দশ বছর আগে-
প্রচণ্ড হৈ চৈ আর দুর্বার আন্দোলন
নেতাদের মুহূর্মুহূ উত্তপ্ত বাণী
পুলিশের কারফিউ
“নিপাত যাক শোষণের আর অসত্যের”
- এই দীক্ষা নিয়ে এক বিপ্লবী হয়ে
সবকিছুকে জ্বালিয়ে চলছি
হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশপ্রেমে
নিজেকে ভুলে ঝাঁপ দিলাম আগুনে।
কারাগারে-
অসুস্থ মায়ের চিঠি,
অসুখে ভুগে বাবার মৃত্যু
বেকার ভাইয়ের টিউশানি দিয়ে চলে ভাঙ্গা সংসার
শিলা বিয়ে করল এক ধনীপতিকে
সে নাকি আর অপেক্ষা করতে পারবে না
কেনই বা অপেক্ষা করবে?
অন্ধকার ভবিষ্যতের থেকে অনেক ভাল উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ
একবার এক নেতা এসেছিল
সাথে অনেক সাংবাদিক
আমি বুঝি কোন চিড়িয়াখানার জীব!
কারো প্রতি কোন ক্ষোভ নেই
নেই কোন বিদ্বেষ
যদি আমার দেহে দেখতে পাই আমার স্বপ্ন
দশ বছর পরে-
আবার সেই একই সমাজ
গুলিস্থানে মুক্তি পায়
বিদেশী অশ্লীল সিনেমা।
রমনাপার্কে এখনো পতিতাদের ভীড়
মন্ত্রীরা বড় বড় গাড়ীতে
আজো আসে বক্তৃতামঞ্চে
তাদের বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
ঝাঁপ দেয় আমার মত স্বপ্নিল কর্মীরা। প>
অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়
অনেক স্কুল কলেজ
কিন্তু গড়ছে অবিরাম নতুন নতুন
ক্যান্টনমেন্ট আর ক্যাডেট কলেজ।
বুদ্ধিজীবিরা শেরাটন হোটেলে
স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর বসায়। প>
আজ প্রশ্ন জানাই-
যদি নাই বা পরিবর্তন হয় এই সমাজ
তবে কেনই বা আমরা মিছিল করি?
কারাগারে কেন আমি দশ বছর ?
আজ শীলা অন্য ঘরে কেন?
আমার মা অপুষ্টিতে অন্ধ কেন?
অসংখ্য কেন এর প্রশ্ন
কে আমাকে উত্তর দিবে?
ডাক্তার, কৃষিজীবী, নেতা নাকি রাষ্ট্রপ্রধান?