দেখতে দেখতে ডিসেম্বর মাস এসে গেল। বাতাসে আর্দ্রতা কমে গেছে। দাড়ি কামানোর পর ক্রিম না লাগালে গাল দুটো চড়চড় করছে। ছাদের বাগানে মরশুমি ফুলের চারাগুলো বেড়ে উঠেছে লকলকিয়ে। কুঁড়ি এসেছে জিনিয়া গাছে।
কলকাতায় এখনও তেমন ঠাণ্ডা না পড়লেও শুরু হয়ে গেছে শীতকালীন আনন্দ উৎসব। ওভারনাইট মিউজিক প্রোগ্রামস, হরকিসিম সামগ্রীর মেলা, টাটকা কড়াইশুঁটির কচুরি, নলেন গুড়ের পায়েস, আর বিয়েবাড়ি। সামনের অগ্রহায়ণে আমার নিজেরও বিয়ে।
মা-বাবার পছন্দ করা পাত্রী বিয়ে করলেও গত ছ-মাস আমি হবু বউয়ের সঙ্গে নিয়মিত ডেটিং করছি। আমার হবু বউয়ের নাম ডিম্পল। ডিম্পল খুব ভালো মেয়ে। আমার সাতাশ বছর বয়সে ছত্রিশ ইঞ্চি বুকের ছাতির অনেকটাই এখন তার দখলে। ডিনারের পর প্রতিদিন আমাকে তার সঙ্গে আধঘণ্টা চ্যাট করতে হয়, নাহলে তার অভিমান হয়।
ডিম্পলের সঙ্গ, হাল্কা হাগিং, ছোট্ট করে চুমু আমাকে অনেকটা স্বাভাবিক করে তুলেছে। নাহলে গত তিন বছর যা গেল! ভালোবেসে কোনও মেয়ের হাত ধরা দূরের কথা, মেয়েদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতেও পারতাম না। ভয় করত।
আজও ডিনারের পর ডিম্পলের সঙ্গে চ্যাট করছিলাম। কিন্তু চ্যাট বক্সে লিখতে লিখতে অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছিলাম বারবার। আমার অন্যমনস্কতার কারণ পাশের ফ্ল্যাট থেকে ভেসে আসা এক টুকরো গান, “খোয়া খোয়া চাঁদ...”
আসলে ‘চাঁদ’ শব্দটাতে আমার অ্যালার্জি হয়ে গেছে, মস্তিষ্কের কোষেরা বিদ্রোহ জানায়, কপালের দু-পাশের রগ দপদপ করতে শুরু করে। ডিম্পলের সঙ্গে চ্যাট আজ আর জমলো না। পনেরো মিনিটেই চ্যাট বক্স বন্ধ করে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে এসে দাঁড়ালাম আমার শোয়ার ঘরের লাগোয়া ব্যালকনিতে। বাতাসে হিমহিম ভাব, আকাশে একফালি চাঁদ, পাশের ফ্ল্যাটে স্টিরিও বাজছে...।
চাঁদ নিয়ে রোমান্টিকতার শেষ নেই। ষোল বছর বয়সে আমিও চাঁদ নিয়ে কত কবিতা লিখেছি। কিন্তু সেই, সেই রাতের পর থেকে খোলা ছাদে দাঁড়িয়ে নয়, আমি ঘরের নিরাপদ আশ্রয়ে বসে পূর্ণিমার চাঁদ দেখি। ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলা যাক --
বিটেকের পর এমএস পড়তে আমি তখন অ্যামেরিকায়। দু-বছরের কোর্স। ফার্স্ট-ইয়ারের শেষে জর্জিয়া আটলান্টার গ্বহনেট কাউন্টিতে ডাটা সেন্টারে তিন মাসের ইন্টার্নশিপ পেয়েছি।
মাস গেলে হাতে যা ডলার দেবে তাতে ডাউনটাউন বা সিটিতে সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট বা শেয়ারড রুম নিয়ে থাকাই যেত। তবে যত বেশি ডলার সেভ করা যায় আর কী। আমার পার্সোনাল নেটওয়ার্ক চিরকালই স্ট্রং। ফ্রি-তে অ্যাকোমোডেশন ম্যানেজ করে নিলাম, বন্ধুর আঙ্কলের বাড়ি।
আঙ্কলের বাড়ির সবই চমৎকার। শুধু লোকেশনটা ঝামেলার ছিল। শহর থেকে বেশ দূরে বড় বেশি ফাঁকা নিরিবিলি জায়গায় বাড়িটা। বাড়ির এগারো মাইল রেডিয়াসের মধ্যে কোনও খাওয়ার জায়গা বা গ্রসারি শপ ছিল না। পাঁচ মিনিট দূরত্বে গ্যাস স্টেশন ছিল অবশ্য।
আমি কসবার ছেলে। সারাজীবন ভিড়েই বসবাস। তাই নিরিবিলি গাছগাছালির মাঝে বাড়িটা আমার মন্দ লাগল না। বাড়ির পিছন দিকে প্রশস্ত লন, সামনে চওড়া রাস্তা। চারপাশে বার্চ-ট্রি, উইলো ওক, মেপল আরও কত অজানা গাছ।
আমার পাশের বাড়িটা ছিল আমার বাড়ি থেকে চার মিনিটের ওয়াকিং ডিস্টেন্স দূরত্বে। বাড়িগুলো এখানে এইরকমই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে দূরে দূরে। এমনিতে লোকালিটিটা ঠিকই ছিল, তবে রাত হলে বড় বেশি কুকুর ডাকত। আসলে প্রতিটি বাড়িতেই তো কুকুর, কোনও কোনও বাড়িতে একের অধিক কুকুরও দেখতাম।
অবশ্য এরকম জায়গায় যারা থাকেন তাঁদেরও দোষ দেওয়া যায় না। এমন ফাঁকা নিরিবিলি জায়গায় সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির জন্যও তো বাড়িতে কুকুর প্রয়োজন!
আমার পাশের বাড়িতেও কুকুর ছিল, একটা ইয়া বড় গ্রেহাউন্ড। রোজ সকালে কুকুর নিয়ে ওরা হাঁটতে বেরোতো। কুকুরের ডাক অপছন্দ হলেও ওই গ্রেহাউন্ডের কল্যাণে দু-দিনের মধ্যেই পাশের বাড়ির পরিবারটির সঙ্গে আমার ভালো আলাপ হয়ে গিয়েছিল। আঙ্কল-আন্টি নয়, আমার আসল অ্যাট্রাকশন ছিল নীনা। সে ইউনি শেষ করে জব শুরু করার আগে মা-বাবার সঙ্গে কয়েকমাস বাড়িতে এসে আছে, রিল্যাক্স করছে।
নীনার সঙ্গে প্রথম সপ্তাহের রাস্তার আলাপ দ্বিতীয় সপ্তাহেই গড়িয়ে চলে এল বাড়িতে, কিচেনে। আমার দুর্বলতম জায়গা কুকিং, একদম রাঁধতে জানি না, রান্নায় আমার ইন্টারেস্টও নেই। এদিকে নীনার হবি কুকিং। নীনা যখন উইকএন্ডে নিজের হাতে রান্না করে আমাকে খাওয়ানোর প্রস্তাব দিল, আমি তো পুরো গলে জল। আমি কি নীনার দিকে খুব প্রেম প্রেম চোখে তাকিয়েছিলাম?
তবে এক মাসের মধ্যেই সত্যি সত্যিই আমি নীনার প্রেমে পড়ে গেলাম। সে কী প্রেম আমাদের!
প্রতি উইকএন্ডে আমার কিচেনে নীনা ভালোমন্দ রেঁধে আমাকে খাওয়ায়। আর নিজে খায় ড্রয়িং-রুমের সোফায় বসে আদর, আমার আদর। খাওয়ার লোভ ভীষণ লোভ। আমার ইন্টার্নশিপ মাথায় উঠলো। প্রায়ই শরীর খারাপের অজুহাত দেখিয়ে আমি অফিস যাই না।
দেখতে দেখতে তিন মাসের ইন্টার্নশিপের আড়াই মাস শেষ হয়ে গেল। আর পনেরো দিন পরই আমাকে ফিরতে হবে ইউনিতে। নীনার সঙ্গে আমার সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে চিন্তা হয়। আমি ভারতীয়। প্রেমের সম্পর্কের আদর্শ পরিণতি বিবাহবন্ধন এই আমার মূল্যবোধ। কিন্তু এত প্রাচুর্যে ভরা দেশ ছেড়ে শুধু আমার জন্য কি নীনা ইন্ডিয়ায় যেতে রাজি হবে?
অ্যামেরিকায় আসার সময় বাবা বলেছিলেন, “হায়ার এডুকেশনের জন্য বিদেশে যাচ্ছ। ভালো কথা। তবে পড়া শেষ করে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসো কিন্তু।”
আমাকে চিন্তিত দেখে নীনা কিন্তু ঘাবড়ায় না। আমার বুকের ঘন কালো রোমশ লোমে মুখ ডুবিয়ে বলে, “ডোন্ট ওরি সোহম। আই নো দ্য ট্রিকস, ম্যাজিক। তুমি এখানেই থেকে যাবে। ফিরবে না। ফিরতে পারবেই না।”
আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে মা-বাবার মুখ। আমাদের কসবার বাড়ির ড্রয়িং-রুম। মামা-মাসি, কাকা-পিসি, ভাইবোনদের সঙ্গে হইচই। আমি এক ঠ্যালা মেরে আমার গা থেকে সরিয়ে দিই নীনাকে। উঁচু গলায় বলে উঠি, “কী যা তা বলছো! আই লাভ মাই ফ্যামিলি।”
নীনা আহত চোখে আমার দিকে তাকায়, তবে দমে না। চুলে ক্লিপ আটকে সোফা থেকে উঠে দাঁড়ায়। কান এঁটো করা হাসি হেসে বলে, “ফ্রাইডে নাইট ডিনারে একটু দেরিতে এসো, ঠিক আছে?”
নীনার হাসির এই ধরনটা আমার কোনদিনই পছন্দ হয় না। সেদিনও ওর হাসিতে বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম। নীনা দু-হাতের পাতা দিয়ে আমার মুখটা ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে আবার বলেছিল, “ফ্রাইডে নাইট। ডিনার। ইলেভেন ও’ক্লক।”
সানডে আমার ফিরে যাওয়ার সব ঠিক। তার আগে ফ্রাইডে নীনাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। এই প্রথম বাড়িতে ডেকেছে নীনা। তাও আবার বেশি রাতে ডিনারে। কেন? বেশি রাতে কেন? ব্যপার কী? আঙ্কল-আন্টি কি বাড়িতে নেই? বেড়াতে গেছেন?
শুক্রবার রাতে নীনাদের বাড়িতে যাওয়ার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলে ব্রাশ করতে করতে নীনার কথা ভাবছিলাম আর নিজেকে দেখছিলাম...
নীনা আমাকে চায়, মন প্রাণ দিয়ে চায়, শরীর দিয়ে চায়। নীনার এই আগ্রাসী চাওয়া আমার কনফিডেন্স লেভেলে এক নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। নাউ আই নো, আই অ্যাম আ গুড লুকিং সেক্সি ম্যান!
ঘড়িতে এগারোটা বাজতে আমি বাড়ি থেকে বেরোলাম। রাস্তার দু-পাশে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আকাশছোঁয়া বার্চ-ট্রিগুলো ডালপালা জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে। ঘনবদ্ধ ডালপালাদের সেই ভিড়ের মধ্যেও আকাশ থেকে উঁকি দিচ্ছে পূর্ণচন্দ্র।
আজ পূর্ণিমা? এমনিতে পূর্ণিমা-অমাবস্যা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। তবু ভালো লাগল যে, আজ জ্যোৎস্না রাতে অভিসারে চলেছি...
গুনগুন করে গেয়ে উঠলাম, “চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে উছলে পড়ে আলো...”
নীনাদের বাড়ি ঢুকে দেখলাম, আমার অনুমানই ঠিক। আঙ্কল আর আন্টি বাড়িতে নেই। একা নীনা। তাই খাবারের আয়োজনও তেমন করেনি। তবে ড্রিংকস রেখেছে প্রচুর, ভ্যারাইটি ককটেল।
আমার ঠোঁট শুকনো হওয়ার চান্সই দেয়নি নীনা। হাতের গ্লাস শেষ হলেই নতুন গ্লাসে নতুন পানীয় ঢেলে এগিয়ে দিচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার পুরো টালুমালু অবস্থা।
কী মনে হল, টলমল পায়েই এগিয়ে গেলাম জানলার দিকে। দু-পাশে সরিয়ে দিলাম পর্দা। ফ্যামিলি রুমের জানলার বাইরেই বাগান, দুরন্ত সুন্দর ল্যান্ডস্কেপিং। বাগানে থইথই করছে জ্যোৎস্না। জ্যোৎস্নার আলোয় পরিষ্কার দেখলাম, বাগানে এদিকে দুটো আর ওপাশে একটা কুকুর।
ওই টাল্লু অবস্থাতেও আমার মনে হল হিসেবে গণ্ডগোল হচ্ছে। টলমল পায়ে আবার নীনার দিকে ফিরে যাচ্ছিলাম হিসেব মেলাতে। তার আগে হোঁচট খেলাম ডিভানে। গ্লাসের পানীয় চলকে পড়ল আমার জ্যাকেটে, শার্টে।
নীনা এগিয়ে এল, যত্ন করে খুলে দিল আমার জ্যাকেট। শার্টের তিনটে বাটন খুলতেই বেরিয়ে এলো রুপোর চেন আর রুপোর লকেটে লাগানো মা-কালীর ছবি। আমার হাতে তারাপীঠ থেকে কেনা একটা লোহা আর তামা প্যাঁচানো ব্রেসলেটও ছিল। মা-কালীর ছবি কি নীনার অপছন্দ হল? মা-কালীর ছবি দেখে নীনা ওরকম ছিটকে সরে গেল কেন? আসলে অচেনা অজানা দেশ। বাড়ির বাইরে বেরোলে মা-র দেওয়া এই প্রোটেকশনটুকু সঙ্গে রাখি।
ঠিক তখনই ঘড়িতে ঢঙ-ঢঙ করে বারোটার ঘণ্টা পড়লো। ব্যস, সারা পাড়া জুড়ে কুকুর ডেকে উঠল সমস্বরে।
কিন্তু কুকুরের ডাক নয়, আমার মন তখন নীনার দিকে। অবাক হয়ে দেখছি নীনাকে...
চাঁদের আলো উছলে পড়েছে জানলার কাঁচে। নীনা মুখ উঁচু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে। আর ওর সুন্দর শরীরটা কাঁপতে কাঁপতে বেঁকে যাচ্ছে। লো-নেক টি-শার্টটা ঝুলে পড়েছে। ফলে ওর শরীরের অনেকটাই অনাবৃত।
এত লোম নীনার গায়ে?
লাল রঙে রাঙানো নখগুলোও কী তীক্ষ্ণ দেখাচ্ছে, তাই না?
আমার দিকে তাকিয়ে নীনা হাসল সেই কান এঁটো করা হাসি। উফ, নীনার ঝকঝকে দাঁতগুলো কী ধারালো!
নীনা হাত বাড়াল আমার দিকে।
বিদ্যুৎ চমকের মত আমার মনে পড়ে গেল লাস্ট সানডে রাত জেগে দেখা মুভিটার গল্প...
একটা লোক, দেখতে মানুষের মতো, আসলে নেকড়ে। চাঁদ দেখলে সে আর মানুষ থাকে না, নেকড়ের রূপ নেয়, বিশেষত পূর্ণিমার রাতে ঠিক রাত বারোটায়। আর নেকড়ে মানব যদি কোন সাধারণ মানুষকে কামড়ে দেয়, তখন সেই কামড় খাওয়া মানুষটাও নেকড়ে মানব হয়ে যায়।
ভাগ্যিস আমি জানতাম, নেকড়ে মানবরা রুপো থেকে ভয় পায়!
আমার বাঁ-হাতের মধ্যমায় গোমেদ বসানো রুপোর আংটিটা ছুঁড়ে মারলাম নীনার বুকে।
ভয়ে আঁতকে উঠলো নীনা।
তারপর আর কিছু মনে নেই। ককটেলে কি বিশেষ কিছু মিশিয়েছিল নীনা? সেদিন রাতে কেন অত নেশা হয়েছিল আমার?
হুঁশ ফিরেছিল পরদিন সকালে। নিজেকে নিজের বিছানায় খুঁজে পাওয়ার পর সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টায় আর এক মুহূর্তও আমি ব্যয় করিনি। ল্যাপটপের ব্যাগ কাঁধে তুলে ছুটেছিলাম এয়ারপোর্টের দিকে।
দুই আঙুলের ফাঁকে সিগারেট কখন যে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে টের পাইনি। হাতে সিগারেটের ছাই লেগে গিয়েছিল। ব্যালকনির কোণে সিগারেট বাট ফেলে হাতের ছাই ঝাড়তে ঝাড়তে নীনার গল্পও স্মৃতি থেকে ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করলাম, ডিম্পলকে বিয়ে করব, বিয়ের পর হনিমুনে যাব, হনিমুনে গিয়ে ডিম্পল আর আমি একসঙ্গে চাঁদ দেখব। আর চাঁদ দেখব উন্মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে, ঘরের মধ্যে বসে নয়।
আচ্ছা, নীনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আর সেই সম্পর্কের পরিণতির কথা কি ডিম্পলকে জানানো আমার কর্তব্য?
কিন্তু একটা ব্যপারে আজও কনফিউজড আমি।
নীনা কি সত্যিই ওয়ারউলফ ছিল? না কি পুরোটাই ছিল আমার ফার্টাইল ব্রেনের ককটেল-কেন্দ্রিক কেমিক্যাল লোচা?