বলা বাহুল্য, যে-কোন নতুন পত্রিকার মত আমাদেরও প্রাথমিক প্রয়োজন লেখার, এবং আরো লেখার। আমরা চাই নতুন রচনাকারের সৃজনশীল লেখা, এবং আঁকা। কাজেই, আপনাদের দিকেই আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করি, আপনারা যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন নিজেদের লেখা পাঠিয়ে ও অন্যদের লিখতে প্রবুদ্ধ করে। লেখক, বিষয় ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য এই ইন্টারনেট-ভিত্তিক পত্রিকায় আশা করা সঙ্গত ও কাম্য।
প্রতিষ্ঠিত লেখকদের নতুন লেখা পাবার ও প্রকাশ করার সাধও আমাদের আছে। কিন্তু আমরা সচেতন যে পেশাদার লেখকদের, সক্ষম হলে সব লেখকেরই, লেখার উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া শুধু প্রয়োজন নয়, কর্তব্যও। সেই দিকে নজর রেখে আমরা চাই “পরবাস”-কে আর্থিক দিক দিয়ে স্বনির্ভর করে তুলতে। বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপ-এর আমাদের এই প্রয়াসে আপনার পরামর্শ ও সাহায্যের আশা রাখছি।
প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর বাংলা হরফ-এর আকারের জন্য পড়ার অসুবিধে হচ্ছে জানিয়ে অনেকেই অনুযোগ করেছেন। এই সংখ্যায় তা শোধরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করা যায়, পড়ার অসুবিধে আর থাকবে না। পরবাস-কে সার্বজনীন ও সহজপ্রাপ্য রাখার জন্য প্রযুক্তিগতভাবে একটি সাধারণ কাঠামোয় রাখতে চেয়েছি আমরা। এর অন্যথা করলে হয়তো বা বাংলা হরফকে উন্নততর দেখানো যেত--কিন্তু তা সকলের জন্য করা সম্ভব হত না। এই বিষয়টির উপরে এই সংখ্যায় পারমিতা দাসের প্রবন্ধটি আলোকপাত করেছে বিশেষ ভাবে।
আপনাদের লেখা ও সমালোচনা আমাদের পাথেয়। তার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ জানাই।