সারাদিন সূর্যের পিছনে পিছনে চলার মধ্যে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিক্রমার কোথাও যেন মিল আছে। কবিতার শেষে সমস্ত পৃথিবীর ভিতর অন্ধকার ছড়িয়ে মৃত্যু নেমে আসে। সফলতার খোঁজ নেওয়া জীবনের মত মৃত্যুর অন্ধকারও সত্য। কবি তাকে অস্বীকার করেন না। আমার এমনই মনে হয়েছে। নিরাশাবাদ বলে মনে হয়নি।
সিদ্ধার্থ (জানুয়ারি ১৭ ২০১৭)
লেখকের উত্তরঃ
আপনার মন্তব্যের জন্য আমার ধন্যবাদ জানাই।
আমি এই লেখাটা নিয়ে নিজে খুব বেশি সন্তুষ্ট নই। আরও কিছুদিন পরে আর একটু পড়াশুনো করে নিয়ে এই কবিতা এবং আরো কয়েকটা কবিতার নিবিড় পাঠের মত কিছু লেখার ইচ্ছা রইল। লিখে উঠতে পারব কিনা জানি না যদিও।
তবুও আপনি যে লেখাটা পড়েছেন এবং মূল্যবান মতামত দিয়েছেন সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।
বেড়াল কে আমি ঠিক জীবনানন্দের muse বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছিলাম যে জীবনানন্দ নিজের muse-কে নিজের চেয়ে ঊর্ধ্বে স্থান দিয়ে দেখেন না। তাঁর কবিতার প্রেরণা তাঁর নিজের অতি পার্থিব দোষে-গুণে মেলানো মানবিক অস্তিত্বই। এই কবিতার ‘বেড়াল’ তাঁর সেই মানবিক দোষ গুণ গুলোরই একটা কাব্যিক প্রকাশ যেন। সে অর্থে ‘বেড়াল’কে কবির ‘অলটার ইগো’ তো বলাই যায়। এই শব্দটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ।
অন্য যে কথাটা আপনি বলেছেন সেটা প্রাথমিক ভাবে আমারও মনে হয়েছিল। সারাদিন সূর্যের পিছন পিছন চলা, আর শেষটায় অন্ধকারকে লুফে নিয়ে আসা সত্যি জন্মমৃত্যুর আবর্তকে মনে করায় সন্দেহ নেই। কেন সেই অর্থটাকে আমি আমার লেখায় বাদ দিলাম সেটা বলি। আমার মনে হল এই পঙ্ক্তিটা--“তারপর অন্ধকারকে ছোটো-ছোটো বলের মতো থাবা দিয়ে লুফে আনল সে,/ সমস্ত পৃথিবীর ভিতর ছড়িয়ে দিল।” একটু যেন অন্যরকমের অর্থ বহন করছে। সমস্ত জীবন ধরে সাফল্যের পিছনে ছোটাছুটি করেও, জ্ঞান আর সৌন্দর্য আর বৈষয়িক লাভের পিছনে ছোটাছুটি করার পরেও, শেষ পর্যন্ত কিন্তু কবি কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর পেলেন না। হেমন্তের সূর্যের নরম শরীরে থাবা বুলিয়ে খেলা করার পরেও শেষপর্যন্ত তিনি নিয়ে এলেন ছোট ছোট বলের মত অন্ধকারকেই, ‘পৃথিবী’ শব্দটা এখানে বিশেষ প্রণিধানযোগ্য বলে আমার মনে হয়েছে। কবি পৃথিবীকে শেষ পর্যন্ত কী দিতে পারলেন? পৃথিবীতে তিনি ছড়িয়ে দিলেন কেবল অন্ধকার। লক্ষ্য করবেন অন্ধকারে তিনি নিজে বিলীন হলেন না। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রতীকীটা বেশি স্পষ্ট হত। না। তিনি নিজেই সারা দিনের শেষে ‘অন্ধকার’কে নিয়ে এলেন লুফে এবং পৃথিবীর মধ্যে ছড়িয়ে দিলেন। ‘অন্ধকার’কে এখানে যদি ব্যর্থতার বা অজ্ঞানের প্রতীক বলে ধরি, তবে মনে হয় না কি যে দিনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে কবি যেন হতাশ? এই অর্থেই আমি ‘নিরাশা’ কথাটাকে ব্যবহার করেছিলাম। তবে, সিদ্ধার্থবাবুর কথাও যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত, এবং কবি হয়তো সেই অর্থেই এই পঙ্ক্তিটি লিখেছেন হতে পারে। কবিতার অর্থ এক-একজনের কাছে এক-একভাবে ধরা দেয়।
পিউ দাশ (জানুয়ারি ২৪ ২০১৭)
Unexpected seems the perfect word for Jibanananda's poems. One moment we are in a modern city street the next we are in the marketplace of a thousand years ago. We encounter beautiful women imaginary and real. Wild animals, birds and flowers and trees, blue seas, and even bluer skies. Light and shadow, life and death. Despair and hope.
And the so-called 'everyday objects' all around us he describes in such unusual ways it makes us want to look at them more closely the next time we experience them. And what of the way Jibanananda places together combinations of words that seem not to be the right match but somehow they work in a way only a master wordsmith could do.
He projects into our minds eye, a rich imagery leaving its imprint that we understand in some mysterious way. We read the poems, and our love for the man and his wonderful creations fill the nights and days with the power of Nature as the soul of all.
My very best wishes,
Lewis Oakwood, UK (pub 4 July 2016)
Clinton Seely's translations never appear as translation. They are as original and alive as moon-light or sunshine or a paddy field roamed by field mice as Jibanananda depicted in his poems. Clinton is a poet himself of very high order.
One also must read his book, 'A poet apart'. It is filled with his translation of Jabananda's poems as well as a fascinating description of his time in Kolkata and Bengal (the Kallol yug). A must read for lover of Bengali poetry and an aficionado of the history of early-mid twentieth century Bangla literature.
I should also mention the high quality of illustrations accompanying these translations.
Rahul Ray, Boston (pub 6 May 2015)
ফারুক মঈনউদ্দীন (pub July 8, 2013)
I for one do not accept that Jibanananda Das was a surrealist poet. He is no Guillaume Apollinaire. His poems are careful constructs, and certainly not at mercy of the subconscious. Even the travel through space and time, as mentioned in 'Banalata Sen' and for that matter in many other poems, is actually an effort to very consciously create a meta-world, the poet's own world, so to say, which contains all the essential elements gathered from a temporal Cartesian space over ages and over a vast expanse, but it is not exactly the world that surrounds us in our daily life. Jibanananda’s Natore therefore is the geographical place by the same name, but also it is not, and in his unique meta-world Bidisha, the town of antiquity merges into a contemporary allegory at natural ease.
Branding Jibanananda as a nature worshiper or something of that sort is actually seriously demeaning him! Beneath the apparently serene landscape of geographical Bangla, his is a world of 'spoilt cucumber and rotten melon' even during the days of Gray Manuscripts, which in his later poems effortlessly merges into the world of his strange beggars and lumpen earthlings. Again I would like to caution that these are all careful constructs of a secondary world: it is indeed a sort of super-realism but not in the surrealistic sense.
Indeed Jibanananda was drastically different from Premendra Mitra and Subhash Mukhopadhyay, who are mentioned in this essay, though at one point of time they all shared the same physical city and were quite sensitive to the pangs and tribulation of their own age. However, the ‘citizen’ poet on whom Premendra Mitra had composed his melancholic ode in Returning from the Sea, perhaps always remained an enigma. The Barishal boy who walks the Kolkata streets as a man and ultimately perishes in front of a streetcar near Deshapriya Park tells us a uniquely singular urban metaphor that Kolkata may not get to hear ever again! I expected little more analyses of that in the present essay.
Finally, I would like to commend the author on her efforts. Let Jibanananda studies grow further in Parabaas!
Nirupam Chakraborti (pub. December 2012)
The author's response:
Many thanks for reading my article thoroughly. I agree that this is not a complete portrayal of the poet since I have not included other poems and it is also difficult as I have mentioned in my essay to put him under any exclusive category even if his whole oeuvre is taken into account. Indeed I did not want the essay to be so in that sense. What I wanted to present was more of a synoptic view of the poet in terms of only three of his poems. The essay I believe succeeds in presenting the suggestion that I wanted to make about the poet's self.
I also would never call Jibananada a nature poet in the old simplistic sense. I wanted to show how he evokes his picture/spirit of Bengal with which he could identify himself. That spirit/persona he produces in terms of a different set of images that project the subconscious terrain. It is the collage of these images that produces the real which could be called in a sense 'surrealistic'. I only wanted to suggest as much.
So far as reference to Premendra Mitra and Subhas Mukhopadhyay is concerned, that was indeed a comment of Buddhadeva Bose. The necessary reference is given in the essay.
Faruk Hyder Choudhury (pub. July 2012)
রাহুল রায়, বস্টন (pub. May 2012)