এই সংখ্যাতে দুটি ধারাবাহিক উপন্যাস, কৌশিক ভট্টাচার্যের শিকড়, ও অংশুমান বিশ্বাসের ডহননাগড়ার কাহন শেষ হয়ে গেল। আগামী সংখ্যাতে ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রার অনুবাদে পরবাসের প্রকাশিত প্রথম হিন্দী উপন্যাস, নির্মল ভার্মা-র অন্তিম অরণ্য শেষ হবে। এই সংখ্যা থেকে অভিজিৎ সেন-এর নীলিমা ও অন্যান্য স্বপ্ন উপন্যাসটি ছন্দার ইংরেজি অনুবাদে Dreams and Other Blues নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।
পরবর্তী সংখ্যাগুলোর জন্য নতুন অপ্রকাশিত বাংলা উপন্যাস আহ্বান করছি।
পরবাস-এর হোমপেজ-এর "বিভাগ", "Special Sections", "সূচি" ইত্যাদি 'মেনু'-র সুবিধা, আমার মনে হয়, নেওয়া যেতে পারে পরবাস-এ এযাবত প্রকাশিত কোনও নির্দিষ্ট বিভাগ (যথা উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, ইত্যাদি) বা লেখকের লেখা পাওয়ার জন্য। যদি কোনও ভুল দেখতে পান, আমাদের জানাবেন, কারণ সকলের সহযোগিতা পেলে এই বিশাল আর্কাইভকে যথাযথভাবে ত্রুটিমুক্ত রাখা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।
অনেক সময়ে লক্ষ করছি আমরা কিছু কিছু লেখা পাচ্ছি যেগুলোকে প্রচলিত সাহিত্যের ধরাবাঁধা আঙ্গিক, যেমন, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদির নির্দিষ্ট ধারায় চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এটা একদিক দিয়ে ভালো লক্ষণ, তবে যদি কেউ ধরে নেন যে প্রচলিত ধারাগুলির নির্দিষ্ট গণ্ডির একেবারে কোনও প্রয়োজন নেই, তাহলেও ভুল হবে। বর্তমান সংখ্যায় 'রম্যরচনা' বিভাগে কিছু লেখা আছে, যেগুলো হয়তো সাধারণভাবে রম্যরচনা বলতে যা বোঝায়, তার থেকে অন্যরকম। পরবাস-এর বর্তমান বিভাগগুলিকে আরও একটু চিন্তাভাবনা করে হয়তো কিছু পালটাতে হতে পারে।
পরের ১০০তম সংখ্যা হবে শারদীয়া সংখ্যা। আশা করছি পরবাসের সাধারণত যেমন লেখা থাকে সেগুলি ছাড়াও কোনো-না-কোনও ভাবে পরবাসের সঙ্গে কম-বেশি সম্পর্ক আছে এমন লেখা দিয়ে তৈরি একটি ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করতে পারব। পরবাসের উপরে, পরবাসে প্রকাশিত লেখা, লেখক, বা পরবাসের প্রকাশিত বইয়ের আলোচনা এসব লেখার বিষয় হতে পারে। আন্তর্জাল পত্রিকা হিসেবে পরবাসের প্রথম আবির্ভাব, সেই আন্তর্জাল পত্রিকার সার্বিক আলোচনাও হতে পারে। এখন থেকে শুরু করে ২০২৫-এর শেষ অবধি আমরা এইরকম লেখার আশায় থাকব। এ ব্যাপারে আপনাদের প্রস্তাব জানতে পারলে ভালো লাগবে।