• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩ | ডিসেম্বর ১৯৯৭ | সম্পাদকীয়
    Share
  • সম্পাদকীয় : পরবাস

    অনেকদিন আগে এক উঠতি লেখক সযত্নে পাটের দড়ি খুলে কাগজে মোড়া বেশ ওজনদার একটি চৌকো ব্লক হাতে দিয়ে যখন বলেছিলেন যে এইটে দিয়েই আগের রাত্রে দেখা একটি সুন্দর স্লাইড ছাপা হবে তাঁর বইতে- তখন কাগজ-মাধ্যমে ছবি প্রকাশে যে কি যাতনা তা বুঝতে পেরেছিলাম। সুখের কথা, স্ক্যানার-এর দৌলতে, কোন চিত্রশিল্পকে আন্তর্জালে বেঁধে ফেলা অনেক সোজা। ছাপানো পত্রিকার ক্ষেত্রে তুলনীয় সুবিধা থাকলে বেশিরভাগ পত্রিকার রূপ কেমন হত তা অনুমান করা কঠিন নয়।

    লেখা ও ছবির স্বাতন্ত্রের যথোচিত মর্যাদা দিয়েও দুই-এর সঙ্গতে কোন রচনাকে কিভাবে সমৃদ্ধ করা যায় সে নমুনা আমরা সুকুমার-সত্যজিতের আবোল-তাবোল বা রবীন্দ্রনাথ-নন্দলালের সহজ পাঠে দেখেছি। নতুন প্রযুক্তি দিয়ে এখন আমরা সে পথে আরো কতটা অগ্রসর হতে পারি? শব্দ ও animation-এর মাত্রা যোগ করলে তো সম্পূর্ণ নতুন ধরনের রচনার সৃষ্টিও হয়তো সম্ভব। বিভিন্ন মাত্রার সুষম সমন্বয় ও তার উপস্থাপনায় কৌশলকে ব্যবহার করে নান্দনিক লক্ষ্যে পৌঁছোতে পারাই লেখক এবং প্রকাশকের যৌথ চ্যালেঞ্জ। এই কাজে সকলের সহযোগিতা আশা করে পরবাসের পক্ষ থকে আমরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। কোথায় পাঠকের শিল্পী হাত?

    প্রথম পরবাস প্রকাশের সময় আমরা বলেছিলাম পাঠকরাই হবেন আমাদের লেখক। সেই আহ্বানে যাঁরা সাড়া দিয়েছেন তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু সেই সঙ্গে অনুরোধ, কলমের সাথে তুলিও ধরুন- পাঠান আমাদের ব্যঙ্গচিত্র, ছবিতে গল্প, সচিত্র ভ্রমণকাহিনী কিম্বা ফটো-ফীচার। এ নিয়ে কোন নতুন আইডিয়া, খামখেয়াল বা জিজ্ঞাসা থাকলে তা ফেলনা মনে করবেন না। অবিলম্বে যোগাযোগ করুন। এই সংখ্যাতে ক্রস ওয়ার্ড, “কথার কথা” যোগ হল। “পরবাস”-এ এ ধরনের বিচিত্র জিনিস আরো স্থান পেতে পারে কি না এ ব্যাপারে পাঠকের মতামত জানতেও আমরা উৎসুক।

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments