হ্রদ
তুমি যেখানে থাকো সে দেশ থেকে শীত যায়না পুরোপুরি আর বসন্ত দাঁড়িয়ে থাকে অপেক্ষায় ঝরা পাতায় তৃণভূমি ঢেকে থাকে যখন পিচকারির জল চলে সারা বিকেল চিহিঁহিঁ একটানা মন ভালো না করা গানে হ্রদের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সূর্য চলে আসে পুরোনো বটের ডালপালায় বাদামী পাতারা ঝরে বৃষ্টির মতন যেন ফিরে যাচ্ছে হতাশ্বাস পরিযায়ী পাখি আমি ওঠার আগেই তুমি কোথাও যেন বেরিয়ে যাও ঘুম থেকে উঠে চুলে রঙিন ফুল পরে নিই ওগো প্রিয় তারপর কাঠকুটো আনতে যাই হ্রদের ওপারের জংগলে একার জন্য কিছু করতে মন চায়না আমি রাতে জ্বালি তোলা উনুন শুকনো কাঠ ফাটার ফটফট শব্দে মনে হয় এই এলে উঠে এলে জলতল থেকে রাঙা সূর্যের মত গতিষ্মান নিরীহ নির্বোধ ভাতে একমুঠো গন্ধরাজ পাতা দিয়ে বসে থাকতে থাকতে ঘুম আসে পাতা হাঁটে ঘুমের ভিতর আর ছন্ন কোনো পাখি ডাকে একই কথা বার বার কি হল কি হল হ্রদের ভিতর ডুবে নষ্ট হয় চাঁদ সকালে চুলে ফুল পরতে পরতে ভাবি তুমি এসেছিলে কিনা কাল রাতে বিস্রস্ত বেণী দগ্ধ ফুল এসব কি গল্পকথা কোনও আমাদের মাঝখানে প্রিয়তম একবুক জল নিয়ে হ্রদ বসে থাকে
দুপুর
একটা দুপুর থেকে অন্যটাকে আলাদা করতে গিয়ে হাতে লেগে যায় মরচে রং পাতার প্রজাপতি পাখার নখে গেঁথে যায় সূর্যের তীক্ষ্ন ফলা আর জলের আয়না চোখে আলো ফেলে চুপ করে বসে থাকে শেওলা জড়ানো ডুবে মরার গল্পে ন বউ তুমি তাকে জানতে তার কান্না শোনোনি গোঙানো কুকুরের মত ভর দ্বিপ্রহরে আজকাল একটা করে দুপুর ঘুঁটের মত অন্যটার গায়ে লেগে জমে গেছে যেন বিরহিনীর ভাতঘুম যে আসবেনা ফিরে তার কাটা মুণ্ডু জলতলে বসে আছে গ্রেফতারের অপেক্ষায় কিন্তু না বড়বাবু কই তাঁর বদলির পর এ তল্লাটে বিলকুল সন্নাটা লম্বা হলুদ বাদামী
এক দুপুরের চলমান অজগর গিলে নিচ্ছে সমস্ত যাতনা বিকেলের বউডুবি মাঠে যদি রাত্রি
আসে তাই ভাল তাই সত্য হোক হিরণ্ময়।