এই সংখ্যার প্রায় ৭০টি নতুন লেখা ও ছবি যোগ হল পরবাসের সাতাশ বছর ধরে গড়ে ওঠা আর্কাইভে। নতুন নতুন সংখ্যা, বই, ও বিশেষ বিভাগগুলির লেখা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিশাল আর্কাইভের পুরোনো লেখাগুলিকে ক্রমশ বর্তমান ডিজাইনের নতুন সজ্জায় রূপান্তরের কাজটিও করে চলেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য লেখাগুলিকে আধুনিক সন্ধানীযন্ত্রের নিশানায় নিয়ে আসা।
পরবাসের প্রথম ২৫টি সংখ্যাতে বাংলা হরফকে ছবির মাধ্যমে হাজির করা হয়েছিল; কাজেই সেগুলিকে আবার (ইউনিকোডে) টাইপ করতে হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ (এবং স্বীকার করা যাক, অনেক সময়েই ক্লান্তিকর) কাজের একটা অযাচিত পুরস্কার আছে--টের পাওয়া যায় আন্তর্জাল-প্রযুক্তির নিরিখে কতটা অগ্রসর হয়েছি আমরা! এক প্রজন্ম আগে আন্তর্জালের বাংলা অক্ষরের ও ভাষার উপস্থিতি বিষয়ে যেরকম চিন্তাভাবনা প্রচলিত ছিল নতুন প্রজন্ম তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারবে না। কাজেই পরবাসের লেখা ও তার উপরে যেসব চিঠি এসেছিল সেগুলিও বর্তমানে সাধারণ পাঠক শুধু নয়, অনেক সমাজবিজ্ঞানীর কাছেও আকর্ষণীয় হবে।
ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত অনেক লেখা, বিশেষ করে যা এখন বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলিকে এই মুহূর্তে আবার টাইপ করা হচ্ছে না (পরে করা যাবে)। অবশ্য এখনই পুরোনো সজ্জায় ও ডিজাইনে প্রকাশিত সব সংখ্যার লেখা তাদের আদি রূপেই সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ও যাবে। কোনো লেখায় উল্লেখ করা তামাদি হয়ে যাওয়া আন্তর্স্থলের ঠিকানা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হচ্ছে/হবে যাতে তা 'ভুল' জায়গায় পাঠককে না নিয়ে যায়। আপাতত প্রথম চারটি সংখ্যা নতুন সাজে দেখতে পাবেন, পরবর্তী সংখ্যাগুলিও ক্রমাগতই যুক্ত হবে। এ-বিষয়ে আপনাদের কোনো মন্তব্য থাকলে চিঠিতে জানাবেন অবশ্যই।
আমরা আজকাল দপ্তরে আসা চিঠি, যদি মনোনীত হয় (আমাদের ধারণা অমনোনীত চিঠির প্রেরকেরা জানেন-ই কেন মনোনীত হয়নি), তো দু-এক দিনের মধ্যেই প্রকাশ করি। কাজেই কোনো লেখার উপরে কম-বেশি 'তাৎক্ষণিক' আলোচনা পরবাসেই হতে পারে যা সাধারণ পাঠকের কাছেও, আজ অথবা এক যুগ বাদে, সারগর্ভ ও আকর্ষণীয় মনে হবে। সেরকম চিঠি-ই আমরা বেশি চাই।
হিন্দীভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিক নির্মল ভার্মার উপন্যাস 'অন্তিম অরণ্য'-এর বাংলা অনুবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ শুরু হল এই সংখ্যাতে। অনুবাদক ছন্দা বিউট্রা। ছোটদের পরবাস বিভাগে ছন্দার একটি লেখা আছে--তাতে যে প্রচলিত ছড়া আছে, তার আঞ্চলিক রূপভেদ থাকতে পারে, সেগুলি আপনারা জানালে ভালো হয়। (আশা করি 'বড়ো'রাও 'ছোটদের পরবাস'-এর লেখা পড়েন।)