আরেক দ্রাঘিমার দাবি
চেষ্টা করেও একটা ধর্মতলা লেখা যায় নি,
লেখা যায় নি নাম পরিবর্তনের ঋতু,
অনবরত হাওয়া বাতাস আর অদৃষ্টের দ্রাঘিমারেখা
ভর করে যেভাবে নাড়া বাঁধে বুভুক্ষু ওস্তাদ
তার সামনে দাঁড়িয়ে হাজার চেষ্টাতেও ঝুঁকে
যায় নি আমাদের উঁচু বাড়ি, অথচ ঘাম ছোঁয় জানলা কপাট,
ফেলে আসা ঠাকুর দালান।
এখন চোরা রোদ্দুর উঠলেও চোখের সামনে সমাপতন
লিখছে নিরামিষ সব্জির পাঁচ মিশালি।
এরপর ঘাড় কাত করে করে যদি কোন ডালপালা
জানলা ও সৌন্দর্য বোধের পাঠশালায় ব্ল্যাকবোর্ড খোঁজে
সেই ভাবনাতেই পেরিয়ে যাচ্ছে এই শ্যাওলার অলিগলি।
প্রতিদিনের যাপন চিত্র
লাভক্ষতির বারোমাস্যা থেকেই প্রতিদিনের যাপন চিত্র।
জুতো ও সুকতলার মাঝেই লুকিয়ে থাকা মুখ খোঁজে
গাছের নিচে বসে থাকা জুতো সারায়ের ঐতিহ্য কাকু।
পাশ ফিরে শোওয়ার জায়গাতেই নতুন পাশ বালিশ।
আমাদের জায়গা এখন তিন ইঞ্চিরও কম।
এর মাঝে বাঁচতে পারলেও ভুলে যাওয়া এখন একটা শিল্পরূপ।
যদি অধিকার বোধ হামলে পড়ে দেখা যাবে রাত
থেকে ভোর অবধি ছুটে চলা সময়ও জানবে যে যতই
কড়াই চেবাক এখন বেঁচে থাকা মানে ধুলোবালি ও
হাড় মাংস ভেঙে কয়েকটা পা কয়েক বছর মাত্র চলা ।