লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ।
অঞ্জন আচার্য-র জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর উপাধি প্রাপ্তির পরে এখন বাংলা একাডেমি, ঢাকায় গবেষক হিসেবে কর্মরত। পেশাগত জীবন শুরু হয় দৈনিক ভোরের কাগজ, প্রথম আলো, ইত্তেফাক পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন-এর গবেষণা-সহকারী হিসেবে জেণ্ডার ও উন্নয়ন বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন অনেকদিন। কবিতাই তাঁর কাছে যাবতীয় স্বপ্ন-বুননের ক্ষেত্র; পাশাপাশি গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার, সাহিত্য-সমালোচনা, সম্পাদনা-সহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করেন। প্রকাশিত বইঃ
জলের উপর জলচ্ছাপ (কবিতা),
রবীন্দ্রনাথঃ জীবনে মৃত্যুর ছায়া (প্রবন্ধ),
জীবনানন্দ দাশের নির্বাচিত গল্প (সঃ),
পাবলো নেরুদার কবিতা সংগ্রহ (সঃ),
লেনিন কথা (সঃ)।
অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।
সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্স।
জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
গৌরী দত্ত'র জন্ম বেনারসে, বড়ো হওয়া বিহারে। স্কুল পাটনায়, কলেজ দারভাঙ্গায়। পেশায় মনঃস্তাত্ত্বিক। এখন বাস বস্টনে।
কাজের ফাঁকে লেখা। শখের লেখা শুরু দশ বছর বয়স থেকে। বস্টনে বাড়িতে মাসে একবার বাংলা লেখক গোষ্ঠীর অধিবেশন বসে, গোষ্ঠীর নাম 'লেখনী'। 'রোজালি রোড গ্রুপ' নামে ইংরেজি লেখার অধিবেশন বসে মাসে আর এক দিন। প্রকাশিত বইঃ 'লোভ, পাপ ও তৃষ্ণা' (কবিতা, সমতট প্রকাশনী), 'মৈত্রী' (ছোটো গল্প, সমতট), 'বৈদেহী' (ছোটো গল্প, সমতট), এবং 'অফ আমারান্থ্স অ্যাণ্ড এল্স্' (ইংরেজি কবিতা সংকলন, ভিন্টেজ প্রেস, নিউ ইয়র্ক)।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা।
হাসান জাহিদ:
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। আশির দশকের গল্পকার হাসান জাহিদ । প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। বাংলা ও ইংরেজিতে হাসান জাহিদের অসংখ্য প্রবন্ধ জাতীয় দৈনিকে ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা ২০১২ উপলক্ষে হাসান জাহিদের উপন্যাস `অনাদ্যন্ত` ও গল্পগ্রন্থ `পোড়ো মানবের গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কানাডার টরোন্টোতে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন।
কালীকৃষ্ণ গুহ-র জন্ম ১৯৪৩ সাল। পূর্ববঙ্গের (এখন বাংলাদেশ) রাজবাড়ি জেলার ছাইবাড়িয়া গ্রাম। ১৯৫৭ সালে, ছাত্রাবস্থা থেকে, কলকাতা শহরে। সাহিত্য ও আইনে স্নাতক। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চাকরি। ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ। বাল্যকাল থেকেই সাহিত্যপাঠে উৎসাহী ও কবিতা লেখা শুরু। প্রথম কবিতার বই 'রক্তাক্ত বেদীর পাশে' ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত। তারপর থেকে বহু বই নিজের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি: হস্টেল থেকে লেখা কবিতা ...., পথনাটকের আসরে স্তব্ধতা। দুটি প্রবন্ধের বই: নির্বাচিত গদ্য ও মলিন পাঠগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য কোনো বলার মতো ঘটনা নেই, বিশেষ কোনো গৌরব নেই। ভালোবাসেন শুয়ে থেকে জীবন কাটাতে। শুয়ে শুয়েই বইপড়া, (সামান্য) লেখার চেষ্টা করা, গান শোনা - উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্রসংগীত।
কৌশিক ভাদুড়ীর জন্ম- ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৮। দাদামশাই-এর বাসা বাড়ির অঞ্চলে, কোলকাতার বাগবাজারে।
শৈশব কৈশোর কাটে পৈতৃক ভিটেতে। হাওড়া সাঁত্রাগাছিতে। পড়াশুনো মাতৃভাষা মাধ্যমে। B.Sc. কোলকাতা St. Xavier's থেকে। চাকরির শুরু marine engineer হিসেবে জাহাজে। অনতিবিলম্বে ছেড়ে দিয়ে, mehanical engineering stream-এ A.M.I.E(India) বলে কিছু পরীক্ষা পাস করা, চাকরি করতে করতে। ১৯৮৬ সাল থেকে অনুগুল বলে উড়িষ্যার একটি জায়গায় National Aluminium Co. বলে একটি কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগে কর্মরত।
১৯৭৭ সালে বন্ধুদের সঙ্গে একটি লিট্ল ম্যাগাজিন বার করেছিলেন (সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি)। প্রকাশিত লেখা বলতে তখনই যা হয়েছিল। ১৯৭৭-এর পর থেকে নিয়মিত কবিতা পড়া ও লেখা নিয়ে আছেন, যদিও কিছুটা আলস্য কিছুটা জীবিকা বিষয়ক কারণে, লেখা প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি।
ড। মাহফুজ পারভেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ "আমার সামনে নেই মহুয়ার বন", "স্নানঘর ভেঙে পড়ে অরণ্যের অন্ধকারে"।
মায়া সেনগুপ্ত: জন্ম ১৯৪০। বহুরকমের সামাজিক কাজে জড়িত থাকা সত্বেও লিখতে ভালোবাসেন বলে, তার মধ্যে থেকেই লেখার সময় বার করে নেন। গল্প ও কবিতা লেখেন, মাঝে মাঝে প্রবন্ধও লেখেন। সবচেয়ে ভালোবাসেন ছোটদের জন্য লিখতে। নানা পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।
নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় - জন্ম ১৯৮২। স্নাতোকত্তর প্রথম শ্রেণীতে প্রথম (বাংলা)। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমী শারদ পুরস্কার পেয়েছেন। প্রকাশিত বই 'এই সব নিষিদ্ধ গান', 'রক্তগন্ধার লিপি'।
ইঞ্জিনিয়রিং ও ম্যানেজমেন্ট-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনার পর প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে কর্মসূত্রে ভারত ও পৃথিবীর নানা জায়গায়
ঘুরতে হয়। প্রথম উপন্যাস
সাগরবেলার ঘর সম্প্রতি স্মৃতি পাবিলিশার্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ও বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড ।
রমেন্দ্র নারায়ণ দে--পেশা স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা। নেশা--লেখা, নাটক, গান। পঁচিশ বছর ধরে আমেরিকার বাসিন্দা। ছোট বড়ো গল্প প্রবন্ধ উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে আনন্দবাজার, বর্তমান, নবকল্লোল, শুকতারা, প্রথম আলো, জনকন্ঠ (ঢাকা) এবং তার সঙ্গে উত্তর আমেরিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকায়। এছাড়া পরবাস, বাংলালাইভ, ইত্যাদি আন্তর্জাল পত্রিকাতেও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখার জন্য ২০০০ সালে কলকাতায় 'উৎসব পুরস্কার' পেয়েছেন। প্রকাশিত বইঃ 'আগামী পৃথিবী' (গল্প, মিত্র ও ঘোষ), 'উপহার' (গল্প, উৎসব), এবং 'মিলি, টুলি ও এমিলি' (শিশু, শিশুমেলা)।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সংহিতার লেখালেখি ছিলো নিজের খাতায়। প্রথম প্রকাশ "জয়ঢাক"--২০০৩'র পূজা সংখ্যায়। মাস্টারমশাই শ্রীদেবজ্যোতি ভট্টাচার্যের প্রেরণায় ও প্রশ্রয়ে।
সীমা ব্যানার্জী টেক্সাসে থাকেন। পেশায় পরিবেশ বিজ্ঞানী, নেশায় লেখিকা। তাঁর লেখা বাংলা ও ইংরেজি কবিতা ও গল্প আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ওয়েবজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা স্থান পায় তাঁর লেখনীতে। তাঁর লেখার মুখ্য উদ্দেশ্য “অবলা নারীদের অজানা কথা”। লুইজিয়ানার ব্যটনরুজ থেকে তাঁর লেখা রন্ধনপ্রণালী ২০০৫ সালে “Saffron to Sassafras” কুকবুকে প্রকাশিত হয়। ২০০৬ সালে বইটি Community Cookbook হিসেবে National Winner হয়।
20১১ সালে কোলকাতা বইমেলা থেকে প্রকাশিত “তোমারি নাম বোলব” কবিতার বইতে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর অবসর কাটে রন্ধনে, সূচিশিল্পে, ডেকোরেশনে, বাগানে ও গীটার বাজিয়ে। সুখি গৃহকোণ।
সর্বজয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে এম,ফিল স্তরে গবেষণা করছেন।
কলকাতা থেকে সিক্তা দাস।
সোমা ঘোষ বর্তমানে শিক্ষকতার একটা ট্রেনিং-এর সাথে যুক্ত। তাছাড়া এই মুহূর্তে গৃহবধূ বলা চলে। ডাক্তার স্বামীর পেশাগত কারণে ম্যানচেস্টার নিবাসী। পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক। বেশ কিছু ওয়েবজিন এবং কিছু কাগুজে পত্রিকায় গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালিখি বাদে গান, নাচ, রান্না সবই তাঁর শখের মধ্যে পড়ে। দুই পুত্র সন্তানের জননী, এও নিশ্চিতভাবে তাঁর পরিচয়ের অঙ্গ।
সৌরীন ভট্টাচার্যের জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৩৭, বর্তমান বাংলাদেশের যশোহর-এ। যাদবপুর থেকে অর্থনীতির স্নাতকোত্তর। কলকাতা আর দিল্লির কয়েকটি কলেজে এবং উত্তরবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন অধ্যাপনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির বিভাগে যোগ দেন। সেখান থেকেই অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৭ সালে। ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে গিয়েছিলেন ইউ জি সি-র পক্ষ থেকে এক সমাজতন্ত্র সম্মেলনে। তাঁর বইগুলির নাম চাহিদাতত্ত্ব (১৯৮১), পরিবর্তনের ভাষা (১৯৯৩), গ্রামশি পরিচয় (১৯৯৩), মার্ক্স (১৯৯৩), উন্নয়ন : অন্য বিচার (১৯৯৫), রাজনীতির বয়ান ও স্বচ্ছতার সংস্কৃতি (১৯৯৮), পদ্ধতির পাঁচালি (২০০২), সময় সংস্কৃতির তত্ত্বতালাশ (২০০৪), পাঠকের গরজ (২০০৫)। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন গ্রামশির নির্বাচিত রচনা। এছাড়াও অনুবাদ করেছেন কিশোর যোদ্ধা (১৯৮৭) ও ফেরাই (১৯৯৬)। 'কেন আমরা রবীন্দ্রনাথকে চাই এবং কীভাবে' এই বইটির জন্য ২০০৯ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা)।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুদীপ্ত ভৌমিক নিউ জার্সিতে থাকেন, নাটক লেখা, পরিচালনা, ও অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত। প্রকাশিত গ্রন্থঃ
নাটক-সমগ্র ।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।