অলীক ভুবন জানে
শূন্যতার কাছে যাপনকলা শিখে অবিরাম
কাকজন্ম দেখে যাচ্ছে এই গাঙ্গেয় উপত্যকা
আধুনিক বিদিশার নিশা চোখের পর্দা টেনে
কুহক রাতের ঘোরে হবে না মশগুল; তবু
কোকিলকণ্ঠের সাধ
নষ্ট স্বাদে ভিজিয়ে নিচ্ছে মহার্ঘ জীবন
হৃদয়ের ফাঁকফোকর গ’লে গুঁড়ো গুঁড়ো জীবন
ঝরে পড়ে পোকা লাগা আসবাবের মতো
ঘুণপোকা সশব্দে লিখে রাখে--
একদিন সকলেই দ্বিজ হয়ে যাব
ফিরি যদি নিজস্ব পোশাকে--সকাল হবে?
কিভাবে সকাল হবে কাকজন্ম ছাড়া
অলীক ভুবন জানে কোনটা কুহুভোর
কোনটা কাকভোর বেলা
স্বপ্নের রেণু
প্ল্যাটফর্ম ভিড়ে ঠাসা। গলা তুলে বেখাপ্পা ধুন
কারো ঘাড়ে হারমোনিয়াম। কারো ব্যাগে সোলেমানি নুন
ক্ষুধার্তের স্বরলিপি ভিড় ঠেলে এগোয় অনায়াসে
বুক আর পেটে তফাত গঙ্গার কাশী বেনারসে
নিয়মের ফাঁস এঁটে আইনের বই লেখে বীরবলি সুত
দলদাস থানেদার রাবণের বংশোদ্ভূত
ভিখারির কীসের সাধ? তাহাদের লালাহীন স্বাদকোরক
লালসার স্বাধীনতা--অতিসারে ভোগে দেবলোক
সাহসের টুঁটি চাপা! নিরপেক্ষ তকমা ঝোলে দরজায়
চায়ের কাপে ঝড় টিভিতে সন্ধেরাতের তরজায়
প্ল্যাটফর্মে সাদা ভিড়। প্রতিদিন ঝুঁকে পড়া শরীরী বিষাদে
ঝরে পড়ে স্বপ্নের রেণু, ঘামে নুনে চাপা আর্তনাদে।
মৌবৃষ্টি নাহলেও
বাতাসে পুজোপুজো গন্ধ এখন। আকাশে আকাশে ভাসছে
গোছাগোছা বর্ণময় পাতা
একটা আহ্বান ছিল আসন্ন শারদীয়ার--
অনতিবিলম্বে পাঠান আপনার স্বরচিত বর্ণসজ্জা
আকাশে আকাশে এখন স্তূপাকার শারদীয় পাতামেঘ
এ মেঘে বৃষ্টি হয় না তেমন। তবু
মাঝেমাঝে মৌবৃষ্টি নাহলেও উড়ে আসে অসংখ্য চাতক