• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩৯ | আগস্ট ২০০৭ | কবিতা
    Share
  • সোনার বাংলা : চিরন্তন কুণ্ডু



    ॥ ১ ॥

    পুলিশে কত কী করে
    এর মুণ্ডু ওর ধড় নাড়িভঁংউড়ি পাকিয়ে চৌচির
    যাদের যেমন ভাব আমি কি থামাতে পারি বল
    আমার দুধের দাঁত সারাদিন এক্কাদোক্কা খেলি
    সাদা মনে কাদা নেই পিঁপড়েও মারিনি কখনো
    বন্দুক ধরার কথা ভাবলে পেন্টুল ভিজে যায়
    এসবে আমায় কেন -- মরেছে তো লোক নাকি পোক
    কেউ রাজাগজা নয় -- এর কমে হয় বাবা ? এ তো প্রায় বিনামূল্যে মাৎ
    না মরলে ভাল হ'ত সে তো একশোবার তবে মরলেও ক্ষতি কিছু নেই
    চাষাভুষো কালিঝুলি আরে ছি ছি রক্ত দেখে কাঁদে নাকি বোকা
    নেরুদা মার্কেজ পড় আলমোদোভার দ্যাখ
    ঘাড়ে পাউডার দিয়ে জুতো খুলে দরবারে আয়
    দ্যাখ মম বিশ্বরূপ সাতরঙে শাদা টিনোপল



    ॥ ২ ॥

    ঝাড়তে বলছি ঝেড়ে দিবি বাদবাকি আমি বুঝে নেব
    কার কত অধিকার কে কোথায় কালো ব্যাজ নাইট উপাধি ত্যাগ
    ওসব প্রলাপ ছেড়ে পথে আয় সুবোধ বালক
    পথ হঁযা হঁযা এই পথ আমার আঙুল বরাবর --
    বলেছি তো আমি বলছি আমি সত্য কারণ আমি সর্বশক্তিমান
    মা আমাকে দেখা দেন পূজা নেন রক্তমাখা খড়্গ ঝলসায়
    তোরা তো নিমিত্ত শুধু মামেকং শরণং এই পথে আলো জ্বেলে
    পিঁপড়ের পাখা টিপে পঁংউতে ফেল
    না এ তো নির্জলা পুণ্য হাত কাঁপতে যাবে কেন বলেছি না বামে বরাভয়
    যা করি ধর্মের জন্য । সুজার রক্তাক্ত দেহ
    কবন্ধ মুরাদ যত মরা বাচ্চা দুধমুঠো হাত
    দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখি ।
    আমার যজ্ঞের ঘোড়া ধরলে আঙুল খসে যাবে ।
    কারো ঘাড় বাঁকা হ'লে কলসীর কানা মেরে প্রেম লুটে নেব
    বেয়নেটে লিখে দেব আমি তোর জীবনভূষণ

    (পরবাস-৩৯, জুন, ২০০৭)
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments