• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৯০ | এপ্রিল ২০২৩ | কবিতা
    Share
  • একটা শহরের গল্প : ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত




    আরাবল্লীর একটা শিরা আমাদের শহরের ভিতর দিয়ে গিয়েছিল -
    যখন তখন সেটাকে কেটে
    আমরা মুখ লাগিয়ে চুষে নিতাম পাথরের আদিম অভিলাষার লাভাস্রোত।

    সেই পাহাড়ের উপর বাবলা আর অশোকের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে
    কয়েক বছর অন্তর কোনো নতুন আর সরু পীচের রাস্তা
    হায়নার গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে হুট করে বেরিয়ে আসত শহরের অদেখা প্রান্তে;
    হঠাৎ খাইবার পাসের বাসিন্দারা গুলাবী বাগে ঢুকে পড়ে হাঁ করে ভাবত
    এই অচিন দেশের লোকগুলো এখানে এল কোত্থেকে।
    এইভাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হয়ে চলেছিলাম গ্রীষ্মের রাতগুলোতে তখন
    তাপানো বালি আর ধুলোর তৈরি শুকনো, পরিষ্কার একটা আকাশের তলায়।

    সে সব দিনে সবাই বাড়ির বাইরে খোলা হাওয়ায় খাটিয়া পেতে শুত।
    মাঝরাতের পরে, যখন আমাদের সূক্ষ্মশরীরগুলি চাঁদের কিরণ বেয়ে
    আস্তে আস্তে অনেকদূর উঠে গেছে তারার দেশে,
    তখন সিভিল লাইন্‌স্‌ কিম্বা কিংস্‌ওয়ে ক্যাম্পের কাছ থেকে এক-আধখানা বাজনার ব্যাণ্ড
    তাদের অনুশীলন শুরু করত। আরাবল্লীর এই ফাঁকা বালিয়াড়ির রাজত্বে
    সেই শব্দ ব্রিটিশদের বানানো হলুদ
    বাড়ির দেয়ালে ধাক্কা খেতে খেতে চারদিকে ছড়াবার পর আমরা ঘুমের মধ্যে ধরে ফেলতাম সুরের ভুল।
    আমাদের সঙ্গে আমাদের পড়শীদের পোষা কুকুর, বেড়াল ও অন্যান্য গৃহপালিত জীব জন্তু,
    যারা আমাদের খাটিয়ার আশে পাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকত,
    তারাও বিরাট বিরাট ট্রাম্পেটগুলোর গলা চিরে গেলে
    'আঃ', বলে বিরক্তি প্রকাশ করত।
    একটুও না বাড়িয়ে বা গর্ব না করে বলা যায় -
    যে আমরা একটা বিরাট চিড়িয়াখানা বানিয়ে, স্বেচ্ছায় তার সদস্যতা গ্রহণ করেছিলাম।

    এর বেশি এগোবার আগে স্থান ও কালকে মানচিত্রে ভালোভাবে চিনে নেওয়া উচিত।
    শহরটা তৈরী হয়েছিল একটা প্রাকৃতিক কেল্লার ভিতর
    যার উত্তর আর পূর্বে যমুনা, এবং দক্ষিণ আর পশ্চিমে গ্র্যানিটের প্রাচীর।
    শত্রুর আক্রমণের সময় ভালোভাবে আত্মরক্ষা করতে পারার কথা যবনদের প্রিয়
    এই তেঁতুল আর অর্জুনের দিব্য ধামে -
    অথচ শত্রুর আক্রমণ ইতিহাসে থামেনি এবং তারাই অধিকাংশ সময়ে জিতত।
    কারণ বুন্দেলখণ্ড্‌ ক্রেটনের ঠাণ্ডা মেঝের উপর এই কাঁটা আর গোলাপের বাগানে
    মানুষ বারবার এসেছে তাদের পূর্বপুরুষদের দারিদ্র্যের স্মৃতি ভুলতে,
    যে পূর্বপুরুষদের বেঁচে থাকার জন্য আজীবন লড়াই করতে হয়েছিল।
    তারা এসেছিল নিজেদের পরিচয় গোপন করে
    এর অসংখ্য শুঁড়িখানায় বসে বিরহের দিওয়ান আর প্রেমের কবিতা লিখবে বলে।
    যুদ্ধ কী করে করতে হয় সেটা যে তারা ভুলবে এতে আশ্চর্য কী?

    আমীর খুসরোর সময় থেকে
    এখানে কোনও তরুণ বা তরুণী, যুবক বা যুবতী, এমনকী বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা পাওয়া ভার ছিল
    যার একটি লুকোনো প্রেমিক বা প্রেমিকা ছিল না। এই অদৃশ্য প্রণয়ীদের ছায়া
    ক্ষয়ে যাওয়া টিলার মসৃণ পিঠে এবং আ-যমুনা লুটিয়ে থাকা বালির প্রান্তরে রাত্রিবেলা চরে বেড়াত।
    আমাদের গ্রীষ্মের ছুটিগুলি সেই ছায়ার অরণ্যে ঢুকে চাঁদের আলোয় শিমলিপুর ছাড়িয়ে
    চলে যেত সম্বলপুরার ব্যারাজে কিম্বা পার্কটাউনে কোনও সমবয়সী বা একটু বড় তরুণীর
    ঘুমন্ত বাড়ির পাঁচিলে। রাত নটার পরে, কোনও গভীর, অচেনা রাতের ট্রেন
    যখন ঝমঝম করে পেরিয়ে যাচ্ছে আরাবল্লীর মাঠ ঘাট, তখন শহরের সচ্ছল
    বাড়িগুলিতে যুবক ও যুবতীদের জন্য চাপা গলায় ক্রিং ক্রিং করে
    বেজে উঠত টেলিফোন। কেউ জানত না সেগুলো করত কারা।
    হয়তো কোনও যুবক বা যুবতী সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে ভুল করে তুলে ফেলত রিসিভার - বলত হ্যালো!
    তখন অন্যদিক থেকে শোনা যেত বাতাসের দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে বাজনার গান
    ঝুম বরাবর ঝুম শরাবী -
    সেই সব সচ্ছল বাড়ির শ্বেতপাথরের সিঁড়ির পাশে টাঙানো বিরাট গোল ঘড়ির ডায়াল থেকে
    টিক টিক করে বেরোত সেকেণ্ডের পাখি। আর শহরের অন্য সর্বত্র, চাঁদের আলোয়
    এক কি দু-কামরার ঘরের বাইরে অথবা ছাদে তরুণ বা তরুণীদের খাটিয়ার উপর রাখা
    ট্রানজিস্টার রেডিও থেকে বেরোত আমীন সায়ানী নামক একটি ঘুম পাড়ানি গন্ধর্বের
    কথার জোনাকি। কিন্তু খুসরোর এই প্রাচীন স্বপ্নের গোরস্থানে
    রাত নটা কিম্বা দশটার পরে, কে তার খাটিয়ার দড়িতে মিলিয়ে যেত আর কে তার প্রেমাস্পদের বাড়ির ছায়ায়
    আকাশ থেকে নেমে আসা রেশমের ডোর ধরে চোরের মতো ঝুলত -
    তার খোঁজ কেউ রাখত না।

    রাত আরেকটু গভীর হলে
    রায়সিনা হিল থেকে থেকে নেমে রাজপথের দুধারে ব্রিটিশদের ফেলে যাওয়া সিপাহীর মতো স্ট্রীটলাইটগুলো
    পথ দেখিয়ে নিয়ে আসত যমুনার নীচু জমিতে শষ্যের মতো গজানো –
    কিচ্ছু না জানা, বে-তালিম, বুন্দেলখণ্ড্‌ গ্র্যানিটের চাঁইভর্তি পাড়াগুলোতে
    অভিসন্ধি নিয়ে ঘুরতে আসা রোশনারা বেগমের না-হতে-পারা সন্তানদের,
    যারা এই ধুলোর পৃথিবীতে অন্তত একবার
    জন্ম নেবার জন্য খুঁজত ছোট ছেলে বা মেয়েদের নরম নীরোম বুক।
    মুড়ি দেওয়া চাদরের নীচে আমাদের পেটের উপর বসে তারা
    আকাশের দিকে তুলত কোদাল, আমরা আতঙ্কে বন্ধ করে নিতাম চোখ।
    এইভাবে রাতের পর রাত আমাদের নরম মটির মতো খুঁড়ে
    তারা ঢুকে পড়ত আমাদের শরীরের অতল কুয়োর ভিতর
    যেখানে আমরা লুকিয়ে রেখেছিলাম তিল তিল করে সংগ্রহ করা নীল আর সবুজ রঙের নোনতা
    সংস্কৃত বা হিন্দীর ধাতুরূপের নুড়ি, এবং এক-দুই-তিন বলে ছেড়ে দেওয়া রূপকথার ট্রেনের মতো রঙীন
    আনন্দ বকশীর লেখা দোহা।
    আমরা জানতাম
    অতৃপ্ত শাহজাদীর বংশধররা আমাদের পেটের ভিতর জন্মাতে জন্মাতে সেখানেই
    আরব্য রজনীর মতো গল্পের বাজার খুলে
    একদিন আমাদের শরীরের মশক ফাটিয়ে চৌচির করে ছড়িয়ে পড়বে ঘন্টাঘর
    কিম্বা কৌড়িয়া পুলের রাস্তায় - যেখানে চটি ফট ফট করে আমরা হাজির হতাম
    কোনও ছুটির দিনে শহরটাকে উপভোগ করার আশায়।

    বৃষ্টি পড়ত কদাচিৎ। পড়লে মুষলধারায় নেমে এসে কয়েকমিনিটের জন্য
    শহরের রাস্তাগুলোকে করে দিত ছোট ছোট চম্বলের নদী
    যার স্বচ্ছ জলের নীচে বালি আর কাঁকড়ের বিছানায়
    আমাদের পায়ের ছাপগুলি মুছে যাওয়ার সময় পেত না। কাহারদের বস্তি থেকে শুরু হয়ে
    হৈ হৈ করে বর্ষায় দৌড়বে বলে বেরিয়ে আসত
    আদিম পৃথিবীর পুত্র-কন্যারা। সেই প্রচণ্ড জলের তোড়ে কারো মুখ চেনা সম্ভব ছিল না,
    এবং লজ্জানিবারণের এক খণ্ড উপকরণ সঙ্গে না নিয়েই কিছু তরুণ ও তরুণী মিশে যেত সেই
    দ্রুতগামী হরিণের পালে। আমরা হাওয়ার বিপরীতে যাব বলে
    জলের অদৃশ্য ছুরির আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয়ে চোখ বন্ধ করে চালাতাম সাইকেল।
    মৈথিলী মার্কেটের সামনে কালো পীচের উপর কাঁচের মোটা একটা আস্তরণ তখন
    প্রবল বেগে ছুটছে হয়তো নদীর দিকে। সম্বলপুরার স্লুইস গেট আকন্ঠ ডুবে গিয়ে
    নাক উঁচু করে জেগে আছে কোনোমতে। আমরা সবাই, আমাদের ভেসে যাওয়া সাইকেল
    আর পোষ-না-মানা হায়না, কাহারদের টোলি, কুট্টি মাস্টারের দর্জির দোকান, সব একসঙ্গে ভাসতে ভাসতে
    গিয়ে পড়তাম সেই স্লুইস গেটের উপর, যেখান দিয়ে একদিন তৈমুরের সৈন্যরা বর্শার ফলার মতো
    ঢুকেছিল আমাদের বুকের ঠিক মাঝখানে। চারদিক জলে জলাকার। কেউ খুঁজছে নিজের হারানো
    মোটর গাড়ি, কেউ খুঁজছে তার নানী। যেদিকে তাকাই বুঝতে পারি আমাদের এই
    বিচ্ছিন্ন বিহড়ের উত্তর প্রান্তে যে কেউ ঢুকে আসতে পারে তার তলোয়ারের পিপাসা
    মিটিয়ে নিতে। আমরা একে অন্যের কাছে ঘনিষ্ঠ হয়ে দাঁড়াতাম। যার মোটর গাড়ি ডুবে গেছে সে
    খুঁজে দিত অন্য কারো নানী। যার নানী ভেসে যাচ্ছে সে একটা মা-হারা হরিণশাবক
    তুলে আনত জলের ঘূর্ণি থেকে।
    বুনো শুয়োরের পাল নদীতে ডুবতে ডুবতে এসে আমাদের ব্যারাজে আটকা পড়লে ঘোঁত ঘোঁত শব্দে
    হর্ষনাদ করত। বিরাট যমুনার অন্য পাড়ে, সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে একটি নীল বোরখা পরা রমণী,
    রোশনারা বেগমের অবিকল জলছবির মতো জলের রেখার উপর পা টেনে টেনে হাঁটতেন।
    আমরা তাঁকে দূর থেকে নমস্কার করে ফিরে আসতাম বাড়ি।

    আমাদের ছিল সপ্তাহে একটা মাত্র ছুটির দিন,
    যেদিন আমরা খাটিয়ার দড়ির উপর মাংসের নরম চাদরের মতো নিজেদের মেলে দিয়ে
    আকাশের কাছে কিরণের বৃষ্টি চেয়ে পড়ে থাকতাম নুন মাখানো শীতের সকালবেলা -
    মনের ছবিঘরে অদৃশ্য প্রণয়ী বা প্রণয়িণীর চিত্রপট ফোটাবার আকাঙ্খায়।
    আরো একটু বেলা হলে আমাদের উলটে দিয়ে যেত বাড়ির কেউ। রিঠা নামের একধরণের
    কঠিন ফলের সঙ্গে আমাদের শাদা চুড়িদার পাজামা সিদ্ধ হত ডেকচির জলে।
    আরো দুপুরবেলা হয়তো কলেজ গ্রাউন্ডের মাঠে সেই প্রণয়িণীর কলাগাছের মতো নিটোল
    উরুর কথা মনে পড়ায় খেলার মাঝখানে ঝিমিয়ে, আমরা বোওল্ড আউট।
    পড়ন্ত রোদ্দুরের বিকেলে ওয়ান্টেড জিন্‌সের দোকান থেকে বেরিয়ে আসা সেই
    এক জোড়া উরু যখন হাঁটতে শুরু করত আমাদের দিকে, তখন তার রোদচশমার
    আড়ালে জেগে থাকা চোখের উদ্ধত ফণার ছোবল থেকে নিজেকে বাঁচাতে আমরা কমলা আলোর
    ভেলায় উঠে ছড়িয়ে যেতাম কখনো মঙ্গল-বাজার কখনো বুধ-বাজারের জন অরণ্যে।
    আমাদের সেই শহরে কেউ হারাতে চাইলে তাকে টেনে নেবার জন্য গলিদের মধ্যে
    একটা প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেত। মোঘল আমলের ভাঙা গম্বুজ আর ইঁট,
    ফাটক খুলে বেরিয়ে আসত তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। লাহোরী গেটের রাস্তা,
    আগে ভাগে গিয়ে বসে থাকত সদর বাজারের মোড়ে। বেঁকেচুরে শহরটা এমনভাবে বিকৃত হতে
    শুরু করত, যেন সাতশো বছর ধরে আমাদেরই যে অপূর্ণ ইচ্ছেগুলো আমাদের খুঁজে বেড়িয়েছে,
    তার একটিও কোনোদিন আর ফিরে না আসতে পারে ঘরে।
    ছুটির সেই দিনগুলোতে আমরা তো হারিয়ে যেতামই,
    আমাদের সঙ্গে হারিয়ে যেত বিকেলের কুমারী আকাশে অসময়ে ফুটে ওঠা কয়েকটা গ্রহ ও উপগ্রহ,
    যারা আমাদের এই রেগিস্তানের প্রান্তে আগ্রহের সঙ্গে রোজ আসত হয়তো একজন বন্ধু,
    বা একটি রাতের সঙ্গীর অপেক্ষায়।

    আমাদের সেই শহরে সন্ধ্যের বিষণ্ণ যব নামত না আকাশ থেকে। ফাটা গম্বুজ থেকে
    শিকড়ের মতো বেরোত তার ঝুরি। গোধূলির বাবুর্চিরা ম্যানহোলের ঢাকনা
    তুলে একসঙ্গে বেরিয়ে আসত রাস্তা বা ফুটপাথের নির্জন এলাকায়। পাথরের দেয়ালে লাগানো
    জং ধরা লোহার কপাট খুলে মোচওয়ালা মুখগুলো বের করত যত রাত-রসোইয়ের চৌকিদার।
    আরাবল্লীর না শোনা কাহিনী শীতের ধুলোর মতো চারদিক থেকে
    উড়ে আসত শহরের রাস্তায়। আমরা ক্রিকেটের মাঠ থেকে ফেরার পথে বেভুলে চলে যেতাম
    মৈথিলি মার্কেটের ধারে কোনো পুরোনো বইয়ের গ্যারেজে। যেখানে ভাঙা প্যাকিং বাক্সে রাখা
    চোর আর চোরনীর আত্মজীবনীগুলো পটাপট উঠে আমাদের পিছু নেবে বলে মিশে যেত গলির অন্ধকারে।

    সেই ধস ও ধ্বংসের দুনিয়ায় হাত সাফাইয়ের মিস্তিরি আর মিস্তিরনী ছাড়া গল্প হবেই বা কার? এককালে
    যারা লাল পাথরে গাঁথা মোঘলদুহিতাদের মতো দাঁড়িয়ে থাকত প্রতিটি পাঁচিলের ভিতর
    বা কালোজাম গাছের আড়ালে, পরবর্তী সময়ে তারাই চূরিয়ে হয়েছিল ধুলো, বালি,
    আর পাক্কা সিমেন্টের গুঁড়ো। সেই অপরাদ্ধাদের পরমাণু দিয়ে বসন্তের হাওয়া আর অলিন্দের অন্ধকার
    তৈরী করত যে সব গুজব,
    তার মধ্যে একটা কি দুটোকে আমরা বেছে নিয়েছিলাম, পরে কোনো চোর
    বা চোরনীর সাথে ভাব হলে তাকে শোনাব বলে।

    সেগুলো ছিল আমাদের না-বলা শহরের রূপকথা, যাদের মুখ দেখে অতি সহজে বোঝা যেত
    আমাদের সঙ্গে কারো ভাব না হলে তারা এই গলিগুলোতেই ঘুরতে থাকবে
    রামকিঙ্করের যক্ষ আর যক্ষিণীর মতো নিরুদ্দিষ্ট ও পথের দৃষ্টিহারা।




    অলংকরণ (Artwork) : পরবাস ডিজিটাল আর্ট
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments