নিজের সংস্কৃতি থেকে সাংস্কৃতিক বিকল্পশহরে
নিত্যবাহিত হবো, এ আশায় নাক গলিয়েছি
যেমন হুগলীর বুকে ফেরি নৌকো বহে চলে রোজ
যেন তারা ভাসমান পবিত্রের ওপরে চলেছে।
এ শহর তৈরি হয়ে রয়েছে আমার জন্য, তবে
মফস্সল তার এক নিজস্ব আচার নিয়ে দূরে,
এখনো তৈরি নয় মনে হয়।
এক বৃদ্ধ সাধু
আমাকে একবার বলেছিলেন, ‘পাশ্চাত্যে তোমাদের
প্রযুক্তি রয়েছে, আর আমাদের আধ্যাত্মিকতা।
এ দুটো মেলানো প্রয়োজন। -- আমি তরুণ, অর্বাচীন
উলটে তাঁকে প্রশ্ন করি: ‘মহারাজ, আধ্যাত্মিকতা
ঠিকঠাক থাকলে আর প্রযুক্তির দরকারটা কি?
এছাড়া তাঁদের কথা ভাবি, যাঁরা আমাকে ভাবেন
হতাশ পশ্চিমী বুদ্ধিজীবি-টাইপ, অন্তঃসারহীন
পাশ্চাত্য সংকটের যেন আমি এক মূর্ত প্রতিনিধি
একমাত্র বেদান্ত পারে উজ্জীবিত করতে আমাকে
ফিরে দিতে পারে কোন ভুলে যাওয়া শিকড়ের খোঁজ--
যেন এই বস্তুজগতের মুঠো আলগা হয়ে আসে
আমার অতৃপ্ত এই অধিকারবোধ থেকে, আর
যোগ্য বিবেচিত হই আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগে,
অন্তত শব্দটা যদি ঠিক উচ্চারণ করতে পারি--।
বেশ তো। অন্যরা ভাবে, কিংবা ঠাউরে নেয় তারা ভাবে
ভারতবর্ষকে যদি জানতে হয় তাহলে কাউকে
ভারতেই বড় হয়ে উঠতে হবে, তাছাড়া এমন
জটিল বিষয় অত সহজে সম্ভব নয় জানা।
আরো কেউ বলেন যে বহিরাগতরা দেশটার
খণ্ডমাত্র বুঝলেও বুঝতে পারে। এর উত্তরে বলি,
পার্থিব বিদ্যায় রূপ-ই প্রাকৃতিকভাবে খণ্ডজ্ঞান।
একই হলো।
এইসব অত্যাশ্চর্য মানুষ আমাকে
একদম বোঝে না। তবু আমাদের উচিত চেষ্টা করা,
তিন-চারটে সংস্কৃতিকে যুক্ত করে গড়ে তোলা, বলো,
আমরা কি সকলেই আন্তঃসাংস্কৃতিক নই আজ?
বিড়লা মন্দির আর মেট্রোপলিটন বাইপাস
যেভাবে মিশেছে, চলো, আমরাও সেইভাবে মিলি
অতিক্রম করি সব সীমানার কাঁটাতারগুলি।
ভুল বুঝো না আমায়, ভুল বুঝো না আমায়, আমি
ফিলিপ নিকোলায়েভ, চিত্রগুপ্ত কেবল আমার
একটিমাত্র অবতার. . .