লেখক ও শিল্পী পরিচিতি
অমিতাভ (জন্ম ১৯৭৫) ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা এবং তুলনামূলক ভারতীয় সাহিত্য পড়ান। মূলত প্রাবন্ধিক। ইংরেজি এবং বাংলা দুটি ভাষাতেই কবিতা লিখছেন।
অমিতাভ সেন পরবাস-এর শুরু থেকেই নানা কার্টুন, স্কেচ ও লেখা (ইংরেজিতে, যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে) দিয়ে আসছেন। শিকাগোর 'Spinor Capital LLC' নামের আর্থিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে অনেকদিন ধরে একটি সুইস ব্যাংকে কাজ করেছেন। তারও আগে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদের উপরে তাঁর গবেষণা কোয়ান্টাম মহাকর্ষের এক মৌলিক তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
পেনসিলভানিয়া থেকে অনন্যা দাশ। প্রকাশিত বই
Lingering Twilight (with photographs by Arunangshu Das), রামধনুর রূপকথা, পিকনিকে আতঙ্ক, হিরের থেকে দামী, ত্রি-তীর্থঙ্করের অন্তর্ধান, মার্কিন মুলুকে নিরুদ্দেশ, ইন্দ্রজালের নেপথ্যে, Bantul the Great (translation of Narayan Debnath's famous comic series)
অজয় বিশ্বাস কলকাতার বিরাটীতে থাকেন। অল্প বয়স থেকেই গল্প, কবিতা, ছড়া লেখার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত হয়েছে প্রমা প্রকাশনীর সহযোগিতায় তিনটি কাব্যগ্রন্থ। যথাক্রমে - 'হলুদ ঋতুর গল্প', 'ঝিনুকে নিজস্ব ছায়া' ও 'নাবিকের চোখে অরণ্যরেখার স্বপ্ন'। এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বহু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
অরুণ কাঞ্জিলাল-এর জন্ম (১৯৫৪) কলকাতায়। বিজ্ঞানে স্নাতক (১৯৭৫) হওয়ার পর তাঁর কর্মজীবনের শুরু। প্রথমে ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইণ্ডিয়া (১৯৮১-১৯৮৬), অতঃপর সাহিত্য অকাদেমিতে যোগদান (১৯৮৬)-বিপণন সহায়ক হিসাবে। অসম, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আন্দামান সহ ভারতের নানা স্থানে অকাদেমির প্রতিনিধিত্ব করেছেন গ্রন্থপ্রদর্শনী ও বিপননে। বর্তমানে তিনি ঐ সংস্থার বিক্রয় আধিকারিক।
সাহিত্যচর্চা করছেন গত এক দশক ধরে। গল্প লেখেন, পাঠকমহলে যা ইতিমধ্যে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। বিশাল বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষকে নানা সময়ে নানা ভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেক লেখক। এই ধারায় নবতম সংযোজন অরুণ কাঞ্জিলালের গল্প। তাঁর নির্বাচিত প্রথম গল্পের সংকলন সৌহার্দ্য (২০০৫)। ২০০৯-২০১০ বর্ষে তপতী ঘোষ বাংলা ছোটগল্প প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ গল্পকারের স্বীকৃতি পান। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দিবাকরের ভারতবর্ষ - একুশটি গল্পের সংকলন। আঞ্চলিকতা, সম্প্রদায়গত অন্ধতার বহু ঊর্ধ্বে স্থিত তাঁর গল্পগুলোর পরতে পরতে মেলে ভারতভ্রমণের বিচিত্র স্বাদ।
ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আমেরিকায় থাকেন।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় থাকেন পুরুলিয়া জেলায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন। পছন্দের জিনিশ--কবিতা, গান, আবৃত্তি, আর একা একা থাকা।
কৃষ্ণা বসু এই যুগের একজন প্রধান কবি। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই এর সংখ্যা অনেক। তার মধ্যে
সাহসিনী কে রয়েছ, সাজো অন্যতম। সম্প্রতি তাঁর কবিতা সমগ্র বেরিয়েছে।
কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মানবাধিকার কর্মী। মানবী চেতনার পত্রিকা 'খোঁজ এখন'-এর সম্পাদক।
বিভাস রায়চৌধুরী কলকাতায় থাকেন।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: শিমূলভাষা, পলাশভাষা, জীবনানন্দের মেয়ে, চণ্ডালিকাগাছ, পরজন্মের জন্য স্বীকারোক্তি, যখন ব্রিজ পেরোচ্ছে বনগাঁ লোকাল ও সমস্ত দুঃখীকে আজ। সম্প্রতি 'বাইশে শ্রাবণ' নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বিভাস রায়চৌধুরির 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' ১৪১৯ সালের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছে।
ভবভূতি ভট্টাচার্যের জন্ম হুগলি জেলার এক গ্রামে। বাল্যশিক্ষা কলকাতায়। এক দৈনিক-এর সাংবাদিকতায় কর্মপ্রবেশ করলেও অনেকদিন হলো আপাতত পাটনায় এক আধা-সরকারি সংস্থায় কর্মরত। লেখার শখ আবাল্য -- গল্প, কবিতা, ফীচার, নাটক লিখলেও সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছোটোদের গল্প। ইতিহাসের তন্নিষ্ঠ ছাত্র -- এছাড়াও 'পাক্কা গানা' শোনা ও জাপানি ভাষার অধ্যয়ন করে থাকেন।
মিহির সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৭। লেখক জীবনের সূত্রপাত ঘটে ১৯৯৩ সাল থেকে
নাইয়া পত্রিকার মাধ্যমে।
প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে : বিদুর, সিদ্ধিগঞ্জের মোকাম, বিষাদবৃক্ষ, উজানিখালের সোঁতা, টাঁড় পাহাড়ের পদাবলি, নিষ্পাদপ অরণ্যে, ধানসিদ্ধির পরণকথা, একুশবিঘার বসত, সংস্কৃতির দক্ষিণায়ন প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশের শ্রুতি অ্যাকাডেমি ও 'বিষাদবৃক্ষের' জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা জন্ম থেকেই প্রবাসী। দিল্লীতে বড়ো হওয়া, এখন ওমাহা নেব্রাস্কাতে প্যাথোলজির চিকিৎসক এবং অধ্যাপক। বই ও ম্যাগাজিন পড়ার নেশা, আরো এক বড়ো নেশা হলো দূর দূর দেশে ভ্রমণ। গ্যালাপাগোস, আমাজনের জঙ্গল, ম্যাডাগাস্কার, পাপুয়া-নিউগিনি, ঘানা, ইসতান্বুল, প্রভৃতির পরে এখন স্বপ্ন আউটার মঙ্গোলিয়া। তাছাড়া, এবারে ঘাড়ে চেপেছে পাখি দেখার নেশা।
তাপস চক্রবর্তী পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট। তবে কলেজ জীবন থেকেই দেশী বিদেশী ছবি দেখার প্রবল ঝোঁক ছিল। পরবর্তীকালে সিনে ইনিস্টিটিউটের সঙ্গে শুরু থেকেই একজন ছিলেন। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মিত ছবি দেখতেন। পৃথিবীর সিনেমা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। লেখালেখি শুরু ১৯৭২-৭৩ থেকে। মুভি মনতাজ, সিনে টেকনিক, ঘরোয়া, আনন্দলোক, প্রসাদ, আজকাল ইত্যাদি পত্রিকায় লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর সিনেমা বিষয়ক বই 'অভিনয়ের সন্ধানে একটি চরিত্র'।
তিলোত্তমা মজুমদারের জন্ম ১১ জানুয়ারি, ১৯৬৬, উত্তরবঙ্গে। কালচিনি চা-বাগানে ইউনিয়ন একাডেমি স্কুলে পড়াশোনা। ১৯৮৫-তে স্নাতক স্তরে পড়তে আসেন কলকাতায়, স্কটিশ চার্চ কলেজে। ১৯৯৩ থেকে লিখছেন। পরিবারের সকলেই সাহিত্যচর্চা করেন। সাহিত্যরচনার প্রথম অনুপ্রেরণা দাদা। আনন্দ পাবলিশার্সে সম্পাদনাকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ভালবাসেন গান ও ভ্রমণ। 'বসুধারা' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪০৯)। 'একতারা'-র জন্য পেয়েছেন ডেটল-আনন্দবাজার পত্রিকা শারদ অর্ঘ্য (১৪১৩) শ্রেষ্ঠ উপন্যাস পুরস্কার এবং ভাগলপুরের শরৎস্মৃতি পুরস্কার (২০০৭)। 'রাজপাট' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন, কেরলের কাকানাডন সাহিত্য পুরস্কার (২০১২)। সম্প্রতি বেরিয়েছে 'অর্জুন ও চারকন্যা' উপন্যাস।
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-এর জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা - উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। স্ট্যাটিসটিকস-এর ছাত্র। এখন কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করেন। প্রকাশিত বই -
ইলাটিন বিলাটিন (ছড়া), বনপাহাড়ি গল্পকথা, কল্পলোকের গল্পকথা ও দোর্দোবুরুর বাক্স।
জয়ঢাক নামে ছোটোদের জন্য একটি পত্রিকা (ত্রৈমাসিক) চালান বন্ধুদের সঙ্গে মিলে। চাকরিসূত্রে ভূপাল, মধ্যপ্রদেশে কয়েক বছর কাটিয়ে এখন কলকাতায়।
দেবর্ষি সারগী-এর জন্ম ১৯৫৫ সালে বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়ায়। কর্মজীবন শুরু একটি বাংলা দৈনিকে সাংবাদিক হিসাবে। পরে ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসাবে কলেজে যোগদান। গত ২০ বছরে অজস্র ছোটগল্প, বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধ নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত। ২০০৬ সালে পেয়েছেন ভারত সরকার প্রদত্ত সাহিত্য পুরস্কার 'ভাষা-ভারতী সম্মান'। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ - রাজার জ্ঞানতৃষ্ণা, দেবর্ষি সারগীর ছোটগল্প, নির্বাচিত গল্প। প্রকাশিত উপন্যাস - পাঁচপুরুষ, গরীবগুর্বোদের উপকথা, গল্পকার ইত্যাদি।
দিবাকর ভট্টাচার্য - জন্ম ১৯২৮, ২২ নভেম্বর। ২৪ পরগণার জয়নগর-মজিলপুরে। আসল নাম হরেরাম ভট্টাচার্য হলেও দিবাকর ভট্টাচার্য নামেই সমধিক পরিচিত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ.। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্নাতক স্তরে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন যথাক্রমে রানাঘাট কলেজ, খড়গপুর কলেজ ও পরে দমদম মতিঝিল কলেজে। আজীবন মানবতাবাদী দিবাকর ভট্টাচার্য পরিণত বয়সে গান্ধীবাদী দর্শনে স্থিত হন। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুপণ্ডিত, জনপ্রিয় এই মানুষটির অনায়াস বিচরণ ছিল ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান সহ বিবিধ বিষয়ে। দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করেছেন দিবাকর। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস ও নাটক। অথচ তাঁরই স্পষ্ট নির্দেশানুসারে জীবৎকালে তাঁর একটিও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। বিশ্বশান্তি ও গণতন্ত্রে গভীর প্রত্যয়ী এই মানুষটি বিরোধী ছিলেন সমস্ত গতানুগতিকতার। এই প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব আজীবন সমস্তরকম হিংসার বিরোধিতা করে এসেছেন অনমনীয় দৃঢ়তায়। নিঃসঙ্গ, প্রতিবাদী এই মানুষটি প্রয়াত হন ২০০২ সালের ১৫ জানুয়ারি।
গার্গী ঘোষ কলমনামের পিছনে রয়েছেন ‘পরবাস’-এর এক পুরনো বন্ধু; কিন্তু কেন যে তিনি লুকোলেন, বলেননি। তবে আমরা নিশ্চিত, ‘পরবাস’-এর পাঠকের কাছে ধরা পড়ে যাবেন।
আইভি চট্টপাধ্যায়--জন্মকর্ম সবই জামশেদপুরে। সৃষ্টিশীল কাজ করতে ও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসেন। আকাশবাণী জামশেদপুরের নানা ধরনের অনুষ্ঠানে ও আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বই
রাতপাখি এবং নিরবলম্ব।
কৌশিক সেন পেশায় কর্কট-রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হলেও নেশা কবিতা, ছড়া, বই পড়া। নর্থ ক্যারোলাইনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
নীলাঞ্জনা বসু ওরফে নীলুর বাড়ি কলকাতা। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পি এইচডি করে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত।
নিরুপম চক্রবর্তী ভারতবর্ষে বসবাস করেন, যদিও ইদানীং কিছুদিনের জন্য তিনি প্রবাসে স্বেচ্ছানির্বাসিত। জনশ্রুতি এইরকম যে তিনি স্বদেশে ও বিদেশে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক ও সাম্মানিক অধ্যাপক পদে আসীন। প্রথাগত অশিক্ষার শুরু ভারতবর্ষে ও সমাপ্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলা ও ইংরিজী ভাষায় বর্ণপরিচয় ও ফার্স্টবুক পাঠ সমাপ্ত করেছেন।
পিনাকী ঠাকুর সম্প্রতি
চুম্বনের ক্ষত কাব্যগ্রন্থটির জন্য 'আনন্দ পুরস্কার' পেয়েছেন।
রবিন পাল (জন্ম ১৯৪২) চল্লিশ বছর নানা বিদ্যায়তনে অধ্যাপনার পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ থেকে প্রফেসর পদে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৪-এ। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় বহু প্রবন্ধ রচনা করেছেন, যার কিছু অনূদিত হয়েছে স্প্যানিশ ভাষায়। ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে এবং জার্মানীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
রচিত গ্রন্থাদি - কল্লোলিত ছোটগল্প, র্যালফ্ ফক্স: রাজনীতি সংস্কৃতি ভারতনীতি, পাবলো নেরুদা: বঙ্গীয় বাতায়ন ও বিক্ষুব্ধ নীলিমা, কথাসাহিত্যে চিত্রকল্প, পাঠসারণিতে মতি নন্দী, উপন্যাসের উজানে, বাংলা ছোটগল্প: কৃতী ও রীতি, অচিন্ত্য সেনগুপ্ত (সাহিত্য আকাদেমি), যুগলবন্দী: স্পেনীয় ও ভারতীয় সাহিত্য, বিষয়: রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের পথে পথে, উপন্যাসের বর্ণময় ভূবন, উপন্যাস: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বিদেশীদের চোখে রবীন্দ্রনাথ, ছোটগল্পের বিন্দু বিশ্ব ও উপন্যাস চিন্তা : পাঁচজন আধুনিক কবি । সম্পাদনা করেছেন - লাল সালু বিষয়ক নানা নিবন্ধ, উইস্ লাওয়া জিমবোর্স্কার কবিতা। অনূদিত বই - ব্রাজিলের কবিতা, নিক্সন নিধন নিয়ে জেহাদ এবং চিলির বিপ্লব বন্দনা (পাবলো নেরুদা)।
রাহুল মজুমদার - জন্ম ১৯৫৩ সালে। গর্ভমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে পাশ করেছেন। লেখালিখির শুরু ৭৮ সাল থেকে। মূলতঃ সন্দেশ পত্রিকা দিয়েই শুরু। পরে আরও অনেক ছোটদের পত্রিকায় লেখালিখি ও অলংকরণের কাজ করেন। লেখালিখি ও আঁকা ছাড়াও পাহাড় চড়ার শখ। প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে আছে:
হাঁউ-মাঁউ-খাঁউ, পেটুক খরগোশ, ক্ষুদে রাজপুত্তুর, হিমালয় পায়ে পায়ে, এবং পাহাড় যখন প্রতিপক্ষ ।
রাহুল রায় বস্টনে থাকেন। "লেখনী" গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত বইঃ
ফলেন কমরেড ।
সাবর্ণি চক্রবর্তী কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়েছেন। রিজার্ভ ব্যাংকের NABARD বিভাগ থেকে বছর তিনেক আগে অবসর নিয়েছেন। এখন মুম্বই প্রবাসী। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ -
বনের ভিতর বাড়ি, দৃষ্টিকোণ ও অন্যান্য, Moonstruck and Other Short Stories।
সমীর ভট্টাচার্যের জন্ম, স্কুল, কলেজ পশ্চিমবঙ্গে। তার পরের পড়াশোনা দিল্লী ও আমেরিকায়। বর্তমানে নিউজার্সি-বাসী।
শম্পা ভট্টাচার্য -- জন্ম ১৯৬৩ খ্রীঃ কলকাতায়। অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা কলকাতায়। নাট্য বিষয়ে ডক্টরেট ও নাট্য শোধ ও সংস্থানের পূর্বতন রিসার্চ ফেলো। কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার পত্রপত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে নাট্য ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লিখছেন। লেখিকার প্রথম গ্রন্থ 'শচীন সেনগুপ্তের নাট্যভাবনা ও সমাজ চিন্তা'।
শ্রেয়সী চক্রবর্তী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্তরে গবেষণা করছেন। নেশাঃ বই, বই, এবং আরো বই।
সঞ্চারী মুখার্জী সবে বাটানগর থেকে ভালোভাবে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এখন অ্যাকাউন্টিং নিয়ে স্নাতক-স্তরে পড়ছেন। নাচতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসেন।
শংকর চট্টোপাধ্যায় (জন্মঃ মার্চ ১৯৩৪) অর্ধশতকেরও বেশি কাল রবীন্দ্রসংগীতের চর্চায় রয়েছেন। অনেক লেখাও লিখেছেন। সবই লিটল ম্যাগের চেয়েও ছোট পত্রিকায়। 'রবীন্দ্রনাথ ও বাউল' সংকলনে একটি লেখা আছে। কোনো গ্রন্থ নেই। আরও দুতিন বছর সংগীতচর্চা চালাতে চান। জনপ্রিয় লেখক বা গায়ক কোনোটাই নন।
শ্রীধর মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৭ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৩ কলকাতায়। একদা ব্যাঙ্কে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। অধুনা সাহিত্যসেবায় নিয়ত-ব্যস্ত। অনুবাদ, সম্পাদনা তাঁর প্রিয় কাজগুলির অন্যতম। নিরোর বেহালা, সালভাদর দালির নীল, নুন সংলাপ, বিদগ্ধ ময়ূর ইত্যাদি ন'টি কবিতার বই রচনা করেছেন। তাঁর রচিত তিনটি গল্পগ্রন্থ ও একটি উপন্যাস। এছাড়া তার দু'টি উচ্চ প্রসংশিত বিশেষ রচনা - কলকাতা : উনিশ শতক ঘটনাক্রম, মহাত্মা ও ক্যালকাটা ম্যিরাকেল। বিভিন্ন বিষয়ে তার অপরিসীম আগ্রহ। তিনি সাহিত্যের একজন তন্বিষ্ঠ পাঠক।
সৌভিক পত্রনবীশ, কলকাতায় জন্ম ১৯৭২, চাকরিসূত্রে বিগত ১০ বছর উত্তর আমেরিকায় আছেন।
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। নেশা ফোটোগ্রাফি। সৌভিক তার বেশ কিছু আলোকচিত্রের জন্য ইউ এস এ তে সম্মানিত ও পুরষ্কৃত হয়েছেন।
সৌভিকের নিজস্ব ওয়েবসাইট: http://goldenlight.zenfolio.com/
শ্রাবণী দাশগুপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস-এ এম,এ। জন্ম, স্কুল-কলেজ-পড়াশোনা সব কোলকাতায়। এখন রাঁচিতে একটি স্কুলে পড়ান। গল্প লিখতে ভালোবাসেন। আনন্দবাজার (২০০৬) ও দেশ (২০১১)-এ তার দুটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল। এ ছাড়াও কয়েকটি ই-ম্যাগাজিনে কয়েকবার বের হয়েছে লেখা।
সুব্রত সরকারের জন্ম ৮ই অক্টোবর, ১৯৬৩ খড়গপুর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বর্তমানে কর্মসূত্রে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের অফিসার। লেখালেখির সূচনা সেই প্রথম যৌবনে। প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ
আমার উত্তরপুরুষ এবং অন্যান্য গল্প, ১৯৯৭। এ যাবৎ প্রকাশিত তাঁর গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ছয়। প্রিয় নেশা ভ্রমণ। প্রিয় সখ অচেনা-অজানা মানুষের সান্নিধ্য। নির্জনতাপ্রিয় এই লেখকের পরমবান্ধব বই গান থিয়েটার।
উদয় চট্টোপাধ্যায় খড়গপুর আই. আই. টি. থেকে মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর স্নাতক এবং ডক্টরেট, এবং সেখানেই বিগত চারদশক অধ্যাপনার পর সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করেছেন। ছাত্র এবং কর্মজীবনে তাঁর সাহিত্যচর্চা চলেছে সমান্তরালভাবে। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা তিন, এবং একটি রম্যরচনা ও প্রবন্ধ সংকলন। পেশাগত বিষয়ে তাঁর লেখা বই 'Environmental Degradation of Metals' (Marcel Dekker Inc, 2001) এবং সম্প্রতি প্রকাশিত 'ধাতুর কথা'।
যশোধরা রায়চৌধুরী আজন্ম কলকাতায় - উচ্চমাধ্যমিক লেডি বেবোর্ন-এ, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শন-এ প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ইণ্ডিয়ান অডিট অ্যাণ্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসে সরকারি কাজের সঙ্গে বিরোধহীনভাবে লেখালেখি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
প্রকাশিত কবিতার বই:
পণ্যসংহিতা (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৬),
পিশাচিনীকাব্য (কবিতা পাক্ষিক, ১৯৯৮),
রেডিওবিতান (প্রমা, ১৯৯৯),
চিরন্তন গল্পমালা (কবিকথা, ১৯৯৯),
আবার প্রথম থেকে পড়ো (আনন্দ, ২০০১),
মেয়েদের প্রজাতন্ত্র (সপ্তর্ষি প্রকাশন, ২০০৫),
ভার্চ্যুয়ালের নবীন কিশোর (আনন্দ, ২০১০)। ১৯৯৮ সালে কৃত্তিবাস পুরস্কার। ২০০৬ সালে বাংলা আকাদেমির অনিতা-সুনীলকুমার বসু পুরস্কার। প্রকাশিত অন্যান্য বই, ছোটদের জন্য 'বুঞ্চিল্যাণ্ড'। 'মেয়েদের কিছু একটা হয়েছে' (গল্পসংকলন) এবং অনুবাদ করেছেন 'লিওনার্দো দা ভিঞ্চি'। ২০১৪ সালে বেরিয়েছে
সলিটেয়ার নামে গল্প সংকলন।
বই পড়া ও লেখালেখি ছাড়া (যেটা আর শখ নেই, কাজ হয়ে গেছে) অন্য শখ রান্নাবান্না, সেলাই-ফোঁড়াই, ফরাসি ভাষা ও অন্যান্য লাতিন ভাষা চর্চা।