুবাদ করতে হয়েছিল।
দত্তাত্রেয় দত্ত (৩১শে জুলাই, ২০২১; dattatre...@gmail...)
কবি সুজিত বসুর কবিতা রূপান্তরে পাঠ করে খুবই ভালো লেগেছে। কবি সুজিত বসুর কবিতা আমার সবসময় ভালো লাগে। কবির ভাবসম্পন্ন কবিতা উপহার দেয়ার জন্য পরবাসকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। পরবাস যেন এইভাবেই কবির সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের পড়ার সুযোগ করে গেলে আমরা খুবই খুশি হবো।
কিশোর দত্ত (১৮ই জুলাই, ২০২১; kishoredutta...@gmail...)
কবিতার স্বপ্নের আবীরে ভোরের স্বপ্ননীল আবেশ কবিকে আরো গভীরে নিজের বিষন্নতার কথা মনে করিয়ে দেয়। কবিতার ছন্দে আর স্বপ্নবেশে সুন্দর সকালের সৃষ্টি হয়েছে। কবির সুগভীর চিন্তার ছায়া দেখা যায় তাঁর সুন্দর শব্দাবলীর চয়নে।
কবিতাটি তার অন্তর্নিহিত ভাব আর সুচিন্তিত শব্দ চয়নে বেশ শ্রুতিমধুর হয়ে উঠেছে।
সমরেশ চক্রবর্তী (১৭ই জুলাই, ২০২১; samaresh...@gmail...)
চমৎকার লেখা। সুজিত বসুর হাতে ছন্দ কথা বলে। সহজ চলায় গভীর দর্শন মিশে থাকে তাঁর কবিতায়। ভালো লাগলো। নিয়মিত পড়তে চাই।
শুভ্র মুখোপাধ্যায় (১৬ই জুলাই, ২০২১; msub...@yahoo...)
সুজিত বসুর কবিতা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরবাসকে অশেষ ধন্যবাদ। এই প্রবাসী কবির কবিতার এখন দেখা পাওয়াই মুশকিল। অথচ সাতের শেষ-আটের দশকের শুরুতে অবিভক্ত রাশিয়ায় প্রবাসী এই কবির কবিতা পড়ে মুগ্ধ হতাম। দেশ পত্রিকা সহ বিভিন্ন কবিতাপত্রে নিয়মিত সুজিত বসুর কবিতা আমাদের মুগ্ধ করতো। পরে কোথায় হারিয়ে গেলেন!! হঠাৎ হঠাৎ দু-তিন দশক পরে দুটি কাব্যগ্রন্থ হাতে আসায় জেনেছিলাম তিনি আহমেদাবাদে প্রবাসী ও স্পেশ এ্যাপ্লিকেশান সেন্টারে বিজ্ঞানী। খুব আনন্দ হচ্ছে; আবার ওনার কবিতা পড়ার সুযোগ পেলাম। তিনি তাঁর গভীর অনুভবের স্থানটিতে তাঁর চারপাশের প্রকৃতি, আনন্দ, বিষাদ, আবেগ, প্রেম আজও কবিতায় সমান জাগরুক। তাই সেসব অনুভূতির সমন্বয়ী প্রকাশে আজও তাঁর কবিতাগুলি সমান আকর্ষক। আরো লিখুন কবি। শেষে পরবাসকে আবার ধন্যবাদ জানাই।
শুভ্র মুখোপাধ্যায় (১৫ই জুলাই, ২০২১; msubh...@yahoo...)
এ লেখা পড়ে বুঝলাম অনায়াসে পাওয়া মাতৃভাষার মাধুর্য ও বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে খুব কম খেয়াল করেছি।
লেখা খুব সুন্দর। বাঙলা ভাষার বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরনের অভিব্যক্তির মধ্যে এক সুষম বাঙ্গালীয়ানার ছাপ উপলব্ধির সহায়ক।
দেবব্রত ঘোষ (১৬ই জুলাই, ২০২১; ghoshdeb...@gmail...)
অপূর্ব অনুবাদ, খুব শান্তি পেলাম কবিতাগুলো পড়ে। আরো পড়বার আশায় রইলাম।
রাতুল ঘোষ (১৫ই জুলাই, ২০২১; ghosh...@gmail...)
চমৎকার চমৎকার। খুব কঠিন কাজ বেশ মুন্সিয়ানার সঙ্গে করেছেন কবি। মূল লেখার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন অসাধারণ শব্দচয়নে বাঙলায় কবিতাগুলি পাঠককে উপহার দেবার জন্য লোরকা-প্রেমী বাঙালি পাঠক নিশ্চয়ই তাঁকে অযুত বাহবা দেবে। পরবাসকে ধন্যবাদ এমন অসাধারণ অনুবাদগুচ্ছে লোরকা আমাদের পৌঁছে দেবার জন্য।
শুভ্র মুখোপাধ্যায় (১৫ই জুলাই, ২০২১; msubh...@yahoo...)
Last line of the poem is a bit confusing. What is the meaning of "moraljibon"?
Siladitya Chaudhuri (15th July, 2021; siladitya...@yahoo...)
খুব ভালো লেগেছে। সুন্দৰ ঝৰঝৰে ভাষা। খুবই স্মাৰ্ট লেখা।
দিব্যজ্যোতি চৌধুরী (২৯শে মে, ২০২১; dibyaj...@gmail...)
আস্সালামু আলাইকুম। ধন্যবাদ, ইরান সম্পর্কে জানার আমার অনেক আগ্রহ ছিল। ভাল কোন উৎস পাচ্ছিলাম না। যাও দু একটা লেখা দেখলাম, পড়তে গিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলাম। আপনার লেখা অনেক সুন্দর ছিল, সাবলীল উপস্থাপনা যখন পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল নিজেই ভ্রমণ করছি।
আরো সুন্দর লেখার অপেক্ষায়। শেষ একটা কথা, “ইনশাল্লাহ্” না লিখে ”ইন-শা-আল্লাহ্” লিখলে যথার্থ হবে বলে আশা করি।
মুহাম্মদ মাহাদী হাসান (২৫শে মে, ২০২১; mahadih...@gmail...)