বেঁচে থাকা
বুকের ভেতর মেঘ জমলে
মাঝে মাঝে বেশ আনন্দই হয়।
এই যে গোলাপের প্রসন্নতাকে
সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে
প্রতি মুহূর্তে কাঁটার খোঁচাগুলো
হজম করে যাচ্ছি ভেতরে ভেতরে।
বুকের ভেতরের পাথরটাকে
গলানোর প্রাণপণ প্রচেষ্টা
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে,
টানাপোড়েন গুলোর সাথে
লড়াই করতে করতে
নিজেই যেন কখনো কখনো
একটা টানাপোড়েনে
রূপান্তরিত হয়ে গেছি।
নিজের থেকে নিজেকে
দূর করতে চেয়েছি,
ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে এসেছে
বুকের মধ্যেকার অংশটা,
কোনো এক শুভক্ষণে কোথাও যেন
নিজেই আবার নিজের কাছে
সমর্পিত হয়ে গেছি।
আবহমানকাল ধরে এভাবে
ভাঙাগড়ার খেলাতেই
তো অনুভব করেছি
এখনও বেঁচে আছি।
তুমি আসবে বলে......
সন্ধ্যাবেলার সমুদ্রতট ত্যাগ করে
উদাসীন যন্ত্রণার প্রতি মোহমুক্ত হয়ে
পাড়ি দিয়েছি সাগরের অতলগভীরে,
অনির্ণেয় কিছুর অন্বেষণে।
মধ্যাহ্ন সূর্যের দগ্ধ দৃষ্টিকে মলিন করে,
শ্রাবণের বজ্রধ্বনিকে উপেক্ষা করে,
সাক্ষাৎ করেছি শুধু বিষণ্ণ মেঘের সাথে,
কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির নিমিত্তে।
মরুর বালুকণাকে পদদলিত করে,
কাঁটাগুল্মের তীক্ষ্ণ আঁচড়কে প্রশমিত করে,
প্রসারিত করেছি শুভদৃষ্টির পদক্ষেপকে
শুধু অনাবিষ্কৃত মরুদ্যানের জন্য।