আমরা যতই ঘোরাঘুরি করি না কেন মনে মনে জানতাম বেড়ানোরও একটা মাত্রা আছে। বিদেশ বিভুঁই বাঙালদের জন্যে নয়। একে তো সেখানে হিন্দিভাষা চলে না, তায় আবার পাসপোর্ট, ভিসা, বিদেশি মুদ্রা ইত্যাকার হরেক উৎপাত। কিন্তু ক্রমে বাঙালভুবন পালটে যেতে থাকল। আশপাশে প্রায় সবার ছেলেপুলে হয় ইউএসএ বা ইউকে-তে থাকে। দু-চারজন জার্মানি চলে গেছে। কানুদার মেয়ে তো নরওয়ে থাকে। যেসব বাঙাল দার্জিলিং যায়নি তারা শিকাগো থেকে ফিরে চকোলেট দিতে এসে বলে, ‘ওহানে কী কমু, এক্কেইরে আলাদা’। নরেশকাকুর মেয়ে ব্রাইটনে থাকে। তিনি একদিন বললেন, ‘ডরাইস ক্যান, বেবাক লোকে বাঙাল কতা কয়। এক্কেরে ইংলিশ কইতে না ফারলে ইশারায় কবি।’ ফলে জেদ চেপে গেল একবার বিদেশ পাড়ি দিতেই হবে। কিন্তু বাংলাদেশ চলবে না। সে তো বাঙালদের স্বদেশ। শেষে ঠিক হল কাম্বোডিয়া যাব আর সঙ্গে থাইল্যান্ড।
বাঙালদের প্রেস্টিজ খুব টনটনে। তাই এত কাছে বেড়াতে যাওয়ার জন্যে ট্র্যাভেল এজেন্সিতে যেতে লজ্জা হল। টিকিট, হোটেল বুকিং, নিজেরাই করলাম। দীপংকর সেকেন্ডহ্যান্ড বইএর দোকান থেকে লোনলি প্লানেট-এর কাম্বোডিয়া কিনে আনল। ভিসা অফিস অবধি এখন দক্ষিণ কলকাতায় বাঙালদের হাতের ডগায়। সব সাজিয়ে নিয়ে মাঝরাতে এয়ার এশিয়া-র বিমানে এসে নামলাম ব্যাংকক-এ। আমাদের সম্মিলিত গবেষণা থেকে আমরা জেনেছি সরাসরি কাম্বোডিয়া উড়ে যাওয়া অনেক বেশি খরচের।
এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে। কিন্তু কই ‘কোথায় যাবেন, বেহালা, বেহালা’ এসব বলে কেউ তো আসছে না। এক হাসিমুখ পুলিশ মেয়ে আমাদের বিহ্বল অবস্থা দেখে এগিয়ে এসে দুটো মিটারের মতো জিনিশের দিকে ইশারা করল। আর বোতাম টিপতেই একটা নম্বর লেখা স্লিপ বেরিয়ে এল আর প্রায় সামনেই দেখলাম সেই নম্বরের ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে।
আমরা যাব সোজা অরণ্যপ্রাথেট – চমৎকার নামের এক সীমান্ত শহর। আলো ফুটিফুটি আধো ঘুমন্ত ব্যাংকক ছেড়ে আমাদের ট্যাক্সি শিগগিরই হাইওয়ে ধরল। ঘন্টাদুয়েক পরে আমাদের সারথি সবিনয়ে জানতে চাইল আমরা কোথাও অল্পস্বল্প খেয়ে নেওয়ার জন্যে থামতে চাই কি না। শোনামাত্র খিদে পেয়ে গেল। অভিজিৎ আর দীপংকর আগেও বিদেশ গেছে। তারা বোঝালো এখানে যদিও সবে সকাল আমাদের কলকাতার সময় অনুযায়ী শরীর এখন ছোট হাজরি চাইতেই পারে।
অরণ্যপ্রাথেট সীমান্তে পৌঁছে আমরা দেখলাম বেশ লম্বা লাইন আছে সীমান্ত পার হওয়ার। স্থানীয় লোকেরা নিয়মিত যাতায়াত করে। আমাদের যেমন নেপালে স্থলপথে ঢোকার জন্যে এদিকে পানিটাংকি আর ওদিকে কাঁকরভিটা এদের তেমনি এদিকে অরণ্যপ্রাথেট ওদিকে পইপেট। বিরাট কড়াকড়ি কিছু নেই। ভিসা পরীক্ষা করানোর জন্যে নোম্যান্সল্যান্ডের পরে একটা দোতলা হলঘরে ঢুকতে হয়। তারপর সিঁড়ি দিয়ে নেমে ওপারে গেলেই পইপেট। সেখানে এক প্রহরী অবশ্য খুব তাচ্ছিল্যের সঙ্গে আরেকবার পাসপোর্টে ছাপ পড়েছে কি না দেখে নিল। পইপেট ছোট্ট জায়গা। কিন্তু সীমান্ত প্রবেশপথের ঠিক পরেই রয়েছে বিরাট বিরাট সব ক্যাসিনো। তার ভিড়টা নাকি মূলত ওপারের লোকেদের। কেননা সীমান্তের ওপারে জুয়া নিষিদ্ধ। যেমন ভারতীয় গরিবদের লাস ভেগাস ছিল কাঠমান্ডু।
এখানেও রাস্তার ধারে টুল পেতে অনেক খাওয়ার দোকান। ব্যাং-এর কাঠি আইসক্রিমের দেখলাম খুব কাটতি। এখান থেকে আবার ট্যাক্সি ধরে আমাদের যেতে হবে সিয়েম রীপ – আংকোর মন্দিরগুচ্ছের নিকটতম শহর। টাক্সি ছাড়তেই বুকটা ধক করে উঠল – পাগলটা তো সোজা রাস্তার ডানদিক ধরে সাঁ সাঁ করে চালাচ্ছে। তারপর বুঝলাম পাশাপাশি দেশ হলেও চলন থাইল্যান্ডে বাঁ-দিক আর এখানে ডান দিক।
এইসব মন্দিরের মধ্যে যেগুলো সব থেকে বড় আর সুন্দর আর অপেক্ষাকৃত আস্ত আছে স্বাভাবিকভাবেই সেগুলোতে ভিড় বেশি। আর অন্তর্জাল আর ট্র্যাভেল গাইড বুকের দৌলতে সবাই জানে কোথা থেকে সব চেয়ে ভালো সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই মোটামুটি কোনদিক থেকে শুরু করলে সন্ধের সময় সেখানে পৌঁছনো যাবে সেই অনুযায়ী একটা বেড়াবার ছক তৈরি হয়। আমরা ভিড় ফাঁকি দিতে উল্টো দিক থেকে পরিক্রমা করার ফন্দি এঁটেছিলাম। কিন্তু দেখলাম আরও অনেকেই সেই এক রাস্তা নিয়েছে। তবে তুলনায় এদিকে ভিড় কম। ইউরোপিয়ানরা সাধারণত বড় দলে আসেন না। কিন্তু জাপানি এবং চিনা ভ্রমণার্থীরা আসেন বিরাট বিরাট বাসে করে। কুম্ভ বা গঙ্গাসাগর মেলায় যেমন দেহাতি ভিড়ের একজন দলপতি আগে আগে একটা নিশান নিয়ে হাঁটে এখানেও তাই। তবে এনারা খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ। কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথমজন যদি একটি সেলফি তোলেন তাহলে পরের উনসত্তর জনও ঠিক সেখানে দাঁড়িয়েই একে একে সেলফি তোলেন।
টানা তিনদিন আমাদের রুটিন ছিল সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়ে আমাদের টুকটুক চালকের অধিনায়কত্বে হাঁ হয়ে এইসব বিশাল কীর্তিকলাপ দেখা আর সন্ধেবেলা ফুডস্ট্রিটে হাজির হওয়া। আমাদের হোটেল থেকে পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথ সেই স্বর্গরাজ্য। নামেই মালুম গোটা রাস্তাটার দুধারে নানান কিসিমের খাওয়ার জায়গা। ক্রিসমাসের পার্ক স্ট্রিটের মতো ঝলমলে। ছোট ছোট ঠেলাগাড়ি করেও খাওয়ার বিক্রি হচ্ছে দেদার। কাম্বোডিয়া বেশ গরিব দেশ। সে দেশের মুদ্রার এতই কম দাম যে এখানে কেনা বেচা সবই হয় বিদেশি মুদ্রায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় ডলার। এক দুই ডলারে সেখানে যে দেবভোগ্য খাবার খেয়েছি সে আর কি বলব। আর গোটা সন্ধেটাই প্রায় হ্যাপি আওয়ার। ঠেলাগাড়িগুলোতে তো বটেই অনেক রেস্তোরাঁতেও কাঁচের ঢাকনার তলায় বাটিতে বাটিতে কিলবিল করছে মাছ, শামুক, ঝিনুক, স্কুইড, অক্টোপাস ইত্যাদি। হাত দিয়ে দেখিয়ে দিলেই তুলে রান্না করে সসে ডুবিয়ে তুলে ধরা হবে আপনার মুখের সামনে। রসালো নানা ফলের বিপুল সম্ভার। আর চিনে বা থাই বা ইউরোপিয়ান খেতে চাইলে তারও কোন কমতি নেই। আমার জীবনের শেষ এক বছর আমি ফুড স্ট্রিটে থাকতে চাই।
খাওয়ার কথা উঠল যখন বলি – পাথরের রাজ্যে আমাদের হাঁফ ধরে যেতে আমরা একবেলা আংকোর থেকে ছুটি নিয়ে গেছিলাম ভুবনবিখ্যাত হ্রদ টোন লে স্যাপ-এর এক কোনায় এক গ্রামে। সে গোটা গ্রাম দাঁড়িয়ে আছে রণ পায়ে। আসলে নদীর জোয়ারে যাতে ডুবে না যায় সেই ব্যবস্থা। তিনতলা চারতলা সমান উঁচু বাঁশের পাটাতনের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই গ্রামের মানুষের অনেকেরই জীবিকা এই হ্রদের সঙ্গে জড়িয়ে। এই গ্রাম দেখতে এসে আমাদের উপরি পাওনা হল দুটি অবাক আহার। প্রথমটি রাস্তায় কয়েকটি বাচ্চা মেয়ে ফেরি করছিল। সেটি আর কিছুই না বাঁশের মধ্যে রান্না করা সেদ্ধ ভাত। স্টিকি রাইস বলা যেতে পারে। মোটা গোলগোল চালের ভাত। মিষ্টি মিষ্টি খেতে। ফুড স্ট্রিট থেকে অনেক যোজন দূরে এই অনাড়ম্বর খাবার আমাদের মনে করিয়ে দিল কাম্বোডিয়ার অধিকাংশ লোক কী খায়। তারপর আমাদের নৌকা গিয়ে থামল এক ভাসমান রেস্তোরাঁয়। বলাই বাহুল্য তার এলাহি বন্দোবস্ত সবই পর্যটকদের জন্যে। সেখানে মেনু দেখে আমরা ঈষৎ অবিশ্বাসের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম সত্যিই কুমিরের মাংস পাওয়া যাবে? উত্তর এল আলবাত। অচিরেই বিয়র সহযোগে কুমিরের মাংস খেতে খেতে আমরা স্টিকি রাইস খাওয়ার বিলাসিতা বিলকুল ভুলে মেরে দিলাম।
পইপেট হয়ে ফের ব্যাংকক আসতে আসতে আমাদের সন্ধে হয়ে গেল। আমাদের হোটেলের মালকিন জানালেন হাঁটা দুরত্বেই বসেছে রাতের বাজার। দেখলাম এক ময়দান জুড়ে হই হই ব্যাপার। গাড়িতে গাড়িতে ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছে জিভে জল ঝরানো সব খাবার। আর বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় এবং ঘর সাজানোর হরেক চীজ। আর ছোট ছোট অস্থায়ী পাব ঘিরে চলছে গান, নাচ। এই বাজারে অনেক বিক্রেতাই অপেশাদার। খাবারগুলো তাই বাড়ির রান্নার মতো হালকা। বেশি রাত করতে পারলাম না এখানে। আজ আমাদের মাঝ রাতে প্লেন ধরতে হবে। আমরা যাব ক্রাবি।
বাঙালরা আবার শুধু বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা একদিন আউটবোর্ড মোটর লাগানো এক নৌকায় চড়ে সমুদ্রবিহারে বেরোলাম। সারাদিন ধরে চলল পাথুরে দ্বীপ থেকে দ্বীপে ভেসে ভেসে চলা। আজব সব গড়ন একেকটা দ্বীপের। চিকেন আইল্যান্ড সত্যি হুবহু এক প্রাগৈতিহাসিক আকারের মুর্গির মতো দেখতে। আবার কোনটা ওবেলিক্স-এর মেনহির-এর মতো সটান উঠে গেছে আকাশপানে। একটা দ্বীপের কাছাকাছি এসে আমাদের নৌকার কাপ্তেন এঞ্জিন বন্ধ করে দিলেন। স্বচ্ছ নীল জলের তলায় ঝাঁকে ঝাঁকে ঘোরাঘুরি করছে চিত্রবিচিত্র নানা মাছ। চালকের সিটের তলা থেকে বেরিয়ে এল স্নর্কেল। নাকে লাগিয়ে জলের তলায় আমার জীবনের সবচেয়ে বড় একোয়ারিয়মে ঘুরে বেড়ালাম কিছুক্ষণ।
ছোট্ট ছোট্ট বিন্দুর মতো অসংখ্য দ্বীপ। অনেকগুলোতেই নামলে নির্জন সমুদ্রস্নানের আনন্দ নেওয়া যায়। হুটোপাটি শেষ হলে কাপ্তেন আমাদের নিয়ে চলল এমন এক ছোট্ট দ্বীপে যেখান থেকে দুর্দান্ত সূর্যাস্ত দেখা যায়। এটি বেশ জনপ্রিয়। একটু ভিড় আছে এখানে। উল্টোদিকে একটা একশিলার পুঁচকে এক দ্বীপ। তার আড়ালে সুয্যিডোবা দেখতেই এখানে জড়ো হয়েছি আমরা। বেলা ঢলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ভাসমান রেস্তোরাঁ হাজির হল এই সৈকতে। তাদের গলুই থেকে ঝুলছে সারি সারি খাবারের ফর্দ আর ছবি। তা দেখে প্রলুব্ধ হবে না এমন পাষণ্ড নেই।
আমাদের স্বর্গবাস ফুরিয়ে এলে আমরা আবার ক্রাবি বিমানবন্দর থেকে মাঝরাত্তিরে এসে নামলাম ডন মিউং বিমানবন্দরে। ব্যাংককের অন্য প্রান্তে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর। আমাদের ফেরার প্লেন ধরতে হবে সেখান থেকে। আমাদের কব্জিতে একটা করে ছাপ মেরে দেওয়া হল। যে বাস নিখরচায় আমাদের সুবর্ণভূমি নিয়ে যাবে তার ছাড়পত্র। বাস রে কি বিশাল সেই সুবর্ণভূমি। চারদিকে ঝকমক করছে আলো। গমগম করছে মানুষের ভিড়ে। যদিও আমাদের প্লেন-এর অনেক দেরি আমরা তাও একটা বোর্ড যাতে নানা উড়ানের তত্ত্বতালাশ ফুতে উঠছে তার সামনে বসে থাকাই সমীচিন মনে করলাম। ঘন্টা দুই বাদে খেয়াল হল আমাদের উড়ান তো দেখাচ্ছে না! তখন আরেকবার টিকিট বের করে দেখতেই বোঝা গেল খুব হিশেব করে আমরা চার বাঙাল যে টিকিট কেটেছিলাম তা পরদিন দুপুর বারোটা নয় আগের রাত বারোটায় তা চলে গেছে। সেদিন রবিবার। সব ট্র্যাভেল এজেন্সির কিওস্ক বন্ধ। একজন হদিশ দিল এই ফ্লোরের শেষ প্রান্তে রয়েছে পোস্ট অফিস। সেখানে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্যে অন্তর্জালের ব্যবস্থা রয়েছে। (সে আমলে আমাদের মত বাঙালদের স্মার্ট ফোন ছিল না।) সেখানে দেখলাম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ও হরি, আমাদের দুজনের কার্ড-এ আন্তর্জাতিক লেনদেনের অনুমতি করিয়ে আনা হয়নি। আর দুজনের আদপে ক্রেডিট কার্ড নেই। আমাদের বিহ্বল অবস্থা দেখে পোস্ট অফিসের সহৃদয়া অনুমান করলেন কোন গোলমাল হয়েছে। সব শুনে তিনি বললেন ছ'তলায় ইন্ডিগোর অফিস। সেখান থেকে আমরা হয়ত নতুন টিকিট কাটতে পারব।
দুজন দৌড় লাগালাম ছ'তলায়। ইন্ডিগোর অফিস বন্ধ করে বেরিয়ে আসছে এক দীর্ঘাঙ্গী দেবদুতী। তাকে হুড়মুড় করে আমাদের বিপদটা জানাবার পর তিনি সহাস্যে বরাভয় দেখালেন। তারপর আবার অফিস খুলে কম্পিউটার অন করে কীসব খুটখাট করে আমাদের জানালেন আমাদের ফেরার টিকিট উনি সংরক্ষণ করে ফেলেছেন। এবার আমাদের কাজ ওঁর সঙ্গে নিচের ডেস্কে গিয়ে টাকা দিয়ে কাজটা সম্পূর্ণ করে ফেলা। তবে এখানে টাকা দিতে হবে থাই বাট-এ। আমরা তখুনি টাকা বদল করতে যাচ্ছি দেখে আবার উনি আমাদের ইশারায় ডেকে নিলেন। জানালেন যে এখানে নয়, চারতলায় একটা টাকা বদলের অফিস আছে যারা সব থেকে ভাল দাম দেয়। এবং এই মূর্খরা যাতে আর গণ্ডগোলে জড়িয়ে না পড়ে নিজেই আমাদের পথ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে গেলেন। এবং তারপর নিচের ডেস্কে নিয়ে গিয়ে নতুন টিকিট করে দিয়ে একগাল হাসলেন। আজ অবধি মাঝে মাঝেই স্বপ্নে ওঁকে দেখি।