• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৯৫ | জুলাই ২০২৪ | ছোটদের পরবাস | গল্প
    Share
  • হাওয়াই দ্বীপে বাঘুদা : পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়



    ‘অক্টোপাস, কী তোমার রঙের বাহার

    তুমি যেন ক্যামেরার মনের আহার।’

    সকাল সকাল কবিশেখর বিশ্বেশ্বর গাঙ্গুলির পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে, এই বিতিকিচ্ছিরি কবিতা পড়ে মাথাটা গরম হওয়ার বদলে মনটা খুশিতে ভরে উঠল। না, মাথা আমার ঠিকই আছে।

    কারণ আমার মাসতুতো দাদা বিশ্বেশ্বর গাঙ্গুলি তো শুধু কবি নয়, ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার এবং বাঘ বিশেষজ্ঞ হিসেব তার খ্যাতি তো বিশ্ব জোড়া। এত ক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছ যে আমি বাঘুদার কথা বলছি। পরবাস ৮৮’ সংখ্যায়

    ‘বাঘের বন্ধু ভাদাই থারু’, গল্পে বাঘুদার সঙ্গে তোমাদের তো পরিচয় হয়েই গেছে। তবু যদি কেউ কেউ ভুলে গিয়ে থাকো, তাদের জন্য বাঘুদার পরিচয়টা আর একবার দেওয়া যাক।

    বিশ্বেশ্বর গাঙ্গুলি নামটা কাব্য মহলে পরিচিত হলেও, ব্যাঘ্রপ্রীতির জন্য দেশে বিদেশে বিশুদার বন্ধুরা ওকে বাঘু নামেই ডাকে। বাঘ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সারা বিশ্বে খ্যাতি বাঘুদার; তবে অন্যান্য বন্যপ্রাণী সম্বন্ধেও উৎসাহ এবং পড়াশোনা কিছু কম নয়। বাঘুদা এখন মেতেছে আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফি নিয়ে, গত সপ্তাহ থেকে সে হাওয়াই দ্বীপে ঘাঁটি গেড়ে অক্টোপাসের ছবি তুলে বেড়াচ্ছে। সমুদ্রের নীচে অনেক ভিডিয়োগ্রাফারই ধাতব বার লাগানো খাঁচার ভিতরে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে ছবি তুলতে নামে, যেটাকে আমরা কেজ ডাইভিং বলে জানি। হাঙর বা তিমির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতেই এই কেজ ডাইভিং বেছে নেওয়া। তবে ওসব ভীতু লোকেদের জন্য। বাঘুদা বলে, বাঘের দেশের লোকেদের ওসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। খাঁচায় ঢুকে জলের নীচে নামা মানে স্কুবা ডাইভিঙের মজা মাঠে মারা যাওয়া, আর ডুবুরির পোশাকে থাকা মানুষকে হাঙর, তিমি আক্রমণ করার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। উত্যক্ত না করলে ওরা শুধু শুধু মানুষকে আক্রমণ করে না।

    আমার বাবা অত সাহস নেই। বাঘুদা তো আমাকে এ বার হাওয়াই দ্বীপে নিয়ে যেতে চেয়েছিল, সমুদ্রের নীচে তিমি, হাঙর, অক্টোপাসের সঙ্গে সাঁতার কাটতে হবে ভেবেই আমার কেমন শরীরটা খারাপ হয়ে গেল। তবে পরের বার আমি ঠিক যাব, ভয়টা ঝেড়ে ফেলতেই হবে, নয়তো বাঘুদার অ্যাসিস্ট্যান্ট হব কী করে! দেখো ধান ভাঙতে শিবের গীত গেয়ে চলেছি, মন খুশিতে ভরে ওঠার কারণটা বলা হয়নি। বাঘুদার পাঠানো কিম্ভূত কবিতার সঙ্গে ছিল অদ্ভুত সুন্দর রংবেরঙের অক্টোপাসের গোটা দশেক ছবি। ছবি দেখেই বিদঘুটে কবিতার মানে আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছিল।

    এতগুলো সুন্দর অক্টোপাসের ছবি পাঠানোর জন্য আমি বাঘুদাকে ভিডিয়ো কল করে ধন্যবাদ জানাতেই, বাঘুদা বলল “শোন বোঁচা, ওটা একটাই অক্টোপাসের ছবি।” আমি তো অতটাও বোকা নই, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি একটা অক্টোপাসের ছবির রঙের সঙ্গে অপরটার রঙের কোনও মিল নেই, কিছুতেই ওই খান দশেক ছবি একটাই অক্টোপাসের হতে পারে না। আমি সে কথা বলতেই, বাঘুদা ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলল। এই বিশেষ প্রজাতির অক্টোপাসের নাম হল ‘ডে’, অক্টোপাস। অনেকে বলে ‘বিগ ব্লু’, অক্টোপাস। এই অক্টোপাসের ত্বকের তলায় রং পরিবর্তন করার জন্য ‘ক্রোমাটোফোর’, নামক সহস্রাধিক কোষ থাকে, এরা চোখের পলক পড়ার আগে নিজেদের রং পাল্টে ফেলে; তাই প্রকৃতির নিজস্ব অনবদ্য ক্যানভাস এই অক্টোপাসের দু’টো অভিন্ন রঙের ছবি তোলা কখনও সম্ভব নয়। বাঘুদার কথা শুনে রহস্যটা বুঝতে পারলাম। ‘ডে’, অক্টোপাসের আর একটা বিশেষত্ব হল, বেশিরভাগ প্রজাতির অক্টোপাসেরা রাতে শিকার করলেও, এরা শিকার ধরে দিনের বেলা। লোহিত সাগর, পূর্ব আফ্রিকার উপকূল, মাদাগাস্কার, এশিয়া, ওশেনিয়া থেকে হাওয়াই অবধি গ্রীঁষ্মমণ্ডলীয় সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীর অঞ্চল হচ্ছে, প্রায় তিন ফুট লম্বা এই অক্টোপাসের বিচরণভূমি, থুড়ি, বিচরণ সাগর। ‘ডে’, অক্টোপাসের আয়ু কিন্তু মাত্র এক বছর এবং এরা জীবনে একবারই প্রজনন করে। এই অক্টোপাসের শিকারের মধ্যে প্রধান হল কাঁকড়া, ঝিনুক এবং ছোট মাছ।

    বাঘুদার আর একটা কথা শুনে আমি খুব অবাক হয়েছি বুঝলে, সমস্ত প্রজাতির অক্টোপাসদের মোট ন’টা ব্রেন বা মস্তিষ্ক থাকে। এদের আটটা হাত বা শুঁড়ের প্রত্যেকটায় একটা করে ছোট মস্তিষ্ক থাকে, শরীরের কেন্দ্রে থাকে অপর এবং প্রধান মস্তিষ্কটি। আটটি শুঁড়ের মস্তিষ্করা প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে সাধারণ কাজ করতে সক্ষম, আবার কেন্দ্রীয় মস্তিষ্কের নির্দেশ পেলে সকলে একযোগে কাজ করতে পারে। ভাবতে পারছো ব্যাপারটা? আমাদের যেখানে একটা মস্তিষ্কর সাহায্যে সব কাজ সারতে হয়, তখন অক্টোপাসকুলের সকলে ন’টা মস্তিষ্কর মালিক। স্বভাবতই এরা বেশ বুদ্ধিমান প্রাণী। জীববিজ্ঞানীদের মতে, অক্টোপাস একটা ল্যাব্রেডর রিট্রিভার কুকুরের সমান বুদ্ধি ধরে।

    বাঘুদা কিন্তু হাওয়াইতে শুধু অক্টোপাসের ছবি তুলতে যায়নি। একটা আন্তর্জাতিক সেমিনারে, সমুদ্রে অতিরিক্ত মাছ ধরার বিপদ নিয়ে বক্তৃতাও দেবে। বক্তৃতা ব্যাপারটা আমার আবার বড্ড ভজঘট লাগে, তবে বাঘুদার মুখে যতটুকু শুনেছি, সেটা একটু সংক্ষেপে তোমাদের বলে রাখি। পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধির ফলে, মাছের চাহিদা বেড়ে গেছে ভীষণ ভাবে। সমুদ্রের মতো প্রাকৃতিক আধার থেকে সারা বিশ্বে বাৎসরিক মাছ ধরার সংখ্যাটা এখন ১.১-২.২ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খোলা সমুদ্রে ধরা মাছের পরিমাণকে ছাপিয়ে গেছে সি ফার্মিং থেকে মাছের উৎপাদন। তাতে বিপদ আরো বেড়েছে।

    সামুদ্রিক খামার বা ভেড়িতে চাষ হওয়া মাছের মধ্যে স্যামন, ট্রাউট, টুনা প্রভৃতি মাংসাশী মাছই প্রধান আর এইসব মাছের খাবার হিসেবে পরিণত হচ্ছে প্রাকৃতিক আধার থেকে ধরা বিপুল সংখ্যক মাছের সিংহভাগ।

    খোলা সমুদ্র থেকে ধরা মাছের অর্ধেকই চুনো মাছ। সেই মাছ গুঁড়ো বা কেক অবস্থায় ফিশ মিলে রূপান্তরিত হয়ে চলে যাচ্ছে মৎস্য খামারে।

    তবে শুধু মৎস্য খামারে নয়, পশু খামারে মুর্গি, শূকরের খাবার হিসেবেও এর ব্যবহার হচ্ছে। যেহেতু এই ফিশ মিল সস্তা, সেহেতু এর ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপক হারে।

    সমুদ্র থেকে ধরা মাছ সরাসরি মানুষের পাতে পড়লে নাকি প্রাকৃতিক মাছ বা ওয়াইল্ড ফিশ শিকারের উপর চাপ কমে যেত। এইভাবে মাছ ধরতে থাকলে মাছের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীরাও বিপন্ন হয়ে পড়বে, তাদের বহু প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ব্যাপারটা বেশ জটিল, তোমাদের কতটা বুঝিয়ে বলতে পারলাম সেটা জানি না। তোমরা নিজেরাই একটু পড়াশোনা করে দেখতে পারো, জলের তলার জগৎ তো কম রোমাঞ্চকর নয়।

    যাই হোক, তোমাদের বাঘুদার আর একটা অভিযানের গল্প বলে আজ শেষ করব।

    কিছুদিন আগে বাঘুদা গিয়েছিল আফ্রিকার সাভানা অরণ্য অঞ্চলে হাতিদের উপর একটা ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানানোর কাজে। সাভানা থেকে ফিরেই পরের দিন বাঘুদা এসেছিল আমাদের বাড়িতে, তার গা দিয়ে তখনও বুনো হাতির গন্ধ বেরোচ্ছে। আমার মা অবশ্য বললেন, বিশুটা ছোটবেলা থেকেই জংলী, ঠিকমতো চান করেনি বলে গা থেকে বোঁটকা গন্ধ ছাড়ছে আর সেটা সাভানার হাতির গন্ধ বলে চালাতে চাইছে। তারপর ধাক্কা দিয়ে বাঘুদাকে চানে পাঠিয়ে বললেন, “ভালো করে সাবান মেখে চান করবি, নয়তো আমি তোকে ছোটবেলার মতো সাবান মাখিয়ে ঝামা দিয়ে পরিষ্কার করব।”

    সেই ভয়েই বোধহয় বাঘুদা যখন ঘণ্টা খানেক বাদে বাথরুম থেকে বেরিয়ে, আমার বাবার পায়জামা পাঞ্জাবি পরে এসে সোফায় গা এলিয়ে দিল,

    তখন তার গা থেকে ফুরফুরে সাবানের গন্ধ বেরোচ্ছে, সাভানার হাতির গন্ধ টোটালি ভ্যানিশ। মা, ততক্ষণে ওর জামাকাপড় সব ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবার বাঘুদা জঙ্গল থেকে ফিরলে এই রুটিন বাঁধা, বাঘুদা তার মাসি-মেসোর মানে আমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসবে, কয়েকদিন আমাদের ঢাকুরিয়ার বাড়িতে থেকে, ভদ্রস্থ হয়ে নিজেদের যাদবপুরের বাড়িতে ফিরে যাবে। আমার নাকটা খুবই সামান্য পরিমাণে চাপা হওয়ায়, সেই ক’টা দিন আমাকে ‘বোঁচা’ বলে ডেকে ডেকে মাথা খারাপ করে দেবে। ‘স্বর্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়’, বলে আমার যে সুন্দর একটা নাম আছে সেটা তো বটেই এমনকি আমার ডাকনাম যে ‘সোনা’, সেটাও ভুলিয়ে ছাড়বে। যাক গে, আমিও তাই সুযোগ পেয়ে, বাঘুদার চান ফাঁকি মেরে, সাভানার হাতিদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর গল্পটা তোমাদের বলে দিলাম।

    সাভানায় বাঘুদার বানানো ডকুমেন্টারির গল্পটা পরে একদিন বলব।

    সাভানার হাতিদের নিয়ে বাঘুদা সেদিন একটা অন্য গবেষণার গল্প বলেছিল, সেটাই বরং আজ শোনা যাক। বাঘুদা ‘নেচার ইকোলজি & ইভলিউশন’ জার্নালে প্রকাশিত একটা গবেষণাপত্র থেকে পড়ে শোনাচ্ছিল--সাভানার হাতিরা নাকি একে অপরকে নাম ধরে ডাকে। শুনে তো আমি তাজ্জব।

    তোমরা তো জানো, হাতিরা দলবদ্ধ জীব। সাভানার হাতির পাল যখন নিজেদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে শব্দ করে, তখন তার মধ্যে নামও থাকে। নিচু স্বরে অথচ লম্বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এই শব্দ হাতিরা অনেক দূর থেকেও শুনতে পায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, যখন কোনও হাতি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন তাকে নাম ধরে ডেকে দলে ফেরানো হয়। বন্যপ্রাণীদের মধ্যে একে অপরকে নাম ধরে ডাকার ঘটনা অতি বিরল শ্রেণিতে পড়ে। পোষা কুকুরকে অবশ্য নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিতে দেখা যায়, তবে সেটা পরস্পরকে নাম ধরে ডাকার মধ্যে বোধহয় ফেলা চলে না।

    ডলফিন শিশুদের নাম থাকে, নির্দিষ্ট শিস দিয়ে একে অপরকে ডাকতে পারে। তোতা পাখিরও সেই ক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়। যেসব প্রাণী নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয়, তাদের সারা জীবন নতুন নতুন শব্দ শেখার ক্ষমতা রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে সেই শব্দ তারা উচ্চারণ করতে পারে। পোষা পাখিদের ক্ষেত্রে, সেরকম ক্ষমতা আমরা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছি।

    ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভলিউশন’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের

    গবেষকরা কেনিয়ার ‘সাম্বুরু’ ন্যাশনাল রিজার্ভ এবং ‘আম্বোসেলি’ ন্যাশনাল পার্কে থাকা সাভানা অরণ্যের হাতিদের ডাক রেকর্ড করে, তারপর যন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে হাতিদের মধ্যে নামের ব্যবহারের বিষয়টা শনাক্ত করতে পেরেছেন।

    কোনও হাতি নির্দিষ্ট কোন্‌ হাতিকে ডাকছে বোঝার জন্য গবেষকরা জিপে করে হাতির দলকে অনুসরণ করে ভিডিয়োগ্রাফি করেছেন। যেমন ধরো মা হাতি তার বাচ্চাকে ডাকছে বা দলের প্রধান হস্তিনী (হাতির পাল দলনেত্রীর আজ্ঞা মেনে চলে) অন্য কোনও সদস্যকে ডাকছে। হাতির ডাকের আবার একটা সুন্দর প্রতিশব্দ আছে। হাতির ডাককে যে ‘বৃংহণ’ বলে সেটা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ।

    গবেষকরা কমপিউটারের সাহায্যে হাতির ডাক বিশ্লেষণ করে ২৮ শতাংশ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন্‌ হাতিকে ডাকা হচ্ছে সেটা বুঝতে পেরেছেন। এ ক্ষেত্রে ডাকার সময় হাতি নাম ব্যবহার করেছে বলে গবেষকরা ধরে নিয়েছেন।

    গবেষক দলের সদস্য, কর্নেল ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানী মিকি পারডো বলেন “ঠিক মানুষের মতো হাতিও নাম ব্যবহার করে। তবে বেশিরভাগ শব্দ করার সময় তারা নাম ব্যবহার করে না।”

    “অর্থাৎ বুঝতেই পারছিস বোঁচা, কখন নাম ব্যবহার করার দরকার আছে, সেটা এই হাতিরা খুব ভালভাবে জানে। আমাকে অনেক বকিয়েছিস, এখন যা এক কাপ কড়া ব্ল্যাক কফি করে আন। দেখি তুই কফি কী করে করতে হয়, সেটা ভালভাবে জানিস কি না।”

    কফি নিয়ে এসে দেখি, বাঘুদা ল্যাপটপ খুলে ভিডিয়ো কনফারেন্সে ওয়াইল্ড অ্যান্ড অ্যানিম্যাল চ্যানেলকে সুন্দরবনের বাঘেদের সমস্যা নিয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছে, বুঝলাম বাঘুদা তার নিজের জগতে ফিরে এসেছে।



    অলংকরণ (Artwork) : আন্তর্জাল থেকে
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments