• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ২৯ | মার্চ ২০০৩ | বিবিধ
    Share
  • কথার কথা : সোডা জল



    ॥ সাদা হাতি ॥




    -- খেয়েদেয়ে পুরো কচ্ছপ হয়ে গেছি রে বাবা -- চম্পট প্রায় চিত্পাত হয়ে পড়েছিল ।

    খাওয়াদাওয়ার পর ফুরফুরে হাওয়ায় দিব্যি একটা আমেজ । গ্রহান্তরের জীবেদের চোখের পাতাও ভারি হয়ে নিচে নেমে আসছে । মেজোদাদু বলেন আপেল অবধি যাওয়ার কোনও দরকারই ছিল না, এটাই নাকি মাধ্যাকর্ষণের সাক্ষাৎ প্রমাণ । একেবারে চাক্ষুষ ।

    সত্যসাধন চেয়ারে শরীর ছেড়ে দিয়ে বললেন - সত্যি, এত পাঁঠা মুরগী সব যায় কোথায় ? অ্যাদ্দিনে তো পেটে একটা খামারবাড়ি হয়ে যাবার কথা ।

    -- আর অ্যাকোয়ারিয়ামের কথাটাও বাদ দিও না বাবা -- বললেন কংকাবতী -- মাছগুলো কি বানের জলে ভেসে এসেছে ?

    কথাটা ন্যায্য । নীলমানুষ পর্যন্ত ভেটকি মাছের পাতুরি দু'বার চেয়ে নিয়েছে । ইলিশের কাঁটা বেছেছে হাসিমুখে ।

    মেজোদাদু শ্বাস ফেলে বললেন -- এককালে কত কী পাওয়া যেত । হরিণ থেকে হায়না সব হাজির । আস্ত একটা চিড়িয়াখানাই গজিয়ে গিয়েছিল পেটে । সে-সব সুখের দিন কোথায় গেল । গ্যাঞ্জাম গাংলুকে একটা কচ্ছপ অবধি খাওয়াতে পারলাম না । -- মেজোদাদু আড়চোখে চম্পটের দিকে তাকালেন । কিন্তু সে এসবের তোয়াক্কা না ক'রে নির্বিবাদে নাক ডাকাচ্ছে ।

    আখতার গজনভি একটু দমে গিয়েছিলেন । প্রশ্ন তিনটে এখনও ঝুলে রয়েছে । মেজোদাদু পরিষ্কার ব'লে দিয়েছেন উকিলের সঙ্গে কথা না ব'লে কেউ মুখ খুলবেন না । তার ওপর আমসত্ত্বের চাটনি প'ড়ে জেরা করার ঝাঁঝটাও অনেক মোলায়েম হয়ে এসেছে । কথাবার্তা শুনে মেজোদাদুর পেটের দিকে সম্ভ্রমের চোখে তাকিয়ে ছিলেন, হঠাৎ বিড়বিড় ক'রে কী একটা আওড়ালেন । নীলমানুষ এতক্ষণ ব'সে ব'সে ঢুলছিল, সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে অ্যান্টেনা খাড়া ক'রে পেনসিল বাগিয়ে কাগজ খঁংউজতে লাগল ।

    অংকস্যার খুকখুক ক'রে কেশে বললেন -- জলহস্তীর রোস্টও খেয়েছেন নাকি ঘোষবাবু ? -- ইয়ার্কি করো না মোহন -- মেজোদাদু মুখ খুললেন -- মরা হাতি লাখ টাকায় বিক্রি হ'ত কি ঘর সাজাবার জন্য ? আর তার সব ক'টাই স্থলহস্তী ছিল নাকি ? মানুষের অসাধ্য কিছু নেই । ফুড চেনের মাথায় ব'সে আছি আমরা । ক'টা সাদা হাতি দেখতে পাও আজকাল ? অতবড় ডাইনোসরের গুষ্টিটা লোপাট হয়ে গেল এমনি এমনি ?

    -- ওমা, সাদা হাতি সত্যি সত্যি ছিল বুঝি ? -- কংকাবতী অবাক -- আমি তো একটার কথাই জানি -- সেই লুম্বিনীতে ।

    -- আলবাৎ ছিল । সাদা হাতি ছিল, নীল তিমি ছিল, ডোডোপাখি ছিল । সব সাবড়ে দিয়েছি -- মেজোদাদুর সরল স্বীকারোক্তি ।

    নীলমানুষ কাজকর্ম সেরে অ্যান্টেনা মাথায় পুরে ফেলেছে । গাংলু তার হাত থেকে স্টেটসম্যানটা টেনে নিয়ে পড়ে শোনাল --

    যত জীবাশ্ম
    ছাইভস্ম
    হস্তী অশ্ব
    কা কস্য ?

    -- কেয়াবাত কেয়াবাত -- অংকস্যার উচ্ছ্বসিত ।

    মেজোদাদু বললেন -- খাঁটি কথা ।

    -- নীলুর এটা নতুন খেলা । ভাষার দোপেঁয়াজা । এটা যেমন বাংলা আর সংস্কৃতের পাঞ্চ । এখন ছড়া দিয়ে হাত পাকাচ্ছে, তারপর ধাপে ধাপে তেপেঁয়াজা চৌপেঁয়াজায় উঠবে -- আখতার গজনভির মুখে প্রশ্রয়ের হাসি ।

    -- আরো দু'চারটে হয়ে যাক -- গ্যাঞ্জামের প্রস্তাব ।

    কংকাবতী কিছু বললেন না । সাদা হাতির শোকে একটু মুষড়ে পড়েছেন মনে হ'ল ।

    সত্যসাধন হাত ওল্টালেন -- কা কস্য ?

    -- হঠাৎ খিচুড়ি রাঁধতে বসলেন কেন আখতারদা ? -- গ্যাঞ্জামের কথা রাখতে নীলমানুষ আবার পেনসিল বের করছিল । তাই দেখে গলায় মধু ঢেলে অনুযোগ করল গাংলু ।

    -- শখ ক'রে নাকি ? -- আখতার গজনভির দীর্ঘশ্বাস -- হাজার ছয়েক ভাষা ঘেঁটেঘঁংউটে খেটেখুটে ফর্মুলাটা বের করা হ'ল, অথচ দু'-পাঁচটা ভাষার বাইরে কিছু লিখলে এক কপিও বিক্রি হয় না ।

    -- দু'-পাঁচটার মধ্যে আবার বাংলাও আছে নাকি ? -- গ্যাঞ্জামের স্বগতোক্তি । গাংলু কটমট ক'রে তাকাল, কিন্তু কথাটা সম্ভবত আখতার গজনভির কানে যায়নি । তিনি ব'লে চললেন -- আমাদের মডেলটা খুবই সহজ । একটা বই প্রথমে বাজারে ছাড়া হয় । বিক্রিবাটা ভাল হ'লে সেটাই আবার আরো পাঁচটা ভাষায় বেরোয় । সেগুলোও লেগে গেলে আরো পঁচিশটা ভাষায় --

    গাংলু থামিয়ে দিয়ে বলল -- অনুবাদ, তাই তো ?

    -- অনেকটা তাই । তবে সেটা কোথাও বলা হয় না । নামটা পাল্টে দিই । নীলুরও বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নাম আছে । কেউ ধরতে পারে না ।

    -- সে আবার কী ! -- গাংলু হতভম্ব ।

    -- কেন ? -- গজনভি অবাক হযে যান -- এত যে বই লেখা হয়, সে তো এইভাবেই । এই তো বাংলাতেই আমরা একই বই নাম পাল্টে ষোলবার বের করলাম -- বারোটা বেস্টসেলার । আমাদের একটা পুরোনো ইস্তাহারে ছিল -- নানা ভাষা নানা দেশ কাহিনী নানান / বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান -- ছাপাখানায় একটু এদিক-ওদিক হয়ে যায় । গাংলুর চোখ কপাল ছঁংউই ছঁংউই । কংকাবতী হাই তুলতে হাঁ করেছিলেন, বন্ধ করতে ভুলে গেলেন । এমনকি মেজোদাদুও একটু নড়ে বসলেন । সত্যসাধন পরিস্থিতি সামাল দিতে তাড়াতাড়ি গাংলুর গোড়ার প্রশ্নে ফিরে গেলেন -- খিচুড়িতে কী সুবিধে ?

    গজনভি ক্ষুব্ধ কন্ঠে বললেন -- ঐ যে বললাম -- কয়েকটা ভাষার বাইরে খদ্দের নেই । এই তো ক'দিন আগে নীলু সিরেনিকসকি ভাষায় একখানা উপন্যাস ফেঁদেছিল, আমাকে শোনাল, তারপর খবর নিতে গিয়ে দেখি ভাষাটাই লোপাট । আগেও এরকম কয়েকটা কেস হয়েছে । তাই ঠিক হয়েছে যা লিখব চার-পাঁচটা ভাষা মিলিয়ে লিখব । যেটা লাগে ।

    নীলমানুষ কাঁদোকাঁদো মুখে ঘাড় নাড়ল ।

    কংকাবতী ফিসফিস ক'রে বললেন -- এই জন্যই বাংলা বইয়ে এত ইংরেজি ঢোকাচ্ছে এখন -- মাঝখানের পাতা খুলে সাহেবরা যদি ভুল ক'রে কিনে ফেলে !
    মেজোদাদু চিন্তায় পড়লেন -- কী ব্যাপার মোহন ? ভাষাগুলো উবে যাচ্ছে কী ক'রে ? বর্ণপরিচয়ও হজম হয়ে যাচ্ছে নাকি ?

    -- আপনার ফুড চেনের থিওরি স্যার । বড় ভাষা ছোট ভাষাকে খেয়ে ফেলছে । ছ' হাজার ভাষার মধ্যে শ' খানেকেই পঁচানব্বই ভাগ লোকের কাজ চলে যায় । তাহ'লে বাকি কয়েক হাজারের ভবিষ্যৎ তো বোঝাই যাচ্ছে । -- অংকস্যার থামলেন ।
    গ্যাঞ্জাম বলল -- যা:চ্চলে ! বাকি লোকেদের চেয়ে তো ভাষার সংখ্যাই বেশি হয়ে যাচ্ছে ।

    অংক্স্যার বললেন -- সেরকমই । পাপুয়া নিউ গিনির উপজাতির লোকেরা সংখ্যাই কতই বা ? অথচ তারা প্রায় ন'শো ভাষায় কথা বলে । সিরেনিকসকি ছিল সাইবেরিয়ার এস্কিমোদের একটা দলের ভাষা । সিরেনিক যুপিক নামটাও চলে । ব্যবহার করত কুল্লে একশো থেকে দেড়শো লোক । উনিশশো একানব্বই-এর হিসেব বলছে মোটে দু'জন লোক ভাষাটা বলতে পারে । পঁচানব্বইয়ে সংখ্যাটা একে এসে দাঁড়াচ্ছে । এরকম আরো কিছু ভাষা আছে যাতে কথা বলার লোক শুধু একজনই । মানে পুরো একটা গোষ্ঠীর ভাষা ঠেকতে ঠেকতে তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে । দু'চারজন পুরোনো লোক বোঝে । দশ বছর পর তারাও থাকবে না । ভাষাটা স্রেফ হাওয়া হয়ে যাবে । সাবাড়. ।

    -- আপদের শান্তি -- কংকাবতী নিশ্চিন্ত -- কাঁড়ি কাঁড়ি ভাষা জমিয়ে রেখে হবেটা কী ? কোনদিন কে কোন পরীক্ষার সিলেবাসে ঢুকিয়ে দেবে !

    -- বলছেন ? -- অংকস্যার শুকনো মুখে বললেন -- তাই হবে বোধহয় । এর মধ্যেই আড়াই হাজার ভাষার গায়ে 'বিপন্ন' ছাপ পড়ে গেছে । সাদা হাতির মতই । একশো বছর পরে পৃথিবীতে হাজারখানেক ভাষাও থাকবে কিনা সন্দেহ । কিন্তু মুশকিল হ'ল ভাষা গেলে তার সঙ্গে আরো অনেক কিছু হারিয়ে যায় । ধরুন কুমীরডাঙ্গা খেলার নামের মধ্যেই জলজঙ্গলের যে ল্যাণ্ডস্কেপ আছে, বাংলার একটা অঞ্চলের জীবনযাত্রার পরিচয় আছে, ভাষাটা দেহ রাখলে সেটা যাবে কোথায় ? টোয়াইলাইট বললে কি আর ঘন্টা বাজিয়ে গোরুর ফেরার ছবিটা পাবেন, না গোধূলিলগ্নের কথা মনে পড়বে ?

    কংকাবতী একটু লাল হলেন । অংকস্যার বললেন -- এ তো গেল একটা দিক । ভাষার মধ্যে আমাদের যেসব বৈশিষ্ট্য ধরা থাকে । আরেকটা হ'ল ইতিহাস । যেমন বাংলায় হরতন, রুইতন, ইস্কাবন শব্দগুলো আদতে ওলন্দাজ -- চ্ছশঞংত্র, শণ্ণঠঞংত্র, যবচ্ধৃংত্র ইত্যাদি । বলতে পারেন বাঙালির সঙ্গে ওলন্দাজদের সম্পর্কের একটা দলিল এগুলো । আবার মজা দেখুন -- ওলন্দাজ শব্দটার শেকড় পর্তুগিজ শব্দে -- চ্ধত্ত্ছত্ররুছঠয

    -- বলো কী ! -- মেজোদাদু ভুরু কোঁচকান -- হল্যাণ্ড থেকে লোক এসেছিল বাঙালিকে তাসপাশা শেখাতে ?

    অংকস্যার বললেন -- উল্টোটাও আছে । এদিকের মাল ওদিকে গেছে । ইংরেজির সুগার শব্দটা যেমন । মূলে শর্করা । খাঁটি সংস্কৃত ।

    -- রসগোল্লার দেশ থেকে সুগার নিয়ে ফিরেছে -- সত্যসাধনের সিদ্ধান্ত ।

    -- এ হ'ল ইতিহাসের কথা । কিন্তু তার চেয়েও আরো বড় গোলমাল আছে -- অংকস্যার কংকাবতীর দিকে ঝঁংউকে গলা নামিয়ে বললেন -- সাক্ষ্যপ্রমাণ সব লোপাট হয়ে যাচ্ছে । আপনি তাই চান ?

    -- কিসের সাক্ষ্যপ্রমাণ ? -- নার্ভাস না হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা কংকাবতীর ।

    সকলে উত্কর্ণ । অংকস্যার একটু সময় নিয়ে বললেন -- ভাষা হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার । কথাটা আমার নয, গ্যালিলিওর । কিন্তু এই আবিষ্কারটা যে কি ক'রে হ'ল বা এখনও হচ্ছে -- সে-সম্পর্কে আমরা এখনও অন্ধকারে । ভাষাতত্ত্বের কাজ হ'ল এই রহস্যের সমাধান করা । আর সেই গোয়েন্দাগিরির ক্লু আমাদের সামনে খোলা প'ড়ে আছে । ছ ' হাজার ভাষা । কিন্তু সেগুলোই যদি একটা একটা ক'রে সরিয়ে নেওয়া হয় --

    সবাই ঘাড় নাড়লেন ।

    -- কিন্তু এরকম হচ্ছে কেন ? সবাই ইংরেজি শিখে যাচ্ছে ? -- গ্যাঞ্জাম বোঝার চেষ্টা করে ।

    -- ঠিক ধরেছিস । সবসময় ইংরেজিই নয়, যেখানে যে ভাষার জোর বেশি । এবং বিপদ হ'ল -- সেটা শিখছে মাতৃভাষার বিনিময়ে । এককালে এসব ঠিক হ'ত গায়ের জোরে । সাহেবরা যখন তাসমানিয়া আক্রমণ করেছিল, সেখানকার উপজাতিগুলোকেই নিশ্চিহ্ন ক'রে ছেড়েছিল, তাদের ভাষা আর বাঁচবে কোথ্থেকে ? এখন দিনকাল বদলেছে । এস্কিমোদের কথাই ধর । তাদের একটা বড় সমস্যা হ'ল তারা এক জায়গায় থাকে না, সাইবেরিয়া থেকে আলাস্কা, কানাডা হয়ে গ্রীনল্যাণ্ড অবধি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে । সবাই এক রকম হরফ ব্যবহার করে না । ফলে এক জাযগার বই অন্য জায়গায় কাজে লাগে না । তাদের বাচ্চারা যেসব ইস্কুলে পড়াশোনা করে, সেখানে প্রাথমিক স্তর অবধি তাদের ভাষায় পড়ানো হয়, তারপর হয় না । এসব অসুবিধের ফলে যা হবার তাই হচ্ছে । আলাস্কার এস্কিমোরা কিছুদিন আগেও নিজেদের হৃণ্ণৃঠূ ভাষায় কথ বলত, ইংরেজির দাপটে সে ভাষা কোণঠাসা ।

    আরেকটা ভাষা -- নবধঞয ষ্ণছংত্ঠব -- কেপ ব্রেটন ব'লে একটা দ্বীপে ব্যবহার হ'ত উনিশশো চল্লিশেও । উনিশশো সত্তরে এসে দেখা গেল বাচ্চারা আর সে ভাষা শিখছে না । আর তার ওপরই তো একটা ভাষার আয়ু নির্ভর করে । বাচ্চারা শিখছে না মানে সে ভাষার হাল খুব খারাপ ।
    -- ঠিক বলেছেন স্যার -- চম্পট ঘুম ভেঙ্গে ঘোষণা করল -- আমার বাবাও তাই বলে । আমার ইংরেজি শেখার বহর দেখেই নাকি সাহেবরা হাল ছেড়ে দেশে ফিরে গেল, নইলে তাদের ভাষাও ডেঞ্জারাস হয়ে যেত ।

    -- কথাটা এনডেঞ্জারড -- মেজোদাদু এবার চটেছেন । সবাই হাওযা বুঝে গুটিগুটি বাড়ির পথ ধরলেন । অংক স্যার সবার শেষে ছিলেন । হঠাৎ কী একটা মনে পড়ায় গেট থেকে ঘাড় ঘোরালেন -- বাই দা ওয়ে, সাদা হাতি কিন্তু সাদা নয় ঘোষবাবু -- চোখগুলো গোলাপী, আর শরীরটা ছাই রঙের --

    অংকস্যারের কথা হঠাৎ আটকে গেল । বাগানের একটা দিকে ঝোপঝাড়ের মধ্যে কিছু একটা নড়ছে । মেজোদাদুও একদৃষ্টে সেদিকে তাকিযে । আপন মনে বললেন -- যেখানে দেখিবে ছাই --

    একবার দেখবে নাকি, গুলাব ?

    সাবধানে । সাবধানে ।


    ১০ ১১
    ১২
    ১৩ ১৪ ১৫ ১৫ ১৭
    ১৮ ১৯
    ২০
    ২২
    ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭
    ২৮


    পাশাপাশি
    উপরনিচ
    (১) হাজায় রোদ আরো পোড়াও, ঝড়ে নড়বড়ে ফটক (৮) কেজি ধ'রে কেনা ধনে মসলা (৯) সে ভাবনা বনে ডোবে (১০) দু'রকমে নেভা আশা তো গরীবের রোজকার খাবার (১২) পায়স খায় কেউটে (১৩) জমাব নবীন নর প্রাণ (১৬) অদিতি তিনি নামে নামে শুরুহীন (১৮) পকেটে পকেটে দিল ধুকধুকি (১৯) ইতর পিতল থাকলো প'ড়ে (২১) বাড়ে বিন্দু কাটা-নারকেলে (২২) স্থাবর কোণ-এ হব্য ব'লে নুন চাই (২৪) বাঁকা চাঁদ কাটালি মেয়ে (২৬) বেদ-ই ঈশ্বর (২৮) নামে নামে বলি নিলে তবে মিশে যাবে তাঁর হাতে (১) হজ থেকে ফিরে হার-জিত বিরত (২) কাছের মানুষ কেউ নেই, ওকে পরে আন্‌ (৩) (২) আলো ভাতি (৪) খর সরে, বর হ'লে কৌতুক সংবাদ (৫) (২) পাবদা বাদ গেলে কোনো থাকে নাকো মাছ (৬) (২) মদন ফেলেন নিশ্বাস (৭) তিন যাদব তেজে অবগত হ'লে, তুমি (১১) ভাষা দিয়ে দেওয়া নেওয়া থাক (১২) মাসি মালা বদলে বাঁ দিক রক্ষা করল (১৪) তটে হঠাৎ দেব গাছ (১৫) বলিই নিলেন না'হলে করিনি উল্লেখ (১৬) অত পাপ-তাপ নিয়ে অব্যয় (১৭) দাদুকে আহবান জানাবে কাত ডিবে-দানে (২০) সবার সেরা সরাই-এ খাই (২৩) বলবে, "নেব"; নেবে (২৪) আলো বা আরতি (২৫) কামনায় মা মেনকা নাম হারালেন (২৭) কুঞ্জে তব মন অমত



    (এবারের শব্দজব্দ তৈরি করেছেন অংশুমান গুহ)

    আগের বারের শব্দহব্দের উত্তর দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে রুচিরা মজুমদার বসুমল্লিক । তাঁকে আমাদের অভিনন্দন (এবং পুরস্কারও পাঠানো হচ্ছে) । এবারেও প্রথম দুজন সঠিক উত্তরদাতাকে পুরস্কার দেওয়া হবে ।

    দয়া করে এবার থেকে ডাকযোগে উত্তর পাঠালেও ই-মেল (যদি থাকে, তো) জানাতে ভুলবেন না ।



    আগের বারের ত্রক্রসওয়ার্ডের উত্তর এখানে





    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অমিতাভ সেন
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments
  • কীভাবে লেখা পাঠাবেন তা জানতে এখানে ক্লিক করুন | "পরবাস"-এ প্রকাশিত রচনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রচনাকারের/রচনাকারদের। "পরবাস"-এ বেরোনো কোনো লেখার মধ্যে দিয়ে যে মত প্রকাশ করা হয়েছে তা লেখকের/লেখকদের নিজস্ব। তজ্জনিত কোন ক্ষয়ক্ষতির জন্য "পরবাস"-এর প্রকাশক ও সম্পাদকরা দায়ী নন। | Email: parabaas@parabaas.com | Sign up for Parabaas updates | © 1997-2024 Parabaas Inc. All rights reserved. | About Us