• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৭৯ | জুলাই ২০২০ | কবিতা
    Share
  • তিনটি কবিতা : সুগত মুখোপাধ্যায়


    রুদ্ধশ্বাসের সময়

    পাঞ্জার চেটো বেড়েছে এমনই,
    খপ করে ধরে বজ্রমুঠিতে
    ভরে নিতে পারে আমাদের মতো
    মাজা ভেঙে যাওয়া কিলবিলে জীব,
    দু'চার ডজন।

    এখন সবাই নজর রাখছে,
    দোকানে খোঁচড়, রোয়াকে পাগল।
    চোখে ছানবিন মনের পকেট,
    কেউ কারো নয় রক্তশরিক,
    বন্ধু স্বজন।

    বসবার ঘরে কুশল জিগেস,
    কুশল যদিও খুবই দুর্লভ।
    দালানে অমনি পাহারাদারের
    বুটের নালের শার্দুল চালে
    ঠংঠং ধ্বনি।

    শুনে চমকালে তখুনি দেখবে,
    গৃহকর্তার দু'চোখ ঢেকেছে
    কুয়াশার ঘষা কাঁচের চশমা।
    তুমিও বলবে বোকা বোকা হেসে,
    উঠব এখনি।


    ছায়াময়

    বয়সের খড়, একটি দিনেরও--
    কখন অবহ হয়ে ওঠে কার?
    কখন যে উট, স্বর না ফুটুক
    চিৎকার করে?

    পিঠ থেকে তার খসে পড়ে যায়
    শস্যের দানা, তিল তিল করে
    কত অর্জন, মুষ্টিভিক্ষা;
    শীত ঘিরে ধরে।

    সেই অপারগ দৈন্যমথিত
    ধূসর বিকেলে জলযান বোঝে,
    জমেছে শরীরে সুক্তির খোলা,
    প্রবালের স্তর।

    এতদিন ছিল নখদর্পণে
    দিগ্‌বিদিকের হদিশের খোঁজ;
    এখন এ জল কেমন অচেনা,
    ভারী দুস্তর।


    কাঁকরের মাঠ

    কাঁকরের মাঠ ছিল ভাগ্যিস!
    তাই ওরা কেউ হৃদয়ের ক্ষত
    দেখতে পায়নি,
    কপোলে জলের শীর্ণ রেখাটি।

    কাঁকরের মাঠ শুষে নেয় সব,
    ছবিটি ফুটেছে বিগতস্পৃহার,
    যদিও তা নয়
    মন ছুঁয়ে যাওয়া অনুভব খাঁটি।

    কাঁকরের মাঠ ছিল বলে তাই
    ধরা পড়বার ভয় ঘুচেছিল,
    চেয়েছিল কবে
    কেরোসিন তেল, দেশলাই কাঠি।


    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)