• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫২ | অক্টোবর ২০১২ | চিঠি
    Share
  • চিঠিপত্র :

    Feedbacks on other sections:

    Translation Section
    Rabindranath section
    Buddhadeva Bose section
    Satyajit section
    Shakti section
    Jibanananda section

    ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রার ভ্রমণকাহিনি "পুণ্যভূমি জেরুসালেম"

    It is a nice writing with attached photographs on Jerusalem. A smooth reading experience with touchy observation in a short space. Only I missed the photograph of "The Stable" where Jesus was born.

    Avijit Mukherjee (avimukh...@gm...)

    লেখকের উত্তরঃ

    Thank you for your comments. There is not much left of the stable, but here is one corner that is preserved, the other side has the star marked area, supposedly the exact spot of the birth of Jesus.


    কৌশিক ভাদুড়ীর দু'টি কবিতা "চিল্কা-১ ও ২"

    খুব ভালো লিখেছেন কবি কৌশিক ভাদুড়ি। অভিনন্দন, শুভেচ্ছা কবিকে।

    সুমনা ভট্টাচার্য্য (sumana3....@rediff...)


    জ্যোতির্ময় দাশের "দু'টি কবিতা"

    কবিতাদু'টি আমার খুব ভালো লাগল। এ-ধরনের কবিতা আরো পড়তে চাই।

    অমিতাভ মুখার্জী (amitava.mukh....@gmai...)


    নিরুপম চক্রবর্তী'র "তিনটি কবিতা"

    অসামান্য লাগল.. বিশেষত মায়ামি হারিকেন... সাংবাদিকতা থেকে কবিতা... এই যে সহজ সংবাদ বিতরণের মাধ্যমে/ছলে কবিতায় অনূদিত হয় বাস্তব.. এটার খুব ভালো প্রয়োগ পেলাম... ধন্যবাদ।

    যশোধরা রায়চৌধুরী (yasho...@gm...)


    The poems entitled, 'Sapeder Bish', 'Kolkata 2012' and 'Miami Hurricane' written by Nirupam Chakraborty touched my heart. While 'Kolkata 2012' truly portrays today's Kolkata which has lost its cultural supremacy, in 'Miami Hurricane' the poet realistically describes a violent storm which lashed Miami, a famous Florida seaside town. 'Sapeder Bish' appears to be Nirupam's personal disappointment with his life surrounded by venomous people. Congratulations to Mr. Chakraborty for penning such readable poems!

    Partha Sarathi Ghoshdastidar (ps...@iitk....)


    স্বপন রায়ের কবিতা "এই বর্ষায়"

    এই প্রথম আমি স্বপন রায়ের কবিতা পড়লাম। ভীষণ ভালো লাগলো। লেখায় নিজস্ব স্টাইল আছে। অভিনন্দন কবিকে। আরো লেখা পড়ার অদম্য আগ্রহ রইলো।

    আবদুল্লাহ্‌ আল জামিল (aalj...@yah...)


    দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের উপন্যাস "যাত্রী (৩য় পর্ব)"

    কয়েকদিন ধরে পরবাস-এ প্রকাশিত কিছু লেখা পড়ে উঠলাম। মন্তব্য জানাবো কি জানাবো না ভেবে শেষমেশ জানিয়েই দিচ্ছি যে 'যাত্রী' শেষ হয়ে গেলে সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে যাবে খুব।

    পরবাস পড়ার আগে এবছরের কয়েকটি খ্যাত এবং অখ্যাত শারদীয়া পড়েছি। তাতে যে সব উপন্যাস পড়লাম তার থেকে অনেক ভালো লাগছে এই উপন্যাসটি পড়ে।

    'আসাদ'-কে নিয়ে ফরিদা ও শোভনের মধ্যে যে যুক্তির জাল তা এক কথায় অপূর্ব। তাছাড়া প্রাচীন এই লোকসংস্কৃতির মধ্যে আমাদের তথাকথিত নাগরিক সমাজের মানুষের সংযোগ-এর দিকটিও উনি তুলে ধরেছেন।

    দেবজ্যোতিবাবু অনিল বেরা মহাশয়ের একটি চিঠির উত্তরে জানিয়েছিলেন:
    "এগুলো মোটেই হারিয়ে যাওয়া গান নয়। গ্রাম বাংলার জনতার মধ্যে দিব্যি বহাল তবিয়তে বর্তমান। হারিয়ে যাচ্ছে যেটা সেটা হল নগরজীবনে বন্দি আপনার আমার মতো মানুষজনদের সঙ্গে এই সব গণশিল্পের যোগসূত্রের শিকড়বাকড়। তাকে খুঁজে বের করবার দায়িত্বও তাই আমাদেরই ওপরে।" -- আমার প্রশ্ন এইসব নাগরিক মানুষের বহিরঙ্গের চাকচিক্য ও প্রলোভনের প্রভাবে এই সমস্ত লোকগানগুলি মডিফাই হয়ে সত্যি সত্যি সেই আগের অবস্থায় থাকবে তো? উনি কিন্তু এই পর্বে প্রায় সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। অবশ্য শোভন-এর মতো নাগরিক মানুষের সংস্পর্শে এলে এই সব লোকগান ও লোকসংস্কৃতির ভালো হবে বলেই আশা।

    সবশেষে এটুকু বলি যে "যাত্রী" পড়তে অসম্ভব ভালো লাগছে!!

    গুঞ্জন বোস (bose_g...@redif...)

    লেখকের মন্তব্য: গুঞ্জনবাবুকে ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগবার কথা জানতে পেলে আমরা কাজটা করতে একটু বেশি উৎসাহ পাই। আপনি একটা খুব সুন্দর প্রশ্ন তুলেছেন--
    "এইসব নাগরিক মানুষের বহিরঙ্গের চাকচিক্য ও প্রলোভনের প্রভাবে এই সমস্ত লোকগানগুলি মডিফাই হয়ে সত্যি সত্যি সেই আগের অবস্থায় থাকবে তো? উনি কিন্তু এই পর্বে প্রায় সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে।"

    আসলে, 'মডিফাই' হওয়াটা খুব একটা আপত্তির ব্যাপার নয় কিন্তু। আর পাঁচটা জীবন্ত বস্তুর মতই কোন জীবন্ত লোকশিল্পধারা কখনোই একটা নির্দিষ্ট ফর্মে বাঁধা পড়ে এক জায়গায় থেমে থাকে না। ধীরে, খুব ধীরে তার ফর্মের বিবর্তন চলতে থাকে। জীবনদর্শন ও ধর্মবিশ্বাসের বিবর্তন, আর্থসামাজিক বদল, রাজশক্তির চরিত্রপরিবর্তন এই সবকিছুই ক্রমাগত ছাপ ফেলে চলে তার দেহে ও আত্মায়। সে পরিবর্তনে ভালোমন্দর মিশেল থাকে। বদলটা কাজেই শুধুই খারাপ হবার কথা নয়। বদলের ফলেই একটা শিল্পধারা থেকে নানান শাখাপ্রশাখা বের হয়ে চলে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু শাখা সময়ের পরীক্ষায় পাশ করে গিয়ে নতুন শিল্পধারার জন্ম দেয়, আবার কিছু ধারা যায় শুকিয়ে।

    যেমন ধরুন "হৃদমাঝারে রাখবো ছেড়ে দেবো না" এই বহুল প্রচলিত গানটি। শহুরে গায়ক গায়িকারা এ গান বারংবার গেয়ে চলেছেন। ক্রমাগত বদলে চলেছে এ গানের চেহারা তাঁদের গলায়। মূলধারা থেকে দূরে সরে গিয়ে তৈরি হয়ে চলেছে গায়কির বিবিধ ধারা শাখাপ্রশাখা। নিচের লিংকটিতে এমনই তিনচারটি ঢঙ-এ গানটি শুনতে পারেন বিভিন্ন নাগরিক শিল্পীর কন্ঠে।

    প্রশ্ন হচ্ছে এই নানাবিধ মডিফিকেশনের সম্মুখীন হয়ে কোন বিশেষ লোকসঙ্গীতধারার মূল গায়কির ঢঙটি তার নিজস্ব অস্তিত্ব নিয়ে টিঁকে থাকবে কি না? আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, সেটা নির্ভর করবে মূলধারাটির কতটা শক্তি তার ওপরে। যেমন ধরুন, পটের গান (যমপট্ট) বাংলা থেকে একরকম হারিয়েই যেতে বসেছে। বাউল ও ফকিরি গানের আত্মশক্তি অবশ্য অনেক বেশি। বদলের ধাক্কা তার দেহ থেকে নতুন নতুন (ভালো, মন্দ) গায়নধারার জন্ম দিলেও তার আদি চেহারাটিও পাশাপাশি টিঁকে থাকে নিজের জোরে। প্রমাণ চাইলে ওই একই গানটির এই রেন্ডারিংটি শুনুন।

    'যাত্রী'তে অন্নপূর্ণার গল্প বলতে গিয়ে আমি কিন্তু সচেতনভাবে কোন প্রশ্ন তুলতে চাইনি। শুধু নৈর্ব্যক্তিকভাবে একটি মানুষের কমপ্রোমাইজ করা ও একটি সঙ্গীতপ্রেমী যুবকের ওপরে তার প্রতিক্রিয়ার ছবিটাই দিতে চেয়েছি। মডিফিকেশনের প্রভাব থেকে বেঁচে লোকগান তার পুরনো চেহারা ও দর্শন নিয়ে কোন দূর্গে কীভাবে টিঁকে থাকে, তার খানিকটা জানাবার চেষ্টা থাকবে আগামি এপিসোডে।

    ভালো থাকুন।


    শান্তনু চক্রবর্তীর সমালোচনাঃ "দীপঙ্কর চৌধুরীর 'ডাইনী ও অন্যান্য গল্প'"

    শান্তনুবাবুর আগের রিভিউ পড়ে যতটা আনন্দ পেয়েছিলাম, এবারে পড়ে ঠিক ততটাই মন খারাপ হল। পরবাসের অনেকদিনের পাঠক হওয়ার সুবাদে 'বিজুদা' সিরিজের প্রায় সব গল্পই পড়েছিলাম ও ভালো লেগেছিল। এখন হঠাৎ করে এই রিভিউ পড়ে, মনে হচ্ছে শান্তনুবাবু সমলোচনা কম, গোয়েন্দাগিরি বেশি করেছেন। প্রায় প্রতিটি গল্প অন্য কোনো গল্পের মতো বলে ওনার মনে হয়েছে। আমি বইটি দেখিনি বা পড়িনিও, জানতাম না ভবভূতিবাবুই দীপঙ্কর চৌধুরী!! তবে বইয়ের মধ্যে অযথা Italics (পরবাসে প্রকাশিত হওয়ার সময় ছিল না)-এর ব্যবহার বা শুদ্ধ শব্দের ব্যাপারে উনি ঠিক-ই বলেছেন।

    গুঞ্জন বোস (bose_g...@redif...)

    লেখকের উত্তর:
    সমালোচকের সমালোচিত হতে খুব ভালো বোধহয় কোনসময়ই লাগেনা; আমারও গুঞ্জনবাবুর পত্রটি পড়ে প্রথমে মনে হয়েছিল এনাকে সামনে পেলে 'ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি বাঁধন' দেখিয়ে দিতাম! তারপরে ওঁর লেখাটি দ্বিতীয় বার এবং আমার নিজের পাণ্ডুলিপিটি আরও একবার পড়ে দেখলাম, কোথাও একটা কম্পাঙ্কের গণ্ডগোল ঘটেছে। আমার রাগ বা অভিমান, কোনটাই করা সাজেনা।

    প্রথমতঃ উনি বইটা পড়েননি, দেখেনও নি; দ্বিতীয়তঃ, "প্রতিটি গল্পই ওনার অন্য কোনো গল্পের মত বলে মনে হয়েছে" কথাটি আদৌ সত্যি নয়! বরং একমাত্র 'নখদর্পণ' কাহিনীটি ছাড়া শ্রী বসুর এই অভিযোগ মানতে গেলে সত্যের অপলাপ করতে হয়। কায়েন বায়েত-এর সঙ্গে 'মন্ত্র-শক্তি' গল্পের, 'সিদ্ধেশ্বরী'র সঙ্গে Many Lives Many Masters উপন্যাসের, 'কুম্ভক'-এর সঙ্গে রামকৃষ্ণ কথামৃততে উক্ত একটি ঘটনার যে সূত্র আমি উল্লেখ করেছি, সেটা সমাপতন নয় কোনমতেই। এই সামঞ্জস্য, বা সমান্তরলতা আমার কাছে উপভোগ্য মনে হয়েছে; অতিপ্রাকৃতের একটা বৃহৎ চিন্তা-জগতের ক্যানভাস-এ এইসব গল্পের রং-গুলি বার বার ঘুরে ফিরে আসে, এই কথাটাই আমি আমার লেখায় বোঝাতে চেয়েছিলাম; এখন বুঝতে পারছি আমার কোথাও নিশ্চয়ই ঘাটতি রয়ে গেছে।

    তবে দুঃখের মধ্যেও সান্ত্বনা এই যে, এই লেখা ভূমিষ্ঠ হবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডাইনী-গ্রন্থকারের স্বতঃ-প্রণোদিত একটি ই-চিঠি এই সমালোচনাকে যেভাবে স্বাগতম জানিয়েছিল, তাতে গুঞ্জন-বাবুর অনুযোগের ব্যথা অনেকটাই উপশম হয়ে যাবে!

    ধন্যবাদান্তে
    শান্তনু চক্রবর্তী


    বাংলা বানানবিধি
    (এই সংখ্যাতে এই বিষয়ে দু'টি লেখা আছেঃ উদয় চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ "বাংলা বানান সমস্যা" এবং "বহুরূপী বাংলা বানান" বইয়ের উপর ভবভূতি ভট্টাচার্যের সমালোচনা। এই বিষয়ে সব মন্তব্যগুলি একই জায়গায় সন্নিবিষ্ট হল। লেখক এবং পাঠক, সবাইকেই আলোচনায় যোগ দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।)

    *************

    ভবভূতি ভট্টাচার্য 'বহুরূপী বাংলা বানান' বইটির আলোচনায় 'উদ্দেশে' আর 'উদ্দেশ্যে' শব্দদুটির অর্থ যে আলাদা, তা মানতে চাননি অথচ উদ্দেশে আমরা দীর্ঘকাল থেকে ব্যবহার করে আসছি। বইয়ের উৎসর্গ-পত্রে লেখা হয়ে আসছে। রাজশেখর বসুর অভিধানে দেখছি উদ্দিষ্ট-এর সঙ্গে উদ্দেশ যুক্ত। আবার উদ্দেশ্য-এর সঙ্গেও অভিপ্রায় ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গে আমরা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাদেমির বানান মেনে নিচ্ছি। আর মনে রাখা দরকার, এই বানানবিধির ৯০ শতাংশ বানানের সঙ্গেই আনন্দবাজার পত্রিকার বানানের বিরোধ নেই। সুতরাং অনর্থক কাউকে দোষারোপ করার মানে হয়না।

    আর একটা কথা। শ্রীভট্টাচার্য আলোচনায় কয়েকবার 'ওনারা' ব্যবহার করছেন, মান্য বাংলায় যা অচল। আসলে, এটি পূর্ববঙ্গের উপভাষা। কথ্যভাষায় ইদানীং বহুল ব্যবহৃত এদিকেও, কিন্তু লিখিত বাংলায় নয়।

    সৈয়দ কওসর জামাল (jamal...@hotm...)

    *************

    লেখকের উত্তরঃ জামাল সাহেবকে আদাব জানিয়ে লিখি, ‘উদ্দেশ’ ও ‘উদ্দেশ্য’ শব্দদুটির অর্থ সম্পূর্ণ পৃথক, আনন্দবাজার গোষ্ঠীর বানান-প্রেসক্রিপশন গ্রন্থটির [‘কী লিখবেন কেন লিখবেন’] এই মত আমি মানতে চাইনি। এই ‘সম্পূর্ণ’ পার্থক্যটি ইদানীং-কৃত ও ‘কৃত-কৃত’, মানে, বানানো হয়েছে/চাপানো হয়েছে। শব্দদুটির মধ্যে ব্যুৎপত্তিগত কোনো আমূল পার্থক্য নেই। বাংলা একাডেমী ঢাকা থেকে সংসদ থেকে চলন্তিকা অভিধান আবার দেখে নেওয়া যাকঃ দুটি শব্দের অর্থ কাছাকাছি। কিছুদিন আগেও আনন্দবাজার পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ‘স্মৃতির উদ্দেশ্যে’ লেখা হত, সেটা সম্প্রতি কোনো ফরমান-বলে ‘স্মৃতির উদ্দেশে’ হয়ে গেল। এই বিশেষ কোনো দলের বা গোষ্ঠীর মোড়লিতেই আমার আপত্তি, যার ব্যবহারিক বা বৈয়াকরণিক স্বীকৃতি নেই। আমার ঘরেই বেশ কিছু নামী প্রকাশনালয়ের গ্রন্থ রয়েছে (উদা. সংসদ) যেখানে উৎসর্গ -পত্রে ‘......স্মৃতির উদ্দেশ্যে’ লেখা হয়েছে, আনন্দ-গোষ্ঠী ইদানীং যেখানে অবশ্যই ‘.....উদ্দেশে’ লেখেন। তার মানেই যাঁরা এদ্দিন ‘....উদ্দেশ্যে’ লিখে এলেন বা এখনও লিখে চলেছেন তাঁরা সব এক স্ট্রোকে ভুল হয়ে গেলেন?

    ‘ওনারা’ নিয়ে জামাল সাহেবের আপত্তির কারণ বুঝলুম না, এটা যে পূর্ববঙ্গের কথ্যভাষা---তা-ও এই প্রথম শুনলুম। নিজে হুগলি জেলার ঘটি, উত্তর কলকাতায় বড় হয়েছি, যেখানে ওনার, ওনারা তো আকছার চলে। তবে কি ‘উনারা’ লিখলে ঠিক হৈত?

    *************
    প্রত্যুত্তরে:

    ভবভূতি ভট্টাচার্য তাঁর যুক্তির পক্ষে বলতে গিয়ে বাংলা একাডেমীর অভিধানকে সাক্ষ্য মেনেছেন, অথচ ওঁর রচনায় রাজশেখর বসুর নামোল্লেখ দেখে আমি রাজশেখরকেই উদ্ধৃত করেই উদ্দেশ্যে ও উদ্দেশে-র আলাদা ব্যবহার দেখিয়েছি। আর ‘ওনার’ শব্দের লিখিত প্রয়োগ যে ভুল, ভাষাচর্চাকারী শ্রীভট্টাচার্য দেখছি তা জানেন না। তাহলে ‘উনার’ লিখলেই বা দোষ কী? ‘ওঁর’ শব্দটি কি শ্রীভট্টাচার্যের অভিধানে নেই? ওঁকে অনুরোধ করব রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেবেলা’-র শুরুটা পড়ে দেখতে। আর এই প্রশ্নও স্বাভাবিকভাবে করতে পারি, রবীন্দ্রনাথ কখনও কি কোথাও ‘ওনার’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন? বিস্মিত হচ্ছি শ্রীভট্টাচার্য একথা জানেন না দেখে। সবশেষে ওঁকে জানাই, শত চেষ্টা করলেও এই বঙ্গসন্তানের পক্ষে কখনও 'সাহেব' হওয়া যাবেনা, তাই ওঁর দেওয়া ওই অভিধা গ্রহণ করতে আমি অপারগ। ধন্যবাদ।

    সৈয়দ কওসর জামাল (jamal...@hotm...)

    *************
    এবং, এর উত্তরে লেখক:

    মহাশয়,

    এই মুহূর্তে আমার নাগালে ‘সংসদ বাঙলা অভিধান’-খানি রয়েছে। তার পৃ: ১২৪ থেকে উদ্ধৃত করিঃ
    উদ্দেশ—বি. লক্ষ্য; অন্বেষণ, খোঁজ, সন্ধান; মতলব, উদ্দেশ্য ইত্যাদি
    উদ্দেশ্য—বি. অভিপ্রায়, মতলব, অভিসন্ধি, লক্ষ্য, তাত্পর্য" ইত্যাদি
              বিণ. উদ্দেশ করা হইয়াছে বা হয় এমন, অভিপ্রেত।

    সুধী পাঠক এবার বিচার করুন, এই দুই শব্দের অর্থ 'সম্পূর্ণ' আলাদা বলে প্রেসক্রিপশন-গ্রন্থটি প্রদত্ত ফতোয়ার বিরোধিতা করে আমি অন্যায় করেছি কিনা।

    ২. ওঁর, ওনার:
    ঐ অভিধানেরই পৃ: ১৪৯-এ দেখছি:
    ওনাকে—সর্ব: উঁহাকে। সর্ব: ওনার—উঁহার। ওনাদের—উঁহাদের।

    কোত্থাও তো কৈ ‘অশু’ লেখা নেই। বস্তুত:, ‘ওনার’ ‘ওনাদের’ শব্দের প্রয়োগ এতই চালু যে তা নিয়েও যে বিতর্ক হতে পারে, তা-ই বা কে ভেবেছিল? সমগ্র রবীন্দ্রনাথ আমার পড়া নেই। তাই উনি কোথাও ‘ওনার’ লিখেছেন কিনা এক্ষুণি মনে পড়ছে না। পেলে জানাবো। বস্তুত:, এক জীবন্ত ভাষা চলে তার আপনার সাবলীল গতিতে, যেমন আমাদের বাঙলা ভাষা। গুরুদেবের কালের পরেও তো অর্ধশতাব্দীকাল কেটে গেছে। তাই তিনি লিখে যাননি বলেই সেই শব্দ ভুল—এ’ আরেক সংকীর্ণ মত মাত্র।

    তৃতীয়ত:, ফার্সি ‘সাহিব’ (বাঙলায় হয়েছে ‘সাহেব’) শব্দের অর্থ ‘মহাশয়’। এ’শব্দ তাই শুধুমাত্র লালমুখো য়ুরোপীয়গণের উপাধিমাত্র নয়। উত্তরভারতে হিন্দু/শিখ পদবীর সঙ্গে সম্মানার্থে হামেশা চলে। আরবীপদবীর সঙ্গে তো বাঙলাতেও আকছার চলে, যেমন আনোয়ার-সাহেব, হোসেন-সাহেব। পশ্চিমবঙ্গে চলটা কম, যেমন সদ্যপ্রয়াত সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজকে ‘সিরাজ-সাহেব’ সম্বোধনে উনি খুশি হতেন না। বাঙলাদেশে কিন্তু অমুক-সাহেব সম্বোধনই সম্মানজ্ঞাপনের প্রচলিত তারিকা বলে জানি। জামালসাহেবকে সম্মান জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যেই আমার এ’হেন সম্বোধন।

    ইতি,
    ভ. ভ.

    *************

    উপরের চিঠির উত্তরে:

    রাজশেখর বসুর অভিধান উল্লেখ করে আমি দেখিয়েছিলাম উদ্দিষ্ট-এর সঙ্গে উদ্দেশ যুক্ত। আবার উদ্দেশ্য-এর সঙ্গে অভিপ্রায় ইত্যাদি--কারণ শ্রী ভট্টাচার্য তাঁর লেখায় রাজশেখর বসুকে সাক্ষী মেনেছিলেন। এখন উনি সংসদ অভিধানের উল্লেখ করে বোঝালেন শব্দদুটির ভিন্ন অর্থ করা ফতোয়া দেওয়ার সামিল। এবার আমি সংসদেরই অন্য একটি অভিধান, সুভাষ ভট্টাচার্যকৃত, উদ্ধৃত করছি: উদ্দেশ--খোঁজ, সন্ধান; উদ্দেশ্য--অভিপ্রায়, মতলব। এবার আসুন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির অভিধান কী বলছে দেখি: উদ্দেশে--দিকে, প্রতি; উদ্দেশ্য-- লক্ষ্য, অভীষ্ট।

    এরপর এ বিষয়ে আর কোনও তর্কে যেতে আমি নারাজ। শ্রীভট্টাচার্য শব্দদুটিকে সমার্থক হিসেবেই দেখলে আমার আপত্তির কিছু নেই। তবে ছাত্রছাত্রীরা শব্দদুটির ফারাক না করলে পশ্চিমবঙ্গের মাস্টারমশাইরা নির্ঘাৎ নীচে লাল কালির দাগ টানবেন।

    এবার ‘ওনার’ (উনারও ব্যবহৃত হয়) প্রসঙ্গে আসি। তিনি > তাঁর, তিনার; উনি > ওঁর, উনার (ওনার বেশ অর্বাচীন)। বাংলা ভাষায় মান্য লেখ্য রূপ হল ‘তাঁর’ ও ‘ওঁর’। আবার বলছি, তিনার, ওনার, উনার -- বাংলা কথ্য ভাষার অন্তর্গত, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, এদের উদ্ভব পূর্ববঙ্গীয় উপভাষা থেকে। কলকাতার পুরোনো অধিবাসী, যাঁরা (কথ্যভাষায় যিনারা-র ব্যবহার শুনিনি) আশেপাশের জেলাগুলো থেকে এসেছিলেন কলকাতা পত্তনের পর, তাঁরা এবং তাঁদের বংশধররা কখনও ওইসব কথ্য শব্দ ব্যবহার করেনি। পূর্ববঙ্গের মানুষজনের সংস্পর্শে আসার পরই ‘উনার, তিনার’ পশ্চিমবঙ্গের কথ্যভাষাতে প্রবেশ করে। এখনও এই বঙ্গের অ-পূর্ববঙ্গীয় প্রচুর মানুষজন কথ্যতেও ‘ওঁর’ ব্যবহার করে থাকে। রবীন্দ্রনাথ ‘ছেলেবেলা’তে বলেছেন (স্মৃতি থেকে লিখছি): আমাদের বাড়িতে কয়েকজন পূর্ববঙ্গের চাকর ছিল, তারা কথা বলার সময় ‘উনার’ তিনার’ বলত, আমরা মজা পেতাম…ইত্যাদি। উনার এখন হয়েছে ওনার (হয়তো ‘ওঁর’ প্রভাবে)। কোনও শব্দ লেখ্য হোক বা কথ্য, এ বঙ্গীয় বা ও বঙ্গীয়, যেহেতু তা বাংলা ভাষারই, সেহেতু বাংলা অভিধানে তার স্থান অপরিহার্য। আমি ওনার-কে অশুদ্ধ তো বলিনি! আবার অভিধানে ‘ওনার’ আছে বলেই তা মান্য বাংলা শব্দ, লিখিতভাবে তা গ্রাহ্য হবে, এমন পরিস্থিতি এখনও হয়নি। রবীন্দ্রনাথকে বাদই দিলাম, এখনকার বাংলা সাহিত্যেও ‘ওনার’ এর ব্যবহার চোখে পড়েনা। বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্যে তো নয়ই।

    সৈয়দ কওসর জামাল


    প্রশ্ন - বাংলাভাষায় ক্রিয়ার নাস্তিবাচক 'নি' শব্দ ঠিক কবে থেকে ক্রিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল (যথা, হয়নি, মানিনি) এবং কেন জুড়ে গেল, এ-বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেউ আলোকপাত করলে ভালো হয়।

    আবার, কবে থেকে ও কেন 'এবার' 'সেকাল' জাতীয় শব্দ বিযুক্ত হয়ে গেল (অর্থাৎ, এ বার, সে কাল)?

    তেমনি, ণ্ড (মূর্ধন্য ণ + ড) কেন সম্পূর্ণ লোপ পেয়ে 'ভন্ড' 'মুন্ডু' প্রভৃতি লেখা শুরু হল এবং তাতে কি সুবিধে হল তার কারণ অনুসন্ধান করলেও জিজ্ঞাসুদের উপকার হয়।

    বানান 'সরলীকরণ'-এর সঙ্গে কি ভোটের রাজনীতির কোনো গূঢ় সম্বন্ধ আছে?

    দেবদত্ত জোয়ারদার (devada...@gmai...)


    I liked Mr. Chatterjee's article (উদয় চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ "বাংলা বানান সমস্যা" ). On this topic there had been innumerable debates among the scholars in the arena of Bengali literature in the past. It is not easy to consolidate a history of "Bengali Banan" debates in such a short article. For the benefit of those readers who want to learn more on this topic, I would recommend please read Dr. Ketaki Kushari Dyson's essay - Boidhogder Sopokkhe (বৈদগ্ধের সপক্ষে). Dr. Dyson's essay is a cornerstone on this topic in Bengali literature. With her scholarly ease, she had created a masterpiece on this topic. Her essay made Bengali literature richer. In my humble opinion, this should be included in the textbook in Bengali Honors syllabus. This book ('Bhasha-Bhabna,' ed. Tusharkanti Mahapatra, Ababhas, Kolkata) is available in bookstores in Kolkata and readers abroad can buy it through Parabaas book store.

    I again encourage Mr. Chatterjee to please write such articles. You have a nice presentation style. Keep it up.

    Regards,
    Pritam Basu, Albany, NY (basupritam..@yaho...)

    *******************

    উদয় চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ "বাংলা বানান সমস্যা" লেখাটি শিক্ষার্থীদের উপযোগী। তবে কেবল নিয়ম-নীতি না বলে, বানান ভুল এড়ানোর উপায় বললে ভাল হত। এবিষয়ে আমার একটি লেখা একটি ছোটো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কয়েক বছর আগে। আগ্রহ থাকলে পাঠাতে পারি।

    ড. খোকন কুমার বাগ (khokan...@yaho...)


    A gross omission -- এই সংখ্যার "সম্পাদকীয়"

    In sampadakiyo you have rightly mentioned and regretted the sad demise of Humayun Ahmed and Sunil Gangopadhyay, but how could you miss the recent death of another stalwart of Bengali literature like Syed Mustafa Siraj unless it's intentional? Of course, both Humayun and Sunil were very popular writers and Siraj's popularity did not match them. But can popularity be the only yardstick for measuring the contribution of a writer? You have published memoirs/articles on both the writers but not even a single line for Siraj. It reflects your perfunctory assessment of Bengali literature. Siraj's Aleek Manus (অলীক মানুষ) has created a new dimension in Bengali literature. And how one can forget his Colonel series of writings? I hope you will make a soul searching on how to honour the writers like Syed Mustafa Siraj.

    Swapna Bhattacharya (swapn..@gmai...)


    পরবাস-এর পাঠকদের সৌভাগ্য এই যে এতে প্রকাশিত লেখার জন্যে সম্পাদকের জ্ঞানবুদ্ধির উপর নির্ভর করতে হয় না বললেই চলে। হুমায়ূন ও সুনীলের উপর লেখাগুলি আমাদের দপ্তরে বিশেষ প্রচেষ্টা ছাড়াই এসেছিল, এবং যদি আপনার চিঠিটি পরবাস-৫২ প্রকাশের আগে পাওয়া যেত তো আমার আশা এই সংখ্যাতেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ-এর উপর একটি লেখা থাকত। দেরিতে হলেও, এই সুযোগে বাংলাসাহিত্যে সিরাজ-এর অবদানকে সশ্রদ্ধভাবে স্মরণ করে আপনাকে ও অন্যান্যদের আহ্বান জানাচ্ছি পরবাস-এর পাতায় তাঁর সাহিত্যকীর্তির নিবিড় আলোচনার জন্যে। আমাদের ধারণা লেখকদের যথার্থ সম্মান জানানোর জন্যে তাঁদের লেখার আলোচনার ও অনুবাদের মতো ভালো উপায় আর নেই, এবং পরবাস দু'টিতেই যথাসাধ্য ভালো করতে প্রয়াসী। --সম্পাদক

    নিবেদিতা দত্তর গল্প "সাক্ষী সাইপ্রেস"

    Wonderful Story. Thanks Mrs. Dutta.

    Partha Ghosh (ghosh...@-online...)


    ব্রত চক্রবর্তীর কবিতা "উধাও"

    ব্রত চক্রবর্তীর "উধাও" মন ছুঁলো।

    কমলিকা চক্রবর্তী (heav...@gmai...)


    দেবদত্ত জোয়ারদারের অনুবাদ গল্প "সংবাদ"

    বাংলা ভাষার অনন্য সুন্দর ব্যবহার/প্রয়োগ। আমি জার্মান ভাষা জানি না, তাই অনুবাদের মান নিয়ে মন্তব্য করা অর্থহীন। কিন্তু কাহিনির রস গ্রহণ করতে হয়তো অসমর্থ নই। বিষাদ মলিন, হতাশা, পরাজয় ক্লান্ত মানুষদের গল্প। সাধারণত নাৎসি বর্বরতার বিবরণই পাওয়া যায় দ্বিতীয় যুদ্ধোত্তর সাহিত্যে। কিন্তু একদা গর্বের চুড়ায় আসীন জাতির ধ্বংসস্তূপের করুণ চিত্র তেমন দেখা যায় না। পড়ে আনন্দ পেলাম বললে অদ্ভুত শোনাবে। কিন্তু আপনার অনুবাদ আমাকে অবশ্যই স্পর্শ করেছে।

    দীপংকর দাশগুপ্ত (d.dasgu...@gmai...)


    Sehr Gut!

    Partha Ghosh (ghos...@-onli....)


    ভবভূতি ভট্টাচার্যের অনুবাদে ইস্মত চুঘতাই-এর গল্প "লেপ"

    অসাধারণ গল্প ও সুদক্ষ অনুবাদ। লেখিকা যেমন দেবনাগরী হরফে উর্দু লিখতেন, অনুবাদক তেমনি বাংলা হরফে গল্পের কিয়দংশের উর্দু উদ্ধৃতি দিয়ে পাঠককে মূলের স্বাদ কিছুটা দিতে পারতেন। উর্দু তো বাঙালীর কাছে সম্পূর্ণ দুর্বোধ্য এমন নয়।

    দেবদত্ত জোয়ারদার (devad...@gmai...)


    "প্রযুক্তি ও নারী" বইএর উপর স্বপ্নময় চক্রবর্তীর সমালোচনা

    Namaskar.

    I was attracted to this article because of the name "Prajukti O Naari". So I thought it was about how some women contributed to Technology. That was not the content though. I am pretty sure women can do much more than just learn how to log on to a computer or how to cook in a microwave machine. On the other hand, in all fairness, there are women (and many men) who don't know how to operate these machines. But I thought that it was about smart women. Falls short on that expectation. Thank you,

    Manas Maity (manasrm...@yaho...)


    অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প "মিসগাইড"

    লেখা পড়ে মনে হলো সুবিমল হতাশাগ্রস্ত, গল্পের প্রথম দিকটা সেই রকমই। মফস্বলের ছেলে, সিনেমা দেখার শখ আছে, প্রচুর টাকা খরচ করার সাধ্য নেই।

    সেই ছেলে বদলে গেল কোন জাদুমন্ত্রে? কাকার হাতের চড় নাকি কাকার সেই উক্তি, "this guide will misguide you"? নাকি রবার্ট ব্রুস-এর উদাহরণ?

    মাল্টিপ্লেক্স-এ গিয়েও যখন নিজের ছোটোবেলার সেই শখ পূরণ হল না, তাহলে এবার কি সুবিমল কি করবে? লেখক সুবিমল- কে কোথায় নিয়ে যাবেন?

    নীলেশ নাথ (blueis...@gmail....)


    সুনীল

    Please update.. Our own Nillohit is no more.. What a sad demise.. RIP

    Saswata Chatterjee (saswata....@gma...)

    এই চিঠি থেকেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর প্রথম পাই আমরা। 'আনন্দবাজার'-এর মতো 'দৈনিক' পত্রিকার আন্তর্জাল সংস্করণ (নাকি সব সংস্করণই) যে কোন্‌ যুক্তিতে বেশ কিছুদিন একটানা বন্ধ থাকতে পারে তা বোঝা মুশকিল। এর পরে আমরা অনেকের চিঠি পাই, যা থেকে বোঝা যায় একজন প্রিয় লেখকের প্রয়াণ কীভাবে পাঠকদের বেদনাতুর করে তুলতে পারে। তুলনীয় অভিজ্ঞতা হয়েছিলো হুমায়ূন আহমেদ-এর প্রয়াণের পরেও।


    শ্রাবণী দাশগুপ্তের গল্প "কথাচিত্র"

    ছবির মতই। চোখের সামনে ফুটে উঠছে উটপাখি। আমিও একাত্ম হয়ে যাই তার সাথে। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। গলার কাছটা ভিজে ভিজে। শেষ দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমি পুপে হয়ে যাই।

    রুচিস্মিতা ঘোষ (ruchi....@yahoo...)


    যশোধরা রায়চৌধুরীর "দু'টি কবিতা"

    কবিতাটি (অলৌকিক) ভীষণ ভাল লাগল। সহজবোধ্য শব্দের উপর সাবলীল সন্তরণ পাঠককে আটকে রাখে শেষাংকের নিরেট বাঁধুনিতে। অলৌকিক দারুণ মাত্রা পেয়েছে ভিন্নতর আঙ্গিকের মেজাজে। ধন্যবাদ।

    আমার ই-মেল প্রকাশ না করার অনুরোধ রাখলাম।

    অনুপম দাশশর্মা


    "শুধু অলৌকিক জানে, কতোখানি প্রেম
    অলৌকিক দিয়েছিল। বা কতোটা অলৌকিক
    কারা কারা যেন
    প্রেমসঙ্গে ফ্রি দিয়েছে, একদা, প্রাচীন
    ভুলে যাওয়া দিনে। " - বেশ চিরন্তন, মন্ত্রের মতো।

    "ঘাটের কথা" - একটা দারুণ গানের মতো রিনরিন করে বেজে যাচ্ছে। শেষ হলেই রিওয়াইণ্ড আর শুরুর থেকে চালু।

    সংহিতা (tupur...@gm...)


    খুব ভালো লাগলো যশোধরা'দির কবিতা দুটি।

    অভীক (adorern...@gm...)


    কবি অক্ষরমাত্রায় কবিতাটি (ঘাটের কথা) জব্বর ধরে রেখেছেন, শুধু দুইটি পংক্তির কিছু লাইনে চোদ্দ মাত্রা কোথাও পনের আবার তেরো-তেও নেমে এসেছে। যদিও এমনতরো সামান্য এগোনো পিছনো বহু কবি-ই করেছেন পূর্বে। এটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। বিষয়, ছন্দের সাবলীল স্রোত সমালোচনার উর্ধ্বে। খুব ভালো। ধন্যবাদ।

    আমার ই-মেল না প্রকাশের অনুরোধ রাখলাম।

    অনুপম দাশশর্মা


    হুমায়ূন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি — ফারহানা আফরোজ

    Really wonderful writing. Simply the best words to express our feelings towards our favorite writer Humayun Ahmed.

    Farjana Yesmin (fara...@yaho...)


    এই লেখাটি পড়ে আমিও চোখের জল আটকাতে পারিনি, চেষ্টাও করিনি। কেন করবো? এই জলে তো লজ্জা নেই এ' তো গর্বের এ' তো শ্রদ্ধার।

    এই লেখিকার সাথে সাথে অনেক অনেক স্মৃতি মিলে যাচ্ছে। বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে এমন একটি লেখা আমিও লিখি।

    রিটন খান (riton...@gmai...)


    স্মৃতির পটে -- লুনা রুশদী

    হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লেখা অনেক আনন্দের... উনি আরো কিছুদিন থাকলে হয়তো আরো সুন্দর কিছু সৃষ্টি আমরা পেতাম... সৃষ্টি মানে যেকোনো সৃষ্টি... উপন্যাস/ছোটোগল্প/নাটক/চলচ্চিত্র... আল্লাহ ওনাকে জন্নত নসিব করুন... আমিন।।

    Zerin (faze...@hotm...)


    সংহিতা মুখোপাধ্যায়ের গল্প "নিজের আড়ালে"

    ভালো লাগলো। বেশ বা তার থেকেও বেশি। লেখিকাকে প্রাণভরা প্রেরণা, আরো লিখুন ভালো লিখুন।

    কৌশিক ভাদুড়ী (kausik...@gma...)


    ভীষণ শক্তিশালী হাত হয়ে উঠছে সংহিতার। এ মেয়ের জীবনবোধ যেদিন আরো পরিণত হবে, আমরা মনে রাখবার মত একজন লেখককে পাবো বলে আশা রাখছি এখন থেকেই।

    দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (debjyoti...@gmail...)


    "স্মরণে হুমায়ূন আহমেদ"-- লুনা রুশদী

    Thank you for the nice and personal article. Humayun Ahmed was part of any Bangladeshi's life. May the Almighty rest his soul in peace.

    Upaul (corkl...@yah...)


    প্রযুক্তি ও নারী : একটি আলোচনা--স্বপ্নময় চক্রবর্তী

    প্রবন্ধটি পড়ে ভাল লাগল। প্রযুক্তির সংগে মানুষের যোগ আমায় বিভিন্ন সময় ভাবিয়েছে। নারীর সংগে তো নিশ্চিত। ইচ্ছে না হলেও জীবনের দ্রুতি কান ধরে শিখিয়ে নিচ্ছে অনেক কিছুই। এই এক প্রজন্মেরই মধ্যে কত কিছু করে ফেললাম, মানে করতে হল... আপ্রাণ চাইছি যন্ত্র-দাসত্ব করব না অথচ সময়ে-সময়ে দেখি ওই যন্ত্রই কেমন টানছে...কেমন যেন love-hate সম্পর্ক একরকম... খুব ইচ্ছে হচ্ছে জানতে তৃষ্ণাদেবী কীভাবে দেখেছেন এই বিষয়টিকে... বইটি পড়ার ইচ্ছে রইল।

    শর্মিষ্ঠা সেন (sharmist...@yah...)


    ঋতব্রত মিত্রর কবিতা "ভাণ্ড"

    ভালো লেগেছে।

    Paulami Sengupta (paulami...@g...)


    অনন্যা দাশের গল্প "রুবেলের দুপুর"

    গল্পটি বেশ ঝরঝরে। ভালো লাগল।

    তরুণ কুমার সরখেল (sarkhe...@gmail...)


    বিদায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়...--অনন্যা দাশ

    এমন সাবলীলসভাবে অনন্যা লিখেছেন যে মনে হচ্ছিল সামনে বসে উনি বলছেন। নিজের অপূর্ণতাকে অকপটে বলে ফেলার সাথে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এর সঙ্গে দেখা হওয়ার বর্ণনা এমন সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যে আমি মুগ্ধ হলাম। 'পরবাস' পত্রিকাকে ধন্যবাদ এমন একটা লেখা উপহার দেবার জন্যে।

    Dr. Aniruddha Chakraborty (armc...@gmail...)


    এটাকে লেখা না বলে স্মৃতিচারণায় শ্রদ্ধা জানানো বলব। অনন্যার কলমের তেজ আমার জানা আছে। কবি-লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর লেখার মধ্যে জীবিত থাকবেন। অনন্যাকে ধন্যবাদ সুন্দরভাবে নিজের অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।

    নীলাচার্য (nilach...@nilacha...)


    লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো! আমি সাহিত্যের ছাত্র নই, তাই ওর লেখা নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা আমার নেই! পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেই সুনীলবাবুকে "শিশু ও কিশোর" একাডেমি সরিয়ে ওদের অনুগত একজনকে বসালেন, অথচ সুনীলবাবুর জনপ্রিয়তা দেখে রাজনীতির তাগিদে যা করলেন, সেটা যে আনুষ্ঠানিক সেটা বুঝতে বিশেষ কষ্ট হয়নি কারুর! সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ জানিয়েছে, কিন্তু বাংলার মানুষ বিশেষ কিছু বলেনি! সুনীলবাবুর শেষযাত্রায় এই রাজনীতিটা না দেখলেই খুশি হতাম! সুনীলবাবুর আত্মার শান্তি কামনা করে এই মন্তব্যটা শেষ করবো!

    রতন কুমার দত্ত (ratan...@data...)


    আমি প্রতি বছর পূজাসংখ্যা পাবার আগে ভয়ে ভয়ে থাকতাম। এইবার বুঝি আর সুনীল লিখবেন না। গত কয়েক বছর ধরে উনি লেখা কমিয়ে দিয়েছিলেন, শুধু নীললোহিত আর কাকাবাবু লিখতেন। এ বছর আনন্দমেলায় কাকাবাবু লিখেছেন। কিন্তু আনন্দলোকে নীললোহিত নেই। হায়.... আর কোনোদিন নতুন নীললোহিত, কাকাবাবু, সন্তু বা নীরা-রা আসবে না। বিদায় সুনীল! আপনাকে খুব মিস করব.....

    Farhana Afroz Kanta (farhan...@yah...)


    পরবাসের এই সংখ্যাটা সামগ্রিকভাবে ভালো লাগল - তবে অনন্যা দাশের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে লেখাটা খুব আন্তরিক এবং মর্মস্পর্শী হয়েছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর তিনদিনের মধ্যে এমন একটি স্মৃতি-তর্পণ অথচ তথ্যনির্ভর লেখা প্রকাশের জন্য লেখিকা ও সম্পাদক দুজনকেই ধন্যবাদ জানাই। এই শ্রদ্ধা-মূলক লেখাটি না থাকলে এবারের পরবাস অসম্পূর্ণ থেকে যেত।

    জ্যোর্তিময় দাশ (jyotirmay...@yaho...)


    "স্মরণে হুমায়ূন আহমেদ"--জাকিয়া আফ্রিন

    When my colleague Dr. Moyen Khan published his book of poetry, Ahmed Sofa commented, "Why a person who could become a first-class scientist, becomes a third-class poet!" The best physicists and chemists of Dhaka University became mediocre in the West. They remind us what Maxim Gorky said of those who were created to serve the mankind (My University). Ahmed Humayun preferred to have another life. It was worth it.

    In Sweden we worked for children learning Bengali as a third language in easy Bengali orthography and East Bengal urban dialect based on the spoken language. Ahmed Humayun got it in practice.

    "আসবেই সময়, জাগবেই সারা জাতি, ... বিদায় হুমায়ূন,
    সবিবেকেই তুমি পাড়ি দিয়েছো তোমার উদাত্ত ভাস্বর পথ!"

    Babulanam S M,Asst Prof of Physics, Dhaka University (left 1982) (হুমায়ূন আহমেদের সতীর্থ)

    Dr. S M Babulanam (babul...@hotm...)


    সেদিনের সেই আড্ডাটা--ছন্দা বিউট্রা

    I met Sunil Gangopadhdhay in person during the 2009 Bongo Shommelon in San Jose, CA. I was fortunate enough to tell him that he was my favorite writer. I asked him, "আজকাল কাকাবাবু আর তেমন অ্যাডভেঞ্চারে যাচ্ছে না কেন? উনি একটু বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েছেন" Sunil replied, "আসলে কাকাবাবুর বয়স হয়ে যাচ্ছে তো, তাই একটু ইমোশনাল হয়ে পড়ছেন।"

    it was around noon and Sunil Gangopadhdhay was eating chicken nuggets when I approached him with my books and asked for autograph. উনি একটুও বিরক্তি না দেখিয়ে, চিকেন নাগেট্‌স পাশে সরিয়ে রেখে, আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন। বড়ো মানুষরা এমন-ই হয়.....

    Farhana Afroz Kanta (farhan...@yah...)


    লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। সদ্যপ্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি লেখিকার শ্রদ্ধা এবং তাঁর লেখার প্রতি আন্তরিকতা প্রকাশ পেয়েছে এই রচনার মধ্যে।

    দিলীপকুমার চট্টোপাধ্যায় (dkch...@gm...)


    অনন্যা দাশের গল্প "জন্মদিন"

    খুব ভালো লাগলো। অনন্যা দাশ-এর লেখা 'ছেলেবেলা' পত্রিকা (স্বর্ণাক্ষর প্রকাশনী)-তে পড়ি, খুব ভালো লাগে।

    ধন্যবাদ।

    তরুণ কুমার সরখেল (sarkh...@gma...)


    (আগের চিঠিপত্র)

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments