বাংলাদেশ টেলিভিশনে যখন হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'এই সব দিনরাত্রি' দেখানো হচ্ছিল আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়তাম। আমরা ইউনিভার্সিটি কোয়াটার্সে থাকতাম। একটা ভরপুর সময় জুড়ে আছে নাটকটা। এমনিতেও আমাদের বাড়ি ভর্তি থাকতো আত্মীয়স্বজন। নাটকের রাতগুলোতে পাশের বাসার চাচীরাও চলে আসতেন। বসার ঘরে বড়রা সোফায়, ছোটোরা কার্পেটে।
নাটকটা রচিত হয়েছে একটা একান্নবর্তী মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে। মধ্যবিত্তদের নিয়ে আগেও নাটক হয়েছে অনেক, তবুও কেন যেন আলাদা। অতকিছু বুঝতাম না, তারপরও ছাদের ঘরের ম্যাজিশিয়ান আনিস ভাই যখন শাহানাকে ম্যাজিক দেখাতে দেখাতে রুমালের ভেতর থেকে বের করে আনতেন আস্ত একটা গোলাপ ফুল, আমি তাজ্জব হয়ে যেতাম। আবুল খায়ের বহুদিন পর্যন্ত আমাদের কাছে ছিলেন 'সুখী নীলগঞ্জ'। বোহেমিয়ান আর একটু পাগলা মতন ছোটোভাই রফিকের প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলাম প্রায়। কিছু কিছু দৃশ্য এখনো স্পষ্ট - সারাদিনের সমস্ত কাজ শেষে খাবার টেবিলে একা বসে ছোটো ছোটো চুমুকে চা খাচ্ছেন ডলি জহুর; হোমিওপ্যাথি বিষয়ে প্রবল স্পর্শকাতর বাবা ঝগড়া করছেন আবুল খায়েরের সাথে, তাই দেখে বড়রা হেসে অস্থির; অথবা একটা টেবিলের কোণ প্রাণপণে আঁকড়ে ধরতে ধরতে বুলবুল আহমেদ বলছেন 'বড় কষ্ট', আড় চোখে দেখতাম আম্মা কাঁদছে। দৃশ্যগুলি এখন ভাবলে কেমন অপার্থিব মনে হয়, সাধারণের পাশ ঘেঁষে যেতে যেতেও অসাধারণ হয়ে উঠেছিল ... খুব পরিচিত তবুও ধরাছোঁয়ার বাইরে। মনে আছে টুনির মৃত্যু কিরকম বিহ্বল করে দিয়েছিল সবাইকে। তার পরদিন আমাদের বাংলা ক্লাসে কোনো পড়া হয় নাই। আমরা সারা ক্লাস বাংলা আপার সাথে 'এই সব দিনরাত্রি' নিয়ে কথা বলে বলে মনখারাপ করেছিলাম। পাড়ার মেয়েরা প্রায়ই হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের কথা বলাবলি করত। কিশোরী মেয়েদের মনের কথা নাকি এই লেখক হুবহু বলে দিতে পারেন। সে সময় সেবা প্রকাশনীর কিশোর থ্রিলার আর কিশোর ক্লাসিক ছাড়া কিছুই পড়ি নাই। হুমায়ূন আহমেদ আমাকে রীতিমতো উৎসুক করে তুললেন।
দারুণ একটা ঘটনা ঘটলো একবার। আমাদের বাসার সিঁড়িঘরে চক দিয়ে গোল করে ঘর কেটে আমি, আমার দুই বোন আর আমার পাশের বাসার বান্ধবী শায়লা এক্কা দোক্কা খেলতাম। একদিন ওইরকম খেলার সময়, শায়লা আর আমি সিঁড়িতে বসেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ দুই পাশে শীলা আর নোভার হাত ধরে উঠে আসলেন। দুইজনই একদম বাচ্চা তখন। ওরা আমাদের সিঁড়ি পার হয়ে যাওয়ার পর শায়লা বললো 'আরে উনি তো মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ'। শুনলাম উপরের সিঁড়িতে শীলা বা নোভা বাবাকে আমাদের অবাক হবার কথাটাই শোনাচ্ছে খুব খুশি নিয়ে। সিঁড়িতে ওদের পায়ের শব্দের সাথে সাথে ছোট্ট মেয়েদুটির গর্বিত কণ্ঠস্বর, হুমায়ূন আহমেদ-এর আনন্দিত হাসির আলোড়ন মনে আছে এখনো।
ভালো সাহিত্য কাকে বলে? প্রশ্নটা প্রাথমিক হলেও এ বিষয়ে আমার ধারণা খুব আবছা। হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় লেখক ছিলেন। জনপ্রিয়তার সাথে সাহিত্যমানের কোনো রেষারেষি আছে বলে আমার মনে হয় না। তাঁর প্রথম দিকের লেখাগুলিতে মধ্যবিত্তের জীবনযাপন অনেকখানি স্থান করে নিয়েছে। তাই বলে তিনি শুধু মধ্যবিত্তের লেখক নন।
অনেক সামাজিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখি তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ থেকেই। রাবেয়ার মৃত্যুদৃশ্য মনে পড়ছে। পারিবারিক সম্মান বাঁচানোর জন্য ঘরেই গর্ভপাত করানো হয় তার। ঘরময় নষ্ট রক্তের গন্ধে দম আটকে আসছে, তার মধ্যে নিস্তেজ রাবেয়া বলে উঠছে ‘আমার বুকটা খালি খালি লাগছে কেন?’ কিছুক্ষণ পর শীতকালের ঝকঝকে আলোময় একটা দিনে তাদের পলাতক কুকুর পলার কথা বলতে বলতে চুপচাপ মারা গেল রাবেয়া। ঠিক তখনই খোকার মনে পড়েছিল তার বড় খালার সন্তানসম্ভবা মেয়ের কথা। তিনি প্রসন্ন গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে বেড়াতে বেড়াতে অনাগত সন্তানের নাম ঠিক করছিলেন। শুধুমাত্র একটা সামাজিক সনদের কারণে একই পরিস্থিতি কখনো গর্বের কখনো অপমানের। পাশাপাশি এই দুটি বর্ণনার মাধ্যমে কি লেখক একটা প্রচ্ছন্ন প্রশ্নও রাখেননি পাঠকের কাছে?
খোকা আর তার বাবা-মায়ের ঘরের মাঝখানে একটা বাঁশের বেড়ার ব্যবধান। খোকা ইনসমনিয়াক। গভীর রাতে তার ঘরে ভেসে আসে বাবা-মায়ের আদরের শব্দ। সেই শব্দে একই সাথে খোকার অস্বস্তি, উত্তেজনা ও পাপ বোধের কথা বলা হয়েছে খুব স্বাভাবিক ও নিরুত্তাপ ভঙ্গিতে। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত একটা বইয়ে, এই রকম বর্ণনা নিঃসন্দেহে সাহসী।
হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাসটা প্রথমে পড়েছিলাম, তার নাম ‘শংখনীল কারাগার’। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। এর আগে ‘এইসব দিনরাত্রি’র মাধ্যমে তিনি পরিচিত নাম হয়ে উঠছিলেন আমার কাছে। প্রথম বাক্যটাই নিয়ে গেল আরেক দুনিয়ায় – “বাস থেকে নেমেই হকচকিয়ে গেলাম। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে সব। রাস্তায় পানির ধারাস্রোত। লোকজন চলাচল করছে না, লাইটপোস্টের বাতি নিভে আছে।”
ছোটছোট বাক্যগুলি বয়ে আনলো বৃষ্টি-মেশানো মফস্বলের রাত। নটার মধ্যেই চায়ের দোকান বন্ধ। বৃষ্টির কারণেই পারিপার্শ্বিক রহস্যে ঘেরা। দশ বছরের মন্টু অপেক্ষা করছে বড় ভাইয়ের জন্য। এতক্ষণে মায়ের ভয়ে বাড়ি যেতে পারছিল না, তাকে নাকি বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার সময় মা বলেছেন ভিক্ষা করে খেতে। মন্টু আর খোকার জগতে ঢুকে গেলাম আমিও। ওদের সাথেই প্রায় জনমানবশূন্য অন্ধকার রাস্তায় হেঁটে ঘরে ফিরলাম। সেই প্রথমবারের পড়ায় বইটা তেমন করে না বুঝলেও খোকা, রাবেয়া, মন্টু, রুনু, ঝুনু, নিনুর পৃথিবীটা খুব নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল আমাকে। কি রহস্যময়ী আর দুঃখী মনে হয়েছিল ওদের মাকে! ছাপোষা বোকাসোকা বাবার জন্য মন খারাপ হয়েছিল, সেই সাথে আবিদ হোসেনের একাকীত্বও কিছুটা অনুভব করেছিলাম হয়তো।
এখানেও মধ্যবিত্ত পরিবারের বয়ান হলেও খোকার মা শিরিনের চরিত্র নিয়ে এসেছিল অন্য আঙ্গিক। এই পরিবারে তিনি ছিলেন বেমানান। তার বিত্তশালী অতীতের ছিঁটেফোঁটা খোকা ও তার ভাইবোন টের পেত মামা ও খালাকে দেখে – যাঁদের মনে হতো অন্য জগতের মানুষ। শিরিন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আবিদ হোসেনকে। কয়েক বছর পরে সে বিয়ে ভেঙে গেছে, ততদিনে জন্ম হয়েছে রাবেয়ার। খোকার বাবা তাঁর দ্বিতীয় স্বামী, এক সময় আশ্রিত ছিলেন শিরিনদের বাড়িতে। এতগুলি সন্তানের পরেও কখনো সহজ হতে পারেন নি স্ত্রীর কাছে, তাঁদের মধ্যে থেকে গেছে শ্রেণীবৈষম্য।
মেলবোর্নে এক বিকালের ট্রেনে বাসায় ফিরতে ফিরতে পড়ছিলাম ‘নির্বাসন’। মফস্বল শহরের একান্নবর্তী পরিবারের একটা মেয়ে ‘জরী’, তার বিয়ের দিনের গল্প। মায়া আর বিষন্নতা কুয়াশার মতন জড়িয়ে আছে গল্পটাকে – সেই ভোরবেলায় বড়চাচার বাজানো বিসমিল্লাহ খাঁর মিঞা কি টোড়ির মতনই যেন। একটা দিনের স্বল্প পরিসরে কি নিখুঁত ধরা দেন শান্ত, সম্ভ্রান্ত, কোমল প্রাণ বড় চাচা, জরীকে ঘিরে প্রজাপতির মতন বান্ধবীরা, জরীর মা, ব্যতিব্যস্ত বাবা, একটু বোকাসোকা কিন্তু ভীষণ সুন্দরী বড় বোন পরী, বুদ্ধিমান এবং হৃদয়বান দুলাভাই হোসেন সাহেব, মুক্তিযুদ্ধে মেরুদণ্ডে গুলি লেগে পঙ্গু হয়ে যাওয়া আনিস – এক সময় যার সাথে জরীর বিয়ের কথা ছিল আর এই আসরে বেমানান, অনাহুত আনিসের মা।
একেকটা সম্পর্কের হয়ে ওঠা, ফুরিয়ে যাওয়া অথবা তার নামহীন রেশটুকু করুণ সুন্দরভাবে এসেছে এখানে। আনিসের বাবার মৃত্যুর পর আনিসের মা আবার বিয়ে করেছেন। তাঁর ছেলে আনিস বড় হয়েছে চাচাদের সংসারে। অনেকদিন পর তিনি এসেছেন ছেলেকে দেখতে। ছেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবে এই কারণেই খবর দেয়া হয়েছিল তাঁকে। কাকতালীয় ভাবে তিনি এসে পৌঁছালেন জরীর বিয়ের দিন, যখন সারা বাড়ি জুড়ে হৈ চৈ। তিনি একসময় এই বাড়ির দৈনন্দিনতার অংশ ছিলেন, আজ তাঁকে দেখেই সবার অস্বস্তি। বাড়িটার সবকিছু তাঁর পরিচিত, তিনি একা একা ঘুরে ঘুরে দেখছেন কোথায় কি কতটুকু বদলাল, অনভ্যাসে তলিয়ে যাওয়া ‘আতর-বৌ’ নামটা উঠে এল স্মৃতিতে। সামাজিক সম্পর্কের সুতা কি অবলীলায় ছিঁড়ে যায়, সব কি শেষ হয় তারপরেও?
হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ফিরে ফিরে এসেছে প্রকৃতির পুনরাবৃত্তি। যেমন 'নির্বাসনে' আছে পরীর মেয়ে পান্না পানিতে ডুবে যাচ্ছিল, তাঁকে তুলে আনার পরও জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদছে পরী। তখন বড়চাচার মনে পড়লো পরীও একবার ডুবে যাচ্ছিল। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ শুরু হয়েছে অরু আর মুহিবের বিয়ের দিনে। মুহিব একটা কটকটে হলুদ রঙের সিল্কের পাঞ্জাবী পরে এসেছিল। অরু চেয়েছিল সেই রাতেই পাঞ্জাবীটা পুড়িয়ে ফেলতে। আর শেষ হয়েছে অরুর মেয়ের বিয়েতে জামাইয়ের হলুদ পাঞ্জাবী পোড়ানোর ঘটনায়। ‘শঙ্খনীল কারাগার’এ এক বৃষ্টির রাতে একদিন শিরিন যে হাসির গল্প বলেছিলেন সবাইকে, তাঁর মৃত্যুর পর ঠিক সেরকম আরেক বৃষ্টির রাতে একই গল্প একই রকম ভঙ্গিতে শোনায় রুনু। শুরুতে যা থাকে আনন্দের, তা তীব্র বেদনা নিয়ে ফিরে ফিরে আসে। যেন একই মঞ্চে একই নাটক অভিনীত হচ্ছে বারবার, পাত্র-পাত্রী বদলাচ্ছে শুধু।
মিসির আলী আর হিমুর কথা উঠলেই শুনি লজিক আর অ্যান্টি-লজিক। এরকম অবশ্য হুমায়ূন আহমেদ নিজেও লিখেছিলেন তাঁর কিছু বইয়ের ফ্ল্যাপে। আমি এদের মধ্যে মিল খুঁজে পাই বেশি। এরা দু-জনই একা আবার দু-জনেই খুব নৈর্ব্যক্তিক, নিরাসক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে করতে বারেবারেই মায়ায় জড়িয়ে পড়েন। যুক্তি এবং যুক্তিহীনতার পথে ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত যে বিন্দুতে এসে মেলেন তা ব্যাখ্যাতীত এবং রহস্যময়।
শেষের দিকে হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইগুলির মতোই মিসির আলী হারিয়ে ফেলছিলেন তাঁর বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা আর হিমু হারাচ্ছিল চমকে দেবার ক্ষমতা। দুই শব্দের মাঝের শূন্যস্থানের সাথে সাথে কমে আসছিল পাঠকের বিচরণভূমি। এ বিষয়ে নিজেও বুঝতেন। সাজ্জাদ শরীফ আর ব্রাত্য রাইসুর নেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন – “আমি যদি ঠিকঠাক মতো একটি হিমু লিখতে পারতাম, তাহলে চারটা-ছয়টা হিমু লিখতে হতো না। নিজের লেখা সম্পর্কে আরেকটা ব্যাপার আমাকে কষ্ট দেয়। সেটি হলো, একটা লেখা লেখার জন্য যে পরিমাণ প্রস্তুতি আমার থাকা দরকার, যে পরিমাণ পড়াশোনা নিয়ে আমার একটা লেখা লিখতে যাওয়া উচিত, ঐ জায়গাটা আমি অবহেলা করি। আমি মনে করি এটার দরকার নেই। হঠাৎ করে মনে হলো আর লেখা শুরু করলাম। কোনো রকম চিন্তাভাবনা নেই, কোনোরকম পরিকল্পনা নেই, কিচ্ছু নেই। ব্যস, লিখতে বসে গেলাম। যদি একটু পরিকল্পনা থাকতো, তাহলে অনেক ভালো হতো।”
একজন লেখক হয়তো সারাজীবনে একটাই গল্প বলেন। আমরা ঘটনাগুলি ভুলে যাই, অনুভুতিটুকু থেকে যায়। হুমায়ূন আহমেদের গল্পের মানুষেরা ছড়িয়ে আছে আশেপাশে। লাস্ট ট্রেন ছেড়ে গেলে চাঁদের আলোয় স্যাণ্ডেলের শব্দ তুলে হাঁটতে হাঁটতে যে ছেলেটা হঠাৎ আমার বারান্দার নীচে দাঁড়িয়ে পড়ে মুখ তুলে হেসেছিল, তাকে হিমুর মতন দেখতে। আমার আধপাগলা আধবুড়ো লেকচারার কেন গর্ডন ছিলেন অবিকল সুখী নীলগঞ্জ মামা। আমার বন্ধু সুনীতাকে মুনার মতন মনে হয় আর চলন্ত ট্রেনের জানালায় চশমাপরা উদাস ছেলেটা ঠিক শুভ্রর মতন।
খুব নীরব একলা কোনো দুপুরে কৈশোরের স্মৃতি হয়ে ফিরে আসবেন হুমায়ূন আহমেদ – যেদিন একলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খোকা, রাবেয়া, মন্টু, রুনুদের জন্য খুব মনখারাপ লাগছিল, আর সেই দুইটা লাইন ঘুরপাক খাচ্ছিল আমাকে ঘিরে –
‘দিতে পারো একশো ফানুশ এনে
আজন্ম সলজ্জ সাধ – একদিন আকাশে কিছু ফানুশ উড়াই...’