ঘাঁটা শব্দকোষ
অবৈধতা অবিধান নিয়মভঙ্গ বিধিভঙ্গ নিয়মাতিক্রম
প্রথাভঙ্গ উপাত্যয় নৈরাজ্য অরাজকতা গোলমাল বেহাল
অবিচার কুবিচার নির্বিচার অত্যাচার দমনপীড়ন
উৎপীড়ন চণ্ডনীতি স্বৈরাচার তুঘলকি মুলুক
বিচারণ মূল্যায়ন ইনসাফ সুবিচার সুরাহা নিষ্পত্তি ফয়সালা
শুনানি সালিশি রফা মিটমাট মীমাংসা আপোষ
ধরে ধরে পড়া কর: অন্তিমে রুলের গুঁতো, এ আমার দেশ, নাকি,
ঘাঁটা শব্দকোষ?
নীরব চীৎকার
কাল রাতে, মধ্যরাতে, ঘুম ভাঙল ভয়াবহ তৃষ্ণা নিয়ে প্রাণে।
কাল রাতে, মধ্যরাতে, ঘুমের ভেতরে থাকি ভুরু কুঁচকে নব্বই মিনিট।
কাল রাতে বোবা কান্না, গলা শক্ত কাঠ।
চোখদুটো শুকনো কুয়ো, গ্রীষ্মের দিনের বেলাশেষ।
কাল রাতে, মধ্যরাতে, কেঁচোর মতন কিলবিলিয়ে
ক্রমশ কুঁকড়িয়ে গেছি ভয়াবহ অপরাধবোধে।
যেন শীত, খুব শীত, পায়ে নেই নরম বিস্তার, ঢাকাচাপা।
কাল রাতে সত্যিগুলো বর্ণহীন ও নিরাবরণ।
সকালে উঠেছি আমি মাথাভার, চলচ্ছক্তিহীন।
জেগে উঠে ভেবেছি যে এই বোধ বোধহয় নশ্বর।
অথচ না, এই বোধ ঢিবি হয়ে দুচোখে এঁটেছে।
এই বোধ সর্বগ্রাসী। আজকাল, সর্বশক্তিমান।
তবে বুঝি এই বোধ আমারও না, এই বোধ সবার, সবার।
আমার তৃষ্ণার মূলে আছে সেই বিবিধ তেষ্টার
মরুভূমি। যৌথ উদ্যোগে তৈরি, আমাদের শুকোন পুকুর।
যৌথ মিথ্যাটি, মূলে কোলাহল, অন্ধ কোলাহলে
হারানো নব্বই ঘন্টা, সপ্তাহের। জাগ্রত দিনের।
ঢাকাচাপা নব্বই ঘন্টার সত্য, অ্যালাউ না করা
ভাল থাকা। ফ্যান্টাসিরা। রাতে যারা আসে গুঁড়ি মেরে
গেরিলা হানার মত ঝাঁপায় স্বপ্নের মধ্যে শুধু।
কাল রাতে, গলা থেকে চীৎকার বেরোতে পারছিল না।
চোয়ালের হাড়, পেশি মারাত্মক বিস্ফোরণে শেষ হতে চেয়ে
ব্যর্থ হচ্ছিল, আর দুমড়ে যাচ্ছিল কী চেষ্টায়!
সকালে সবকিছু মুছে গিয়ে
জেগে রইল শুধু ওইই, নীরব চীৎকার, চিরতরে
তেতোথুতু স্বপ্নের ভেতরে।
আমিও রইলাম জেগে
প্রকৃত সুশীল, সামাজিক
শতকরা নব্বই জনের মত, আমার শহরে।