ছুটছে তারা, ছুটছে ধরা,
মরছে ঘুরে চরকি পাক;
ছুটছে মানুষ – তার ঠিকানা
নিত্যিদিনের কুম্ভীপাক।
জীবন পাকে পাক হয়ে তার
যাচ্ছে চুলে পাক ধরে,
ছুটছে তবু, বারেক ফিরে
দেখছে না কে রয় পড়ে।
গণ্ডি মাঝে বন্দি থেকে
হাঁপিয়ে ওঠে ব্যস্ত প্রাণ
ছিটকে চলে চায় যেতে সে
যেথায় দুচোখ ধায় সটান।
জমাট ঠাসা জীবন-সূচির
চুরিয়ে নেওয়া ফুরসতে
স্বপন দেশে অচিন পুরে
চায় সে সদাই ফুস হতে।
যাচ্ছি কোথায় মুখ্য তা নয়,
কেমন গেলাম সেটাই সব।
হাসি-খেলায় ভরিয়ে নেওয়া
অল্প দিনের এই পরব।
সমুটাকে ছিবড়ে করে
নিংড়ে ধরে সবটা রস –
তারিয়ে খাওয়া একেক ফোঁটা
যায় না পড়ে গড়িয়ে কষ।
জগৎ জুড়ে যতেক মজা
দুহাত ভরে হরির লুট;
তার পরে কি? গল্প একই –
বাজার করা, অফিস ছুট !
ছুটছে সবাই, সময়ও তাই –
নয়কো পিছে, সদাই আগ;
দিন চলে যায়, যায় না কেবল
মনের ভিতর সোনার দাগ।
চটকে-হেজে-ভেপসে গিয়ে
রোজনামচার নাগপাশে –
চাতক হয়ে বসে থাকা
ফের এমনই দিন আসে।