আকাশের বলিরেখা – ১
বারান্দা গড়িয়ে গেলে ফুটপাথ তক্
আড্ডার শরীরে ঝুঁকে থাকে রেলিঙের খোলামুখ
বাউন্ডুলেপনা গাঢ় হয়
গলিমুখ ভেঙে!
এ সময় এই পথে বিনুনি দুলিয়ে রোজ হেঁটে যায় যে সমস্ত উড়ন্ত বালিকা
তাদের পোশাক থেকে
প্রতিদিন ঝরে পড়ে আহত আলাপ
সে আলাপে গোধূলির নীরবতা হেলে থাকে শহুরে-শরীরে
সে আলাপে নদীর ইশারা বুঝে কখনও-কখনও যদি বৃষ্টির পাড়ায়
নেমে আসে জ্বর
ওষুধের অনটনে হাঁসেদের মতো কেউ ঘরে ফেরে ভেজা প্রসাধনে
কেউ পড়ে থাকে গোকুলেই – রাধা হবে বলে।
আকাশের বলিরেখা – ২
ক্রমশ ছুটির ফাঁকে ফোঁটা ফোঁটা জমা হয় কোলাহলী সুখ
আঙুলে তুমুল হয় ঝাউবন, কুয়াশা আলাপে ভেজে ফুল-ছাপ শাড়ি,
এবং নিপুণ হয় দামাল দুপুর।
দামাল ছুটির ভাঁজে পাখিদের মতো যারা মৃদু ঠোঁট ঘষে
ওম-চারুকলা খোঁজে বসন্ত- আলাপে
তারা জানে সমস্ত ধ্বনির অনুপ্রাসে
কীভাবে ফুলের থেকে ফুলদানি দূরে সরে গেলে
কবিতা গর্ভের নামে দলে দলে জড় হয় আঙুলের খেলনা নিবিড়!
তারা জানে উদাসী পেঁচার ছদ্মবেশে
যখন ছুটির ফাঁকে নুপূর লাবণ্য শেষ হয়
প্রবহমানতা মেনে পড়ে থাকে শুধু কিছু শিশুর আনন্দস্বর – অপত্য পুরাণ!