• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩২ | জানুয়ারি ২০০৪ | রম্যরচনা
    Share
  • প্রবাসে পুনরায় -- জার্নাল : নন্দন দত্ত

    পরবাসের পুরোনো পাঠকদের হয়ত মনে আছে । আগে পরবাস বেরোতো ঋতুর সহগে । আত্মপ্রকাশ ১৯৯৭'এর বর্ষায়, তারপর শরত্‌, হেমন্ত, শীত, বসন্ত বেয়ে চর্যা । এখন সংখ্যার নাম শুধুই সংখ্যায় । খানিক কেজো হলেও, এই হিসেব সঙ্গত । ঋতুর বয়ামে সাহিত্য মানায় মিঠে, কিন্তু আন্তর্জাল পত্রিকা বিশ্বে ব্যাপ্ত -- উত্তর গোলার্ধে গরম যখন, দক্ষিণে তখন এল যে শীতের বেলা । তাই ঋতুর লেবেলের লোভটা ছাড়তেই হয়েছে ।

    এবারে আবার ফিনিক্সে এসে সীজন্‌'এর কনসেপ্টটা কেমন গুলিয়ে গেল । একটা জায়গাকে জানতে ঋতুচক্রের পুরোটাই থাকতে হয় বোধহয় । আমাদের লিরিক্যাল কবিরা লিখেছেন চিরবসন্তের কথা । এখানের কোনো কবি হয়ত চিরগ্রীষ্মের আবদার করে থাকবেন; প্রখর পোয়েটিক জাস্টিসে তা মঞ্জুরও হয়েছে । খোদ গ্রীষ্ম এখানে চলে প্রায় আট'মাস, ঘন ঘি'য়ের মত তাপ নামে আকাশ চঁংউয়ে । তাছাড়াও গ্রীষ্মের বিভূতি ছড়িয়ে থাকে বাকি বছরটায় । অন্য সব ঋতুতেই কেমন যেন গরম গরম গন্ধ, মাটির ঊষরতা আর বাতাসের বর্ণ বদলায় না কখনই । শরত্‌-বসন্তকে তো গ্রীষ্ম গিলেইছে গোগ্রাসে, শীতকালে মোলায়েম ঠাণ্ডাও সদা সন্ত্রস্ত, অনধিকার চর্চা তার, এই বুঝি গরম দখল নেয় ।

    তবে মিস্‌ করলাম বটে বর্ষাকে এবার । কলকাতার জনজীবনে বর্ষা আর বিরক্তি প্রায় সমার্থক । বৃষ্টির দিনে কাজে বা অকাজে যাদের বেরোতে হয়, দুর্দম কর্দমে আর যানের জটে, জান আসে ওষ্ঠে । তবে তবু বর্ষা আসছে আসছে একটা প্রত্যাশা থাকে, গরম কানায় কানায় চলকে যখন আত্মহোমের বহ্নিজ্বালা টাইপের অবস্থা, ঠিক তক্ষুনির কালবৈশাখী, সে এক সাব্লাইম ব্যাপার । দুর্দশা চরম হলে তার প্রতিকারও পরম আছে, এমন একটা ঐশী কনফার্মেশন পেয়ে মনেও বেশ জোর আসে । এখানে ওসব নেই । পারদ চড়তে চড়তে প্রায় ছ'কুড়ির কাছাকাছি, মাস গড়িয়ে আগস্ট হয়ে গেল, আমি বললাম,
    -- ডোন্ট ইউ হ্যাভ মনসুন ?
    -- ইট ওয়ন্ট বী সুন !
    বললেন সহকর্মী এক । এক লিটার কোক সবে সাঁটিয়েছেন, পান আর পান্টা পাঞ্চ করতে পেরে চালাক চোখে হাসলেন, তারপর জুড়লেন,
    -- উই ডু হ্যাভ সাম রেন্স ইন অক্টোবর ।
    মেজাজটা খিঁচড়ে গেল, বৃষ্টির বঞ্চনা বয়ে বাড়ি ফিরলাম । বইটা খুলতেই চোখে পড়ল,
    &ইণ্ণধঞ;কাল পনেরো মিনিট বাইরে বসতে না বসতে পশ্চিমে ভয়ানক মেঘ করে এল -- খুব কালো গাঢ় আলুথালু রকমের মেঘ, তারই মাঝে মাঝে চোরা আলো পড়ে রাঙা হয়ে উঠেছে -- এক-একটা ঝড়ের ছবিতে যেমন দেখা যায় ঠিক সেই রকমের । দুটো-একটা নৌকা তাড়াতাড়ি যমুনা থেকে এই ছোটো নদীর মধ্যে প্রবেশ করে দড়িদড়া নোঙর দিয়ে মাটি আঁকড়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসল -- যারা মাঠে শস্য কাটতে এসেছিল তারা মাথায় এক-এক বোঝা শস্য নিয়ে বাড়ির দিকে ছুটে চলেছে -- গোরুও ছুটেছে, তার পিছনে পিছনে বাছুর লেজ নেড়ে সঙ্গে সঙ্গে দৌড়োবার চেষ্টা করছে । খানিক বাদে একটা আক্রোশের গর্জন শোনা গেল -- কতগুলো ছিন্নভিন্ন মেঘ ভগ্নদূতের মতো সুদূর পশ্চিম থেকে ঊধর্ধশ্বাসে ছুটে এল -- তার পরে বিদ্যুত্বজ্র ঝড়বৃষ্টি সমস্ত এক সঙ্গে এসে পড়ে খুব একটা তুর্কিনাচন নাচতে আরম্ভ করে দিলে । বাঁশগাছ-গুলো হাউ হাউ শব্দে একবার পূর্বে একবার পশ্চিমে লুটিয়ে লুটিয়ে পড়তে লাগল, ঝড় যেন সোঁ সোঁ করে সাপুড়েদের মতো বাঁশি বাজাতে লাগল । আর জলের ঢেউগুলো তিন লক্ষ সাপের মত ফণা তুলে তালে তালে নৃত্য আরম্ভ করে দিলে । কালকের সে যে কাণ্ড সে আর কী বলব । বজ্রের যে শব্দ সে আর থামে না -- আকাশের কোন্খানে যেন যেন একটা আস্ত জগৎ ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্চে । বোটের খোলা জানালার উপর মুখ রেখে প্রকৃতির এই রুদ্রতালে আমিও বসে বসে মনটাকে দোলা দিচ্ছিলুম । সমস্ত ভিতরটা যেন ছুটি-পাওয়া স্কুলের ছেলের মতো ঝাঁপিয়ে উঠেছিল । শেষকালে বৃষ্টির ছাঁটে যখন বেশ একটু আর্দ্র হয়ে ওঠা গেল তখন জানলা এবং কবিত্ব বন্ধ করে খাঁচার পাখির মতো অন্ধকারে চুপচাপ বসে রইলুম ।&ইণ্ণধঞ;

    বোঝা যায় লেখকের কল্পনা প্রবুদ্ধ, দৃষ্টি প্রখর, অনুভূতি প্রগাঢ় । আর স্কুলের প্রতি অনীহা প্রবল ।

    লেখক রবীন্দ্রনাথ । বইটা ছিন্নপত্রাবলী । বেরোনোর দিন ব্যাগে ভরেছিলাম । আমাদের বাঁচা বাঞ্জারার ধাঁচে, যখন যেখানে ডাক পড়ে শ্রমের, ছুটতে হয় । ছোটার হুলিয়া আসে তড়িৎ ত্বরায়, বইটই গোছানো তখন বালাই বলে মনে হয় । না পড়া বই সাথে নিতে ভয় করে, যদি ভারের আনুপাতিক সার না থাকে; আর পড়া বই তো পড়াই । ছিন্নপত্রাবলী কয়েকবার পড়েছি, আরো কয়েকশ'বার বাকি আছে । এমন অফুরান রসদ তাই নিয়েই নিলাম । পরে জেনেছি, বুদ্ধদেব বসু'ও নাকি মার্কিন প্রবাসে এক কপি ছিন্নপত্রাবলী বয়ে এনেছিলেন ।

    আসলে ছিন্নপত্রাবলী থেকে উদ্ধৃতি দেওয়াটা অন্যায় । নামের বিচ্ছিন্নতা এখানে এক সরস কৌতুক; এমন অশেষ সম্পূর্ণতার বই বিশ্ব-সাহিত্যে বিরল । তাজমহলের একটু মর্মর ভেঙে দেখানোও যা, ছিন্নপত্রাবলীর খামচা কোটেশনও তা । যাইহোক, এমন পাদ্মেয় বর্ষার বর্ণনা মনটা ভিজিয়ে দিল খানিক, ঘরের বাতানুকুল যন্ত্র আরেক দাগ চড়িয়ে বইটা নিয়েই বসলাম ।

    ভাইঝি ইন্দিরাকে লেখা চিঠির সঙ্কলন ছিন্নপত্রাবলী; ১৮৮৭-১৮৯৫'এর ভিতর । প্রমথনাথ বিশীই বোধহয় বলেছিলেন, ছিন্নপত্রাবলী পদ্মার মহাকাব্য । পদ্মা এখানে প্রকৃতির প্রতীক, যে নিসর্গে নিবিষ্ট, নিমগ্ন হয়েই তখন রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গে ভাসমান ও ভ্রাম্যমান । নিসর্গপ্রকৃতির সাথে মানসপ্রকৃতিও মিশে গেছে, ছিন্নপত্রাবলীর মত আত্মজৈবনিক রচনা আর লেখা হয় নি । জীবনীর কাছ থেকে পাঠকের প্রত্যাশা ঘটনা, তথ্য ও হয়ত গবেষণা; কিন্তু আত্মজীবনীর কাছ থেকে চাওয়া আরো বেশি । রবীন্দ্রনাথ নিজের অন্তর্জীবনের ছাপ যেমন ফেলেছেন এই চিঠিগুলিতের, তা হয়ত সচেতন ভাবেই পড়েনি অন্য কোথাও । তাঁর সৃজনের উত্স ও উত্সাহ যে কত নিবিড় ভাবে বাংলাদেশের সজলজলদস্নিগ্ধকান্ত প্রকৃতিতে প্রোথিত তার সন্ধান ছঁংউয়ে যায় আমাদের । নদী আর বর্ষা এখানে এসেছে অপার অনুষঙ্গে । পদ্মার সাথে তখনকার প্রণয় ছেয়ে ছিল রবীন্দ্রনাথের বাকি জীবনেও । কয়েক দশক বাদে সায়াহ্নে এসে যখন লেখেন কোপাই কবিতা, তখনও রাঢী বঙ্গের সেই কৃশ-নদের সাথে দেখা পদ্মার আয়নাতেই ।

    সব ঋতুর মাঝে রবীন্দ্রনাথের সৃজনস্রোত বর্ষাতেই বয়েছে বিপুলতম । প্রকৃতি পর্য্যায়ের ২৮৩টি গানের ভিতর ১১তটিই বর্ষা'র । তাছাড়া আরো বহু গান, কবিতা ইত্যাদিতেও ছড়িয়েছে বর্ষণ । বৃষ্টির ব্যাঞ্জনা তাঁর সৃষ্টির অনেক স্মরণ্য নিমেষে -- সঘন বরষা গগন আঁধার, হের বারি ধারে কাঁদে চারিধার / ভীষণ রঙ্গে ভব-তরঙ্গে ভাসাই ভেলা, বাহির হয়েছি স্বপ্নশয়ন করিয়া হেলা... । আবৃত্তিত, উদ্ধৃত হতে হতে প্রায় ক্লিশে হয়ে গিয়েও চিরন্তন &ইণ্ণধঞ;সোনার তরী&ইণ্ণধঞ; হয়ত শুধু বর্ষারই কবিতা । রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণও এই শ্রাবণে; প্রগাঢ় মার্ত্যপ্রেমিক কবি, ভালবাসার ভরা-বাদলেই বিদায় নিয়েছিলেন ।

    ফিনিক্সের নিঠুর নির্বর্ষায় ছিন্নপত্রাবলী নিয়ে যাচ্ছিল জল-নদী-বৃষ্টির এক বহুদূর দেশে । সে দেশ সত্য না স্মৃতি না স্বপ্ন, ঠাহর হয়না । দেশ থেকে চিঠিতে এক কবি-আত্মীয় লিখলেন, এখন এখানে সমীরাবরণে শ্রমণ শ্রাবণমাস / মেঘে-বৃষ্টিতে জলদমন্দ্র দেবব্রত বিশ্বাস । সত্যিই অবাক লাগল, ফিনিক্সের রোদে-পোড়া-রাতে-তাতা প্রত্যহে প্রায় কল্পনাতেই আসে না, দিকে দিকে সঘন গহন মত্ত প্রলাপে / প্লাবন-ঢালা শ্রাবণধারাপাতে ..., বা অশথ্থপল্লবে বৃষ্টি ঝরিয়া মর্মরশব্দে / নিশীথের অনিদ্রা দেয় যে ভরিয়া, বা এই সকাল বেলার বাদল-আঁধারে... । এদেশে জন্মালে রবীন্দ্রনাথ, এমন গান কি আসতই না ?

    বিশ্বের মাঝে রবীন্দ্রনাথ বিধৃত ছিলেন বহু ভাবেই । তিনি বিশ্বপথিক, তাঁর বিশ্বাসের বিবর্তনে বিশ্বমানবতাও হয়ত ছিল এক বিশেষ গন্তব্য । দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ, দ্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ, কর্মীষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ, এঁরা সকলেরই বিশ্বে সঞ্চারিত । কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ, গানের রবীন্দ্রনাথ -- বাঙালিরই । কাব্যের রসদ এমনই, তার স্ফূরণ ও উপলব্ধি দেশ-কাল'এর বিশেষ বিন্দুতেই জাগ্রত হয় । উপভোগ্যতা নিশ্চয়ই ছড়াতে পারে অনুবাদে বা অন্য ভাবে, কিন্তু একজন কবি তাঁর নিজের মাটি ও পার্শ্বিকের সাথে এতই শিকড়িত যে তাঁর প্রথম ও প্রধাণ পরিচয় এক দেশের বা এক ভাষার কবি হিসেবেই । ইংরাজি, জার্মান, ফরাসী প্রভৃতি তথাকথিত রাজভাষায় রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাকে প্রতিস্থাপিত করলে কি হত, তা আন্দাজ করা যায় ; দেশ-কাল নির্বিশেষে রসজ্ঞ পাঠকের মাঝে তাঁর সাহিত্য সঞ্চারিত হত আরও সহজেই । কিন্তু তখন তিনি হতেন অন্য কবি, হয়ত সমান ধীনিবিড়, সমান স্পর্শী, কিন্তু বিষয়-বিভঙ্গে ভিন্ন ।

    কবি রবীন্দ্রনাথের কাব্যের উত্স বাংলাদেশের প্রকৃতিতে, বাঙালির প্রমাতেই । রবীন্দ্রনাথ ঘুরেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, নানান সেখানের অভিজ্ঞতা । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর কবিতা বা গানে অন্যত্রের বর্ণনা প্রায় নেই বললেই চলে । পাশ্চাত্যে শরত্কালের পাতা ঝরে যাওয়া বা
    যছত্ৎ এক অপূর্ব দৃশ্য । রবীন্দ্রনাথ বহু ভ্রমণের মাঝে তা দেখার সুযোগও হয়ত পেয়েছিলেন, কিন্তু কোনো কাব্যেই তার স্মরণ নেই । অন্যদিকে, ১৯২৬ সালে মিউনিখে বসে লিখেছেন,


    বাঁধন টুটে উঠবে ফুটি শিউলিগুলি,
    তাই তো কঁংউড়ি কানন জুড়ি উঠছে দুলি,
    শিশির-ধোওয়া হাওয়ার ছোঁওয়া লাগল বনে --
    ... ঝরে পড়া মালতী তার গন্ধশ্বাসে
    কান্না-আভাস দেয় মেলে ওই ঘাসে ঘাসে,
    আকাশ হাসে শুভ্র কাশের আন্দোলনে -- ।


    বাংলার প্রকৃতি তখনও ছেয়ে আছে তাঁর কবি-মনে, যদিও তিনি বাংলাদেশ থেকে বহু দূরে, বিদেশের ব্যস্ততা ও নানা লৌকিকতায় নিবিষ্ট । তাঁর স্রষ্টামানসের মূলে ছিল বাংলার আকাশ-মেঘ-জল, এবং সে বন্ধন অটুট থেকেছে জীবনের সকল পরিক্রমনে । নিসর্গের সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশের মাঝেও তিনি যে কবিতায় এনেছেন চিরাচরিত বাংলার অভিব্যক্তি; এ ইভোকেশন সম্ভব হয়েছে তাঁর কাব্যপ্রতিভার রসায়নেই বাংলাদেশ মিশে ছিল বলে । প্রায় সাত দশকের কাব্যরচনায় রবীন্দ্রনাথ আমাদের বৃষ্টি, আমাদের বাতাস আর আমাদের বীক্ষাকে ব্যবহার করেছেন নিরন্তর মেটাফরে, তবুও তারা ফুরোয়ে নি । বাঙালির নিসর্গ কালজয়ী হয়েছে তাঁর সৃষ্টিতে ।


    নির্জন প্রবাসের কার্পেট মোড়া নৈ:সঙ্গে বৃষ্টির কথা ভাবতে ভাবতে মনে হল রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি বলি কেন ? (রবীন্দ্রনাথের বিশ্বায়নের সূত্র কোথায় তা আমার জানা নেই । &ইণ্ণধঞ;বিশ্বকবি&ইণ্ণধঞ; উপাধি কি তাঁর জীবদ্দশাতেই পাওয়া ? যেমন &ইণ্ণধঞ;গুরুদেব&ইণ্ণধঞ;এর সূচনা করেন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় আর তার পরে গান্ধীর উদ্যোগে তা স্ট্যাণ্ডার্ডাইজড হয়ে যায় । নিজের বিশ্বকবির লেবেল সম্বন্ধে কবির কি ভাবনা ছিল ?)


    পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের বাঙালি তার নৈ:জস্বের শিকড় পেতে পারে যাঁর কাব্যে, তিনি তো আমাদেরই কবি । আগে আমাদের, তারপর বিশ্বের ।


    সাহেব সহকর্মী কথা রেখেছিলেন, বৃষ্টি হয়েছিল ফিনিক্সে অক্টোবরেই । তবে ঝরণ কর্পোরেশন কলের মত, ইচ্ছায় ক্লিষ্ট, ধারায় দীর্ণ; কাজ বা কাব্য কোনোটাই হয় না ।


    ইন্দ্র দুগার-এর আঁকা স্কেচদুটি প্রমথনাথ বিশীর শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ বইটি থেকে নেওয়া হয়েছে
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments