• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৮৯ | জানুয়ারি ২০২৩ | গ্রন্থ-সমালোচনা
    Share
  • সেইসব দিনরাত্রি -- গ্রন্থ আলোচনা : ভাস্কর দাস

    সেইসব দিনরাত্রি — অলক রায় ঘটক; বই প্রকাশন, কলকাতা; প্রচ্ছদ— সৌগত চট্টোপাধ্যায়; প্রথম প্রকাশ- অক্টোবর ২০২১; ISBN: 978-81-954800-0-5

    স্মরণ আলেখ্য 'সেইসব দিনরাত্রি' শ্রী অলক রায় ঘটকের জীবনের একটি নির্দিষ্ট পরিসরের বৃত্তান্ত, যার ভিত্তি লেখকের পেশাজীবন। বৃত্তের কেন্দ্রে আছেন লেখক নিজে। এই জঁ'র এর লেখায় সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রথম ক’টি পৃষ্ঠায় নিজের ও পরিবারের 'না দিলেই নয়' সুলভ সামান্য পরিচয়ের অবকাশে নিজের বিনয়ী অবস্থানটি তিনি ধরে রেখেছেন জ্যামিতির নিয়মানুসারে বৃত্তের কেন্দ্রের বিন্দুবৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বেধহীন এক অস্তিত্বে। জীবন নামের স্থির জলাশয়ে সেই বিন্দুটি নিক্ষিপ্ত হতে যে বৃত্তাকার ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে একের পর এক, সময়ের অক্ষরেখায় যাদের ব্যাস বাড়তে বাড়তে অনেকটা ব্যপ্ত পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে, যারা দুহাতে আঁকড়েছে জীবনের অনেকটা বিস্তার, তাদের তন্নিষ্ঠ অবলোকন বিন্দুটির অস্তিত্ব ও গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের ক্রম-অবহিত করেছে। আমরা আবিষ্কার করতে শুরু করেছি বিন্দুটির ওজন ও অভিঘাত। অর্থাৎ আত্মজীবনীর বিপরীতে 'আমি'-টির অস্তিত্বের ঘোষণাটি স্পষ্ট হয়েছে তাকে কেন্দ্র করে ওঠা বৃত্তের পরিধির চলমান গতিপথের পাগমার্কে।

    লেখকের জীবনের শুরুর দিনগুলো তুলনায় নিস্তরঙ্গ। "গাছপালার সমারোহ, পাহাড়ি নদীর কলতান, উদার জমির বিস্তীর্ণ বিস্তার, দূরে ঘন হয়ে আসা গভীর জঙ্গল এবং সর্বোপরি এক বিশুদ্ধ নৈঃশব্দ্য।" – এমন সরল অলঙ্কারে সাজানো সুস্থির জীবন বয়ে চলেছে চেনা ছন্দের নিরাপদ পথে। সে পরিক্রমা হয়ত বৈচিত্র্যহীন, কিন্তু ক্লান্তিকর নয়। পরবর্তীকালে বাবার বদলির চাকরির সুবাদে মাঝে মাঝেই পটপরিবর্তন করে সেই সমাহিত প্রবাহ যখন কলকাতার কাঠিন্যে আছড়ে পড়ল, তখন অনিশ্চয়ের বিপন্নতা তাকে গ্রাস করেছে। তাকে পাস কাটানোর কৌশল আয়ত্ত্ব করা, পাশাপাশি তার কঠিন ইঁটের পাঁজার ফাঁকফোকর দিয়ে পিছলে আসা আলোটুকু শুষে নিয়ে সালোকসংশ্লেষে উৎপন্ন ক্লোরোফিলে সূর্যমুখী পাতায় সবুজের সমারোহ রচনার সাধনায় দিনাতিপাত - কলেজজীবন থেকে এইই হয়েছে তাঁর রোজনামচা। সহোদর বিয়োগের তীব্র যন্ত্রণা তাকে এক আত্মমগ্ন গভীরতায় নিয়ে গিয়েছিল আগেই। বিধুর মন কবিতার মায়াঘেরা শরীরে শুশ্রূষার কোমল হাতটি খুঁজে পেল। পরবর্তীকালে কবিতা শ্রুতির কণ্ঠশিল্পের জগতেই প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি এল তাঁর। ঈশ্বর প্রদত্ত কণ্ঠস্বরের মালিকানা তাঁকে এক কদম এগিয়েই দৌড় শুরু করার অধিকার দিয়েছিল। সেদিন স্টার্টারের বন্দুকটি ছিল প্রবাদপ্রতিম বাচিক-শিল্পী শ্রী প্রদীপ ঘোষের হাতে। এক্সট্রা মাইলেজ হয়ত এসেছিল তাতে। তবে বড় কথা এটাই যে প্রদীপ বাবুর জীবনের শেষদিন অব্দি লেখকের সঙ্গে এক অনুরক্ত সখ্যতা বজায় ছিল তাঁর, যাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন লেখক।

    প্রথাগত কলেজশিক্ষার পাশাপাশি কলকাতার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অনুশীলনে প্রথমে শিক্ষানবিশী, পরে শিল্পী এবং ক্রমে প্রশিক্ষক, কখনও বা শিক্ষক হিসেবেও যোগদান করে অলক তাঁর নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন দিনে দিনে। তাই একদিন আকাশবাণী-তে যোগ দেওয়া ছিল এই প্রতিভাসের এক স্বাভাবিক প্রাপ্তি। সেই সময়ের, মানে গত শতকের সাতের দশক থেকে পরবর্তী পঁয়ত্রিশ চল্লিশ বছর সময়ের আকাশবাণী, যখন বেতারের তরঙ্গে বাংলার গান ও কবিতা, কথিকা ও নাটক, সংবাদ ও প্রতিবেদনে ভাসছে বাংলার তথা ভারতের সাংস্কৃতিক মহারথীদের ভেলা – তার সঙ্গে পরিচয়ের দাবীটি যোগ্যতা প্রমাণের শর্তাধীন ছিল। নিজস্ব চেষ্টায় ও উদ্যোগে সেই শর্ত-পূরণের সম্পদটুকু ইতিমধ্যেই আহরণ করে রেখেছিলেন অলক। অতএব বেতারের সঙ্গে তাঁর বার্তা বিনিময় একপ্রকার পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। সেই আলাপের অবকাশে আকাশবাণীর ক্রম-উন্মোচিত অমিত মূর্তিটি, আর সেই সূত্রে প্রাপ্ত শিল্পী ও আজকের ভাষায় ‘সাপোর্ট স্টাফ’দের অবাক পৃথিবী – তার পরিচয়টি আজকের প্রজন্মের মানুষের কাছে এই বইটির সূত্রে প্রাপ্তি। এর বাইরে সমকালীন বাংলা মঞ্চ/ রঙ্গমঞ্চের কলাকুশলী ও তাঁদের কর্মকাণ্ড – তারও বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে, অবশ্যই সেই পরিসরে যেখানে লেখক তার সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে তার ব্যাপ্তিটি কম নয়, ফলে পরিচয়ের বৃত্তটিও বড় মাপের।

    স্মরণের এই বৃত্তান্তে আমরা সাকুল্যে তিনটি বিষয় পাচ্ছি। এক, এই সীমানায় ঘোরাফেরা করা মানুষদের শিল্পীসত্তা এবং তাকে পেরিয়ে তাঁদের মানবসত্তা, দু’য়েরই পরিচয় ঊঠে আসছে এ লেখায়। দুই, আমরা পাচ্ছি একটা ব্যবস্থার বর্ণনা যেখানে শিল্পের সৃষ্টিটি ব্যক্তিনির্ভর এক অযান্ত্রিক কাঠামোয় বাঁধা এবং স্বভাবতই মানবিক আবেগ ও মস্তিষ্কের সঙ্গে হৃদয়ের সবান্ধব বিনিময়ের ফসল। তিন, ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে লেখকের এই সম্পন্ন সাংস্কৃতিক বিশ্বলোকে দীর্ঘ বসবাসের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত এক নির্যাসের সন্ধান, যা তথ্য ও জ্ঞানের সিঁড়ি টপকে পৌঁছে যাচ্ছে ‘উইজডম’-এর স্তরে।

    এ বইয়ে স্মরণীয় শিল্পীদের কথায় প্রথমেই আসছে শ্রী শম্ভু মিত্রের নাম। দেবতার আসনে বসা শ্রী মিত্রের প্রতি লেখকের ব্যক্ত অনুরাগে আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু সেই মহাভুজের বর্ণনার পরিচ্ছদেই লেখক এনেছেন নাট্যকার শচীন্দ্র সেনগুপ্তের ছেলে দীপেন্দ্র সেনগুপ্তকে। নাটকের প্রতি দায়বদ্ধতায় তিনি কারো চেয়ে কম ছিলেন না, নাটক লেখা ও পরিচালনায় তুখোর মানুষটিকে সাধারণ মানুষ তো দূর, নাট্যজগতই মনে রাখেনি। অভিমান একটু ছিল হয়ত, নচেৎ দূরদর্শনের অনুষ্ঠানে লেখকের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অবাক দীপেন্দ্র যখন লেখককে বলছেন “নির্বাচনের সিদ্ধান্তটা একলা তোমারই ?...তুমি তো খুব বোকা হে অলক! এই যুগে কেউ যেচে মানুষের ভাল চায়?” তখন দীপেন্দ্রর প্রতি লেখকের ন্যায্য দুর্বলতাটুকু বুঝে নিতে আমাদের অসুবিধে হয় না।

    এমনই পর্দানশীন এক অভিমানের বৃত্তান্তের বিবরণ দিয়েছেন সবিতাব্রত দত্তের প্রসঙ্গে। নজরুলের দেশাত্মবোধক গান যার কন্ঠে পরম আশ্রয় ও প্রশ্রয় পেয়েছে, সেই সবিতাব্রত দত্তকে সভায় এনে সম্বর্ধনা দেওয়া হল, বলানো গেল কিছু কথা কিন্তু এক কলিও গান গাওয়ানো গেল না! কি সেই রক্তপাত, যা তাঁর কিংবদন্তী কন্ঠকে রুদ্ধ করে রাখল তা লেখক জানতে পারেন নি, কিন্তু সে বঞ্চনার ব্যাথাকে তাঁর স্মরণের অক্ষরমালায় তার উপযুক্ত মর্যাদা দিতে ভোলেন নি।

    “অপরূপ তাঁর দায়িত্বহীনতা” – এমনতর অভিধায় যিনি ভূষিত, সেই নজরুল তাঁর গানের ‘ভান্ডারি’ হবার দায়িত্ব দিয়েছিলেন এমন একজনকে যার ভূমিকা রবীন্দ্রগানে দিনু ঠাকুরের সমতুল। তিনি শ্রী ধীরেন দাস। ভাবীকাল তাঁকে ভুলেছে, তাই লেখককেও তাঁকে তাঁর বইয়ের পাঠকের কছে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়েছে বাংলা ছবির অভিনেতা অনুপকুমারের বাবা বলে। কিন্তু তাঁর গল্প বলে প্রতিফলিত আলোয় নয়, তাঁর নিজ সাধনা ও সাফল্যের মহিমায় তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে লেখক আমাদের ধন্যবাদার্হ হয়েছেন।

    এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বের প্রসঙ্গে নানা টুকরো গল্পের অবতারণা করে তাঁদের একটা অন্য ‘ফ্লেবার’ যোগ করেছেন অলক, যা পেয়েছি আমরা লেখকের সঙ্গে ওঁদের অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার সূত্রে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসরে এসে সুনন্দা পট্টনায়েক বিহ্বল হয়ে আয়োজকদের কাছে অনুরোধ করছেন “আমাকে এক প্যাকেট ধুপকাঠি এনে দিও। বাড়ি যেতে যেতে দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। কাল ভোরবেলা ধূপ ছাড়া তো পুজো হবে না। তাহলে রেওয়াজও হবে না। ওটাই তো আমার ঠাকুরঘর আর রেওয়াজের ঘর।” পন্ডিত শিবকুমার শর্মার সঙ্গে অনুষ্ঠান করবেন পন্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। মজার মানুষটি বললেন মঞ্চে ওনার নাম না বলতে। “দেখো বেটা, নাম কা সাথ বদনাম ভি বহুত আতা হ্যায়। লোগো কো বোলো, আভি মঞ্চ পর এক বুডঢা আদমি আয়েঙ্গে। উনোনে আপকো সামনে বাঁশরী বাজায়েঙ্গে।“ কৌতুকপ্রিয় হরি-জির ‘প্র্যাক্টিকাল জোকে’ ঘোষক তখন ঘর্মাক্ত কলেবর।

    আজকের “মিউজিক” সৃষ্টির খণ্ডিত পৃথিবীতে, যেখানে গানের শিল্পী, বাজনার শিল্পী, সাউন্ড রেকর্ডিস্ট কেউ কারো মুখ চেনেন না, বিনিময় হয় না কোন আবেগের, শুধু বেগবান ইন্টারনেট তাদের স্বতন্ত্র অংশগুলো সেলাই করে “প্রোডাক্ট”-টি একসঙ্গে সারা দুনিয়ার বাজারে “রিলিজ” করে দেয়, সেখানে গীতিকার শ্যামল গুপ্ত আর মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের গান তৈরির কাহিনিকে গল্প বলেই ভুল হয়। “মানব এসেছে বেতারে গান গাইতে, গারস্টিন প্লেসে, আমি সঙ্গী। Live Broadcast. দুটি গানের পর ঘন্টা দুয়েকের ব্যবধান। আমি পকেট থেকে সদ্য লেখা একটি গান বের করে মানবকে বললাম – এটাতে সুর কর। … সহজ সুর… যাতে সবার ভালো লাগে। বেশি বিদ্যে দেখাতে যাস না। তা মানব তো সুর দিল, রেকর্ডও করল। সে গান আজ ইতিহাস – ‘আমি এতো যে তোমায় ভালবেসেছি।‘ এ যেন সেদিনের সুর ভরা দূর নীলিমার বিভার কাছে আজকের প্রযুক্তির অসুরের পরাজয়ের রূপকথা – যা লেখক তুলে ধরেছেন সযত্নে।

    দশকের পর দশক ধরে এমনই সুর তাল লয়ের ছন্দবাণীর অক্ষরবৃত্তে কৃষ্টি আর সংস্কৃতির যে প্রতিমাটি নির্মাণ হয়েছে লেখকের মানসে, তার শক্তিতে সবার শেষে তাঁর মগ্ন উচ্চারণ “…কতই তো পেলাম।… অন্য কি বা পেতে পারতাম? অর্থ-যশ? সেও তো থাকে না চিরকাল। নস্বর প্রাপ্তির থেকে, এই যে অনশ্বর এত কিছু পেলাম – এই তো জীবনের পরম উপহার। যাকে বলে ‘আনন্দ’।” এইভাবেই স্মরণের এক আলেখ্য গল্প থেকে কাহিনি হয়, উত্তরিত হয় ‘ইনফরনেশন’ থেকে ‘উইজডম’-এর কথিকায়। আর তখনই সময়ের টানাটানির সংসারে এ বইয়ের জন্য ব্যয় করা সময়টুকু তার উৎকৃষ্ট ব্যবহারের উদাহরণ হয়ে থাকে।

    তবু জীবনের সবটুকুই তো উত্তমর্ণের পদচারণা নয়। নেতির দেখা লেখকও পেয়েছেন বিস্তর। সাহিত্যের আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র অনুষ্ঠানে গিয়ে জল চাইছেন পাথরের গ্লাসে, সঙ্গে আদেশ, সে পাত্রের বহনকারী যেন হয় ব্রাহ্মণসন্তান – এ নীচতা আমার নিজের চোখে দেখা। ক্ষমার আনন্দে লেখক তাঁর খারাপ লাগাটুকুকে সময়ের বালিতে চাপা দিতে পছন্দ করেছেন। তাতে সত্যের কিছু অপলাপ হয়েছে। তবে সত্যের সৌন্দর্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য – এ আপ্তবাক্যে বিশ্বস্ত আমি ভিন্নমত পোষণ করছি লেখকের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে।

    লেখকের স্বজনভাগ্য ঈর্ষণীয়। আক্ষরিক অর্থেই সাংস্কৃতিক জগতের অসংখ্য গুণীজনের সান্নিধ্যে আসার ফলে স্মৃতিকথায় কারোকেই বাদ রাখার অবকাশ তিনি পাননি। তাতে যেন কিছু বেশি কুশীলবের মঞ্চপ্রবেশ ঘটে গেছে সীমাবদ্ধ সময়ের গণ্ডীতে। এতে পাঠকের মনে হওয়ার সুযোগ আছে যে গতির সঙ্গে যতির যে সুসমঞ্জস অবস্থানে নাটকে সাফল্যের ঠিকানা লেখা থাকে, তাতে কিঞ্চিত ঘাটতি রয়ে গেছে। নীরবতার কথঞ্চিত আরাধনা শব্দের শক্তিকে বাড়িয়ে দিতে পারত হয়তো।

    বাংলা প্রকাশনার জগতে নির্ভুল অক্ষরবিন্যাস ও সংকলন আলোকবর্ষ দূরের প্রহেলিকা। এই বইয়েও তার ক’টি উদাহরণ রয়েছে। তবে বইয়ের ১১২ পৃষ্ঠায় ‘অনৃত’ভাষণ যেখানে চেহারা পাল্টে হয়েছে ‘অমৃত’ভাষণ, সেখানে একটি মাত্র রেখার অপলাপে যে সর্বনাশা কৌতুকের জন্ম হয়েছে, তাকে এড়াতে পরের সংস্করণে প্রকাশক নিশ্চয়ই যত্নবান হবেন। কারণ আমি নিশ্চিত, বেশ কয়েকটি সংস্করণের আয়ু নিয়েই এই বইয়ের জন্ম হয়েছে।

    বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের মুন্সিয়ানাকে কুর্নিশ। দিন রাত্রির কাব্যে নাট্যমঞ্চের নৃত্যশিল্পীর গায়ে ফেলা সাদা আলোর আভাস যেন আগেই জানিয়ে দিচ্ছে দু’মলাটের অন্তরমহলে কিসের কথা সত্যি হয়েও গল্প সেজে আছে।

  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments