• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩ | ডিসেম্বর ১৯৯৭ | গ্রন্থ-সমালোচনা
    Share
  • নিবিড় পাঠ--শশি থরুরের ভারতবর্ষ : অংকুর সাহা

      ইন্ডিয়া: ফ্রম মিডনাইট টু দ্য মিলেনিয়াম-- শশি থরুর, প্রকাশক: আর্কেড পাবলিশিং, পরিবেশক: লিট্‌ল ব্রাউন অ্যান্ড কোম্পানি। আগস্ট ১৯৯৭। দাম ২৭ ডলার ৯৫ সেন্ট; পৃষ্ঠা ১৮+৩৯২ ISBN 1-55970-384-9।

    শশি থরুর আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালে বোম্বাই শহরে। শৈশব কেটেছে বোম্বাই ও কলকাতায়। দিল্লির সেন্ট স্টিভেন্‌স্‌ কলেজ থেকে স্নাতক হবার পরে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার টাফ্‌ট্‌স বিশ্ববিদ্যালয় আসেন এবং সেখানকার “ফ্লেচার স্কুল অফ ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি” থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সন থেকেই তিনি রাষ্ট্রসংঘের আধারণ সম্পাদক (secretary general) কোফি আন্নানের নির্বাহী সচিবের (executive assistant) পদে নিয়োজিত।

    আলোচ্য গ্রন্থটি শশি থরুরের পঞ্চম। তাঁর প্রথম গ্রন্থটি-- “দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল” মহাভারতের গল্প অবলম্বনে, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিকায় রচিত হাস্য ও ব্যঙ্গরসের উপন্যাস। বইটি ১৯৮৯-৯০ সালের ভারতীয় প্রকশক সংঘ/ হিন্দুস্তান টাইম্‌সের সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯০ সালের কমনওয়েলথ বিশিষ্ট লেখক পুরস্কার অর্জন করেছে। পরের উপন্যাসের নাম “শো বিজনেস”-- বলিউডের সিনেমার এক বিখ্যাত নায়কের জীবনযাপন এবং শিল্পসাধনা এই উপন্যাসের বিষয়। অন্য বই দুটি আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি- “দ্য ফাইভ ডলার স্মাইল”, কয়েকটি গল্প এবং একটি নাটিকার সংকলন। আর “রিজন্‌স অফ স্টেট” ভারতবর্ষের বৈদেশিক নীতির ওপর রচিত গ্রন্থ। এ ছাড়া এই দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলিতে তাঁর রচিত সন্দর্ভ মাঝে মাঝে চোখে পড়ে এবং রেডিও টিভিতেও তাঁর মতামত শুনতে পাই বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর।

    আলোচ্য বইটির প্রথমে নাম দেওয়া হয়েছিল- “ইন্ডিয়া, মাই ইন্ডিয়া! অ্যান এনশেন্ট সিভিলাইজেশান টার্নস ফিফ্‌টি”, পরে নাম পালটে বর্তমান নামটা রাখা হয়। প্রথম নামটা কিন্তু শুনতে ভালো লাগে বেশী। দশটি সুলিখিত অধ্যায় দশটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রবন্ধের মত পড়া যায়- ভারতবর্ষের ইতিহাস- অর্থনীতি- রাজনীতি সমাজবিজ্ঞান নিয়ে নিবিড় গবেষণা করেছেন লেখক আর তার সঙ্গে সাবলীলভাবে জুড়ে দিয়েছেন নিজের রাজনৈতিক মতামত ও জীবনস্মৃতি। তিনি আমার প্রজন্মের মানুষ এবং আমাদের মতই অভিবাসী- তাই অনেক ব্যাপারেই মতের মিল খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। গ্রন্থটির ভূমিকায় তিনি তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারার কেন্দ্রবিন্দুটিকে স্বচ্ছন্দে তুলে ধরেছেন এই দুটি বাক্যে: “I will not argue that the only possible idea of India is that of a nation greater than its sum of parts. An India that denies itself to some Indians end up being denied to all Indians.”

    লেখক রাজনীতিতে উদারপন্থী এবং গণতন্ত্রে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ এবং হিন্দু জাতীয়তাবাদের ঘোর বিরোধী। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংখ্যালঘু তোষণের প্রবণতাটিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক ইতিহাসের কথা আলোচনা করতে গিয়ে আমাদের বিখ্যাত শাসক পরিবারটির কথা বারবার এসেছে। সেই পরিবারের বর্তমান iconএর কথা বলতে গিয়ে- “A builder’s daughter from Turino without a college degree, with no experience in Indian life beyond the rarified realm of the Prime Minister’s residence, fiercely protective of her privacy, so reserved and unsmiling in public that she has been unkindly dubbed ‘The Turin Shroud’…”। একটি সুসংহত, উচ্ছ্বাসহীন বাক্যে মানুষটির চমৎকার বর্ণনা। ইন্দিরা গান্ধী সম্বন্ধে তাঁর চমকপদ মন্তব্য- “Had Indira’s Parsi husband been a Todywala rather than so conveniently a Gandhi, I sometimes wonder, might India’s political history have been different.” (পৃষ্ঠা ৩০) না ব্যক্তিপূজা না নিন্দামূলক বিষোদ্‌গার- এই ভাবেই দেশের গত ৫০ বছরের মূল ঘটনাগুলির সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন।

    সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামা ও হিন্দু-মসুলিম সংঘর্ষ দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ার ফলে যে ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষতার শিকড়ে টান পড়তে চলেছে- সেই প্রসঙ্গ এই গ্রন্থে ফিরে ফিরে এসেছে বারবার। লেখকের দৃঢ় বিশ্বাস- হিন্দু ধর্মের মূল কথাই হল ধর্মনিরপেক্ষতা। এবং ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকসংখ্যা হিন্দু হওয়ার জন্যই এদেশের পক্ষে প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব। এবং ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া মানে ধর্মকে অস্বীকার করা নয়। নিজের হিন্দুত্ব সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য- “Above all, as a Hindu, I belong to the only major religion of the world that does not claim to be the only true religion. I find it immensely congenial to be able to face my fellow human beings without being burdened by the conviction that I am embarked upon a ‘true path’ that they have missed.” (পৃষ্ঠা ৫৬)। হিন্দু মৌলবাদের প্রসারের ঘটনায় লেখক চিন্তিত; তাঁর মতে মৌলবাদীরা হিন্দুধর্মের ইহুদীকরণের (semitization) দোষে দোষী। “It is odd today to read of ‘Hindu fundamentalism’ because Hinduism is a religion without fundamentals; no organised church, no compulsory beliefs or rites of worship.” (পৃষ্ঠা ৫৪)। ভারতবর্ষের মূল শক্তি- বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য- মৌলবাদীরা সেই বৈচিত্র্যের মূল ধরে নাড়া দিতে চান।

    শশি থরুরের লেখা পড়তে গেলে প্রথমেই যাঁর কথা মনে পড়ে তিনি হলেন মেক্সিকোর বিখ্যাত কবি, কথাসাহিত্যিক ও ডিপ্লোম্যাট- ১৯৯০ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অক্টেভিও পাজ। ৬০-এর দশকে ভারতে মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি। তাঁর ওইসময়কার কবিতার শরীর জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় অনুষঙ্গ। পাজের ভারতবর্ষ বিষয়ক গ্রন্থটিও কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে- “In the light of India” by Octavio Paz (Marvill Press, London 1997). পাজ, আলবেয়ার কামু ও অন্যান্য লেখক বন্ধুদের সঙ্গে মিলে স্প্যানীশ গৃহযুদ্ধের একটি বার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান করে মেক্সিকো সরকারের অসন্তোষের কারণ হন। শাস্তি হিসেবে তাঁকে বদলী করা হয় ভারতবর্ষে ১৯৬২ সালে। তারপর ৬ বছর উনি ভারতবর্ষে ছিলেন- ১৯৬৮ সালে মেক্সিকো সরকারের কঠিন হস্তে ছাত্র আন্দোলন দমন করার প্রিবাদে তিনি পদত্যাগ করেন। পাজের শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলির বেশ কিছু ভারতবর্ষে বসেই লেখা এবং এখানেই তাঁর ভাবী স্ত্রী মারিয়া হোসের সঙ্গেও তাঁর প্রথম আলাপ হয়। থরুরও উল্লেখ করেছেন পাজের “নির্জনতার গোলকধাঁধায়” (The Labyrinth of Solitude) গ্রন্থটির কথা যেখানে- “Octavio Paz observed that his thoughts were not concerned with the entire Mexican population, but those among them ‘who are conscious of themselves, for one reason or another, as Mexicans.’” লেখকের মতে এই গ্রন্থটিও এমন ভারতবর্ষের কথা বলে যার অস্তিত্ব অধিকাংশ ভারতবাসীর কল্পনায়; অধিকাংশের কিন্তু সকলের নয়।

    বইটিতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নামের কোন উল্লেখ নেই, কিন্তু জ্যোতি বসুর উল্লেখ আছে দুবার- ১৮৫ আর ৩০৩ পাতায়। তেভাগা আন্দোলনের কোন উল্লেখ নেই, নকশালপন্থীদের রক্তক্ষয় এবং আত্মাহুতির বিষয় সারা হয়েছে একটি তীর্যক বাক্যে, যা অবশ্যই অতিসরলীকৃত এবং নিশ্চয়ই বিতর্কের বিষয়। যেহেতু বইটির বিষয় স্বাধীন ভারতের প্রথম ৫০ বছর, অবাক লাগলো যে ১৯৭৪ সালের রেল ধর্মঘটের কথা উল্লেখ করার কথা লেখকের মনে হয় নি। যতদূর জানি, পৃথিবীতে এত বেশি সংখ্যক কর্মচারী / শ্রমিকের এই সম্মিলিত ধর্মঘটে অংশগ্রহণ- এর আগে বা পরে আর ঘটেনি।

    কয়েকটি ভুল বা অসঙ্গতি চোখে পড়লো, যা পরবর্তী সংস্করণে শুধরে নিলে বইটির গুরুত্ব বাড়বে-

    ১) রামমোহন রায়ের নাম ইংরেজিতে Rammohun Roy লিখতেই দেখেছি। বইএর ১০৫ পাতায় লিখেছেন Rammohan Roy.

    ২) ভাস্কো ডা গামা ভারতবর্ষে এসেছিলেন, যতদূর মনে পড়ে ১৪৯৮ সালে। এখনো বিতর্ক চলছে সেই ঘটনার ৫০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কোন অনুষ্ঠান হবে কিনা। এই বইয়ের দুজায়গায় দুরকম তথ্য দেওয়া হয়েছে- ১২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ১৪৯২ সাল এবং ৬৯ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ১৪৯৬। দুটোই ভুল।

    ৩) ১৭০ পৃষ্ঠায় “a 5 percent devaluation (Of Rupee) in 1967 হাতের কাছে নেই কিন্তু ১৯৬৭ সালে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছিল প্রায় শতকরা ৩৩ শতাংশের মত- ইন্দিরা গান্ধী শচীন চৌধুরীকে কিছুদিনের জন্য অর্থমন্ত্রী বানিয়েছিলেন হয়তো এই অপ্রিয় কাজটি করিয়ে নেবার জন্য।

    লেখকের ছন্দের হাতটি ভালো- “গলি গলিমে শোর হ্যায় / রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়”= এই চেনা ছড়াটিকে ইংরেজি অনুবাদ করেছেন- “Hear it said in every nook / Rajiv Gandhi is a crook”। (পৃষ্ঠা ৩১)। তাঁর রসবোধের ছাপ ছড়িয়ে রয়েছে পাতায় পাতায়। নিজের মাতৃভাষা সম্পর্কে বলছেন- “Malayalam- the only language in the world with a palindromic name in English”। (পৃষ্ঠা ৬৭)। এই মজার তথ্যটির কথা অরুন্ধতী রায়ও লিখেছেন তাঁর বিশ্বজয়ী “God of Small Things” উপন্যাসে। দুগ্ধপোষ্য দেবতা গণপতির উপাখ্যানের কথাপ্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য- “Om capillary actioneh namaha” (পৃষ্ঠা ৬৫)।

    মাসিমা-পিসীমা স্থানীয় একজন মানুষের পীন পয়োধর নিয়ে ঠাট্টা করেছেন লেখক ৮২ নং পৃষ্ঠায়- আমার মনে হয়েছে এই উল্লেখটি প্রক্ষিপ্ত এবং স্বাদহীন। গল্পে উপন্যাসে চলতে পারে- “দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান নভেল”- এ কাশ্মীরের রাজার যৌনক্ষুধার নিবৃত্তি বা এরোপ্লেনের মধ্যে পাণ্ডু ও মাদ্রীর শরীরী রোমান্স জাতীয় ঘটনাগুলি সুলিখিত এবং ভীষণ মজার উদ্রেক করে। এই ক্ষেত্রে, ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় বিষয়টি আমার মতে জোলো এবং অপ্রয়োজনীয়।

    এছাড়াও দেশের ঘাটতি বাজেট সম্বন্ধে রসিকতা- “The wisecrack about deficits in New Delhi’s political circle is that any government that lives within its means lacks imagination.” (পৃষ্ঠা ১৮৬-১৮৭) এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আয়ারাম-গয়ারামদের বিষয়ে উক্তি –“Indian politicians changed parties the way a film dancer changed skirts, as often as it was expedient and as long as it appealed.” (পৃষ্ঠা ২২১-২২২) বিশ্বকাপ ক্রিকেটের (১৯৯৬) উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে- “T-shirt clad damsels whose jeans did not justify their ends.” (পৃষ্ঠা ৩০৪)।

    ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের নাম পরিবর্তনের যে বালখিল্যসুলভ জোয়ার এসেছে, সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন লেখক। “Of course the trains will be just as crowded at Chhatrapati Shivaji Maharaj Terminus as they were at VT. But are we so insecure in our independence that we still need to prove to ourselves that we are free.” (পৃষ্ঠা ২৮৫) বম্বে-মুম্বাই নাম পরিবর্তন- “This strikes me as the equivalent of a company jettisoning a well-known brandname in favour of an inelegant patronymic- as if McDonald’s had renamed itself Kroc’s in honour of its inventor.” (পৃষ্ঠা ২৮৩) মাদ্রাজ-চেন্নাই নাম পরিবর্তনের পিছনে কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য হলো যে মাদ্রাজ সত্যি সত্যিই একটি তামিল নাম, অন্যদিকে চেন্নাই নামটি রাজা চেন্নাপানাইকারের নামে দেওয়া- তিনি কিন্তু তেলেগুভাষী।

    শিল্পে ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ স্বনির্ভর হবে, নাকি বিদেশী পুঁজিকে ভারতবর্ষে আসতে দেওয়া হবে- সেই গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে লেখক জানিয়ে দিয়েছেন যে দেশজ ‘থাম্‌স আপ’ এবং ‘ক্যাম্পা কোলা’ দুটো পানীয়ই কোক বা পেপসির থেকে অনেক ভালো। না, তিনি একা নন, আমিও লেখকের সঙ্গে এই ব্যাপারে একমত।

    অভিবাসী ভারতীয়দের আলোচনায় কিছু চমকপদ তথ্য দিয়েছেন শশি থরুর। ১৫৫টি দেশে মোট ১ কোটি অভিবাসী ভারতীয়দের মধ্যে আইসল্যান্ডে ৮ জন, কাম্পুচিয়ায় ৪ জন, প্রশান্ত মহাসাগরের ভানুয়াটু দ্বীপে একজন এবং এল সালভাদর দেশে একটি দম্পতি। উত্তর মেরুতে যাওয়ার পথে শেষ মুদীর দোকানটি ছিল বেজাল য়েসুদাসন নামে একজন ভারতীয়র- তিনি ১৯৯৪ সালে মারা গেছেন। অভিবাসী বিষয়ক অধ্যায়টির নাম “NRI’s-Never Relinquished India or Not Really Indian”। পদার্থবিদ ইসিজি সুদর্শনের এই উক্তিটি অভিবাসীদের জীবনের পদে পদে দুই জগতের টানাপোড়েনকে জানান দেয়- “If you look at the world with two eyes, you see more. It is possible to live in two worlds.”

    শশি থরুরের গদ্যরীতিটি স্বাদু, নির্মেদ, গতিশীল- তত্ত্ব ও তথ্যের বাহুল্যে তাঁর মূল বক্তব্যটি হারিয়ে যায় না। পড়তে পড়তে বোঝা যায় যে ভারতবর্ষের ভালোমন্দ নিয়ে তিনি ভাবেন এবং গুঁড়িয়ে নেবার মত কোন নিজস্ব কুঠার তাঁর হাতে নেই। আশা করবো বইটি জনপ্রিয় এবং বহুপঠিত হবে। লেখকের পরবর্তী গ্রন্থটির জন্য সাগ্রহ অপেক্ষায় রইলাম।

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments