• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৩৯ | আগস্ট ২০০৭ | গল্প
    Share
  • সর্বনাশ : মুনশি প্রেমচাঁদ
    translated from Hindi to Bengali by আরস্তু লেনিন খান


    ॥ ১ ॥


    বারাণসি জেলার বীরা গাঁ । সেই গাঁয়ের এক নি:সন্তান বুড়ি বিধবা ভুঙ্গি, জাতে গোঁড়িন (গোঁড় ??) । জায়গাজমি, বসতভিটা কিছুই ছিল না তার । চলার একমাত্র উপায় একটা চুলা । পাড়ার লোকজন দিনে একবেলা ছোলা-ভুট্টা খেতো । তাই, ভুঙ্গির চুলা ঘিরে হরদম ভিড় লেগে থাকতো । ভেজে দেবার দৌলতে যা পেতো তা সে পিষে বা ভেজে খেয়ে নিতো । ঝুপড়ি চুলাঘরের এককোণায় ঘুমাত সে । ফজর ফাটার লগে লগেই (উনি পূর্ববঙ্গের বলে এই ধরনের কথা ব্যবহার করেছেন । কিন্তু বাঙলা তে অনুবাদ করলে কি এই ভাষা ব্যবহার হবে????ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই) উঠে আগুন ধরাবার জন্য এখান থেকে ওখান থেকে শুকনো পাতা কুড়ানো শুরু করত । চুলার পাশে পাতা টাল মেরে বেলা দ্বি-প্রহর পেরোলে সে আগুন ধরাতো । কিন্তু রেওয়াজ মোতাবেক একাদশি বা পূর্ণিমার দিন কিংবা যেদিন গাঁয়ের জমিদার পন্ডিত উদয়ভান পান্ডের জন্য দানা ভাজতে হত সেদিন তার চুলায় আগুন জ্বলত না । না খেয়ে শুয়ে পড়তে হত । ভূঙ্গি যে পন্ডিত উদয়ভানের জন্য শুধু বেগার খাটতে বাধ্য তা নয়, তাঁর বাড়িতে পানিও এনে দিতে হত । এই কারণেও অনেক সময় আগুন জ্বলত না ভূঙ্গির চুলায় । পন্ডিতের গাঁয়ের বাসিন্দা ভূঙ্গি, ওকে দিয়ে যেনতেন প্রকারের (সংস্কৃংঋত ঘেঁষা টা কানে লাগছে কি?? ?? যা ইচ্ছে তাই) হাবিজাবি কাজ করানোর হক পন্ডিতজি রাখেন । একে বেইনসাফ কওন (?? বলা) চলে না ।*** মজুরি কিছু দিলেই না বরং বেইনসাফ*** এর কথা উঠত । পন্ডিতজির মতে, কাজের বিনিময়ে ভূঙ্গিকে যদি খাবার দেয়া হয় তা হলে বেগার খাটানো হল কই ? সারাদিন মাঠ চষে না খাইয়ে বলদ বেঁধে রাখার হক চাষার আছে । যদি তা না করে, তা হলে বলতে হবে এর পেছনে নির্ঘাত কোনও ধান্দা আছে । পন্ডিতজির এ নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নাই, দুইটা দিন উপোস করেই তো আর ভূঙ্গি এন্তেকাল**** করে বসবে না । ঘটনাচক্রে যদি করেও, ওর জায়গা পূরণ হতে সময় লাগবে না, ভুরি ভুরি গোঁড়িন আছে । পন্ডিতজি কিন্তু আসলে দয়া করে ভূঙ্গিকে পাড়ায় থাকতে দিতেন ।



    ॥ ২ ॥


    চৈত্র মাসের সংক্রান্তি পর্ব । নয়া শস্য ভেজে খাওয়া হয়, বিলানো হয় এই দিনে । বাড়িঘরের চুলায় আগুন জ্বলে না । জ্বলে ভূঙ্গির চুলা- ব্যবসা রমরমা আজ তার । মেলার মতো ভিড় জমেছে তার চারপাশে । নিশ্বাস ফেলার ফুরসতও নাই । খদ্দেরদের অহেতুক চিত্কার অবিরাম চলছেই । এই সময় পন্ডিত উদয়ভান পান্ডের দুই চাকর হাজির, লগে*** দুই ঝুড়ি শস্য, এক্ষুণি ভেজে দিতে হবে । দুই দুইটা ঝুড়ি দেখে ভূঙ্গির মাথায় হাত । বেলা তো দ্বিপ্রহর পেরিয়ে গেছে, তায় সূর্য ডোবা অবধি সময় পেলেও এ কাজ শেষ হবে না । আর দুই এক ঘন্টা কাজ করতে পারলে তার গোটা এক সপ্তাহের দানাপানির সুন্দর গতি হয়ে যেত । মগর ভগবান চায় না তা হোক, দুইটা যমদূত পাঠিয়ে দিয়েছে । এখন তার কাজ বেলা ডুবে আঁধার হওয়া অবধি চুলায় পড়ে থাকা । বিনিময়ে কোনও মজুরি নাই । দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে ঝুড়ি দুইটা নিল ।

    চাপরাশিদের একজন ডর লাগিয়ে কইলো,*** `দেরি করিস না, নইলে কিন্তু পস্তাতে হবে ।'
    `বসো এইখানে, ভাজা হয়ে গেলে নিয়ে যেও । আর কারও দানা ধরলে হাত কেটৈ নিও ।'
    `বসার সময় নাই । বেলা ডুবার আগে ভেজে রাখবি ।'
    হুকুম দিয়ে চাপরাশি দুইটা*** চলে গেল । কাজ শুরু করল ভূঙ্গি । গোটা এক মন দানা ভাজা তো আর ঠাট্টা নয় । মাঝে মাঝে আবার ভাজা মুলতবি রেখে চুলায় পাতা গুঁজে দিতে হচ্ছে । শেষমেষ বেলা ডুবতে ডুবতে দেখা গেল অর্ধেক দানাও ভাজা হয় নাই । ভুঙ্গির বুক ধড়ফড় করছে, এই বুঝি পন্ডিতের লোক আসল । এসে ধমকাবে, মারধোর করবে । আরও তাড়াতাড়ি হাত চালানো শুরু করল সে । রাস্তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাঁড়িতে বালি ফেলতে থাকে । বালি ঠান্ডা হয়ে আসে একসময়, দানা হয় আধভাজা । কি করবে এখন আর তার বুদ্ধিতে ধরে না । ভাজাও যায় না, আবার বন্ধও করা যায় না । এ ক্যামান মুসিবত রে !*** পন্ডিতজি কি তার রুজির ব্যবস্থা করেন ? ভূঙ্গির চোখের পানি দূর করবার লোক তো তিনি নন ! রক্ত পানি করে খেটে তাকে রুজির বন্দোবস্ত করতে হয় । মগর পন্ডিতজির চোখের সামনে পড়লেই খালি ধমক খায় । কারণ চার ইঞ্চি জমি তাকে থাকার জন্য দিয়েছিলেন পন্ডিতমশাই। এইটুকু জমির এত চড়া দাম ! কত অনাবাদি জমি পড়ে আছে, কত কুঁড়েঘর ভূতের বাড়ি হয়ে গেছে পাড়ায় ! জাফরান জন্মায় না এসব বিলে, খালি তার পিছু পিছু কোনও পন্ডিতমশাই অষ্টপ্রহর লেগে থাকেন ? কিছু একটা হলে অমনি হুমকি দেবেন ভূঙ্গির চুলা উপড়ে ফেলার । বেচারির মাথার ওপর কোনও পুরুষ মানুষ থাকলে হয় তো তাকে এতসব সহ্য করতে হত না ।

    এতসব ধোঁয়াশা চিন্তায় যখন সে আচ্ছন্ন তখন হঠাৎ পন্ডিতজির পেয়াদা ফিরে এল । কইলো***, `হ্যাঁ রে, ভাজা শেষ ?'

    বেশ ঝাঁঝওয়ালা গলায় ভূঙ্গি জবাব দিল, `চোখে দেখো না ভাজছি এখন ?'
    `সারাটা দিন গেল গা *** আর তুই ভাজলি খালি এইটুকু ? ভাজছিলি না কি বরবাদ দিয়েছিস সব ? এ তো ভাজাই হয় নাই***! খাবে ক্যামনে*** এগুলো ? বারোটা তো বাজিয়ে দিলি আমাদের । দেখিস পন্ডিতজি তোর কি গতি করেন ।'

    ফল হল- ঐ রাতেই ভূঙ্গির চুলা উপড়ে নাশ করে দেয়া হল । ভূঙ্গির রুজির আর কোনও বন্দোবস্ত রইল না ।



    ॥ ৩ ॥


    ভূঙ্গির এখন চলার কোনও উপায় নাই । চুলা ভেঙ্গে দেয়ায় পাড়ার লোকজনের ওপরও কম ধকল যায় নাই । অনেক বাড়িতে দুপুর বেলা এখন রান্না করা খাবার মেলে না । লোকজন পন্ডিতজির কাছে দরবার করল, বুড়ির চুলা যেন আবার বানানোর এজাজত*** দেওয়া হয়, ফের যেন আগুন জ্বলে ঐ চুলায় । মগর, তিনি কানই দিলেন না এসব কথায় । তার নিজের মানসম্মানের একটা ব্যাপার বৈ কি । ভূঙ্গির শুভাকাঙ্খী কয়েকজন তাকে অন্য পাড়ায় চলে যাবার পরামর্শ দিল । তার অন্তর কিন্তু সাড়া দেয় না এই প্রস্তাবে । দু:খ-কষ্টে পঞ্চাশটা বছর সে এ গাঁয়ে কাটিয়েছে । এই গ্রামের প্রতিটা গাছের প্রতিটা পাতার লগে*** তার মোহাব্বতের*** সম্পর্ক । শেষকালে এসে তা সে ত্যাগ করতে পারে না । পাড়া ছেড়ে চলে যাবার প্রস্তাবে সে মনে মনে চোট পেলো । অন্য গাঁয় সুখে থাকার চেয়ে এখানে দু:খে থাকা, তা-ও ভাল ।

    একমাস গত হয়ে গেল । এক্কেবারে ফজরে*** পন্ডিত উদয়ভান পেয়াদাদের ছোট্ট একটা ডাঁই লগে*** নিয়ে বেরিয়েছেন খাজনা আদায় করতে । কর্মচারীদের ওপর আগাগোড়া ভরসা করা যায় না । তার পাওনা টাকা জরিমানা কিংবা ধর্মীয় কাজকারবারে মজুরিতে কেউ ভাগ বসাক তিনি চান না । আজ যখন দেখলেন চুলাটা বুড়ি আবার বানাচ্ছে, রাগে ফেটে পড়লেন পন্ডিতমশাই । ভূঙ্গি খুব যত্ন করে কাদামাটির দলা দিয়ে চুলা বানাচ্ছিল । রাতভর কাজ করেছে সে, ইচ্ছা ছিল বেলা বাড়ার আগেই কাজ সেরে ফেলবে । সে জানে, এ কাজ নি:সন্দেহে পন্ডিতজির ইচ্ছার বাইরে যাচ্ছে । তবে, মানুষের রাগ যে কতদিন স্থায়ী হতে পারে তার কোনও ধারণা ভূঙ্গির ছিল না । এত বড় একটা মানুষ ভূঙ্গির নাহান গরিবের ওপর কতটা নিঠুরিয়া*** আচরণ করতে পারে তা ভূঙ্গির আক্কেলে ধরে নাই । মানব চরিত্রকে সে এর চাইতেও উঁচু জ্ঞান করেছিল । হায় ! বেচারির বয়স বেড়েছে, বুদ্ধি বাড়ে নাই ।

    আচমকা গর্জে উঠলেন পন্ডিতজি, `হুকুম কার ?'
    হতবুদ্ধি হয়ে ভূঙ্গি দেখলো পন্ডিতজি তার সামনে দাঁড়িয়ে ।
    আবার জিগালেন*** তিনি, `কার হুকুমে বানাচ্ছিস ?'
    ডরে ডরে*** ভূঙ্গি কইলো,***`সবাই বলল বানালে ভাল হয়, তাই বানাচ্ছি ।'
    `আবার ভেঙ্গে দেবো ।' এই বলে একটা লাথি দিলেন চুলায় । মাটি নরম বলে একেবারে বসে গেল চুলাটা । আবার এক লাথি চালাচ্ছেন, অমনি ভূঙ্গি দৌড়ে সামনে আসায় লাথি পড়ল তার কোমরে । কোমর মাজতে মাজতে*** সে কইলো,*** `মহারাজ, আপনি কাউকে ডরান*** না জানি, তবে ভগবানকে তো ডরাতে*** হবে । আমাকে এভাবে উচ্ছেদ করে আপনার কি লাভ ? এই ক'ফুট জমি থেকে কি সোনা পয়দা*** হবে ? আপনার ভালোর জন্যই কইছি***, গরিব লোকদের জুলুম করবেন না, মেরে ফেলবেন না আমায় ।'

    `আর কোনও চুলা বানানো চলবে না এখানে ।'
    `তা হলে খাবো ক্যামনে ?'***
    `তোর পেটের ভার তো আমি নিই নাই ।'***
    `আপনার ছোটখাটো কাজ বাদ দিয়ে আর কিছু না করলে আমি খেতে পাবো ক্যামনে ?'***
    `এ পাড়ায় থাকতে হলে আমার কাজ করতেই হবে ।'
    `আচ্ছা, করব নে ।*** আগে আমার চুলাটা ঠিক করতে হবে । খাল পাড়ায় থাকবার লাগি*** তো আপনার কাজ করবার পারবো না ।'****
    `তোকরবি না, পাড়া ছেড়ে চলে যাবি ।'
    `কিভাবে ? এক যুগ চাষ করার পর জমির ওপর চাষারও কিছু হক জন্মায় । এই কুঁড়ে ঘরে থাকতে থাকতে চুল পেকে গেছে আমার । আমার শ্বশুর, তেনার বাপদাদারা এই কুঁড়েঘরেই জীবন কাটিয়ে গেছেন । যমদূত ছাড়া কেউ আমাকে নড়াতে পারবে না এইখান থেকে ।'
    `চমত্কার ! মুখে তো ধর্মকথার খই ফুটছে দেখছি । শক্ত পরিশ্রম করলে হয়ত পাড়ায় থাকতে দিতাম তোকে । মগর*** এতকিছুর পর তো তোকে না তাড়ানো অব্দি আর আমার শান্তি নাই ।' পন্ডিত উদয়ভান কইলেন ।*** তারপর সাঙ্গপাঙ্গদের কইলেন, `একগাদা পাতা এনে বেবাক আগুন ধরিয়ে দে । চুলা ক্যামনে*** বানায় বুড়িকে দেখিয়ে ছাড়বো ।'

    মুহূর্তের মধ্যে হৈ চৈ লেগে গেল ওখানে । আসমানের*** দিকে উঠতে লাগল আগুন, চারদিকে শিখা ছড়িয়ে পড়ল । পাড়ার বেবাক লোক ডাঁই ডাঁই*** এসে পাহাড়প্রমাণ আগুনের চারপাশে ভিড় জমাতে লাগল । ভূঙ্গি এতক্ষণ বিষন্ন চেহারায় চুলার পাশে দাঁড়িয়ে এই ভয়ানক অগ্নিকান্ড দেখছিল । আচমকা জানপরাণ*** দিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিল সে । লোকজন ছুটে আসল, মগর*** আগুনের মুখে যেতে কারো সাহস হল না । ক'টা মুহূর্তের ব্যবধানে আগুনের পেটে হজম হয়ে গেল ভূঙ্গির চিমসে শরীরটা ।

    এক্ষণে দমকা বাতাস বইলো । মুক্ত আগুন পুবের দিকে দৌড় শুরু করল । চাষাভূষার কুঁড়েঘর ছিল কিছু চুলার ওপাশে, সব চলে গেল জঘন্য আগুনের পেটে । এভাবে গিলে টিলে আগুন আরও বাড়তে লাগল । পন্ডিতজির গোলাবাড়ি ঐপথে, তা-ও ছোঁ মেরে নিয়ে নিল আগুন । তামাম*** পাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে । লোকজন মিলেঝুলে আগুন নেভানোর কোশেশ*** করছে । মগর পানির*** ছটা আবার এতে তেলের মতো কাজ করল, পর্বতপ্রমাণ উঁচু হতে লাগল আগুন । উদয়ভান পন্ডিতের আলিশান বাড়িও গিলে নিল আগুন । পন্ডিতজি চেয়ে চেয়ে দেখলেন - পাগলা ঢেউয়ের মাঝে যেন দুলছে বাড়িটা, শেষমেশ হারিয়ে গেল আগুনের দরিয়ায় । ছাইয়ের অন্তর থেকে যে বিলাপের সুর ভেসে আসে তা ভূঙ্গির পেরেশানি*** কান্নার চাইতে আরও বেশি করুণ ।




    মুনশি প্রেমচাঁদ মুনশি প্রেমচাঁদের আদত নাম ধনপত রায়, প্রেমচাঁদ তাঁর ছদ্মনাম । বলা হয়, তিনি আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিমান কথাশিল্পী । জন্ম ১৮৮০ সনে ভারতের বারাণসী থেকে চার মাইল দুরে লহ্মি গ্রামে । পারিবারিক মর্যাদায় কায়স্থ । অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান না হলেও ফার্সি আর উর্দু তিনি ভালো রকম শিক্ষা করেছিলেন । তিনি যখন লেখা ধরেন তখন উর্দুতেই সকলে লিখতেন । পরে ১৯০০ সালের পর হিন্দি আন্দোলন জোরদার হলে তিনিও সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ।

    ডিকেন্স, তলস্তয়, কার্ল মার্কস, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখের বিস্তর প্রভাব তাঁর উপর পড়েছিলো । তাঁর গল্পে সামন্ততন্ত্র, গান্ধিবাদ আর বামপন্থা যেমন ধরা দেয়, তেমনি গ্রামের জমিদার, জোতদার, চাষা-ভুষা, তোয়াঙ্গর, পাতি ব্যবসায়ি, পেশাজীবী মধ্যবিত্ত শ্রেণী, দেশপ্রেমিক, মোনাফেক, পণ্ডিত, বৈদ্য ও হেকিমের দল-বিশেষ করে অস্পৃশ্য, সমাজবর্জিত সর্বরিক্ত লোক রক্তমাংস নিয়ে উঠে আসে । হিন্দু-মুসলমান ঐক্য এবং আজাদ ভারতবর্ষ ছিলো তাঁর স্বপ্ন । বিশেষ, ভারতবর্ষের গ্রামাঞ্চল তাঁর রচনার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ।

    দুই দশকের লেখক জীবনে প্রেমচাঁদ চৌদ্দটা উপন্যাস, শ'তিনেক ছোটগল্প, শ'খানেক প্রবন্ধ, অসংখ্য সম্পাদকীয়, তর্জমা, চিত্রনাট্য লিখেছেন । তাঁর সবচেয়ে খ্যাতনামা উপন্যাস `গোদান' । তিনি ১৯৩৬ সনে এন্তেকাল করেন ।)

    (পরবাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)

  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments