আবার সোনালী সকাল। তবে, কোথায় যেন একটু বিষাদের ছোঁয়া সেই আলোয়। এই দু দিনেই কেমন সকলে আপন হয়ে উঠেছিল। চমৎকার আলুর পরোটায় ব্রেকফাস্ট সেরে সাড়ে ন-টায় বুড়োবুড়ি উঠে বসল গাড়িতে। এত সুন্দর জায়গা, এত সুন্দর মনের মানুষদের ছেড়ে যেতে মন চাইছে না, কিন্তু যেতে তো হবেই, হয়ই।
শিলাদেশ হয়ে নদী পেরিয়ে টিক্করী এলো পৌনে এগারোটায়, দশ মিনিটে চিড়গাঁও। সাড়ে এগারোটায় রোহড়ুকেও পেরিয়ে গেল বুড়োবুড়ির গাড়ি। ভরদুপুরে হাটকোঠি পেরোনোর পর চড়া রোদ এ সি গাড়ির জানালার বাইরেই তড়পে চলল। আধঘন্টা পরে ঋষভ গাড়ি দাঁড় করাল খড়াপত্থরের টুরিস্ট লজ গিরিগঙ্গার সামনে।
আগে থেকে ঠিক করা ঘরে যেতে গেলে নামতে হবে একতলা। সেটা বেশ অসুবিধাজনক। তাই ঘর বদলে এই তলাতেই চমৎকার একখানা ঘর পেয়ে বুড়োবুড়ির জান তররর্ হয়ে গেল। বাড়তি ভাড়ার তাড়ায় পকেটে টান। সেটা সামলাতে বুড়োকে কটকটে রোদ্দুর সামলে এ টি এম বাবার শরণাপন্ন হতে হলো। পকেট শান্ত মানে মন শান্ত। শান্ত মন নিয়ে বুড়ো খড়াপত্থর বাজারে এসে প্রথমেই খড়াপত্থর দেবীর মন্দিরে পেন্নাম ঠুকল। তালাবন্ধ কোলাপসিবল্ গেটের আড়াল থেকে সর্বাঙ্গে জরির কাজ করা লাল চেলি জড়িয়ে মা দুর্গা সে পেন্নাম পেলেন কিনা বোঝা গেল না। ফেরার পথে খড়াপত্থরের একমাত্র খুদে 'জুয়েলারি শপ' থেকে বুড়ির জন্য একটা রুপোর আংটি নিল ঘুষস্বরূপ। লজে ফিরে শান্তি শান্তি শান্তি আরাম।