১. গলিত শহর
একা একা আমি দাঁড়িয়ে শুনেছি
স্খলিত প্রহরে
ঝরে গেছে কিছু অচেনা শব্দ
গলিত শহরে
জমাইনি আমি মরা প্রজাপতি
ফ্যাকাসে মানুষ হেঁটে গেছি অতি
ম্রিয়মাণ কোনও আকাশের নীচে
লহরে লহরে
শুকনো নদীতে অবহেলাগুলো
ভালোবাসা চেয়ে ভেসে গিয়েছিলো
ভুলে গেছি আজ কে যে ডেকেছিলো
স্খলিত শহরে
কিছু গলিত প্রহরে৷৷
২. লুপ্ত পদাবলী
ভুলতে বলেছিলে৷
ভুলেছি সব জলের মাছ ভোলে
গভীর জলে অতল তলে ডুবে
বাতাসে কবে সহসা উঁকি মেরে
দেখিয়াছিলো রৌদ্র ভাসে পূবে৷
ভুলেছি সব স্মৃতির মরা পাতা
এখানে পোড়ে বাতাসে ওড়ে ছাই
মোমের মতো অতীত নিভে গেলে
কিছুটা তার নিভিতে পারেনাই৷
তাইতো বুঝি আজও
ফেরৎ চেয়ে লুপ্ত পদাবলী
গভীর রাতে নিবিড় কথাকলি
হারিয়ে ফেলা লুকোনো সুর গুলি
স্বপ্ন জুড়ে বাজো৷৷
৩. তাতরা পাহাড়ের দিনলিপি
শব্দের আশ্রয় ছেড়ে এইসব উচ্চারণ গুলো
একদিন ভেসে যাবে
বিশুদ্ধ সূর্যের খোঁজে পরিস্রুত স্বরধ্বনি হ’য়ে,
হয়তো সেদিনও আমি এভাবেই কবিতার বোঝা
টানতে টানতে বুঝি রিক্ত হাতে পাহাড় পেরোবো৷
কুয়াশায় ক্ষুরধার স্বপ্নঘন শীতের কাঁপনে
লুকিয়ে রয়েছে ব্যথা, গিরিখাতে কিছু নীরবতা
তুষারে ঝাপসা পথ, ছায়ামূর্তি অভিযাত্রী দল
শিখরে চলেছি জোটে, দিনলিপি বলে ওঠেঃ তাতরা পাহাড়ে
আবার ফিরেছো তুমি, জানুয়ারি পনেরো তারিখ
দু’হাজার তেরো সাল; আবার চলেছ হেঁটে,বরফের স্তূপ ঘেঁটে
সামনে লুকিয়ে আছে বিষাক্ত আনন্দ নাকি নির্বিষ বিষাদ?