লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অদিতির বড়ো হয়ে ওঠা কল্যাণী শহরে। স্ট্যাটিস্টিক্স-এর ছাত্রী অদিতির কাছে বই আর অক্সিজেন সমতুল্য। কর্মসূত্রে বছরখানেক আরবদেশে বসবাসের অভিজ্ঞতাও আছে। ভ্রমণ, ছবি তোলা, এমব্রয়ডারির পাশাপাশি ইদানীং লেখালিখিতেও সমান উৎসাহী।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
দূর্গাপুরের বাসিন্দা অর্চনা দত্ত পড়াশুনো করেছেন রসায়নশাস্ত্র নিয়ে। সাহিত্যপ্রেমী এই মহিলা ছোটোবেলা থেকেই ভালোবাসেন কবিতা লিখতে। তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রপত্রিকায় এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে। স্বামীর কর্মসূত্রে গত কয়েক বছর ধরে পাড়ি জমিয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে লস এঞ্জেলস । "পরবাসের" দপ্তরে লেখা পাঠাতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছেন।
অরুণিমা ভট্টাচার্য্য-- জন্ম - পাঞ্জাব, বড়ো হওয়া - কলকাতা, পড়াশোনা - তামিলনাডু, কর্মসূত্রে বেশ কিছুদিন - মহারাষ্ট্র। এখন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনাতে। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি। নেশা অনেক--যেগুলো বলা যায় তা হলো বই পড়া, গান শোনা, নাটক ও সিনেমা দেখা। কবিতা লেখা একটা সাম্প্রতিক আকস্মিক দুর্ঘটনা।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
ডেভিড সুমন্ত্র হেমব্রম-এর পড়াশোনা বাংলা নিয়ে। বেসরকারি হাউসে চাকরি করেন, ঘুরে বেড়ান এদিক সেদিক, আর আন্তর্জালে কবিতা লেখেন মাঝে-সাঝে।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্স।
জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দেবদত্ত জোয়ারদার কোলকাতায় থাকেন। সাহিত্যে উৎসাহী।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
দূর্বা বসু শান্তিনিকেতনের পাঠভবন ও শিক্ষাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করেছেন। পরে আমেরিকায় লিবারেল আর্টস-এ মাস্টার্স--তখন বিশেষ বিষয় ছিল জেণ্ডার স্টাডিজ। সামাজিক নানা সমস্যার উপরে আগ্রহী এবং এ-বিষয়ে লেখালেখি করে থাকেন।
গৌতম দাস-এর জন্ম ১৯৬৮ সালে। 'দেশ' কলকাতা হলেও এখন দিল্লীর বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থানে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়র।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা।
হাসান জাহিদ:
জন্ম ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে সম্মানসহ এমএ। আশির দশকের গল্পকার হাসান জাহিদ । প্রথম গল্পগ্রন্থ `প্রত্নপ্রাচীন দেবী’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। বাংলা ও ইংরেজিতে হাসান জাহিদের অসংখ্য প্রবন্ধ জাতীয় দৈনিকে ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। পরিবেশ এবং জলবায়ু বিষয়ে কয়েকটি গ্রন্থের প্রণেতা তিনি। ঢাকায় অমর একুশে বইমেলা ২০১২ উপলক্ষে হাসান জাহিদের উপন্যাস `অনাদ্যন্ত` ও গল্পগ্রন্থ `পোড়ো মানবের গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কানাডার টরোন্টোতে স্থায়িভাবে বসবাস করছেন।
কমলিকা চক্রবর্তী কলকাতায় থাকেন। 'পরবাস'-এর পুরোনো পাঠিকা, শখের লেখিকা--পরবাসে এই প্রথম। একটি স্কুলে ইংরেজি পড়ান।
কৌশিক ভাদুড়ীর জন্ম- ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৫৮। দাদামশাই-এর বাসা বাড়ির অঞ্চলে, কোলকাতার বাগবাজারে।
শৈশব কৈশোর কাটে পৈতৃক ভিটেতে। হাওড়া সাঁত্রাগাছিতে। পড়াশুনো মাতৃভাষা মাধ্যমে। B.Sc. কোলকাতা St. Xavier's থেকে। চাকরির শুরু marine engineer হিসেবে জাহাজে। অনতিবিলম্বে ছেড়ে দিয়ে, mehanical engineering stream-এ A.M.I.E (India) বলে কিছু পরীক্ষা পাস করা, চাকরি করতে করতে। ১৯৮৬ সাল থেকে অনুগুল বলে উড়িষ্যার একটি জায়গায় National Aluminium Co. বলে একটি কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগে কর্মরত।
১৯৭৭ সালে বন্ধুদের সঙ্গে একটি লিট্ল ম্যাগাজিন বার করেছিলেন (সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি)। প্রকাশিত লেখা বলতে তখনই যা হয়েছিল। ১৯৭৭-এর পর থেকে নিয়মিত কবিতা পড়া ও লেখা নিয়ে আছেন, যদিও কিছুটা আলস্য কিছুটা জীবিকা বিষয়ক কারণে, লেখা প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।
পল্লববরণ পাল--শিবপুর বি,ই কলেজের স্নাতক স্থপতি। গান, আবৃত্তি, ছবি-আঁকা, লেখালেখি আকৈশোর। সঙ্গীত ও নাটকে বহুপুরস্কারে সম্মানিত। লিখিত উপন্যাস (২টি), অন্যধারার নাটকও (২টি), এবং কবিতা। 'তিন নম্বর চোখ' পত্রিকার ধুন্ধুমার সম্পাদক। অজস্র বই ও পত্রিকার মলাট ও অলংকরণশিল্পী। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দশটি।
পার্থজ্যোতি বিশ্বাস মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে থাকেন।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন।
প্রবুদ্ধ বাগচী : জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮, বর্ধমানে। স্কুলশিক্ষা সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই লেখালিখির শুরু। একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে কিছুদিন যুক্ত ছিলেন সাংবাদিক ও সম্পাদকীয় কাজকর্মে। এরই পাশাপাশি নিয়মিত লিখে আসছেন কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, পুস্তক-সমালোচনা, ইত্যাদি। বিভিন্ন বিষয়ে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নটি। সবথেকে পছন্দের কাজ নানারকম বই পড়া ও গান শোনা।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ও বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রুচিরার ছোটোবেলা কেটেছে হাওড়া জেলার এক গ্রামে। পেশায় সফ্টওয়্যার এন্জিনিয়ার। চাকরির খাতিরে দেশ-বিদেশ ঘুরে আপাতত ব্যাঙ্গালোরবাসী। বিভিন্ন ই-ম্যাগাজিনে কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্টিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।
শংকর চট্টোপাধ্যায় (জন্মঃ মার্চ ১৯৩৪) অর্ধশতকেরও বেশি কাল রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় রয়েছেন। অনেক লেখাও লিখেছেন। সবই লিটল ম্যাগের চেয়েও ছোট পত্রিকায়। 'রবীন্দ্রনাথ ও বাউল' সংকলনে একটি লেখা আছে। কোনো গ্রন্থ নেই। আরও দুতিন বছর সংগীতচর্চা চালাতে চান। জনপ্রিয় লেখক বা গায়ক কোনোটাই নন।
শর্মিষ্ঠা নাথ পেশায় তথ্যপ্রযুক্তিবিদ্। এক যুগ আমেরিকা বাসের পর ইদানীং ফিরেছেন কলকাতায়। ভালোবাসেন দেশবিদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে, লেখালিখি করতে, আরো ভালোবাসেন পড়তে। সম্প্রতি কবি পল্লববরণ পাল-এর সঙ্গে যৌথ কলমে 'ডানায় রৌদ্রের গন্ধ' প্রকাশিত হয়েছে পরম্পরা প্রকাশন থেকে।
সোমা ঘোষ বর্তমানে শিক্ষকতার একটা ট্রেনিং-এর সাথে যুক্ত। তাছাড়া এই মুহূর্তে গৃহবধূ বলা চলে। ডাক্তার স্বামীর পেশাগত কারণে ম্যানচেস্টার নিবাসী। পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক। বেশ কিছু ওয়েবজিন এবং কিছু কাগুজে পত্রিকায় গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। লেখালিখি বাদে গান, নাচ, রান্না সবই তাঁর শখের মধ্যে পড়ে। দুই পুত্র সন্তানের জননী, এও নিশ্চিতভাবে তাঁর পরিচয়ের অঙ্গ।
শ্রাবণী দাশগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-এ এম,এ। জন্ম, স্কুল-কলেজ-পড়াশোনা সব কোলকাতায়। এখন রাঁচিতে একটি স্কুলে পড়ান। গল্প লিখতে ভালোবাসেন। আনন্দবাজার (২০০৬) ও দেশ (২০১১)-এ তার দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়াও কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনে কয়েকবার বের হয়েছে লেখা।
সুবীর বোস পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইটি ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেন।
দেশ-এ একাধিকবার, এবং
কবিসম্মেলন ও বিভিন্ন ওয়েবজিন-এ তাঁর
কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইঃ
আঙুলের সংলাপ (সপ্তর্ষি প্রকাশনা)।
সুচেতা রায়-এর বড়ো হয়ে ওঠা, স্কুল পাশ, মালদহ-তে। এখন বছর দুই হলো দক্ষিণ ২৪ পরগণার কোদালিয়া-তে আছেন। জুট অ্যাণ্ড ফাইবার টেকনোলজিতে বি,টেক পাঠক্রমের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
সুনন্দ কুমার সান্যালের শৈশব কেটেছে বর্ধমান শহরে, বয়ঃসন্ধি থেকে কলেজ জীবনের পরবর্তী কয়েক বছর কলকাতায়। স্নাতকোত্তর-স্তরের ছাত্র হিসেবে আমেরিকায় আসেন আশির দশকের শেষে। এখন আর্ট ইন্স্টিট্যুট অফ বস্টনের শিল্পকলা ইতিহাসের অধ্যাপক। পেশাদারি লেখার সবটাই কলা সমালোচনা ও ইতিহাসের জগতে। গল্প কবিতা ইত্যাদি নেহাৎই অনিয়মের অভ্যাসে। জন্মায় কালেভদ্রে।
স্বপন কুমার ঘোষ : জন্ম কাশীধাম (অগস্ত্যকুণ্ড) ৭ নভেম্বর, ১৯৫০। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' থেকে স্নাতকোত্তর উপাধি (১৯৭৩)।
বাংলা ভাষা-সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে 'চিন্তামণি মুখোপাধ্যায় এংলো বেঙ্গলী কলেজ' (বারাণসী)-তে যোগদান (১৯৭৩)। 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর 'বাংলা বিভাগ'-এর দায়িত্ব (১৯৮২-৮৩)। 'কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়' এবং 'কেরল বিশ্ববিদ্যালয়'-এর একদা বাংলা ভাষা-সাহিত্যের পরীক্ষক। ১৯৮৭ সাল থেকে কলকাতায় রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ আদালতের আদিভাগে ভাষান্তরণ আধিকারিক। অনুবাদ-সাহিত্যে প্রথম প্রেরণাদাতা এংলো বেঙ্গলী কলেজে তাঁর ইংরাজী ভাষাসাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অগ্রজ সহকর্মী শ্রদ্ধেয় গোপালচন্দ্র দাস। যিনি 'রসিকবিহারী' ছদ্মনামে 'কেন্দ্রীয় সাহিত্য আকাদেমি'-র অনুবাদক ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় কাশীর হিন্দী সাপ্তাহিক 'অবকাশ'-এ প্রথম প্রকাশিত বাংলা থেকে হিন্দীতে অনূদিত গল্প 'নদী' (মূল রচনা বনফুল) ক্রমশ বাংলা, হিন্দী, ওড়িয়া, ইংরাজীতে পরস্পর অনুবাদ। সম্পাদনা ও প্রকাশনা 'স্বপনতরী' (শিশু-কিশোর মাসিক পত্রিকা)।
প্রথম প্রকাশিত একক গল্পগ্রন্থ 'এই বইটা আমার'। 'অয়নান্ত' নামে একটি ওড়িয়া উপন্যাস বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
তৃষ্ণা বসাক-- জন্ম কলকাতায়, ১৯৭০ সালে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. ই. এবং এম. টেক। সরকারি সংস্থায় প্রশাসনিক পদ, উপদেষ্টা বৃত্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শী অধ্যাপনায় বিস্তৃত, বিচিত্র কর্মজীবন। বর্তমানে সাহিত্য অকাদেমি, কলকাতায় দ্বিভাষিক অভিধান প্রকল্পের সহ সমন্বয়সাধক। লেখার শুরু শৈশবে নাটক দিয়ে। পরে কবিতা ও গল্পে প্রবেশ। প্রথম প্রকাশিত কবিতা 'সামগন্ধ রক্তের ভেতরে'। দেশ, ১৯৯২।
প্রথম প্রকাশিত গল্প 'আবার অমল', রবিবাসরীয় আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৯৯৫।
প্রকাশিত কবিতা সংকলন 'বেড়াল না নীলঘন্টা'। গল্প সংকলন 'ছায়াযাপন','দশটি গল্প'। প্রবন্ধ গ্রন্থ 'প্রযুক্তি ও নারী বিবর্তনের প্রতি-ইতিহাস'। উপন্যাস 'বাড়িঘর'। ছোটদের জন্যে কল্পবিজ্ঞান লিখে থাকেন নিয়মিত। মৈথিলী থেকে বাংলা অনুবাদে সমান ক্রিয়াশীল।