মুম্বাই থেকে নন্তু কোলকাতা এসেছে, পুজোর ছুটিতে। পচা তাকে আমাদের হারুর দোকানের চায়ের আড্ডায় ধরে নিয়ে এল। দু’এক-দিন আগেই দেখেছিলাম, নন্তু ফেসবুকে একটা পুজোবার্ষিকীর প্রচ্ছদ আর সূচিপত্রের ছবি দিয়ে পোস্ট দিয়েছিল। লিখেছিল, ‘অনেক স্বনামধন্য কবি ও সাহিত্যিকের সঙ্গে আমিও আছি।’ সেই প্রসঙ্গ তুলতেই নন্তু খুশিতে ডগোমগো হয়ে বলল, এবার নাকি তিনটে পুজোবার্ষিকীতে তার কবিতা ছাপা হচ্ছে। পত্রিকার যে নামগুলো বলল সেগুলো প্রথম সারির না হলেও একেবারে ফেলে দেওয়ার মতোও নয়। শুনে পচা ঠোঁট বেঁকাল। তাকে দেখে মনে হল না সে নন্তুর সাফল্যে খুব একটা মুগ্ধ হয়েছে। গম্ভীর মুখে জিজ্ঞেস করল, “কত করে পড়ল?”
নন্তু একটু আমতা-আমতা করে বলল, “পাঁচশো করে চেয়েছিল। বলল, কবিতার জন্য ওই রেটই চলছে। একটু দরদাম করতে তিনশোয় রাজি হয়ে গেছে।”
আমি নন্তুর ম্লান মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, “আজকাল অনেক উঠতি লেখকই নিজের পয়সায় বই ছাপায়। সেটা এমন কি আর গর্হিত কাজ?”
পচা বলল, “নিজের পয়সায় বই ছাপানো আর পয়সা দিয়ে পত্রিকায় কবিতা গুঁজে দেওয়া এক ব্যাপার হল?”
বঙ্কুদা হাতাশ গলায় বলল, “বাপা, শেষ পর্যন্ত পয়সা দিয়ে কবিতা ছাপাতে হল? একটা সময় ছিল যখন কবি সাহিত্যিকরা কেবলমাত্র লিখেই সংসার চালাতেন। কী যে দিনকাল পড়ল! আশা করি সব পত্রিকা বা সব লেখক এই পন্থা অবলম্বন করে না।”
পচা বলল, “বঙ্কুদা, বিনি পয়সায় লেখা ছাপানোর উপায়ও আছে। তাকে বলে বিনিময় প্রথা, বিনি পয়সায় ময়দান দখল। আমি আমার পত্রিকায় তোমার একটা কবিতা ছাপলে তুমি তোমার পত্রিকায় আমার একটা কবিতা ছাপবে।”
আমি পচাকে বললাম, “হিংসুটিপনা করিস না। তবু তো নন্তুর কবিতা শারদীয় পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। তুই কী করছিস?”
পচা কলার তুলে বলল, “আমার কেসটা অন্য। আমারও কবিতা ছাপা হয়। কিন্তু সেই পত্রিকা তোদের হাতে এসে পৌঁছয় না।”
আমি ভুরু কুঁচকে বললাম, “তা কেসটা কী একটু খোলসা করে বলবি?”
পচা বলল, “শুনবি? শোন তাহলে...
ছাদের ওপর লটকে ছিলাম আরাম-চেয়ার হেলিয়ে
এমন সময় সামনে এসে নামল একটা এলিয়েন।
বললে ইটি, এই যে, চিঠি তোমার জন্য আনলুম
গেলাস ভরে খাচ্ছ যেটা বিলিতি নাকি বাংলু?
বাংলু হলে অল্প করে আজকে খাবো আম্মো
কাবলি ছোলা সঙ্গে হলে থাকত কি ভারসাম্য,
ওপর থেকে পেঁয়াজ এবং লঙ্কা কুঁচো ছড়িয়ে?
লাস্টবারেতে বিলিতি খেয়ে বাপ্ রে গেছি গড়িয়ে!
খামটা খুলে দেখতে পেলুম হাতে গরম সদ্য
ইউরেনাসের লিটল ম্যাগে ছেপেছে এক পদ্য।
ভাবছ জানি, নেশার ঘোরে বকছি উল্টোপাল্টা?
(আরে!) হাফ বোতল তো মেরেই দিল গ্রহান্তরের মালটা।”
আমি বললাম, “ফালতু বাওয়াল দিস না। মানুষের সৎ প্রচেষ্টার মূল্য দিতে শেখ।”
পচা বলল, “সৎ-অসৎ বুঝি না। আজকাল দেখি পুরনো কাসুন্দি নতুন বোতলে ভরে ঝাঁ-চকচকে লেভেল লাগিয়ে বিক্রি হচ্ছে। নকলের রমরমা। ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। আর তোর মতো পাঠকেরা না-বুঝে তারিফ করছে। অধিকাংশ আধুনিক লেখক আদতে পান্নালালের শালা।”
নন্তু বলল, “হু ইজ দিস পান্নালালস শালা?”
বঙ্কুদা বলল, “পচা, তোমার পান-দোষ আছে জানি, কিন্তু এই পান্নালালটিকে কোত্থেকে জোগাড় করলে?”
পচা বলল, “আরে দাদা, পান্নালালের শালাকে কে না চেনে?
যাত্রা দলে নাম লিখিয়ে পান্নালালের শালার
বদলে গেল মুখের বুলি, পিসির হল জ্বালা।
যখন-তখন, মরণদশা
ডাকছে তাঁকে ‘পিতৃষ্বসা’
হতচ্ছাড়া নাম রেখেছে ‘নয়ানজুলি' নালার।”
বঙ্কুদা ঘাড় নেড়ে বলল, “পচা, তুমি কি লিমেরিক লেখার চেষ্টা করছ?”
নন্তু সন্দিগ্ধ ভাবে বলল, “পচা তোমার ছড়া মানে কবিতাগুলো সিম্পল ল্যাঙ্গুয়েজে লেখা, কিন্তু পড়ে বা শুনে মনে হয় কোনও ইনার মিনিং আছে।”
কবিতার ইনার মিনিং নিয়ে আলোচনা আমাদের আড্ডায় নিষিদ্ধ। কথা ঘোরানোর জন্য আমি তাই লজ্জা-লজ্জা মুখ করে বললাম, “আমিও মলিকে নিয়ে দু’-একটা লিমেরিক লিখেছিলাম, বঙ্কুদা, শোনাব নাকি?”
মলি আমার এক সময়ের প্রেমিকা, বর্তমানের গৃহিণী। গৃহে তার নিরঙ্কুশ শাসন। বাইরে অঙ্কুশের রিমোট কন্ট্রোল। তার গল্প পরে কোনও এক সময় হবে। তবে আমার লিমেরিক চর্চার ইতিহাসে বঙ্কুদা একজন অসহায় ভুক্তভোগী। এক সময় রাত নেই দিন নেই, লিমেরিক লেখার চেষ্টা করতাম আর বঙ্কুদাকে ফোন করে শোনাতাম। বঙ্কুদা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “উপায় কী? শোনাও। পড়েছি যবনের হাতে, চা খেতে হবে সাথে। হারুকে আর এক রাউন্ড চা দিতে বলো।”
চা এল। চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিয়ে আমি বললাম, “নিউ মার্কেটে পুজোর বাজার করতে গিয়ে মলি একাবার লা-পতা হয়ে গিয়েছিল। ফোনেও পাচ্ছিলাম না। তখনই একটা দোকানের সামনে চেয়ার টেনে বসে মোবাইল ফোনেই বাংলা টাইপ করে লেখা। তবে আগেই বলে রাখি লিমেরিকটা মলির খুব একটা পছন্দ হয়নি।”
পচা বলল, “ফোনে লেখা তো কী হয়েছে? ফোনি না হলেই হল। ভ্যানতাড়া না করে শুনিয়ে দে।”
আমি বললাম, “আচ্ছা, শোনো তবে…
আড়চোখে মহিলাকে দেখে নীল জিনসে
কহিলাম, হে ম্যাডাম, দেখে হয় হিংসে
যারে দিলে মালাখানি…
জুটবে না দানাপানি
ঘরে চল, মলি বলে, মুখপোড়া মিনসে।”
নন্তু খিকখিক করে হেসে বলল, “বাঃ, তোমার লিমেরিকটা পচার মতো নয়। মানে বোঝা যায় বেশ। আর একটা শোনাও না।”
বঙ্কুদা আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাল। কিন্তু এই রকম সুযোগ রোজ আসে না। আমি বললাম, “বলতে বাধা নেই এই বঙ্কুদাই এক সময় আমায় লিমেরিক লিখতে উৎসাহ দিত। ভুলচুক শুধরে দিত। পরের লিমেরিকটা সেই শিক্ষানবিশ যুগের। মলির সঙ্গে আমার কথোপকথন নথিভুক্ত করে বঙ্কুদাকে পাঠিয়েছিলাম। শোনো…
এই দেখো দাদা, শুরু হয়ে গেছে লিমেরিক নিয়ে চর্চা
মলিকে বলেছি, কবিতা লিখছি, চট করে উঠে কর্ চা।
রাত বারটায় চা খেতে হবে না
কুকুরের পেটে ঘি-ভাত সবে না
লিমেরিক রাখো, হিসেবটা দাও, আজ কত হল খর্চা।”
বঙ্কুদা বলল, “লিমেরিককে পপুলার করেছিলেন এডওয়ার্ড লীয়র, জান তো?”
পচা বলল, “বঙ্কুদা, আবার তুমি জ্ঞান বিতরণ করতে শুরু করলে?”
বঙ্কুদা বলল, “আচ্ছা, জ্ঞান-ট্যান থাক। সবাই কবিতা শোনাল, নন্তুই বা বাদ যায় কেন? নন্তু তুমি বরং একটা তোমার লেখা একটা কবিতা শোনাও।”
নন্তুর মুখ ঝলমল করে উঠল। সে বলল, “শুনবে তোমরা? এবারের একটা শারদ সংখ্যায় এই কবিতাটা বেরোবে,” এই বলে সে আমাদের প্রস্তুত হবার কোনও সুযোগ না দিয়ে, মোবাইলটা মুখের কাছে ধরে উদাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করতে শুরু করে দিল,
“কুত্তারা জানে না শিল্পায়ন এবং কী তার ফলাফল
পরাবৃষ্টির আঙুল থেকে টুপ করে যেমন জল
তেমনই উপগ্রহ থেকে কখন অনুষ্ঠানসূচী
সাদা কথায় সম্প্রচার সময় সম্পর্কে অজ্ঞানী
কুত্তারা নিরক্ষরতাবশত মহল্লা ছেড়ে সমুদ্রের দিকে
কারণ শহরের দিক থেকে কালো গাড়ি
তাই তারা দল বেঁধে ঢেউয়ের কাছাকাছি
শিল্প হয়তো সামুদ্রিক পাখি, ওড়বার আদবকায়দা।
ক্রমশ প্রসরমান আলো, ভৌতিক চিৎকার
শিল্প মানে কর্পোরেশনের গাড়ি, মৃত্যুঋদ্ধ বেত।”
এক নিঃশ্বাসে পড়া শেষ করে নন্তু থামল। নন্তুর কবিতা শুনতে শুনতে বঙ্কুদার চোখ বিস্ফারিত হয়ে উঠেছিল। নন্তু থামতেই তাঁর হাতের চা চলকে গেল। সাবধানে টেবিলের ওপর চায়ের ভাঁড় নামিয়ে রেখে পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমাল বার করে আঙুল মুছতে মুছতে বঙ্কুদা বললেন, “এ তো মাস্টারপিস! নন্তু, বুকে এসো বাপ আমার। বাংলা সাহিত্যের কি এতই দুর্দিন যে এই মণিমাণিক্যখচিত কবিতাখানা তোমাকে ট্যাঁকখর্চা করে ছাপাতে হল?”
বঙ্কুদার প্রশংসা শুনে নন্তু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল। বুঝতে পারছিল না আপ্লুত হবে না আহত। আমি বঙ্কুদার দিকে তাকিয়ে বললাম, “বঙ্কুদা, আর ইউ সিরিয়াস?”
বঙ্কুদা বলল, “আহা কী শব্দ চয়ন! ‘পরাবৃষ্টি’ শব্দটা তো আমি জীবনে প্রথমবার শুনলাম।”
আমি বললাম, “আমিও। নন্তু ভাই, ‘পরাবৃষ্টি’ শব্দটার মানে যদি একটি বুঝিয়ে দাও।”
নন্তু কিছু বলার আগেই বঙ্কুদা বলল, “মানে জেনে কী করবে? কবিতায় ব্যবহৃত শব্দের মানে জানতে নেই। ভাবো তো শব্দটার কী অদ্ভুত দ্যোতনা! ‘পরাবৃষ্টির আঙুল থেকে টুপ’! ভাল করে কান পাতলে তবেই সেই অপার্থিব বৃষ্টি পতনের শব্দ শুনতে পাবে। আহা! নন্তু, তোমায় তো কাল্টিভেট করতে হচ্ছে হে!”
আমি বললাম, “এমনও তো হতে পারে অনেকের মতো নন্তু ‘র' আর ‘ড়' গুলিয়ে ফেলেছে। ওই শব্দটা ‘পরাবৃষ্টি’ নয় ‘পড়া বৃষ্টি’। মানে যে বৃষ্টি পতিত হচ্ছে, আর কী!”
পচা এতক্ষণ ছুঁচোর মতো মুখ করে সব শুনছিল। নাক দিয়ে অবজ্ঞাসূচক একটা শব্দ বার করে বলল, “কতগুলো উদ্ঘট শব্দ এলোমেলো করে সাজিয়ে দিলেই কবিতা হয়ে গেল? একটা শব্দর সঙ্গে তার পাশের শব্দটার কোনও সম্পর্ক নেই। একটা লাইন থেকে তার পরের লাইনে যাওয়ার সময় যে মসৃণ চলাচল সার্থক কবিতার ধর্ম, সাদা বাংলায় যাকে বলে স্মুথ ট্রানজিশন, সেসব নেই। ছন্দর মাথামুণ্ডু নেই। প্রথম দু’-লাইনে অন্ত্যমিল। তারপর থেকে অন্ত্যমিল হাওয়া। তাছাড়া কবিতা লেখার একটা উদ্দেশ্য থাকবে তো, একটা মেসেজ… তুমি সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেই মালটা কবিতা হয়ে যাবে!”
বঙ্কুদা বলল, “উদ্দেশ্য-বিধেয় জানি না, মন দিয়ে শুনলে বুঝতে কবিতাটার মধ্যে শ্রেণি-সংগ্রামের একটা তির্য্যক ইঙ্গিত আছে। সেটা কি যথেষ্ট নয়?”
পচা বলল, “তুমি ইঙ্গিতের গীত গাও। আমি ওসব বুঝি না।”
আলোচনার তাপমাত্রা বাড়ছে দেখে আমি বললাম, “আচ্ছা নন্তু, কবিতাটা তোমার মাথায় এল কীভাবে যদি বলো।”
নন্তু বলল, “এক শীতের রাতে রাস্তার কুকুরের কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে বিছানার হাত রেখে দেখেছিলাম পাশে বৌ নেই। বুকের মধ্যে ছ্যাঁত করে উঠেছিল। কিছুই না, বৌ আলো না জ্বালিয়েই টয়লেটে গিয়েছিল। ফিরে এসে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আমার আর ঘুম এল না। একটা সিগারেট ধরিয়ে লিভিংরুমের ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম। কুকুরগুলো তখনও চেঁচাচ্ছিল। একটা কালো ভ্যান সামনের রাস্তা দিয়ে চলে গেল। সিগারেট শেষ করে লিভিংরুমে ঢুকতেই দেখলাম ল্যাপটপটা পড়ে আছে। তখনই লাইনগুলো মাথায় এসেছিল। ঘোরের মধ্যে লিখে ফেলেছিলাম।”
নন্তুর কথা শুনে একটু আনমনা হয়ে পড়েছিলাম। পচা নন্তুর দিকে বেঁকা চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, “শুতে যাওয়ার আগে ক’-পেগ টেনেছিলি? মাঝরাত্তিরেও ঘোর কাটেনি?”
নন্তু বলল, “সেদিন সন্ধেবেলা ড্রিঙ্ক করিনি। মাইরি বলছি। আই শপথ!”
বঙ্কুদার কাব্যবোধ নিয়ে কোনদিনই আমাদের উচ্চ ধারণা ছিল না। কিন্তু নন্তুর স্বীকারোক্তিটা ভাবাচ্ছিল। কবিতা কি ধরে-বেঁধে লেখা যায়। নাকি আপনা-আপনি আসে? সেই আসা যে সব সময় দিনের বেলা ভদ্র-সভ্য মানুষের মতো সদর দরজা দিয়ে, কলিং বেল বাজিয়ে হবে তার গ্যারান্টি কী? যদি সে ব্যালকনির পাঁচিল টপকে মাঝরাত্তিরে ঘরে ঢুকে আসে তাকে কি আটকাব? সেই লাওয়ারিশ শব্দগুলোকে ধোপদুরস্ত ফর্মের কাপড় পরানো কি খুব জরুরী? কী জানি! আমি বললাম, “দেখ পচা, নন্তুর কবিতাটা আর একটু পাকলে হয়তো সুস্বাদু হত। কিন্তু কিছু জিনিস কাঁচা খেতেই ভাল লাগে। যেমন ডাঁসা পেয়ারা বা কাঁচা আম।”
পচা বলল, “সেগুলোও নুন-মরিচ লাগিয়ে খেতে হয়। না-হলে কষা লাগে।”
আমার ফোনটা বেজে উঠল। মলি… ফেরার পথে এক প্রস্থ বাজার করে নিয়ে যাওয়ার হুকুম হল। এমনিতেও পচার সঙ্গে তর্কে এঁটে ওঠা দুষ্কর। আমি রণে ভঙ্গ দিলাম। সময়টা ভাল যাচ্ছে না। চারদিক থমথম করছে। পুজোর সময় আবার নাকি নিম্নচাপের প্রকোপ বাড়বে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুর্যোগ কাটুক। অসুর নিধন হোক। উমার মর্ত্যে আসা যেন শুভ হয়, নিরাপদ হয়। নন্তুর প্রথম কবিতা প্রকাশকে আরও একবার অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আর বঙ্কুদা আড্ডা ছেড়ে উঠে পড়লাম। পচা নন্তুর সঙ্গে ফিরবে। সে মা লক্ষ্মীর বাহনের মতো মুখ করে বলল, “থাক, আর আদিখ্যেতা করতে হবে না।”