নদীর নাম রঞ্জনা। জলে একটুও স্রোত নেই।
কিন্তু অনেক অনেক পাতা ভাসছে। অনেক অনেক খড়।
ভাসছে চাঁদমালা আর শোলা।
দড়ি ভাসছে আর রাংতা কাগজ।
শ’য়ে শ’য়ে জাল ফেললেও নদী থেকে
&smsp; একটাও মাছ ওঠে না।
ওঠে চুড়ি। দুল। থালা। বাটি। মাদুলি। ঘুনসি।
লক্ষ্মণ জেলে মহাদেব জেলে হাজার হাজার বছর
পাথর হয়ে এই নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকে।
নদীর নাম রঞ্জনা
জলে একটুও স্রোত নেই। কিন্ত ঢাকের শব্দ আছে।
প্রতিমা আছে। বিসর্জন আছে।
এই নদীর ধাপে ধাপে পাতালকুঠুরিতে
কালোমেয়ে সকাল-সন্ধ্যা লুকোচুরি খেলে।
গভীর রাতে মোহরের কলসিতে
সাদা হাড় চমকে ওঠে।
শব্দ হয় ঝন্ঝন্ ঝন্ঝন্।
একেকদিন এই নদীর ঠান্ডা নিথর জলের উপর দিয়ে
খড়বোঝাই নৌকো যায়।
বাংলা বিহার উড়িষ্যার সেদিন খুব শীত পড়ে
আমাদের চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে।