• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৫ | এপ্রিল ১৯৯৮ | চিঠি
    Share
  • চিঠিপত্র :

    ‘Parabaas’ is an excellent effort. In fact no praise is too high for this outstanding effort. Having had the web site address from ‘DESH’ I was tempted to explore ‘Parabaas’.

    Swapan Kumar De
    Head Computer & Inf. Group
    Variable Energy Cyclotron Center
    Dept. of Atomic Energy, Calcutta


    “পরবাস”-এর “শীত” সংখ্যায় সৌমিত্র বোস-এর “Icon, বাঙলাভাষা ও একুশে" প্রবন্ধটি পড়লাম। চমৎকার প্রবন্ধ: সুলিখিত ও সুপাঠ্য; কিন্তু ইংরেজি শব্দে কণ্টকিত হওয়ার জন্য রস আস্বাদনে অসুবিধে হয়েছে। যে পরিশব্দগুলির কাজ-চালানো গোছের বাংলা প্রতিশব্দ আছে, সেখানে বাংলা ব্যবহার করাই বিধেয়। বিশেষত: সৌমিত্র-বাবু যখন অত্যন্ত দক্ষতার সংগেই বাংলা প্রতিশব্দগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বলে দিয়েছেন- “জাতি বা race, গোত্র বা clan, এবং গোষ্ঠী বা community…” ইত্যাদি। যেখানে ইংরেজি শব্দের ব্যবহার একেবারে প্রয়োজনীয়, সেখানেও আমার মতে, চোখের শুশ্রুষার জন্যে, তা বাংলা হরফে লেখা বাঞ্ছনীয়। যেভাবেই হোক বিদেশি শব্দগুলির কপালে ফোঁটা-তিলক কেটে এবং তাদের কোমরে লুংগি বা গায়ে উড়ুনি লাগিয়ে বাঙালি করে নেওয়াই শ্রেয়। যেমন সৌমিত্রবাবু করেছেন তাঁর “আলুলায়িত জমি” শব্দবন্ধে।

    আর্যসভ্যতা যে ভারতবর্ষের বাইরে থেকে এসেছিল- এ কথা আজ ভীষণভাবে বিতর্কিত। আমি ঐতিহাসিক নই- তাই সমস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য খুঁটিয়ে দেখার মতো মেধা ও মননের অভাব। কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গিয়েছে এই ব্যাপারে যা ভবিষ্যতে, একমাত্র ঐতিহাসিকরাই নিরসন করতে পারেন।

    সৌমিত্রবাবুর সোনার কলম (কী বোর্ড?) হোক এবং তিনি আরো লিখুন এই কামনা করে চিঠি শেষ করছি।

    ধন্যবাদান্তে,

    অংকুর সাহা
    অলিগঞ্জ, মেদিনীপুর ৭২১১০১

    লেখকের উত্তর--ইংরেজি শব্দের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই, আমি প্রায় প্রত্যেকটিরই বাংলা প্রতিশব্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

    আর্য আগমন নিয়ে দুই এক ছত্র বলতে চাই। একটি বিশেষ গোষ্ঠী থেকে যে অমন দাবী আসছে এটা অনস্বীকার্য। সেই গোষ্ঠীর মধ্যে স্বীকৃত ঐতিহাসিক প্রায় কেউই নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এখনো কোনো স্বীকৃত ঐতিহাসিক প্রবন্ধ পাওয়া যায় নি, যা বলে দেয় যে আর্য-রা ভারতেই উদ্ভুত হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক ও শারীরিক গঠন-বিজ্ঞান কিন্তু বহিরাগত-আর্য তত্ত্বটিকেই সমর্থন করে। ‘ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস’ কিন্তু এখনো বহিরাগত-আর্য তত্ত্বকেই স্বীকার করে চলেছে। বিশেষ গোষ্ঠী অবশ্য ‘ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস’-কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দোষারোপ করেছেন।

    দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল “আর্য” শব্দটির সংস্কৃত ব্যুৎপত্তি। “ঋ” ধাতু, “ণ্যৎ” প্রত্যয় বুঝিয়ে দেয় যে যাঁরা এক স্থান থেকে আর এক স্থানে চলে এসেছেন, যেটাকে আরবি ভাষায় বলে “হিজরাত” নিয়েছেন। এই শব্দার্থ থেকে বহিরাগত-আর্য শব্দকে সমর্থনে প্রমাণ মেলে।

    অংকুর বাবুকে আমার ধন্যবাদ ও বাধিতবাদ জানাই।

    সৌমিত্র বোস


    I read Shekh Mijan’s “E mail e Bangla”…. Sets imaginations flying!! We don’t need Unicode really!! I expect very soon “Bengla” editors would be able to export bangla texts in this romanic bangla. Similarly there can be browsers able to compile this romanic “Bengla” on the fly and present as bitmaps in actual bangla scripts (for machines with no available bangla font). No more costly downloading time!!

    But I could not understand why “antast ‘ha a” is missing. How shall we differentiate between “khai” (popped rice) and “khay” (erosion)’?

    And one suggestion: Why are we leaving the upper-case letters completely unused?’? If not anything we can use them as alias. Like “A” can be written for “a” or “T” can be written for “t”.

    Thanks a lot to Mija’n bha’i. But we must push it hard and popularise and standardise by some authorities fast before people start exploring their imaginations too much (as I already did in the paragraph above).

    Regards

    Dheeman Basu
    dheeman@avl.co.at

    ধীমান বসু সমীপেষু,

    আপনার উচ্ছ্বসিত উত্তরের জন্য শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু করছি-

    আমাদের ‘unicode’ প্রয়োজন আছে কি না- এই ইশুটিকে আমি বোধহয় একটু ঘুরিয়ে দেখেছি। আমার প্রশ্নটি ছিল, কম্পিউটার প্রযুক্তির বর্তমান স্তরে, দ্বিতীয় কোন লিপি পদ্ধতির প্রয়োজন আছে কি না। স্পষ্টত:ই যাঁরা আধান ডাকে বাংলা ভাষায় চিঠি পাঠাতে চান তাঁদের কাছে ইংরেজি বর্ণে বাংলা লেখার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। মূলত সে প্রয়োজনকে মেটাতেই নিবন্ধটি লিখেছিলাম। এর সাথে আরও একটি প্রয়োজনের দিকে নজর রাখতে চেষ্টা করেছি, সেটি হল একটি যথার্থ ধ্বনিসঙ্গত বানান পদ্ধতি।

    ইংরেজি বর্ণে বাংলা বানানের প্রতিবর্ণিকরণের সময় বিশেষ সমস্যা হলো- বাংলা এবং ইংরেজি এই দুই ভাষারই প্রচলিত লিপিপদ্ধতি নীতিগতভাবে ধ্বনিলেখি হলেও যথার্থ ধ্বনিসঙ্গত নয়। ফলে উচ্চারণ জানা সত্ত্বেও বানান মুখস্থ করতে হয়। ইংরেজি লিপিতে প্রতিটি বাংলা শব্দের বানান যদি আবারও মুখস্থ করার বিড়ম্বনা এড়াতে চাই তাহলে উপায় দুটি। এক- প্রতিটি বাংলা “বর্ণের জন্য” একটি ইংরেজি বর্ণ (নিদেন পক্ষে একাধিক ইংরেজি বর্ণের বিশেষ সমষ্টি, যেমন খ=kh, ঝ=jha ইত্যাদি) নির্দিষ্ট করা। প্রথম ক্ষেত্রে লেখক বাংলা “বানান থেকে” ইংরেজি বানানে বর্ণান্তর করবেন; বাংলা লিপিপদ্ধতিতে বানানের উচ্চারণ- বানান অসঙ্গতি হবহু ইংরেজিতে বর্ণান্তিরত হবে; কোন বানান যদি কেউ বাংলায় ভুল লেখেন তাহলে ইংরেজিতেও তিনি ভুল লিখবেন; এবং বাংলা বানান সমস্যার কারণে যাঁদের লেখা-ভীতি আছে তাঁরা ইংরেজি হরফে বাংলা লিখতেও একই পরিমাণে ভীত থাকবেন। কিন্তু, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লেখক “বাংলা উচ্চারণ” থেকে ইংরেজি হরফে বাংলা লিখবেন। এক্ষেত্রে বানান গোলমাল বা ভুল হবার সম্ভাবনা অনেক কম, কারণ মাতৃভাষার ব্যাপারে সাধারণভাবে মানুষের, বিশেষভাবে বাঙালির, বানান-জ্ঞানের চেয়ে উচ্চারণ-জ্ঞান বেশি থাকে। তাই, আমি দ্বিতীয় পথে গেছি। লক্ষণীয় এটি নিছক ইংরেজি হরফে বাংলায় প্রতিবর্ণিকরণ নয়। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানার আশা রইল।

    আপনি এর মধ্যে আর একটি আশাবাদী মাত্রা সংযোজন করেছেন। অচিরে আপনার আকাঙ্ক্ষিত ‘browser’ সৃষ্টি হবে বলে আমিও বিশ্বাস করি। এবং সে ‘browser’ যদি প্রস্তাবিত লিপি-পদ্ধতি অনুসরণ করে তাহলে আমরা স্বয়ংক্রিয় ভাবে পেয়ে যাব বাংলা বানানের একটি উচ্চারণ-সঙ্গত সরলতর রূপ।

    প্রশ্ন করেছেন ‘য়’ বর্ণটি বাদ গেছে কেন। কারণ, ওটির কোন প্রয়োজন নেই বলে। বোধ হচ্ছে, আপনি মনে কোরেছেন ‘য়’ বাদ দেবার কারণে ‘খই’ এবং ‘ক্ষয়’ বানান দুটির মধ্যে পার্থক্য করা যাবে না। খুবই যাবে। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে বানান দুটি হবে ‘khoi’ এবং ‘khae’- একটি নয়, দুটি বর্ণ পৃথক। ‘য’ এবং ‘য়’ বর্ণ দুটির অপ্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে ভবিষ্যতে একটি নিবন্ধ লেখার পরিকল্পনা আছে।

    আপনার শেষ প্রশ্ন, ইংরেজি বড় হাতের বর্ণ কেন ব্যবহার করা হলো না। এবং প্রস্তাব করেছেন ছোট হাতের বর্ণ ‘accent mark’ ব্যবহারের বিকল্পে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহারের জন্যে। প্রস্তাবটি নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। একই প্রস্তাব করেছেন তৃতীয় পত্রলেখক অংশুমান গুহ। তিনি বিষয়টি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনাও করেছেন। তাই বিষয়টি ওনার প্রসঙ্গে নিচে আলোচনা করা হলো।

    আপনার সাথে একশ ভাগ একমত, ‘we must push hard’. তবে, এ বিষয়ে বিশেষ ‘authority’-র চেয়ে সাধারণ লেখক-পাঠকদের প্রতিই আমার আস্থা বেশি। দেখুন, বাংলা ভাষায় এত সব পণ্ডিত গত দুশ বছরে বাংলার বানান সমস্যার ব্যাপারে কিছুই করতে পারলেন না। এখনও বাংলা টাইপ লেখনি বা কম্পিউটারের বোতামগুলির ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নিয়ম প্রচলন করা গেল না। কর্তাদের মতামত এবং ঝগড়া-বিবাদের কোন অন্ত নেই। তাই মনে হয়, ওনাদের মুখের পানে চেয়ে বসে না থেকে আমাদের যার যেটিকে ভাল বলে মনে হয় সেটিকে ‘we must push hard’. এবং তারপর জনমানুষ যেটিকে গ্রহণ করেন সেটিকে মেনে নেওয়া। তবে জনগণও যদি ঝগড়া বিবাদ শুরু করে তাহলে কর্তাদের মুখে চেয়ে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।

    অসংখ্য ধন্যবাদ

    শেখ মিজান

    আমার এই চিঠিটি শেখ মিজান মশাই-এর “ই-মেলে বাংলা”-এর প্রসঙ্গ। আমি এখনো ওনার বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করছি না।

    ওনার রচনা খুবই সময়জনিত। রচনার অধিকাংশই যুক্তিপূর্ণ (juktipurno) এবং যুক্তিগ্রাহ্য (juktigrajhyo) (how to write it?)। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আমার মনে হয় আর একটু চিন্তাশক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

    ১. আমাদের বাংলাতে ‘short vowel’ আর ‘long vowel’-এর difference-টা প্রায় উঠে গেছে বললেই হয়। English ‘up’ এবং ‘Large’-এর vowel part-টা আমরা একইভাবে উচ্চারণ করি। অথচ উত্তর ভারতে এর তফাতটা ভালোই জানা আছে, কারণ hindi pronunciation-টা সংস্কৃতর অনেক কাছাকাছি।

    বাংলা বর্ণমালাতে যদিও “ই” আর “ঈ” দুটোই উপস্থিত, তবুও আমরা কজন কথা বলার সময় সেই পার্থক্যটা pronunciate করি? ‘Ship’ আর ‘Sheep’ বাঙালীরা উচ্চারণ করলে অবিকল একরকম শোনাবে। যদি কাজী সব্যসাচীর আবৃত্তি মন দিয়ে শোনেন তবে বুঝতে পারবেন যে উনি কতো মন দিয়ে প্রতিটি শব্দ উচ্চারণ করেছেন।

    এই প্রবন্ধতে প্রস্তাব করা হয়েছে ‘spelling is strictly according to pronunciation’. এটা বাংলা ভাষাকে তার original উচ্চারণ ভঙ্গী থেকে আরো দূরে ঠেলে দেবে বলে আমার বিশ্বাস (bis’sa’s)

    ২. ওই উপরে যুক্তিগ্রাহ্য লিখতে গিয়ে বড়ো মুশকিলে পড়েছিলাম। য-ফলা-কে কি করে represent করা যাবে?

    নতুন প্রস্তাবিত পদ্ধতি original বাংলা ba’na’n-এর one-to-one mapping হওয়া বাঞ্ছনীয়। এতে বাংলা বানানের প্রতি awareness-ও বাড়বে।

    ইতি,

    পরবাসী,

    কিশলয় হালদার
    kish@coreel.com

    কিশলয় হালদার সমীপেষু,

    প্রতিক্রিয়া এবং পরামর্শের জন্য অভিবাদন রইল।

    প্রথমেই বলে রাখি যে বাংলা বানানের বিষয়ে আপনার সচেতন অভ্যাস এবং সহজাত মূল্যবোধের সাথে একাত্মতা অনুভব করছি; কিন্তু আপনার সচেতন তথ্য, যুক্তি এবং নীতির সাথে আমার বিরোধ ঘটছে। বাংলা ভাষার উন্নয়নে আপনার সদিচ্ছা এবং প্রচেষ্টা উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিরোধগুলি দিয়েই শুরু করছি।

    উত্তরভারতীয়গণ ইংরেজির হ্রস্ব-দীর্ঘ ‘আ’ এবং ‘ই’-এর পার্থক্য ধরতে পারে কিন্তু আমরা বাঙালিরা পারি না, সে কারণে আপনি যেন কিছুটা লজ্জিত। বাঙালিরা পারে কি পারে না সে বিতর্কে না গিয়েই বলব যে, না পারলেও লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর কোন ভাষাই মানুষের মুখে উচ্চারণযোগ্য সকল ধ্বনিকে ধারণ করে না; প্রত্যেক ভাষারই নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষীরাও এমন অনেক উচ্চারণ করতে পারে না যে, বাঙালি অনায়াসে পারে। উদাহরণ স্বরূপ আপনার নামটির উচ্চারণের বেলাতেই দেখুন না, কয় জন ইংরেজি এমন কি হিন্দি ভাষী ওটিকে যথাযথ ভাবে উচ্চারণ করতে পারে। হিন্দির মত হ্রস্ব ‘আ’-এর ব্যবহার বাংলায় নেই তা ঠিক, কিন্তু অন্যদিকে দেখুন ‘অ’ এবং ‘অ্যা’ এই গোটা দুটি স্বরধ্বনিই হিন্দি ভাষায় অনুপস্থিত। তাই ইংরেজি বা হিন্দির অনুসরণে বাংলায় দীর্ঘ স্বরধ্বনি কিংবা চিহ্ন চাপানোর কোন যুক্তি থাকতে পারে না।

    আপনি যেন অনেকটা আক্ষেপ করে বলেছেন যে বাংলা ভাষায় হ্রস্ব এবং দীর্ঘ স্বরের পার্থক্য উঠে গেছে বললেই চলে। আধুনিক বাংলায় স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্যের তারতম্য উঠে গেছে বলা বোধ হয় ঠিক হবে না। এই তারতম্য জীবন্ত ভাবেই বিরাজ করছে, তবে তার প্রকৃতি হিন্দি বা ইংরেজির মত নয়। “বাঙ্গালা ভাষায় স্বর-বর্ণের হ্রস্ব বা দীর্ঘ উচ্চারণের উপরে শব্দের অর্থ নির্ভর করে না” [সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় [১৯৯৬], ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ (রূপা অ্যান্ড কো, কলকাতা): ৩৬]। যেমন ‘দিন’ এবং ‘বাজ’ এই দুটি শব্দের ‘ই’ এবং ‘আ’ ধ্বনি ‘দিন-কাল’ এবং ‘বাজপাখি’ শব্দ দুটিতে হ্রস্বতর হয়ে যায়। আবার কেউ যদি দ্বিতীয়োক্ত ক্ষেত্রেও স্বর দুটি দীর্ঘতর ভাবে উচ্চারণ করেন তাহলেও অর্থের কোন পার্থক্য সৃষ্টি হবে না। সে কারণে স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্যের ব্যাপারে বাঙালি অনেকটা স্বাধীন এবং এদের হ্রস্বতা-দীর্ঘতা নিয়ে কড়াকড়ির কোন যুক্তি থাকে না।

    কাজি সব্যসাচির আবৃত্তির যে দৃষ্টান্ত আপনি দিয়েছেন তা এই প্রসঙ্গে একেবারেই অচল। শুধু বাংলা ভাষাতেই নয়, পায় সকল ভাষাতেই স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য নিয়ে খেলা করার স্বাধীনতা গায়ক এবং আবৃত্তিকারের সবচেয়ে বেশি। তাই আবৃত্তি (কিম্বা গান) শুনে বাংলা ভাষার স্বরধ্বনির স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য অনুধাবন করতে চাওয়াটা ভুল হবে। কোন ভাষায় স্বরের দীর্ঘতার বিশেষ গুরুত্ব যদি থেকেই থাকে তাহলে সাধারণ ভাষাভাষীদের সচরাচর উচ্চারণেই তা থাকতে হবে। বাংলায় তা নেই, এবং সেটিই বাংলার অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য।

    বলেছেন ইংরেজি হরফে বাংলা লেখার সময় “spelling is strictly according to pronunciation” নীতি অনুসরণ করলে তা বাংলা ভাষাকে তার “original” উচ্চারণভঙ্গি থেকে আরও দূরে ঠেলে দেবে। অর্থাৎ, আপনি মনে করেন যে বাংলা বানানে ব্যবহৃত দীর্ঘ স্বরবর্ণ; ‘ণ, ষ’ ইত্যাদি ব্যঞ্জনবর্ণ; ‘বাহ্য পদ্ম, পক্ষী’, ইত্যাদি বানানের হিন্দি বা সংস্কৃতানুগ উচ্চারণ বাংলা ভাষায় আগে ছিল এবং বর্তমানে প্রচলিত বানান পদ্ধতি বাংলা ভাষার “original” উচ্চারণভঙ্গির কাছাকাছি। বাংলা ভাষার “original” উচ্চারণভঙ্গি বলতে আপনি ঠিক কী বুঝিয়েছেন ধরতে পারছি না। যদি প্রাচীন বাংলা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে প্রথমত উল্লেখ করতে হয় যে প্রাচীন বাংলা উচ্চারণের কোন নিদর্শন রক্ষিত হয় নি। বাংলা উচ্চারণের নমুনা যতদিন ধরে সংরক্ষিত হচ্ছে ততদিনের মধ্যে বাংলা ভাষার উচ্চারণভঙ্গি এমন কিছু বদলেছে বলে জানা যায় না।

    তাছাড়া “original” উচ্চারণভঙ্গি থেকে দূরে সরে যাব বলে বানানকে আধুনিক গৃহীত উচ্চারণের সাথে সঙ্গতিশীল করা যাবে না- এটিই বা কেমন যুক্তি?

    স্বরধ্বনির হ্রস্বত্ব- দীর্ঘত্ব, ‘ণ ষ’ ইত্যাদির ব্যবহারে সবচেয়ে কড়াকড়ি তথাকথিত তৎসম শব্দগুলির বেলাতে আরোপ করা হয়ে থাকে। তাই আশঙ্কা হচ্ছে যে আপনি সংস্কৃত উচ্চারণভঙ্গিকেই বাংলা ভাষার “original” উচ্চারণভঙ্গি বলছেন কিনা। উনিশ শতকি পণ্ডিতি অপপ্রচারের প্রভাবে অনেকেই এখনও তা মনে করে থাকেন। পৃথিবীর সকল ভাষাভাষীরাই অপর যে কোন ভাষা থেকে শব্দ ধার নিলে আপন ভাষার ধ্বনি বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শব্দটির উচ্চারণ কিছুটা পরিবর্তন করে নেয়। বাঙালিরাও অপর যে কোন ভাষা থেকে সংগ্রহ করা শব্দের ক্ষেত্রে তা করে থাকে। কিন্তু একদল ‘বাঙালি’ পণ্ডিত মনে করেন যে সংস্কৃত থেকে শব্দ ধার নিলে তা করা যাবে না; সংস্কৃত উচ্চারণ-বানান-ব্যাকরণ হুবহু অনুসরণ করতে হবে। তার ফলে বাংলা ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক অদ্ভুত ‘একের ভিতরে দুই’। সংস্কৃতবাদী পণ্ডিতেরা বাঙালির বাকযন্ত্রের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, কিন্তু ছাপাখানা এবং প্রশাসন যন্ত্রের উপর তাদের যে কর্তৃত্ব ফোর্ট উইলিয়ামে শুরু হয়েছিল তা এখনও বলবৎ আছে। বাংলা বানান এবং ছাপা ব্যাকরণের উপরে চেপে বসে আছে বিকৃত সংস্কৃতের খবরদারি। ভারতবর্ষীয় ভাষা সমূহের প্রখ্যাত গবেষক এবং সংকলক গ্রিয়ারসন এসব দেখে-শুনে একশ বছর আগেই বাঙালি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন- “…he writes Sanskrit, and reads and talks another language…’ [Grierson, G.A (1968) *Linguistic Survey of India (Motilal Banarsidass, Delhi) Vol. V, Part- 1: 15-16]. পৃথিবীর আর কোন ভাষায়, অন্যায়-অত্যাচারের এমন দৃষ্টান্ত আর নেই। আমি এ কারণে অত্যন্ত লজ্জিত এবং দুঃখিত।

    উল্লেখ্য যে আঠার এবং উনিশ শতকে একধরনের ধর্মীয় পুনর্জাগরণের হিড়িক পড়েছিল। তার অপপ্রভাব বাংলা ভাষার উপরেও পড়ে। একদিকে টোলের পণ্ডিতেরা বাংলার সংস্কৃতায়ন শুরু করেন, আর অন্যদিকে মক্তবের মুন্সিরা শুরু করেন আরবি-ফার্সি শব্দ ঢোকাতে এবং শেষ পর্যন্ত আরবি হরফে বাংলা লিখতে। তবে, খুশির কথা যে পঞ্চাশের দশকে পূর্ব-বাংলার ভাষা আন্দোলন এবং পরিশেষে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের বেড়ি ভেঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার উপর মুন্সি অপপ্রভাবটি প্রায় সম্পূর্ণই দূর হয়েছে। কিন্তু, দুঃখের বিষয়, উনিশ শতকি পণ্ডিতি অপপ্রভাবগুলি এখনও বাংলার উপর জেঁকে বসে আছে। ‘তৎসমবাদের’ অপপ্রভাব থেকে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করার আন্দোলন গড়ে তোলাই আমাদের যুগ-দায়িত্ব বলে আমি বিশ্বাস করি।

    চিঠির উত্তর দেওয়ার স্বল্প পরিসরে উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে বিশদতর আলোচনা করা গেল না। এ বিষয়ে ‘বাঙালির মন বাঙালির ভাষা’ [শেখ মিজান (১৯৯৭), সুচারু, ঢাকা, প্রাপ্তিস্থান- ‘পড়ুয়া’, শাহাবাগ, ঢাকা; ‘অনন্যা’, নিউইয়র্ক] বইটিতে ‘বাংলা ভাষা সংস্কৃত বানান’ এবং সম্প্রদায়চেতনা, জাতিচেতনা এবং বাংলা ভাষা’ প্রবন্ধদুটিতে আমি আরও বিশদভাবে আলোচনা করেছি।

    প্রস্তাব করেছেন নোতুন প্রস্তাবিত পধতিতে ‘original’, বাংলা বানানের ‘one-to-one mapping’ হওয়া বাঞ্ছনীয়। হ্যাঁ, আমিও ‘one-to-one mapping’-এর পক্ষে; তবে, এক গোলমেলে বানান থেকে আর এক গোলমেলে বানানে নয়। আমাদের আবশ্যক ধ্বনি এবং বর্ণের ‘one-to-one mapping’.

    বলেছেন, ‘যুক্তিগ্রাহ্য’ শব্দটির প্রতিবর্ণিকরণের সময়ে সমস্যায় পড়েছেন। প্রশ্ন করেছেন, ‘য-ফলা’কে কি করে ইংরেজি বর্ণে প্রকাশ করা যাবে। খুবই সুন্দর একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। আপনি যদি আপনার প্রস্তাবিত ‘original’ বাংলা বানানের ‘one-to-one mapping’-এর নীতি অনুসরণ করতেন তাহলে কিন্তু কোন পদ্ধতিগত সমস্যা থাকত না। বানানটি হতো ‘Yuktigraahya’. আসলে মূল সংস্কৃত উচ্চারণটিই অমনই। ‘য-ফলা; প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃত ‘ইয়’ ধ্বনির নির্দেশক। ব্যুৎপত্তিগত ভাবে তুল্য ধ্বনিটি বাংলার বিভিন্ন শব্দে বিভিন্নভাবে বিরাজমান। কখন এটির উচ্চারণ ‘জ’ (যমুনা, যদি), কখনও ‘অ্যা’ (ব্যবসা, ব্যাকরণ), কখনও বা ‘এ’ (ব্যক্তি), ইত্যাদি। সুতরাং, সংস্কৃত বানান অনুসরণ করে উচ্চারণ বা লিপ্যন্তর করতে গেলে খটকা লাগবেই। দেখুন, শেষ পর্যন্ত কিন্তু আপনি বানানটি লিখেছেন ‘Juktigrajhjho’ হিশেবে। অর্থাৎ আপনার হিশেবেও আপনি ‘original’ বাংলা বানান নয়, বরং উচ্চারণকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। একই ব্যাপার আপনার চিঠিখানির অনেক বানানেই লক্ষ্য করা যায়, যেমন ‘সম্পাদক সমীপেষু’ বানানটি লিখেছেন ‘Shampadaak Shomipeshu’. অর্থাৎ আপনার সহজাত স্বভাব আপনার নীতিকে মানে নি।

    আমি আপনার স্বভাবের পক্ষে।

    ধন্যবাদ।

    শেখ মিজান

    শ্রী শেখ মিজান মহাশয়, সবিনয় নিবেদন:

    আপনার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমি এই ব্যাপারে একসময় একটু আধটু ভেবেছিলাম। আমারও স্বপ্ন ছিল একটা সম্পূর্ণ ‘phonetic’ বাংলা লেখার উপায়। কিন্তু আমি নিজে ভেবে যা করতে পেরেছিলাম তার থেকে আপনার ‘scheme’ টা অনেক উৎকৃষ্ট। এই প্রসঙ্গে আমি কয়েকটা কথা বলতে চাই:

    ১. এই যে একটা আলাদা বাংলা বর্ণ হতে পারে, সেটা আমি ইস্কুলে পড়াকালীন সুনীতি বাবুরই একটা ব্যাকরণ বইতে দেখেছিলাম।

    ২. ত-বর্গের চারটে অক্ষর, আ-এ আর স-এ যে “accent” লাগছে সেটা “type” করার সময় আমাদের সময় নষ্ট ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একটা সোজা সমাধান হল: X=x’। jEmon ei bAkkota likhTe AmAr khAniktA Sahoj mone hocche eboN parAr SubiDher jonno” double space”- o korTe hocche nA. আমার “suggestion” হল এই যে কেউ চাইলে ‘x’ লিখতে পারে অথবা X-ও লিখতে পারে।

    ৩. আরো দুটো “short-cut” বা “alias” কাজে দিতে পারে: f=ফ আর sh=s’=S। এতে কোন অসুবিধা দেখতে পাচ্ছি না।

    ৪. হ্রস্ব-ও’র প্রসঙ্গটা আমার কাছে একটু কঠিন ঠেকলো। আমি তো ‘ওতীত’ বলি, অতীত-ও না আর ওতীত-ও-অতীত’এর মাঝামাঝি-ও কিছু নয়। o’-টা বোধহয় না ব্যবহার করাই ভালো।

    ৫. একটা সমস্যা: bAkhArA (অর্থাৎ যে বাক হারিয়েছে) বানানটা একটু “ambiguous” হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা লিখতে পারি: bAk-hArA কিম্বা হয়ত একটা রেফ চিহ্নএর দরকার। আপনি কি বলেন?

    ৬. “E-mail” এ একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাঠানোর প্রস্তাবটা খুবই ভালো। এই “e-mail” এর বিবরণটা পড়লে দেখবেন যে আমি কয়েকটা পরিবর্তন করেছি। (ক) চ-বর্গের চারটে বর্ণর পর যে আপনি যে “hyphen” টা দিয়েছিলেন সেটা আমি মুছে দিয়েছি, কারণ “hyphen” টাকে কেউ চ-বর্গের পঞ্চম বর্ণ মনে করতে পারে। (খ) r’a-টা আমি ত-বর্গের “line” থেকে সরিয়ে অন্য র-এর সাথে দিয়েছি। (গ) ha আগে h ছিল। (ঘ) cand ‘rabind’ u বানানটি ঠিক করে দিয়েছি।

    - অংশুমান (গুহ)

    aguha@microsoft.com


    STANDARDIZED BANGLA PHONETIC ALPHABET

    We are trying to make e-mails in Bangla easier and consistent by adopting a phonetic scheme developed by Shekh Mijan and inspired by earlier work of Suniti Kumar Chatterjee. All the sounds in Bangla can be written distinctly, without ambiguity, using the keys in a standard English keyboard. The alphabet and the rules of spelling are presented here briefly.

    The Alphabet

    Vowels: (pronounce as in Bangla)

    a(all) a’(up) i(ink) u(fool)

    e(end) e’(at) o(go)

    Note the completely new vowel [e’]. The same symbol is used for the so-called long and short forms of the vowels. The compound vowels are written as oi and ou.

    The accent mark (‘) is at the top-left corner of the keyboard.

    Consonants: (pronounce as in Bangla)

    ka kha ga gha n’a

    ca cha ja jha

    ta tha da dha

    t’a t’ha d’a d’ha na

    pa pha ba bha ma

    ra r’a (sh) sa(s) ha

    ha’ (bis’arga)

    (cand’rabind’u. Put before the nasal vowel)

    The Rules:

    1. Spelling is strictly according to pronunciation

    2. Uppercase letters are not used anywhere.

    3. For clarity, double blank spaces are used between the words.

    Example:

    a’ma’der choto nod’I cale ba’ke ba’ke

    bois’a’kh ma’s’e t’a’rh atu jal t’hake

    pa’r hoe ja’e pa’r hae ga’r’I,

    d’ui d’ha’r ucu t’a’r dha;lu t’a’r pa’r’i


    অংশুমান গুহ সমীপেষু,

    আপনি যে, বাংলা বানান সমস্যার সমাধান নিয়ে লেখেন, ভাবেন এবং স্বপ্ন দেখেন তা আপনার চিঠিটি পড়লেই বোঝা যায়। আপনার এই গঠনমূলক বিশদ আলোচনার জন্য সশ্রদ্ধ অভিবাদন জানাই।

    আপনি আশংকা করেছেন যে ত-বর্গের চারটি বর্ণ এবং আ এবং শ (সেই সাথে বোধকরি অ্যা, ঙ, ড় এবং: -কেও বোঝাতে চেয়েছেন) এই বর্ণগুলির রোমান প্রতিরূপে ‘accent mark’-এর ব্যবহার (a’, e’, t’a, n’a, t’ha, d’a, d’ha, r’a, s’a এবং h’) সময় নষ্ট ও বিরক্তিকর কারণ হতে পারে। আপনি অমন প্রতিবর্ণের বিরোধিতা করেন নি। তবে, উপরোক্ত আশংকা থেকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, কেউ চাইলে এই ক্ষেত্রগুলিতে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর (যথাক্রমে A, E, Na, Ta, Tha, Da, Dha, Ra, Sa এবং H) ব্যবহার করতে পারে। একই প্রস্তাব শ্রী ধীমান বসুও দিয়েছেন। নি:সন্দেহে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব।

    একটি ভিন্নতর উদ্দেশ্যে বড় হাতের বর্ণগুলি ব্যবহারের কথা আমি ভেবেছিলাম। প্রস্তাবিত লিপি পদ্ধতিতে মহাপ্রাণ (খ, ঘ ইত্যাদি) ধ্বনিগুলির জন্যে ইংরেজি ‘h’ বর্ণটির সাহায্য নেওয়া হয়েছে (যথা খ=kha, ঘ=gha, ইত্যাদি)। বিকল্পে, একটি স্বল্পপ্রাণ ধ্বনি ছোট হাতের যে বর্ণটি দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে তার মহাপ্রাণ ধ্বনিটি বড় হাতের বর্ণটি দিয়ে প্রকাশ করা যেতে পারে (যথা ক, খ, গ, ঘ= k, K, g, G ইত্যাদি)। এমন ব্যবহার সাধারণ বোধের সাথেও সঙ্গতিশীল। তবুও চিন্তাটি পরে বাদ দিয়েছি। বড় হাতের বর্ণগুলি সাধারণভাবে বর্জনের পক্ষে আমার দুটি যৌক্তিক এবং অযৌক্তিক কারণ আছে- প্রথম কারণটি নান্দনিক। ইংরেজি লেখায় বড় হাতের বর্ণের যেমন ব্যবহার রয়েছে, অর্থাৎ বাক্যের প্রথম বর্ণে বা বিশেষ ধরণের শব্দের প্রথম বর্ণে, তা নান্দনিক ভাবে ইতিবাচক। কিন্তু, শব্দের মধ্যে যত্রতত্র বড় হাতের বর্ণের ব্যবহারে নয়। দীর্ঘ কালের বিবর্তনে ইংরেজি বড় এবং ছোট হাতের বর্ণগুলি যে বিশেষ রূপ গ্রহণ করেছে তাতে তাদের এলোপাথাড়ি সংমিশ্রণ সুন্দর দেখায় না। ছোট হাতে লেখা একটি শব্দের মাঝে যদি একটি বড় হাতের বর্ণ থাকে তাহলে যেন পুরো শব্দটির গাঁথুনিই নষ্ট হয়ে যায়। এই আপত্তি ‘accent mark’-এর ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রযোজ্য, তবে ততটা নয়। স্মরণ করা যেতে পারে যে ইউরোপীয় অনেক ভাষাতেই ‘accent mark’- সংযুক্ত বর্ণ রয়েছে, তবে চিহ্নটি বর্ণের পরে নয় বরং বর্ণের মাথায় ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে ওটি শব্দের গাঁথুনির উপরে কোন অপপ্রভাব ফেলে না। বাংলা লেখার জন্য যদি কোন কালে রোমীয় লিপির প্রচলন জনপ্রিয় হয় তাহলে ‘accent mark’-টি খুব সহজেই ডান পাশ থেকে তুলে এনে বর্ণের মাথায় বসিয়ে ‘accent mark’-সংযুক্ত হরফ তৈরি করা যাবে। কিন্তু এখন থেকে যদি আমরা বড় হাতের বর্ণ ব্যবহার করতে থাকি তাহলে ভবিষ্যতে এর রূপটি অত সহজে বদলানো যাবে না।

    ইংরেজি লেখায় বড় হাতের বর্ণ যদি একেবারেই ব্যবহৃত না হতো তাহলে সৌন্দর্যের কিছুটা হানি হতো। তবে, এতটুকু সৌন্দর্যের জন্য ২৬-টি ছাপা এবং ২৬-টি হাতের লেখার, মোট ৫২-টি বড় হাতের বর্ণ শেখা আমার ব্যক্তিগত বিচারে একেবারেই গ্রহণযোগ্য মনে হয় না। তাই ইংরেজির অনুকরণে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহারও সমর্থন করি না; ওদেরকে একেবারেই বাদ দিয়েছি।

    দ্বিতীয়- বড় হাতের বর্ণগুলি ব্যবহার করলে পাঠক অনেক সময় অভ্যাসের জড়তা বশতঃ ওই বর্ণগুলির স্বাভাবিক ইংরেজি ধ্বনি অনুসারে উচ্চারণ করে যেতে পারেন। অন্যদিকে ‘accent mark’ দেখলে পাঠক, বিশেষ করে নতুন পাঠক, সাথে সাথেই বুঝতে পারবেন যে ওটা একটি অ-ইংরেজি ধ্বনির নির্দেশক।

    তৃতীয়, অর্থাৎ অ-যৌক্তিক কারণটি এই যে, সুনীতিকুমার মহাশয়ের প্রস্তাবিত সর্বভারতীয় বর্ণমালার কাছাকাছি থাকতে চেয়েছি। তিনি তাঁর প্রস্তাবে বড় হাতের বর্ণ বর্জন করেছেন। আর আমি বিশেষ স্পষ্ট সুবিধা ছাড়া তাঁর প্রস্তাব থেকে সরে যেতে চাই নি।

    সচরাচর লেখকদের জন্য ‘accent mark’-এর বদলে ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরগুলি ব্যবহার করার বিশেষ এবং বোধকরি একমাত্র সুবিধা এই যে টাইপলেখনি বা কম্পিউটার ‘keyboard’-এ ‘accent mark’-এর বোতামটির তুলনায় ‘shift’- বোতামটির সাথে তাঁরা অধিক পরিচিত।

    এছাড়া, ‘HTML language’-এ অর্থাৎ ‘ইন্টারনেট’-এর জন্য লেখায় ‘accent mark’-এর জন্য ছয়টি বোতাম টিপতে হয়- `। অন্যদিকে, বড় হাতের বর্ণগুলি ব্যবহার করলে সে সমস্যা থাকে না।

    তবে, লক্ষণীয় উপরোক্ত দুটি সমস্যারই প্রকৃতি সাময়িক। সাধারণ লেখকগণ কিঞ্চিৎ অভ্যাস করলেই ‘accent mark’-এর বোতামটির সাথে সহজ হয়ে যাবেন। উপরন্তু, ‘shift’-বোতাম টিপে ধরে রেখে আর একটি বোতাম টিপতে যত সময় লাগে তার চেয়ে পর পর দুটি বোতাম টিপতে কম সময় লাগে। সুতরাং, প্রারম্ভিক বিরক্তি এবং অনুশীলনের শ্রমটি কাটিয়ে উঠে ‘accent mark’- বোতামটির সাথে পরিচিত হওয়ার পর সময় বরং আরও কম লাগবে। এবং সেটি একটি স্থায়ী সুবিধা।

    তেমনি আশা করা যেতে পারে HTML Language-এ অদূর ভবিষ্যতে ‘accent mark’-এর জন্য কোন সহজ পদ্ধতি উদ্ভাবিত হবে।

    উপরের ব্যাখাগুলি থেকে বলা যেতে পারে যে ‘accent mark’ ব্যবহারের অসুবিধাটি সাময়িক, কিন্তু সুবিধাটি স্থায়ী। খুবই কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো যে আপনি এবং ধীমান বসু দুজনের কেউই পদ্ধতি হিসেবে ‘accent mark’ ব্যবহার বাতিল করে দেন নি, বরং বিকল্প হিসেবে বড় হাতের বর্ণ ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন। আমারও মনে হয় সেটিই বোধ হয় সবচেয়ে ভাল। এতে করে একজন লেখক যতদিন ‘accent’- বোতামটির সাথে স্বচ্ছন্দ না হচ্ছেন, এবং যতদিন HTML Language-এ ‘accent mark’ প্রয়োগের সহজ উপায় বের না হচ্ছে, ততদিন বিকল্প হিসেবে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করা যায়। এরপর যখন পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হবে তখন লেখকেরা একটু কষ্ট করে ‘accent’- বোতামটির সাথে অভ্যস্ত হতে আপত্তি করবেন না এবং তখন মাথায় accent mark-এ সংযুক্ত হরফও তৈরী হতে পারে।

    অতএব, আমি সানন্দে আপনাদের দুজনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। এখন থেকে আমার প্রস্তাবের সাথে accent mark-সংযুক্ত বর্ণের বিকল্পে বড় হাতের বর্ণ ব্যবহারের কথাও লিখে দেবে। ‘ই-মেল’-এর সংক্ষিপ্ত বিবরণটিতেও লেখা যেতে পারে: Upper case letters may be used as a temporary alternative to using accented lower case letters (x’=X). However, accented lower case letters are preferable in consideration of aesthetic reasons and future development of the system. এই দ্বিতীয় বাক্যটি না লিখলে হয়ত বা দেখা যাবে অভ্যাসজনিত কারণে কেউই আর ‘acccent’- বোতামটির দিকে যাচ্ছেন না।

    আপনি বাংলা ‘ফ’ ধ্বনিটির জন্য ph-এর বিকল্পে f ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তেমনি ‘ভ’ ধ্বনিটির জন্য bh-এর বিকল্পে v ব্যবহারের কথাও চিন্তা করা যায়। কিন্তু, লক্ষণীয় ক-, -চ, -ট এবং ত- বর্গের তুল্য মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলির জন্য তেমন কিছু করা যাচ্ছে না। সমস্ত মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলিকে একটি সুসঙ্গত নিয়মের মাধ্যমে প্রকাশ করাটাই বোধ হয় ভাল। আরও লক্ষণীয় যে ইংরেজির f এবং v ওষ্ঠ বর্ণ নয়, এদেরকে বরং দন্ত্যেষ্ঠ বর্ণ বলা যেতে পারে। কিন্তু ph এবং bh যথার্থই ওষ্ঠবর্ণ। বোধকরি এসব কারণেই সুনীতিকুমার মহাশয়ও ‘ফ’ এবং ‘ভ’-এর জন্য f এবং v ব্যবহার করেন নি।

    ‘হ্রস্ব-ও’-এর প্রসঙ্গটি আমার কাছেও কঠিন। আমিও মনে করি বাংলা ভাষায় ‘ও’-ধ্বনি কার্যত একটিই। অবস্থান ভেদে উচ্চারণ দৈর্ঘ্যের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে, যেমনটি বাংলার অন্যান্য স্বরধ্বনির ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে। এ কারণে ভিন্ন একটি বর্ণ সৃষ্টি করার কোন যুক্তি নেই।

    ‘বাকহারা’ শব্দটি লেখার সমস্যাটি ঠিকই ধরেছেন। একই ধরনের সমস্যা আবহাওয়া, স্বাদহীন, বদহজম, ইত্যাদি বেশ কিছু ক্ষেত্রেই ঘটবে। এ বিষয়ে আপনার সমাধানটিই যথেষ্ট বলে মনে হয়। এটির জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

    ‘ই-মেল’-এর সংক্ষিপ্ত বিবরণটির বিষয়ে আপনি যে সংশোধনীগুলি এনেছেন তার জন্যও ধন্যবাদ। তবে, মজার ব্যাপার, আপনার cand’rabind’u বানানটিও ঠিক করতে হবে- ওটি হবে cand’robind’u।

    আপনার বিশদ আলোচনার জন্য আবারও একরাশ ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।

    বিনীত-

    শেখ মিজান


    এই পত্রিকার LYNX-এর মত Text-based browser ব্যবহার করা যায় এমন version নেই কেন?

    S.B Chatterjee

    Calcutta

    সম্পাদক: LYNX-ই যাঁদের একমাত্র সহায় তাঁদের জন্য আলাদা একটি Text Version রাখা আমাদের সীমিত ক্ষমতায় সম্ভব হচ্ছে না।


    …. এ পরবাসে রবে কে…. Its like a fresh air in our parabaas. Or may I say parabaas is like ‘andhajaner alo’, mritajaner pran. Please try and give an option of downloading the articles so that we can go thru them as often as we like

    ভালোবাসা নিন

    জয় ঘোষ joyghosh@cheerful.com


    প্রিয় সম্পাদক,

    শব্দ-শিকার ব্যাপারটা electronically করলে ভাল হয়। মানে ওটা একটা HTML form-এর মাধ্যমে সহজেই করা যেতে পারে। এতে করে যেকেউ submit button টিপে তৎক্ষণাৎ তার score জানতে পারবে।

    প্রীতম ব্যানার্জী
    pritban@wipsys.soft.net


    প্রবাসে -তে ‘পরবাস’ আমাদের জীবনের সাথী। Winter Magazine খুব ভালো লাগলো। শুরু থেকে পরবাস যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে সকলের যে প্রচেষ্টা- সকলকে জানাই অভিনন্দন।

    পরবাসের একটি section আমার মনে হয় খুবই প্রয়োজন, সেটি হল- প্রত্যেক সংখ্যায়- সেই সময় West Bengal / Calcutta-র main event- গুলো highlight করে দেওয়া যায় তাহলে এক ঝলকে সকলের জানতে খুবই সুবিধা হবে।

    ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখবেন।

    নমস্কারান্তে,

    স্বরূপ রায়
    নিউ জার্সি


    বাংলা পত্রিকার এই উদ্যোগ আমাকে এবং আমাদের বন্ধুদের অভিভূত করেছে। আমি একজন কলকাতার বন্ধু।

    শমীক

    samnat@hotmail.com


    আমার কাছে মনে হয়েছে যে সমীর ভট্টাচার্যের লেখা বহড়ুর লৌকিক দেবতা লেখাটা একটি অনন্যসাধারণ লেখা। এই লেখাটা যদি কোন archeological museum-এ পাঠানো যায় তো খুব ভালো হয়। এ ব্যাপারে Dick Eaton (University of Arizona-Phoenix)-কে উৎসাহিত করা যেতে পারে। আপনাদের তো বহু ছাত্র-ছাত্রী চেনা আছে, তাদের কাউকে দিয়ে এটাকে একটু প্রচার করুন না।

    ধন্যবাদান্তে

    Sbose@prismsolutions.com


    সুনীল গাঙ্গুলীর লেখা থেকে জানতে পারলাম পত্রিকাটির নাম। বড় ভালো লাগলো। সহস্র সাধুবাদ আপনাদের প্রাপ্য। শুধু একটা কথা- পরবাস নাম কেন? এই পত্রিকা কি শুধু পরবাসী বাঙালীদের জন্যেই? আমরা কলকাতার লোকেরা যদি এই পত্রিকা পড়ি, সেটা অনধিকার চর্চা হয়ে যাবে কি?

    বাসুদেব গুপ্ত
    basudeb@giasc101.vsnl.net.in

    সম্পাদক: দুটো প্রশ্নের উত্তরই হচ্ছে, ‘না’। এ পরবাস-এ সবাই স্বাগত। পড়তে, এবং লিখতে। নাম এরকম কেন হল তা বলা আছে প্রথম সংখ্যায়।


    আপনাদের Net magazine দেখলাম। বেশ ভালো লাগলো। এর কথা এবারের দেশ পত্রিকায় (21st February) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা থেকে জানলাম।

    নমস্কারান্তে

    স্বপন কুমার পাত্র


    আমি অপেক্ষা করেছিলাম সমাধানটা প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত, গত ক্রসওয়ার্ডে আরেকটা ভুল ছিল।

    ১৯ নীচে: যে ভদ্রলোকের গলিতে সিন্দু-বারোঁয়ার সুর (পিলু বারোঁয়া নয়)

    - অংশুমান গুহ
    aguha@microsoft.com

    সোডাজল বলছেন: আবার বুল্‌স আই। পরবাস সম্পাদকের কাছে আমরা দাবী করছি অংশুমান গুহকেই শব্দশিকারের পুরস্কার দেওয়া হোক।

    সম্পাদক: এই দাবীর কাছে সম্পাদক সানন্দে নতি স্বীকার করছে। অংশুমানবাবুর সঙ্গে আধানডাক মারফৎ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে।


    Of late, I had been involved in the exercise of a roll-your-own filter to generate the Bengali words from Roman representation (exactly the way it is written, not spoken). This was possible only after I found quite a number of free True Type fonts on the web.

    Since I believed, that it may not be a good proposal to start with as-it-is-spoken inputs. I did not waste time to start with the as-it-is-written kind. I started with ‘AdarsaLipi’ family of fonts. I found this at the ‘www.bengali.org’ website. I also downloaded another better font ‘ThemaTechBONG” form ‘www.westbengal.com’.

    I had written a rudimentary version of the filter in C language. I have been using this to send letters to my friends. The filter can use any Bengali script. Since the alphabet mapping from Roman to that Script is not hardcoded in the program. The program rather reads this mapping from a plain text file (with a fixed format), which can be edited and added by the user. I have maintained two files, one for the Bengali script which are available readily (including juktakkhar) from the font file, and the other are customised as a combinations of more than one Bengali alphabet or sub-alphabet.

    But since there is an absence of standardisation amongst the different True Type font files in terms of their alphabet values. One has to maintain different mapping files peculiar to that font file except a short uniform sequence (e.g. the numerals).

    My question is, do we have or going to have a charter on this value assignments. Please tell me the source.

    My request is, please use some readily available free Bengali fonts in this culturally rich webzine., to give it proper clarity. Since this webzine is free, please also start a pdf version, which can be readily downloaded and we can get sharp and impressive printouts. Finally, please feel free to tell me, if in any way I can be of help to you with my limited technical knowledge.

    Wish you a sharp and impressive future.

    Thank you for your time.

    With warm regards,

    Subrata Majumdar
    subrata_m@yahoo.com

    সম্পাদক: টেকনিকাল সাহায্য আমাদের প্রয়োজন। পরবাসের আঙ্গিক আরো ভালো করার জন্য এমন কোন উপায় যদি থাকে যা আমরা পত্রিকা প্রকাশের ধারা অব্যাহত রেখে গ্রহণ করত পারি তাহলে তা অবশ্যই করা হবে। আপনার সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে রইলো।


    It is difficult to navigate around, particularly to get from any page in the current issue to previous issues.

    How about a cartoon section?

    1. other interesting Bengali literature related sites.

    2. other cyber galleries displaying Bengali artists’ works.

    3. other selected sites carrying news items on Bengal.

    This page could be updated / modified in every new issue.

    This would help us (readers of Parabaas) use Parabaas as a launch pad for other sites, and hopefully, readers of other sites to reciprocate and visit Parabaas.

    Arunabha Guha
    aguha@att.com

    সম্পাদক: ব্যঙ্গচিত্র বিভাগে আমরা উৎসুক। এই বিষয়ে আমরা আঁকা ও লেখা পেলে খুশি হব। অন্যান্য মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। লক্ষ্য করে দেখবেন এর কিছু কিছু ইতিমধ্যেই এই সংখ্যাতেই চালু করা হয়েছে। এ ব্যাপারেও আরও সহযোগিতা ও মন্তব্য আশা কছি সকলের কাছ থেকে।


    আপনাদের পত্রিকা পড়ে খুব ভালো লাগলো। যাদের পরিকল্পনায় এই পত্রিকা আমাদের উপহার দিলেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পত্রটি আমার বাংলায় লেখা উচিত ছিল, কিন্তু আমার কাছে যা font আছে আমি তাতে সড়গড় নই তাই এই হাঁসজারু করতে হল। পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করি।

    প্রদীপ্ত কুমার দাস
    rabi@anp.saha.ernet.in

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments