• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৪ | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ | রম্যরচনা
    Share
  • স্মৃতি তুমি বেদনার : অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়

    There are things which the survivors are never told. And the survivors have a steadily deepening suspicion that it is precisely because of things incapable of communication that the deceased has chosen death.

    The Silent Cry
    Oe Kenzaburo (Nobel, 1994)

    যাকে বলা হচ্ছে গ্লোবাল ভিলেজ দেখা যাচ্ছে ক্রমে তারও কিছু নিজস্ব নিয়ম তৈরী হয়েছে। সভ্যতা তার এই গ্রাম্য উত্থানে যে সাংস্কৃতিক অবয়ব ধারণ করতে চায় তার ভিত্তি যেন হতে চলেছে কিছু বদ্ধমূল, গোষ্ঠীকেন্দ্রিক বিশেষত্বের তালিকা। যা কিছু এই তালিকায় স্থান পেল তা হয়তো কিছু দিন টিকে যাবে যতদিন না সংস্কৃতি আর সভ্যতা কোনো নতুন নাড়া দেওয়া সংজ্ঞায় উপনীত না হয়। তার বাইরে যা কিছু, হোক না তা বহু শতাব্দীর বহু মানুষের বড় আদরের, গর্বের, সংবেদনার সম্পদ, তার ঠাঁই এই সোনার তরীতে নেই। মনে হয় যে কোন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির যে অপরিসীম বৈচিত্র আর তার মধ্যে মিশে আছে যে গভীর আনন্দ বেদনায় আহৃত সম্পদ, খোলা মনে তার খোঁজ রাখতে এ পৃথিবীকে এক নতুন সভ্যতায় দীক্ষিত হতে হবে।

    সুন্দরবনের মধুকর লঞ্চে মেমসাহেব আমায় জিজ্ঞেস করেছিল “এই গানটা তোমরা নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে গাও, না? সঙ্গে যে নাচটা নাচো তাও আমি ভিডিও ক্যাসেটে দেখেছি।” মুখ তার বহু সাধনায় অর্জিত জ্ঞানের গর্বে প্রসন্ন। বিদেশীবহুল সেই বজরায় তখন চালিয়ে দেওয়া হয়েছে ডালের মেহেন্দীর ভাঙরা। দূরপ্রাচ্যের এই তাসের দেশের শান্ত পাষাণমূর্তিরা রেস্তরাঁয় বিচলিত হয় “ওমা! এই কারি তোমরা কখনো বাড়ীতে খাও না? তবে ভারতীয়রা খায় কি?” সাইমনের মা জাপানী, বাবা অ্যামেরিকান। আমাকে ভারতীয় জেনে যে ভদ্রতা করেছিল “আমার রবিশংকরের বাজনা ভালো লাগে।” আমি আর নিখিল ব্যানার্জী, আবদুল করিম খাঁর ঝামেলায় না গিয়ে বলেছিলাম “আপনি সত্যজিৎ রে-র সিনেমা সুযোগ পেলে দেখবেন, ভালো লাগবে।” সদ্ভাবের নেশা বজায় রেখে তার উত্তরে “হ্যাঁ, আমি শুনেছি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিনেমা তৈরী হয় ভারতে।” এছাড়া ইংরিজিতে লিখতে শেখার পর থেকে আমাদের সাহিত্যবোধও যে আর তেমন ফেলনা হয়ে নেই সে কথা জগতের গোচরে এনেছেন যে মহাজন তাঁহার নাম তো জানে গাঁয়ের সব লোকে।

    টোকিও শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র একটা রাস্তার মোড় হেঁটে পার হতে গিয়ে হঠাৎ খেয়াল করলাম চেতনায় ষাটের দশকের শেষের দিকের একটা পূজোর গানের কয়েকটা লাইনের আসা-যাওয়া। বড় যত্নে এই আত্মীয় সুরকে খানিকক্ষণ ধরে রাখতে ইচ্ছে হল। ভাল লাগা ক্রমশঃ ঘন হয়ে আসে। হঠাৎই এই বিশ্বজনীন মূলস্রোতের চারপাশের মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে ঠাহর করতে চেষ্টা করি, এদের কাছে এ গানের মানে কি? এমন কি এই সুরটাও কি পৌঁছয়? আরো অজস্র গানের মতো শ্যামল মিত্র-র এই গানটির সাথে ক্রমে ভিড় করে আসে বহু পুরনো দৃশ্যের স্মৃতি, বিভিন্ন বয়সের, সঙ্গে কিছু চেনা লোকের মুখ। এদের অনেকের সাথে ভাগ করে নেওয়া হত কিছু স্বপ্ন, বহু বিষাদ। এসব গানের আবেদন একটা শহরকেন্দ্রিক, বিবেকবান, সভ্য, রোম্যান্টিক মানসিকতার কাছে। সে মানসিকতার সঠিক রূপটি যেন আমার প্রজন্ম আর কারো কাছে দেখানোর কোনো উপলক্ষ্য পায় না বলে মনে হয়। কী এক চক্রে পড়ে যেন সবসময় মুখোশ পরে থাকা। কখনো জীবিকায় উচ্চাভিলাষ নতুবা দায়িত্ববান পিতৃসুলভতা ঢেকে রাখে আমাদের মুখ খুব কাছের লোকদেরও কাছে। পিতা যেন সেই অংশে অপরিচিত থাকে এমনকি সন্তানেরও কাছে। আমাদের সেই শহর হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতের কোনো ঘূর্ণিতে, যথেষ্ট বাণিজ্যের অভাবে সভ্যতার দাবি বহুদিন হলো চেপে আছি, সামাজিক সুবিচারের তুমুল উৎসবে শুনি আমাদের বিবেকবোধও নাকি ভুল ছিল। হৃদয়ের গভীরে যে উত্তরাধিকার বহন করি সে এক বিস্মৃত অধ্যায়। তার গর্ব কার কাছে করি?

    কলেজের বন্ধু সাদার্ন অ্যাভেন্যুর অমিত রায়ের বাড়ী থেকে যে 78 r.p.m অর্থাৎ থালা রেকর্ডগুলি হস্তগত করেছিলাম, এখন মনে পড়ছে তার অধিকাংশই ছিল শ্যামল মিত্রের গাওয়া। আমার বন্ধুটির উৎসাহ ছিল মুখ্যত Jazz-এ। এই রেকর্ডগুলি কেনা হয়েছিল কিন্তু ওর বাবা এবং বড়দার চূড়ান্ত হেমন্তভক্তির আমলে। বস্তুত শুধু এই একটি পরিবারেই নয়, বহু দশক ধরেই শ্যামল মিত্র বিভিন্ন প্রজন্মের হৃদয়ে স্থান পেয়েছিলেন পাশাপাশি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মধ্যগগনের সূর্যের দীপ্তি সত্ত্বেও। ভাবলে অবাক হতে হয়, একটা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলা আধুনিক গানে শুধু সুর দেওয়ার জন্যই বহু অসামান্য প্রতিভাধর সব সুরকারের আবির্ভাব হলেও জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পীরাও প্রায় সবাই একেবারে প্রথম সারির সুরকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন তাদের পাশাপাশি। ভেবে দেখুন হেমন্ত, মান্না, শ্যামল, মানবেন্দ্র, সতীনাথ এদের যে-কোনো একজনের কথা। এখন মনে হয় আমরা যেন সে সময় এই ঘটনার চমৎকারিত্বটা ঠিক উপলব্ধি করতে পারিনি। এঁরা তো গানের জগতের লোক, ভালো সুর দেবেন এ আর আশ্চর্য কি? দশকের পর দশক চমকে দেওয়া সুর দিয়ে যাচ্ছেন, সে এমন একটা কি অস্বাভাবিক? একই মনোভাব ছিল যাঁরা বহুযুগ ধরে তাঁদের গাওয়া গানে বিভোর করে রেখেছিলেন তাঁদের প্রতিও। যেন, লোকের যখন ভালো লাগে, প্রশংসা যখন হয়, তখন ভাল সুর দেওয়ার, ভাল গাইবার লোকের তো অভাব হওয়ার কথা নয়। এরকমই একটা প্রতিভার সহজলভ্যতার আশ্বাসের আড়ালে গড়ে উঠেছিল এক ঊষর ভবিতব্য। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক যাবতীয় ব্যর্থতা নিয়ে যাতে আমরা ঝাঁপ দিয়েছি গত দশ পনেরো বছর।

    প্রকৃত উন্নত মানের গানের এই অনায়াসলভ্যতার আর একটা দিক ছিল এই যে সব শিল্পীর তেমন একটা কাঠামোভিত্তিক মূল্যায়ন কিছু হয় নি। যদি জিজ্ঞেস করি, আচ্ছা শ্যমলের গান বলতেই প্রথম কোন গানটার কথা মনে আসবে? দশজনে সাতজনই উত্তর দেবেন ‘জীবনখাতার প্রতি পাতায়’। যদি মনে করিয়ে দিই ‘সেদিনের সোনাঝরা সন্ধ্যা’, অধিকাংশই মহাউৎসাহে মত দেন। সাধারণত এরপর আমি ঐ গানটির কথা তুলি, ‘হংসপাখা দিয়ে নামটি তোমার লিখে যাই’। তখন স্মিতহাস সমর্পণ, “এত বড় গায়ক, কোন একটামাত্র গান কি অত সহজে বাছা যায়?” একথা যে কত সত্যি তার প্রমাণ দিতে এরপর শোনা যেতে পারে ‘যা যারে যা যা পাখী’ অথবা ‘যদি কিছু আমারে শুধাও’ বা ‘দূর নয় বেশি দূর ঐ সাজানো সাজানো’, সলিল চৌধুরীর সুরে সেই বিখ্যাত গানগুলি। সলিল চৌধুরীর কথায় শ্যামলের কন্ঠস্বর ছিল পাশ্চাত্য সংগীতের পরিভাষায় যাকে বলে নিখুঁত টেনর ভয়েস। পাশ্চাত্য সংগীতে একটা আবেগময় পরিণতির দিকে যে ভাবে নানা চরিত্রের আপাত সংঘাতময় সুর পাশাপাশি গড়ে ওঠে তাতে এ ধরণের কন্ঠস্বরের অসীম তাৎপর্য্য। আর বোধহয় সেই কারণেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে তেমন ধারাবাহিক উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন গীতিনাট্যের রেকর্ড করার সময়, যেমন মায়ার খেলা, তাসের দেশ, ওঁর ডাক পড়েছিল।

    কোনো ক্যাসেট বা রেকর্ডের ওপর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কত ধৈর্যশীল, শান্ত, অনভিলাষীর মুখ। এই মুখ যা প্রাপ্য নয় তার জন্য ব্যকুল হয় না। শ্যামল ও তাঁর সমসাময়িক অন্য গায়কেরা ঠিক যেটুকু স্বীকৃতি, যেটুকু তারিফ পেয়েছেন তাতেই তাঁদের সন্তোষ ছিল। আজকের প্রমোদশিল্পে যে সেনসেশনালিজম্‌ বা ভিত্তিহীন উত্তেজনাগ্রাহীত তা এঁদের আত্মমর্যাদার সঙ্গে মানানসই ছিল না। তার থেকে দূরেই থেকেছেনও সবসময়। ভেবে দেখুন এঁদের দাম্পত্যজীবন, ব্যক্তিজীবন সম্বন্ধে আমরা কতটুকু জানি। তখনো এসব জিনিস বিপণনের উপাদান হয় নি।

    আমি অনেক ভেবেও কিনারা করতে পারিনি, ঠিক কী ভেবে শ্যামল মিত্র শাপমোচন ছবিটিতে ঐ অতিসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করতে রাজী হয়েছিলেন। ঐ ভূমিকায় ওঁর গলায় এটি গানও ছিল। শাপমোচন সব অর্থেই হেমন্ত এবং উত্তমকুমারের সার্বজনীন আবেদন এবং গ্ল্যামারের একটি অতুলনীয় নিদর্শন। এ যুগের আন্তর্জাতিক শো-বিজ্‌-এ এক অতি কিম্ভূত পাংক্‌-ও তার প্রতিটি মঞ্চাবির্ভাবের লাভ-অলাভ খুঁটিয়ে হিসেব করে নেয়। এ প্রতিবেদন ভিন্ন মানুষদের নিয়ে, অন্য সময়ের। পরিবেশটা ছিল ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির, জীবনের জগতের সমস্ত নূতন সম্ভাবনার প্রতি। শ্যামল মিত্র একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন, রাজকুমার। আশা ভোঁসলে গেয়েছিলেন সে ছবির যাবতীয় স্ত্রীভূমিকার গান। বেতারে এক সাক্ষাৎকারে শ্যামল জানিয়েছিলেন আশা নাকি তার জন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে অস্বীকার করে বলেছিলেন “অন্য এক শিল্পীর জন্য কটা গান করে টাকা নেব!” বেশীদিনের কথা নয়, তবু মনে হয় না কত দূরের?

    শ্যামল মিত্রের, গায়ক হিসেবে যাকে বলে larger than life ইমেজ, তা তৈরী হয় নি। কোনো অতীন্দ্রিয় আবেশে বিবশ হওয়ার জন্য নয়, তাঁর কন্ঠস্বর যেন আমাদের নিজেদের স্বপ্নে লুটিয়ে থাকে যে রূপকথার জগৎ তার সঙ্গে আধো চেনার জন্য দরকার ছিল। ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে’ বা ‘ধরো কোন শ্বেতপাথরের প্রাসাদে’ কিংবা সেই কুয়াশা জড়ানো এক স্পষ্ট নিষাদ ‘সেই বাসরও নেই, বাঁশরী নেই’। এরা যেন কি এক আবছা বেদনার স্মৃতি স্ফুলিঙ্গের মতো উড়িয়ে আনত। দিনের আলোয় সে বেদনার অবয়ব নেই। কখনো স্বপ্নে হয়েছিল তাদের সাথে পরিচয়। আরো পুরনো দিনের কিছু গান, যেমন ‘স্মৃতি তুমি বেদনার’ তল খুঁজে ফেরা। যতবার সুর নেমে আসে উঁচু থেকে খাদের দিকে, মনে করে দেখুন কি ভাবে মুচড়ে ওঠে বুক অজানা আবেগে। এমনি মায়া ছিল গলায় জড়ানো। আমাদের নিজেদের বেদনাবোধের বিভিন্ন গভীরতার নাগাল করে নিতাম তার অনেক আপাত সাধারণ বাণীর গান থেকেও। শুধু ঐ মায়া-জড়ানো কন্ঠস্বরের প্রাসাদে। মনে পড়ে ‘ভ্রমরা তুই যাসনে রে সে বনে’? শ্যামলের রেকর্ড বাজিয়ে আমরা নিজেদের ব্যথা নিজেদের আবেগের মুখ দেখেছি নিয়ম করে। সে অভিজ্ঞতা কিভাবে ছড়িয়ে দিতে পারি আরো ব্যাপক করে, স্থানে কালে যারা একটু হয়তো দূরে, তাদের মধ্যে? নিজেকে মেলে ধরার, নিজের পছন্দ অপছন্দের হদিস অপরের কাছে পৌঁছানোর ইচ্ছে মানুষের চিরদিনের। কিন্তু আমরা যেন ক্রমেই বড়ো ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। তুলনায় সমৃদ্ধতর স্থানান্তরের খোঁজ করে করে আমরা যেন কিছুটা ক্লান্ত, সেই ক্যারাভানে জায়গা করে নিতে নিজেকে গড়ে তোলার ঘাম ঝরানোয় ক্লান্ত। নতুন সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনযাত্রায় রপ্ত হতে ক্লান্ত। মেধাবী কার্যকারিতায়, উজ্জ্বল কর্মীর ভূমিকা বজায় রাখতে ক্লান্ত। পারবো কি আমাদের নিজস্ব ভালো লাগার কথা, গর্বের কথা, রুচির সূক্ষ্মতার কথা এই গ্লোবাল ভিলেজের কাছে তুলে ধরতে? একটু দূরের সংস্কৃতির অতিথি বাড়ীতে এলে আমি আপ্যায়নের অংশ হিসেবে বাজিয়ে শোনাই যে সব গান আমাদের নিজস্ব গর্বের, একান্ত নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের। তাদের ভালো লাগে শ্যামল মিত্রের ‘আহা গোলাপ দুটি বিলাপ করে’ কিম্বা ‘মহুল ফুলে জমেছে মৌ, ডাহুক ডাকে ডালে’। আমার কৌতুকে বিষাদ মিশে থাকে।

    শ্যামল মিত্রের প্রতি আমাদের অনুরাগে কোথাও উন্মত্ততা মিশে ছিল না। হৃদয়ের এক স্পর্শকাতর কোণে তাঁর অসাধারণ সুরেলা, সতেজ, কিছুটা অনুনাসিক কন্ঠের গানগুলির জন্যে একটা খুব আদরের জায়গা ছিল। মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দিয়ে নয়, তাঁর গান দিয়েই শ্যামল সে আবেগে সাড়া দিয়েছিলেন। ‘মনে হয় মানুষেরই সুখে দুখে / কাছে থাকি / ওদের পাশে ডাকি / কন্ঠ জড়ায়ে ধরে / বলি যেতে দিও না আমায়’। এ উষ্ণতা যদি সঞ্চার করতে হয় পরবর্তী যুগে, পার্শ্ববর্তী মানুষটিকে, সে সুযোগ আর আছে কি? ‘শেষ কথা আজি বলে যাও ওগো ভালবাসা নহে খেলা, সেদিন বিদায় বেলা’।

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments