কবিতা বিষয়ক
সব কবিতাই কেমন যেন আপেক্ষিক
উপদ্রুত অঞ্চল থেকে লেখা যেমন
সমার্থক নিন্দায় বশীভূত খানিক
সব কবিতাই আসলে একদম ঠিক।
হিরণ্য চোখ আর মেঘলা দুপুর
নিভন্ত আঁচে সিদ্ধ করা যেমন
অনূদিত আবেগমন্থরতা, তুলসী ও চন্দন
সব কবিতাই একদম দৃষ্টিনন্দন।
পারিজাত শুষে নেওয়া রক্তাল্পতা
ঝিমিয়ে পড়া জন্মান্তরবাদ
পিছন পিছন হাঁটা, উৎসর্গ ষোড়শপচার
সব কবিতাই একপ্রকার হার।
হামবড়া রূপকথা ও প্রবোধবাক্য
শান্ত সৌহার্দ্যে হইহই ব্যবহার
নিশ্চিত প্রয়োজনীয় পৌনঃপুনিক হুল
সব কবিতাই বেদম নির্ভুল
সব কবিতাই বিফলমনোরথ সারবত্তা খোঁজা
সব কবিতাই অন্ধের দুই চোখ বোজা
তোমারও মৃতসঞ্জীবন পাড়ি বরাভয়
সব কবিতাই আসলে ব্যক্তিগত হয়।।
ষড়জ
আমার শব্দের বন্ধ দরজায় কিছু
চিঠির ঘ্রাণের ঢেউ আছে। বহমান
সে সকল জলছাপ ফেরে পিছু পিছু
কারো। কোন দুখু মানুষের শান্তি যান।
আমার শব্দের বন্ধ দরজায় গান
গায় পাখি। অবিরল সুরে এই দ্বারে
ফেরে গহীনের বেনিয়ম, কলতান--
কাড়াকাড়ি, আকাশের মতো কাছে দূরে—
আমার শব্দের বন্ধ দরজায় ঘিরে
থাকে এরা। কেউ পথ ছাড়ে না কাউকে।
পাখি ভিজে যায় দেখি, অক্ষরে অক্ষরে—
জলমুখ। তবু বুক পেতে থাকে বুকে
আমার শব্দের জল, পাখি ঘুরে ঘুরে—
আকাশের মতো কাছে, তারি মতো দূরে—
পট
অনেক গভীর রাতে চোখ থেকে জল নেমে আসে
লবণাক্ত বিশদ-
সস্নেহে মুছে দিতে নাম ধাম, ছেঁড়া পাতা, গেলাস
নিথর পাপড়ি
নিস্তেজ তৈলচিত্রে ভূমিষ্ঠ মৃত জল
রং থেকে রং-এ মিশ খায়
দক্ষ ভীরুর অম্লানবদন মূঢ়তায়।
সাবেকী সততা
নিদন্ত এবার ঘোর
বিবিধ গ্রস্ততা,
সন্ন্যাসীদেহের ছাইয়ের ন্যায় বিরং বিভোর
বোধহয়,
নিগূঢ় রাতে চোখ হতে জল
নেমে আসে।।