লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
ঐশী রায় এখনও ছাত্রী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পাঠরতা। হাওড়ার বাসিন্দা, বাংলা সাহিত্য ও ইতিহাসের কিছু পর্যায় নিয়ে আগ্রহ আছে। শখ লেখালিখি আর গান। ব্লগ - https://hiraethquest.wordpress.com/
অতনু দে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। জন্মসূত্রে কলকাতার, কর্মসূত্রে প্রায় পনেরো বছর কলকাতার বাইরে। কিন্তু অবসর
সময় মন ঘুরে বেড়ায় সাহিত্যের খোলা আলো-ঝলমল বারান্দায়। নানান সময় নানান লেখালেখি করেছেন –
কবিতা, প্রবন্ধ, কিন্তু গল্প লেখা এই প্রথম। সাহিত্য ছাড়া চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করেছেন একসময়।
শ্রীমতী অতীন্দ্রিলা রায় কল্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে প্রায় দুই দশক দিল্লী প্রবাসী। নেশা কবিতা ও প্রবন্ধ লেখা এবং বাংলা সাহিত্যচর্চা। অতীন্দ্রিলা নৃত্যে দক্ষ এবং তাঁর কবিতা আবৃত্তি কবিতা প্রেমিকের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
অদ্রিজা চ্যাটার্জী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স'-এ স্নাতকোত্তর শেষ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ফরেন পলিসি স্টাডিজ'-এ এম. ফিল. করেন। কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার তাগিদ কোনোদিনই ওনার লেখালেখির কল্পনা বা উদ্যমকে দমাতে পারেনি। বরং শব্দকল্পের সেই নেশা বারবার উজ্জীবিত করেছে প্রবাসী জীবনের একাকীত্বের সেই মুহূর্তগুলোকে; তা বিবাহের পরের আমেরিকার গৃহবধূ রূপেই হোক বা বর্তমানের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে মাটি খোঁজার সংগ্রাম রূপেই হোক। সব ক্ষেত্রে লেখাই তাঁর মনের একমাত্র খোলা জানলা যেটা খুলে তিনি জীবন ভাগ করে নিতে চান অসংখ্য জীবনযাত্রীর সাথে। লেখালেখি আর বেড়ানো ছাড়া ভালবাসেন বিভিন্ন ঘরানার রান্না করতে, বই পড়তে, আর মানুষের সাথে মিশতে, তাদের জীবনের গল্প শুনতে।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
অমিতাভ প্রামাণিক বেঙ্গালুরুতে থাকেন।
অরণি বসুর জন্ম ১৯৫১ সালে। সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -- শুভেচ্ছা সফর, লঘু মুহূর্ত এবং ভাঙা অক্ষরের রামধনু।
অনিতা চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়েছেন। আই এ এস-এর সদস্য ছিলেন সাড়ে তিন দশকের বেশি। কাজে ও না-কাজে ঘুরেছেন পূর্ব ও মধ্য ভারত। সাহিত্যের সব ধারাতেই আনাগোনা। অতল স্পর্শ, মহুলডিহার দিন, আয়নায় মানুষ নাই, পঞ্চাশটি গল্প, কবিতা সমগ্র, মহানদী ইত্যাদি চল্লিশটিরও বেশি বইয়ের লেখক। অশ্রুত কণ্ঠস্বরের পাঠোদ্ধার করতে চান। বাঙালি
পাঠককে বিভ্রান্ত করতে অগ্নিহোত্রী পদবী ব্যবহার করছেন ১৯৮২ থেকে, মহারাষ্ট্রসন্তান ড: সতীশ বলরাম অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে বিবাহের পর থেকে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সোমেন চন্দ পুরস্কার ফিরিয়েছেন নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার প্রতিবাদে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ সম্মাননা, গজেন্দ্র মিত্র স্মৃতি পুরস্কার, শরৎ পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবন মোহিনী দাসী স্বর্ণপদক, প্রতিভা বসু সাহিত্য পুরস্কার এবং ইংরাজিতে অনূদিত গল্প সংকলন, Seventeen এর জন্য Crossword Economist Award ইত্যাদিতে সম্মানিত। সুইডিশ, জার্মান এবং ইংরাজিতে অনূদিত।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অনন্যা দত্ত আই,আই, টি খড়্গপুর ক্যাম্পাসে থাকেন। মানসিক বিকাশ কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় স্কুলের পড়া হয়নি। ছবি আঁকতে ও গান গাইতে ভালবাসেন।
অঞ্জলি দাশের জন্ম বাংলাদেশে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকোলজি-তে মাস্টার্সের পরে কলকাতায় চলে আসেন ১৯৭৮ সালে। কিশোর বয়েস থেলে লেখালিখি করলেও এ-পারে আসার পরে সিরিয়াসলি কবিতা লেখা শুরু করেন, ছোটো বড়ো নানা পত্রিকায়, পাশাপাশি গত কয়েক বছর গল্প-উপন্যাসও। 'বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার' ও 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন। ৫-টি কবিতা বই; দে'জ থেকে 'শ্রেষ্ঠ কবিতা'ও আছে তার মধ্যে।
অংকুর সাহা: কবিতা শ্রমিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। গ্রন্থের সংখ্যা সাত।
অংশুমান দাশ বড় হয়েছেন শান্তিনিকেতনে। পদার্থবিদ্যা পড়েও কাজ করেন পরিবেশ, চাষবাস, বিকল্প শিক্ষা নিয়ে। সেই সুবাদে দেশবিদেশের নানা গ্রামের কোণে কোণে তাঁর ঘরবাড়ি। কবিতা ছাড়াও ছড়া, বিজ্ঞান বিষয়ে, রম্যগদ্য ও নাটক লেখেন তিনি।
অনুষ্টুপ শেঠ--কলকাতায় বড় হওয়া, কর্মসূত্রে বহুকাল মুম্বাই প্রবাসী। বই, বাংলা সাহিত্য হল ভালবাসা। মূলত কবিতা লেখার শখ, টুকটাক গদ্য লেখারও চেষ্টা চলে। প্রকাশিত ছেলেদের ছড়ার বইঃ
'ভূতোর বই' (ঋতবাক্, ২০১৭)।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম বর্ধমানে। পড়াশোনা বর্ধমান, নরেন্দ্রপুর, ও শিবপুর বি,ই কলেজে। কবিতা ছাড়াও বিশেষ ভালোবাসার বিষয় হলো গানঃ রবীন্দ্রসঙ্গীত, হিন্দুস্থানী ও কর্নাটকী ক্লাসিকাল। প্রকাশিত কবিতার বই
আপাত সুখের দৃশ্য।
আর্যা ভট্টাচার্যের পড়াশোনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, দর্শনশাস্ত্রে পিএইচডি। বহুবছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। শখঃ দেশভ্রমণ ও ভাষা শিক্ষা। প্রতিবিম্ব, চট্টগ্রাম-বার্তা, পূর্ব-পশ্চিম, সুবর্ণরেখা, আবহমান, ইত্যাদি পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে বা প্রকাশের মুখে।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
ইন্দ্রনীল মজুমদার-এর প্রিয় বিষয় সঙ্গীত, বিশেষত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। প্রিয় পাঠ কবিতা। অনুসন্ধিৎসা পুরাতত্ত্ব ও মন্দিরশিল্পকলা। অন্যান্য অনেক বিষয়েও আলোচনা করেছেন। প্রকাশিত বই 'অবান্তর স্মৃতির ভিতরে', 'গানের ভিতর দিয়ে' প্রভৃতি।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
কোয়েল দত্তর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়। পেশায় কেমিকাল এঞ্জিনিয়র--ডিজাইন ও ডেভেলাপমেন্ট-এ মুম্বাইয়ের একটি অ্যাগ্রো-কেমিকাল কোম্পানিতে কাজ করেন। নেশা--বেড়ানো, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া, লেখা-লেখি।
কালীকৃষ্ণ গুহর জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। তিনটি প্রবন্ধের বই: পাঠবৃত্তে কালযাপন (২০১৩), নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কৌশিক ভট্টাচার্য আই এস আই কলকাতা-র ছাত্র। একসময়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আই আই এম লখনৌ-য়ে অর্থনীতির অধ্যাপক। কবিতা লেখা এবং ইংরেজি কবিতার বাংলা অনুবাদ করা কৌশিকের শখ।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
কুমকুম সরকার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখেন।
বন্দনা মিত্র--পেশায় মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনীয়ার, শিবপুর বি ই কলেজ ও তারপর আই আই টি খড়গপুর।
কাজ করেন রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড, এক পাবলিক সেক্টর আনডারটেকিং-এ। বর্তমানে কলকাতায় পোস্টিং,
তবে কাজের সূত্রে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরতে হয়েছে।
লেখালিখি আমার শখ, লিটল ম্যাগাজিন, ওয়েব ম্যাগাজিন, আনন্দবাজার ওয়ান স্টপ এ কবিতা ও গল্প
প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার একটি বই ও প্রকাশিত হয়েছে "কালপুরুষ কি জাগছে আজ"
বরুণ বল বীরভূমের চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) দর্শনের সহ-অধ্যাপক।
বাসবী চক্রবর্তী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে অধ্যাপনা করেন। অ্যাকাডেমিক স্তরে সমাজতত্ত্বের বাইরে তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র হল মানবীবিদ্যা। এই দুটি বিষয়ের ওপর একাধিক গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া, বিভিন্ন ছোট পত্রিকায় কবিতা-বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। অনুবাদ করেছেন অন্য ভাষার কবিতা। সাহিত্য-অকাদেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুটি অনুবাদ-গ্রন্থ। সম্পাদনা করেছেন প্রয়াত কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর 'গদ্যসমগ্র' (যুগ্মভাবে) এবং 'নির্বাচিত ভাস্কর চক্রবর্তী' (উর্বী প্রকাশন)।
বীরেশ বিশ্বাস নিউ জার্সিতে থাকেন।
বিশ্বজিৎ মণ্ডল থাকেন বহরমপুর, মুর্শিদাবাদে। সম্পাদনাঃ গদ্যের কাগজ 'গল্পনগর', পদ্যের কাগজ 'লাঙল'। প্রকাশিত বই ছ'টি--'শীতের মেয়েটি', 'অসমাপ্ত স্কেচ', 'জিবরাইলের ডানা' ইত্যাদি।
চম্পাকলি আইয়ুবের (জন্ম ১৯৫৭) পড়াশুনো প্রধানত কলকাতায়; তিনি পদার্থবিদ্যা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এস.সি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. ও সাহা ইন্সটিট্যুট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে এম. ফিল. করেন। চম্পাকলি মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে পি.এইচ.ডি. করেন ও সেই বিষয় নিয়েই ১৯৮৩ সাল থেকে মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিট্যুট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে গবেষণারত।
চম্পাকলির নানারকম শখের মধ্যে উল্লেখ্য নৃত্য-চর্চা, গানশোনা, ভ্রমণ, সাহিত্যচর্চা ও রান্নাকরা।
চিন্ময় সাঁতরা ভূগোল নিয়ে স্নাতক হয়েছেন। বেড়ানো ও ছবি তোলার নেশায় পাগল। আর যেকোন মানুষকে আপন করে নেওয়ায় জুড়ি মেলা ভার।
চিরন্তন কুন্ডু কলকাতায় থাকেন।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
তিলোত্তমা মজুমদারের জন্ম ১১ জানুয়ারি, ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। আনন্দ পাবলিশার্সে সম্পাদনাকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। 'বসুধারা' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। 'একতারা'-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) শ্রেষ্ঠ উপন্যাস পুরস্কার এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)। 'রাজপাট' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন, কেরলের কাকানাডন সাহিত্য পুরস্কার (২০১২)। সম্প্রতি বেরিয়েছে 'প্রেতযোনি' উপন্যাস।
তৃষা চক্রবর্তী কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করে, এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
প্রণব বসুরায় এর জন্ম ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬। '৬৪ সালে প্রথম মুদ্রিত হলেও 'সত্তরের' কবি হিসেবেই এঁকে ধরা হয়। সম্পাদনা করেছেন "শ্রাবস্তী', "শীর্ষবিন্দু" পত্রিকার। "কন্ঠস্বর" পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন চার বছর। চাকরির কারণে তিন দশকের বেশি সময়কাল লেখার জগতের বাইরে থাকার পরে আবার নতুন করে লেখার সূত্রপাত ২০১৩ থেকে। এখনও নানা পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--প্রণয়রাংতা, এ বাড়িতে রান্নাঘর নেই। ২০১৮-কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিতব্য-- ফ্রেডরিক নগরের বাসিন্দা।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। পড়াশুনো কলকাতায়। এক
আধা-সরকারী সংস্থায় চাকুরিসূত্রে বহু বৎসর ছিলেন উত্তরভারতের
গোরক্ষপুর, পাটনা প্রভৃতি স্থানে, এখন কলিকাতায়। নানান বিষয়ে পড়তে
ভালোবাসেন, ও তা পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। গল্প, প্রবন্ধ, রম্যরচনা লিখে
থাকেন, ভূতের গল্প লিখতে ভালোবাসেন খুব, যদিও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের
গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র। আর ভক্ত 'পাক্কা গানা'-র।
দেবারতি পাঠক চ্যাটার্জীর নিবাস বর্ধমান, গৃহবধু। লেখালিখি করেন এই নামেই, নিতান্তই শখে।
দেবতোষ ভট্টাচার্য
দেবলীনা দাস--"শিক্ষকতা ছিল রক্তে। আট বছর কলকাতার একটি স্কুলে পড়িয়েছি। সন্তানের জন্মের পর কর্মবিরতি নিয়েছি। লেখালিখি করি অল্পস্বল্প। বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ফেসবুকে 'ক্রমশ প্রকাশ্য' নামে একটি সাহিত্যধর্মী পেজ চালাই।"
দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।
ধূপছায়া মজুমদারের নিজের কথায়--"একসময় ছিলাম ইঞ্জিনিয়ার, কারখানা গড়ার কাজ করতাম। বছরতিনেক হলো সেকাজে স্বেচ্ছাবিরতি নিয়ে একটি ছোট্ট মানুষকে গড়ে তোলার কাজে মন দিয়েছি। পড়া আর লেখা হলো নেশা, সবচেয়ে ভালবাসি ছোট্ট বন্ধুদের জন্য লিখতে।"
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন।
প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা, দোর্দোবুরুর বাক্স, ঈশ্বরী। জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দেবায়ন চৌধুরী দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি কলেজে বাংলার অধ্যাপক। কলকাতায় থাকেন।
দেবাশিস দাস পেশায় ভূতত্ত্ববিদ। পড়াশুনো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও খড়গপুর আই আই টি থেকে। কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে বর্তমানে দেরাদুনের বাসিন্দা। একটি ‘তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান’ সংস্থায় কর্মরত। দেরাদুনের বঙ্গসংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। নেশা অবশ্যই সাহিত্যচর্চা। বিশেষত: একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে। বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্তভাবে লেখালেখি করেছেন নানান পত্রিকায়। কিন্তু নিয়মিত-ভাবে পাঠকের দরবারে আসা হয়ে ওঠে নি। ‘পরবাস’ ওয়েবজিনের জন্য গল্প লেখা এই প্রথম। সুধী পাঠকগণের ভাল লাগলে নিয়মিত লেখালেখির বাসনা আছে।
জয়ন্ত নাগ-এর জন্মগ্রাম মিরপুর, পাবনা। লেখালেখির শুরু কলেজ-জীবন থেকে। নিয়মিত কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, সাক্ষাৎকার, ভ্রমণকাহিনি, চলচ্চিত্র সমালোচনা লিকছেন, অনুবাদও করেন। লেখা প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা ও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় (বিচিত্রা, দেশ, কাল ও কলম, অনুষ্টুপ, বিভাব, রোববার, আরেক রকম, সচিত্র সন্ধানী, ইত্যাদি)। আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পথিকৃৎ চিনুয়া অ্যাচেবে ও রাজনৈতিক চলচ্চিত্রকার কোস্টা গাভরেস-এর সাক্ষাৎকারের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে 'অনুষ্টুপ'-এ। রবিশংকর, মৃণাল সেন, পিট সিগার সহ আরো অনেকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন। প্রকাশিত বইঃ 'সাক্ষাৎকারের সাক্ষ্যেঃ দেশ, বিশ্ব'। এছাড়া তিনি অনেক গীতি-আলেখ্যের রচয়িতা এবং 'আলোছায়ার ছিন্নপত্র' নামে শান্তা নাগের সঙ্গে একটি দ্বৈত সিডিও প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকাতে পরিবেশ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত।
দ্যুতি কুন্ডু কলকাতায় থাকে। গল্পের বই পড়তে, ইলিশমাছ খেতে আর ঘুমোতে ভালবাসে।
হাসান জাহিদের গল্প এবং বাংলা/ইংরেজিতে অসংখ্য প্রবন্ধ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায়, সাপ্তাহিক পত্রিকা/সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা, কোলকাতা ও টরোন্টোর পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। বর্তমানে কানাডার টরোন্টো শহরে স্থায়িভাবে বাস করছেন। তিনি বাংলাদেশ ও কানাডার নাগরিক। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন শুরু করলেও পরবর্তীতে তিনি সরকারের পরিবেশ দপ্তরে যোগ দেন, ও পৃথিবীর নানা দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
হাসান জাহিদ টরোন্টো-ভিত্তিক ওয়েব ম্যাগাজিন 'উত্তরাধুনিক'-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'জাদুবাস্তবের পদাবলি' ব্যাপক প্রসংশা লাভ করে। হাসান জাহিদ কথাসাহিত্যে (গল্পগ্রন্থঃ বোরোফেগাস ও আধুনিক আদম মানব) দেশ-প্রকাশনী পুরস্কার-২০১৪ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে আশির দশকের গল্পকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন।
হৃদি কুন্ডু কলকাতায় থাকে। হ্যারি পটার আর গণ্ডালুর ভক্ত। ভবিষ্যতে লাইব্রেরিয়ান হবে বলে ঠিক ছিল (তাতে নাকি গল্পের বই পড়ার খুব সুবিধে হবে), এখন একটু দোটানায় আছে কারণ মনে হচ্ছে গাড়ি করে আইসক্রিম বিক্রি করাটাও মন্দ নয়।
হৃদির আর এক শখ ডিজাইন করা। এদিক-ওদিক থেকে হৃদি শোনে যে বাঙালিদের নাকি 'ডিজাইন'-বোধটা একটু কম। তার একটা বিহিত করার জন্যেই
খাতার পাতায় হৃদি কিছু ডিজাইন করেছে। আপাতত শুধু পোশাকের। আপনারাও দেখতে
পারেন চাইলে।
যুধাজিৎ সরকার এর বাড়ি আলিপুরদুয়ার। তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্র ও গবেষক। বর্তমানে একটি প্রকাশনা সংস্থায় কলম পেশার কাজে নিয়োজিত। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উর্দু ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষার সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ। সেই থেকেই কিছু কিছু তর্জমা-প্রচেষ্টা।
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় দুই-দশকের বেশি আমেরিকার ম্যাসাচুসেট্স-এ আছেন। পেশাঃ স্কুলে পড়ানো, নেশাঃ অবশ্যই পড়া।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী মলয় সরকার থাকেন সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগণাতে। খড়গপুর আই আই টি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর। 'জ্ঞান ও বিজ্ঞান', ই-ম্যাগাজিন 'অন্য নিষাদ' ও অন্যান্য পত্রিকাতে লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত।
মল্লিকা ধরের জন্ম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার নবগ্রামে, ছিন্নমূল উদ্বাস্তু পরিবারে। পূর্বজদের আদি-নিবাস ছিল বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার শিমূলিয়া গ্রামে। পিতামহ অক্রূরচন্দ্র ধর ছিলেন পেশায় শিক্ষক ও নেশায় সাহিত্যিক। প্রধানতঃ কবিতা লিখতেন, তবে গদ্যসাহিত্যও লিখেছেন বিস্তর। হয়তো সেই সাহিত্যকর্মের কিছুটা উত্তরাধিকার পৌত্রীতে বর্তেছে।
সাহিত্য: আন্তর্জালে বিভিন্ন ফোরামে, ব্লগে লেখালিখি চলছে ২০০২ সাল থেকে। মুদ্রিত মাধ্যমে প্রথম ছোটোগল্প প্রকাশিত হয় দেশ পত্রিকায়, ২০১০ সালে। তারপর দেশ পত্রিকায় আরো কয়েকটি ছোটোগল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে শারদীয়া উনিশ-কুড়ি ও শারদীয়া সানন্দা পত্রিকায়। পরে তিনটি উপন্যাসই বই আকারে প্রকাশিত হয় আনন্দ পাবলিশার্স থেকে। বই তিনটি যথাক্রমে: ১। অশেষ আকাশ (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারী, ২০১৪), ২। অনন্ত আগামী ( প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারী, ২০১৫), ৩। অমৃত আশাবরী (প্রথম প্রকাশ: জানুয়ারী, ২০১৬)।
এছাড়া, একটি প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের 'প্রকৃতি পরিচয়' প্রকাশনী থেকে, বইটির নাম 'কণাজগৎ ও মহাজগৎ'।
মানসী পাণ্ডার জন্ম বাঁকুড়াতে। এখন রচেস্টার, মিশিগান-এ ওকল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পোস্ট-ডক্টোরাল স্তরে গবেষণা করছেন।
মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
মুরাদুল ইসলাম এর জন্ম বাংলাদেশে। সিলেট বিভাগের জগন্নাথপুর উপজেলায়। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, ওয়েবম্যাগে লিখেই তার লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত একমাত্র গল্প সংকলন “মার্চ করে চলে যাওয়া একদল কাঠবিড়ালী” সৃষ্টিসুখ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে। তার আরো কিছু বই - উপন্যাস ‘রাধারমন এবং কিছু বিভ্রান্তি’ ‘কাফকা ক্লাব’ ইত্যাদি।
নিবেদিতা দত্তঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম,এ,। লেখালিখি, সেতার বাজানো এবং ছবি আঁকায় শখ। আই,আই,টি, খড়গপুরে থাকেন।
রোহণ কুদ্দুস কালিকট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। 'সৃষ্টিসুখ' প্রকাশনীর সঙ্গে যুক্ত।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, সম্প্রতি প্রবাসে দুবছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন সমাপ্ত করে আপাতত তিনি স্বস্থানে স্থিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ--
'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!' ও কিছু নির্বাচিত কবিতার ইংরিজি ও ফিনিশ ভাষায় অনুবাদ: Enchantress.
নূপুর রায়চৌধুরী কলকাতার বোস ইন্সটিট্যুটে বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। তারপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে UCLA-তে প্রথমে এবং এখন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বায়োমেডিকাল সায়েন্স-এ গবেষণা করছেন। গান ও সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা, তাঁর প্রিয়।
পলাশ কুমার পাল--বাংলা কথাসাহিত্যে এম.এ. ও বি.এড.।
আঁকা ও কবিতা লেখার প্রতি ছোট থেকে ভালোলাগা। তারপর শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন এর সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত হওয়া আগ্রহে। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রিকায় ও ই-পত্রিকায় আঁকা ও লেখা প্রকাশ।
পিউ দাশের প্রিয় জিনিস--ভালো গল্প, বাংলায় এবং ইংরেজিতে।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন। ২০১৫ বইমেলায় পিনাকীর
কবিতা সমগ্র (১) আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্বিতা পুরকায়স্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। দীর্ঘ পনের বছর পরে আবার কবিতা লেখা শুরু করেছেন। কলকাতা ও গুয়াহাটির কয়েকটি লিটল ম্যাগাজিনে সেগুলি প্রকাশিত হয়েছে।
মধুপর্ণা মুখোপাধ্যায় কলকাতার আচার্য গিরিশচন্দ্র বসু কলেজে বাংলা পড়ান। লেখেন খেয়ালখুশি মতো, গদ্যে-পদ্যে।
রঞ্জাবতী চট্টোপাধ্যায় কলকাতার দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বই পড়তে ভালোবাসে। রবীন্দ্রনাথের গান শিখছে।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি — কবিতার দেশ-বিদেশ, কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই — ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাজীব চক্রবর্তী 'পরবাস'-এর একজন অন্যতম সদস্য।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড (গল্প), নেমসেক এবং অন্যান্য গল্প ।
রামরতন মুখোপাধ্যায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। কলকাতার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কবিতাচর্চা করেন।
রঞ্জন রায় (১৯৫০); এম এ (অর্থনীতি); এল এল বি ও সিএআই আইবি (মুম্বাই)। জন্ম--কোলকাতা। তিনটি স্কুল পেরিয়ে হায়ার সেকন্ডারি পাশ। কলেজ কোলকাতার দুটো ও ছত্তিশগড়ের তিনটে। গ্রামীণ ব্যাংকে ৩৪ বছর চাকরির সুবাদে ছত্তিশগড়ের গাঁয়ে-গঞ্জের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি। বর্তমানে কোলকাতায়। বুড়ো বয়সে বাংলালেখা শুরু ওয়েব ম্যাগাজিনে। বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালি ও অবশেষে পরবাসে। এই বছর প্রথম প্রকাশিত বই "বাঙাল জীবনের চালচিত্র" (গাঙচিল)। নকশাল আন্দোলনের নারীবাদী দৃষ্টিকোণের উপন্যাস "বেঁচে আছি, প্রেমে -অপ্রেমে" (পান্ডুলিপি)। হিন্দি থেকে অনুবাদঃ কুরু কুরু স্বাহা (পাণ্ডুলিপি); রাগ দরবারী (পাণ্ডুলিপি)।
রঞ্জন ভট্টাচার্য -- পেশায় ডাক্তার রঞ্জন ভট্টাচার্যের বসবাস কলকাতায়। ডাক্তারি ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন। মহাভারতের একজন নিবিষ্ট পাঠক। ।
ঋত্বিক লাহিড়ী -- বাড়ি জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল, পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এম্বিবিএস। এখন Mal Superspeciality Hospital-এ ডাক্তার। সিনেমা, সাহিত্য, রাজনীতি ও স্যাটানিজমের প্রতি আকৃষ্ট।
রোশনি ঘোষ শিক্ষা ও চাকুরিসূত্রে গত দশ বছর ধরে নিউ ইয়র্কবাসী। আপাতত একটি বায়োটেক কোম্পানিতে পেটেণ্ট এজেন্ট আর রাত্রিবেলায় পার্ট টাইম ল স্টুডেন্ট। এর ফাঁকে সময় পেলে গল্পের বই পড়তে, ছবি তুলতে আর জমিয়ে রাঁধতে ভালোবাসেন। চাকরি আর স্কুলের কড়াকড়ি থেকে ছাড়া পেলে বেড়াতে যাওয়াটাও আরেক শখ।
রূপা মণ্ডল একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতা। ছোটবেলা থেকেই আঁকা ও লেখার প্রতি সমান আগ্রহ। তাঁর লেখা গল্প ও প্রবন্ধ, কবিতা বহুবার প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দবাজার প্রত্রিকার ই-কলকাতা বিভাগেও প্রবন্ধ কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছে। অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও জলরঙে ছবি আঁকতে ও লিখতে ভীষণ ভালোবাসেন!
রুবাইয়া জেসমিন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে থাকেন। বাংলায়. বি.এড, এবং মাস্টারস করেছেন। ছোট বেলা থেকেই লেখা লিখি করেন। নিজস্ব পত্রিকা--'তিস্তা কন্যা'।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। কলকাতায় থাকেন। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
পালান ফিরিওয়ালার বিক্রির বৃত্তান্ত, বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সাম্য দত্ত। পেশায় চিকিৎসক, নেশায় গল্প লিখিয়ে। জন্ম এবং বর্তমান নিবাস বর্ধমান শহরে হলেও ছাত্রজীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে কলকাতায়। প্রকাশিত গল্প সংকলন: 'একডজন সাম্য' (ঋতবাক, ২০১৭)
সঞ্চারী মুখার্জী সিটি সাউথ কলেজ থেকে বি. কম. (একাউন্টেন্সি) করে এখন কোম্পানি সেক্রেটারিশিপ পড়ছেন। ফাইন আর্টস-এ ডিপ্লোমা করেছেন। সম্প্রতি তাঁর আঁকা ছবি 'শ্রী' গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের কথা সন্ধ্যা ভট্টাচার্য আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তাঁর ছেলে
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের কথায়ঃ "মা একেবারে পরিণত বয়সে, যখন আমি শিলং-এ পোস্টিং পেলাম ১৯৯৪ সালে, সেই তখন আমার কাছে থাকতে এসে যখন সংসারের সব কাজ থেকে নিস্তার পেলেন তখন এ ডায়েরিগুলো লিখতে শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ কয়েক দশকের ইতিকথা লিখেছেন ব্যক্তি-সমাজ ও চেতনার বিবর্তনের ছবি দিয়ে চারটি ডায়েরিতে।"
সন্দীপ মিত্র (জন্মঃ ১৯৫৯) একটি হাই-স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক।
সরিতা আহমেদ হাই-স্কুল শিক্ষিকা, আসানসোল নিবাসী। মূলত পাঠক । গল্পের বই পড়া ও ছুটি পেলেই ভ্রমণ করা প্রধান নেশা। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে ভাবতে এবং লিখতে ভালোবাসেন। লেখালিখি মূলত কলাম/প্রবন্ধ আকারেই হয়েছে এতদিন। গল্প লেখার শুরু বেশিদিন নয়।
সুনন্দন চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫৭। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। লেখালিখি বিক্ষিপ্তভাবে, আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে।
দিল্লিনিবাসী সৌরাংশু পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারী অধিকারী। ফিসফাস নামের একটি জনপ্রিয় ব্লগ চালিয়ে আসছেন ১০ বছর। সৃষ্টিসুখ থেকে ফিসফাস-এর তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও একটি গল্পের বই আছে 'ইয়র্কার এবং অন্যান্য গল্প' নামে। তবে 'ফিসফাস কিচেন ১' নামের খাদ্য সংস্কৃতি বিষয়ক বই তাঁর পরিচিতি দিয়েছে। যার দ্বিতীয় ভাগটি এ-বছরে প্রকাশিত হবে।
কলকাতা, দিল্লী, বেঙ্গালুরু, ইউএসএ হয়ে শবনম দত্ত আপাতত বিলেতে। অক্সফোর্ডে এমবিএ
করে বছর তিনেক হলো লন্ডন-এ চাকরি করছেন। সুযোগ পেলেই স্বামী ও ন'বছরের ছেলের সঙ্গে ইয়োরোপ ঘোরার শখ। ভ্রমণকাহিনি লেখা শুরু হয়েছে এই বছর। পরবাস-৬৩-তে প্রথম গল্পের প্রকাশ।
সিক্তা দাস--জন্ম, বর্তমান বাস এবং শিক্ষা কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতে স্নাতকোত্তর এবং ব্যাচেলর অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্সে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। পূর্বে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। গান শুনতে, রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে, এবং লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। কিছু লেখা ছাপা পত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ, গদ্য লিখে থাকেন।
কোমলগান্ধার পত্রিকার সম্পাদক। মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের
ভ্রমণসমগ্র বইটি সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদিত প্রবন্ধ সংকলন
'আশ্চর্যময়ী : ভিন্ন ঘরানার বাঙালি নারীর কথা' প্রকাশিত হয়েছে দীপ প্রকাশন থেকে (বইমেলা, ২০১৭)।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
শ্রেয়া ঘোষের জন্ম, শিক্ষা, যাপনের পঁচানব্বই শতাংশই কলকাতায়।
ইলেক্ট্রিকাল এঞ্জিনিয়ারং-এ স্নাতক। সংক্ষিপ্ত চাকুরিজীবন। স্বভাবতঃ নির্জনতাপ্রিয়। শৈশব থেকেই বইয়ের সান্নিধ্য মানসিক আশ্রয়।
নিজের লেখা শুরু বছর বারো। তবে লেখক সত্তা বরাবরই পাঠকসত্তার ছায়াতে। এ যাবৎ প্রকাশিত বই তিনটি (দুটি গল্প সংকলন - কামিনী কাঞ্চন, আলো আঁধারির কাটাকুটি। একটি উপন্যাস - তন্তু)
শান্তনু চক্রবর্তী গত শতাব্দীর তৃতীয় পাদে, ১৯৭২ সালে, যাদবপুর থেকে মেকানিকাল এঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি করে, বিলেত কিছু বছর কাটিয়ে (এবং নামের সামনে ডক্টরেট-এর আঁকশি লাগিয়ে) দেশে ফেরেন। ১৯৮৯ সাল থেকে টাটা স্টীল-এ, জামশেদপুর-এ। সম্প্রতি (২০১২) অবসর নিয়েছেন। নানান বিষয়ে আগ্রহ, তবে সবচেয়ে বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে।
শুভলক্ষ্মী ঘোষ – জন্ম, স্কুল-কলেজ, কর্মজীবন মূলত কলকাতায়। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেষজবিদ্যায় পি.এইচ.ডি.। মুম্বাই-এ ভাবা এ্যটমিক রিসার্চ সেন্টারের পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপে কাজ করার পর, ভারত সরকারের ডিপার্টমেণ্ট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির পক্ষ থেকে ইয়ং-সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়ে পুনরায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক হিসেবে প্রত্যাবর্তন। গবেষণার পাশাপাশি কিছুদিন লেডি ব্রেবোর্ন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিটিং লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা করার পর, বর্তমানে উনি কিছু বৈজ্ঞানিক পত্রিকার রিভ্যুয়ার বোর্ডের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত আছেন।
ছোটোবেলায় ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় ছড়া, ছবি, গল্প ইত্যাদি দিয়ে শুভলক্ষ্মীর লেখক জীবন শুরু। মাঝের বহু বছরের বিরতির পর আবার লেখালিখিতে হাত পাকানো ও ফিরে আসা। আগের কিছু গল্প প্রকাশিত হয়েছে ‘রংছুট’, ‘আমি অনন্যা’ এবং ‘কালিমাটি-অনলাইন’ পত্রিকায়। নাচ, সেলাই, রান্না, বাগান করা, দাবা খেলা... এইসব নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসেন।
শ্যামশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বনামধন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভগ্নিকন্যা। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্বভারতী হাসপাতালের সম্মানিত চিকিৎসক। ফলে শান্তিনিকেতনেই তাঁর জন্ম, স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত শিক্ষাগ্রহণ, বেড়ে-ওঠা। তিনি সংগীতভবনেও রবীন্দ্রসংগীতে যথানির্দিষ্ট শিক্ষাগ্রহণ করেন। আশ্চর্য কণ্ঠের অধিকারিণী এই আশ্রমকন্যাকে তাঁর গায়নভঙ্গি, সুরের বিশুদ্ধতা ও স্বরপ্রয়োগের বিশিষ্টতার কারণে অনেকেই কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্থক উত্তরসূরি মনে করেন।
সায়ন্তন সেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। 'যুক্তি তক্কো সিরিজ' পত্রিকা সম্পাদনা করেন। প্রবন্ধ লেখেন, ছবি আঁকেন।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। শিবপুরে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বম্বে আই আই টি থেকে এম টেক এবং পরে হোমি ভাবা থেকে পি এইচ ডি। গবেষণার বিষয় সিগ্ন্যাল/ সিস্টেম মডেলিং। ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত সংসার।
লেখালেখি মোটামুটি নিজস্ব তাড়নায়। কেউ ভাল বললে ভাল লাগে, না বল্লেও ক্ষতি নেই। অহংকার, দীপন, অববাহিকা, “কফিহাউস”, “এ মাসের কবিতা” ইত্যাদি নানা পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। অনেকদিন পরে আবার লেখা শুরু করেছেন।
সিদ্ধার্থ সেন হাওড়ার একটি কলেজে বাংলার বিভাগীয় প্রধান। প্রাবন্ধিক।
সৌম্যেন ভট্টাচার্য্য কলকাতায় থাকেন।
শ্রীময়ী চক্রবর্তী
কলকাতার নন্দিনী। আশুতোষ কলেজের প্রাক্তনী। ছোটবেলায় থেকে কবিতা লেখার অভ্যাস থাকলেও অতি সম্প্রতি গল্পে হাতেখড়ি। সখ গান গাওয়া এবং রান্না করা। স্বামীর বদলীর চাকরি উপলক্ষ্যে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস, শুধু পর্যটকের দৃষ্টিতে নয় সেখানকার মানুষের সুখদুঃখের সাথে আত্মিক পরিচয় গল্পে অন্য মাত্রা যোগ করে।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা),
ভাঙা কলমের আন্তরিকে (গল্প; সৃষ্টি)।
সুব্রত ঘোষের জন্ম ১৯৫৮ সালে ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী বিদ্যালয়ে শিক্ষার পর কলিকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক। সতের বছরের চাকুরী জীবন স্বেচ্ছায় ছেড়ে একটি কারখানার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়া। সাথে চারপাশে শাল অরণ্যের মাঝে প্রায় ১৪ একর জায়গাজুড়ে বিবিধ ফলের বাগান সাথে পিকনিক গার্ডেন এবং ভিলেজ টুরিষ্ট কটেজ প্রতিষ্ঠা আজ সর্বসাধারণের নজরকাড়া 'সোনাঝুরি' গার্ডেন। এ ছাড়া বন-জঙ্গল পশু-পাখি এবং প্রকৃতির বিভিন্ন দিক লেখার মাধ্যমে পাঠকদের অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরা লেখকের উদ্দেশ্য। শখ হোল জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত পল্লীঅঞ্চলে পায়ে হেঁটে গ্রাম্যজীবন পর্যবেক্ষন ও জীবন-জীবিকাকে তুলে ধরার জন্য গবেষণামূলক গল্প রচনা।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুরজিৎ মণ্ডল: সাগরপাড়া, মুর্শিদাবাদ; পেশা: শিক্ষকতা; শখ: লেখালেখির চেষ্টা করা।
নাম: সুস্মিতা কুণ্ডু। পরিচিতি: একটি আড়াই বছরের সন্তানের জননী। বর্তমানে আমেরিকায় থাকি, বাড়ি হাওড়াতে। বছর তিনেক আগে কলকাতার ‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’ থেকে পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলাম। শিশু-কিশোর সাহিত্য পড়তে ও লিখতে ভালোবাসি।
স্বর্ভানু সান্যালের জন্ম হাওড়ার রামরাজাতলায়। ছাত্রজীবন কেটেছে খড়গপুর, পুরুলিয়া, হাওড়া ও দূর্গাপুরে। কর্মজীবন শুরু বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে। তারপর চাকরিসূত্রে কখনো মুম্বাই, বেঙ্গালুরু কখনো বা সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। গত সাত আট বছর ধরে আমেরিকার শিকাগোয় কর্মরত। পেশাদারি এবং পারিবারিক জীবন বাদ দিলে, তার অনেকটা সময় কাটে সাহিত্যচর্চা করে। সব রকমের লেখা পড়তে ভালোবাসেন। অনুগল্প, রম্যরচনা, কবিতা নিয়মিত লিখে থাকেন। "যযাতির ঝুলি"(http://jojatirjhuli.blogspot.com/search/label/bangla) নামে তার ব্যক্তিগত ব্লগ আছে এবং সেই ব্লগ এর মাধ্যমে তার লেখা নিয়মিত পাঠকদের সাথে ভাগ করে নেন। অন্য শখের মধ্যে আছে বেড়ানো, ফটোগ্রাফি, গান শোনা।
হুগলী জেলার শেওড়াফুলির বাসিন্দা তুষ্টি ভট্টাচার্য, বোটানিতে স্নাতক, গদ্য ও কবিতা লেখেন সমান তালে। ২০১৪-এ প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ভিজে যাওয়া গাছ' আর ২০১৮-এ প্রকাশিতব্য কাব্যগ্রন্থের নাম 'ব্ল্যাক ফরেস্ট'।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
মাতৃভূমি বাম্পার (সপ্তর্ষি, ২০১৫),
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।