নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়! নিরুপম চক্রবর্তী; প্রথম প্রকাশ: ২০১৪; সৃষ্টিসুখ - কলকাতা; পৃষ্ঠাঃ ৭১; ISBN: 978 1-63102-821-2
"সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি" — এ'কথা যেমন সত্যি, তেমনই এ'কথা এমন এক প্রশ্নও তুলে দিয়ে যায়, যে, যে কবি নয়—অকবি, সে কি জানে কবিতা তার জন্য নয়, অথবা কবিই কি জানেন? হিত বা মঙ্গল চিন্তা সাহিত্যের মূল উপজীব্য হতে পারে, কিন্তু তার শব-ব্যবচ্ছেদ করে কারও কখনও স্বর্গলাভ হয়েছে বলে জানা নেই। তবু তো কবিতার এবং অনিবার্যভাবে কবিতার বইয়ের সমালোচনা লেখা হয়, অনেক সময়ই অ-কবিরা তা' লিখে থাকেন, কিছু আগ্রহী কিম্বা কর্মহীন পাঠক সেগুলো পড়েও থাকেন। পৃথিবীতে এ'জাতীয় inconsequential বা ফলহীন ঘটনা তো আরও অনেকই ঘটে থাকে। তাতে কোনও ক্ষতিবৃদ্ধি হয়না কখনওই।
বরং আলোচ্য এই অণু-গ্রন্থটির মত কোনও বই হাতে নিয়ে ঘটে যায় কোনও উত্তরণ! বৃষ্টি নামেনা, ঝলকে ওঠেনা বিদ্যুৎ, ফুঁসে ওঠেনা কোনও আগ্নেয়গিরি; কিন্তু স্লেট রং-এর প্রচ্ছদের কাঁটাতার, নৌকো, উড়ে-যাওয়া কিছু পাখি বা বিন্দুর চিত্রকল্প সব মিলে খানিকক্ষণ হাতে ধরে রাখতে ইচ্ছে করে বইটিকে, না খুলেই! সম্ভবতঃ বাতাসের নিজস্বতাটুকু অনুভব করার জন্য যে সামান্য নির্জনতার প্রয়োজন হবে, তারই প্রস্তুতিতে!
৭৯ টাকা মূল্যের (কী অদ্ভুত!) এই কবিতা-সংগ্রহটি প্রথম ভূমিষ্ঠ হয় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর। প্রকাশক 'সৃষ্টিসুখ' নামে সার্থকনামা একটি অল্পখ্যাত বা অখ্যাত একটি প্রকাশন সংস্থা। সার্থকনামা, কারণ এ'বইয়ের কবিতাগুচ্ছ পড়লেই বোঝা যাবে এদের সৃষ্টি অর্থাৎ মুদ্রিত অক্ষরে রূপায়ণের সঙ্গে যে চরম সুখ বা bliss জড়িত, তার আস্বাদনের সঙ্গে ঐ ঊন-আশির কোনও সম্বন্ধ নেই! কবিতার পাতা উল্টোবার আগে বইটিকে উলটে পেছনের প্রচ্ছদটি দেখে নেওয়া ভাল বলে আমার মনে হয়; কেননা সেখানে কবির এক নির্মোকহীন স্বীকারোক্তি পাঠককে আরও একটু কাছে নিয়ে যায় কবিতার এবং অবশ্যই কবির। পড়া যাক্—
"সূর্য পতনের পরে পৃথিবীর অন্ধকার গাঢ়
ছায়ারা ঘনিয়ে এলে যে বেদনা একান্ত আমারও
শিরা বা ধমনী জুড়ে রৌদ্রে লুকিয়ে ছিল ত্রাসে
নিজস্ব কোটর ছেড়ে একে একে উড়ে আসে বর্ণহীন নির্বাক আকাশে।।"
যেন মনে হয় কিছু আত্মগত চিন্তা, স্বপ্ন, বেদনা-বিলাস নিভৃত অবকাশের আকাঙ্ক্ষায় বেরিয়ে এসেছে আকাশে। সে' আকাশ বর্ণহীন কেন, কেনই বা নির্বাক—এমন প্রশ্নের প্ররোচনায় পা দেব না। কিন্তু তারা রয়ে যেতেই পারে পাঠকের মনের অগোচরে। যদিও কবিতার রসাস্বাদনে তারা ব্যাঘাত ঘটাবে না কোনওমতেই।
প্রথাগত ভাবে অশিক্ষিত এই কবিটি শোনা যায় প্রথিতযশা কোনও প্রযুক্তিবিদ্যাপীঠে অধ্যাপনারত। আত্মপরিচয়ে তিনি জানিয়েছেন বাংলা ও ইংরিজির ফার্স্ট বুকের পাঠ তিনি সমাপ্ত করেছেন। আমরা এ'তথ্য সর্বান্তঃকরণে সমর্থন করি! এবং বুঝতে পারি, যে এ'দুটি ভাষার মধ্যে কোনও একটির প্রতি তাঁর বিশেষ পক্ষপাত নেই; বাংলার স্রোতে অনায়াস বিদেশি শব্দ ব্যবহার কোনও বাধা সৃষ্টি করেনা, বরং একই গতিতে নুড়ি-পাথরের মত বয়ে চলে! সে-সব শব্দ সবসময় অতি পরিচয়েরও দাবি করে না! এও শোনা যায় ধাতুবিদ্যাবিদ্ কবি সংকরায়ন বা alloyingএর তত্ত্বে বিশ্বাসী; অর্থাৎ সচেতন শব্দচয়নে ভাষার শক্তি বাড়ে, ধাতুরই মত।
নিরুপম তা করেও দেখান; যথা:
"একটি রোবট তবু হেঁটে যাবে ব্যাকপ্যাকে অন্ধকার বয়ে।" (পৃঃ ২২)
"নিয়েছি ডিট্যুর এক" (পৃঃ ২৬)
"শহুরে রাস্তায় তারা হেঁটে যাবে ইনকগনিটো" (পৃঃ ৭০)
অথবা "অযাচিত আভালাঞ্চ" (পৃঃ ২৮) কিম্বা "ক্যামেরার ক্লিকে ক্লিকে" (পৃঃ ১৮)
শুদ্ধ বাংলা প্রতিশব্দ বসিয়ে চেষ্টা করেছিলাম কেমন শোনায় বুঝতে! সে ব্যাপারে কোনও কথা না বলাই নিরাপদ!
দেশি-বিদেশি শব্দের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা সরিয়ে রেখে শুদ্ধ শব্দ-বন্ধের দিকে নজর দিলে তুলে আনতে ইচ্ছে করে কিছু বিশেষ উদাহরণ, যার থেকে ঠিকরে বেরোয় আলো, কিম্বা যারা গেঁথে যায় মনের পর্দায়! যথা: 'স্পন্দিত সমারোহ'/ 'ধ্রুপদী-অহংকার'/ 'কঙ্কাল ধ্বননশীল'।
(অমিয় চক্রবর্তীকে বাদ দিলে) ভ্রমণকে ভিত্তি করে এই ধরনের কবিতাগুচ্ছ বাঙালি পাঠকের পাতে কবে, বা আদৌ পরিবেশিত হয়েছে জানা নেই। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার বা কোরিয়ার বা আমেরিকা বা আলজেরিয়ার গ্রামে-শহরে-রাস্তায় এক উদাসীন পথিকের আত্মগত পদচারণায় (বা গাড়িচালনায়) যে এ'রকম কিছু চিত্রকল্প সৃষ্টি হতে পারে, তার অভিজ্ঞতাও এই অ-কবি পাঠক বা সমালোচকের ছিলনা। একটি উদাহরণই যথেষ্ট হবে: নির্ভেজাল বেড়াতে বেরিয়ে "টাওস, নিউ মেকসিকো" (পৃঃ ২৬) নামে যে কবিতাটি রচনা, তাতে সহযাত্রী, রাস্তার ম্যাপ, গাড়ির ব্রেকডাউন সব ছাপিয়ে পুয়েব্লো শহরের এক অসামান্য ছবি ফুটে ওঠে। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, কেননা—
"তাকে নিয়ে আসে আজও পক্ষীরাজ পেগাস্যাসভ্রমণের প্রেক্ষিত কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়েছে ৩২-পৃষ্ঠার কবিতাটিতে যেখানে কবি সম্ভবতঃ কোরিয়ার কোনও হাসপাতালে শয্যাগত। কিন্তু তাঁর চোখ বা মন? নৈব নৈব চ! আমরা জানতে পারি হেমন্তের অ্যাভেনিউ জুড়ে রঙিন গাছেরা সেজে থাকে, রাজপথে নিয়ন সাইন জ্বলে আর তারই ফাঁকে মমতাময়ী সিস্টার আর কর্তব্যনিষ্ঠ ডাক্তার ঘুরে যান, যেখানে কবি 'অজানা রক্তের ব্যাধি বয়ে নিয়ে' শুয়ে থাকেন 'পরম বিশ্বাসে'।
আদিগন্ত ডানার বিস্তারে
সমস্ত স্বপ্নের স্মৃতি ভরে,
জ্বলন্ত তর্জনী তার কৃষ্ণাকাশে নক্ষত্র ছুঁয়েছে!"
অনেক ক'টি কবিতারই অংশবিশেষ উদ্ধৃত করতে প্রলুব্ধ হই; কিন্তু অনৌচিত্য বোধে সংযত থাকি। আমার আনন্দ খুঁজে নিই আরও অন্য কোনোখানে! বইটির চতুর্থ অংশে: ("নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!") ৬৭-পৃষ্ঠার কবিতাটি '২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩' স্মৃতি-সরণিতে এক সংক্ষিপ্ত যাত্রা-বিবরণ; কবিতাটি শুরু হচ্ছে এইভাবে:
"কীসের যেন স্মৃতি।কী অদ্ভুত সাদৃশ্য 'কলকাতার যীশু'র সেই কবিতাটির, যেখানে
কে যেন কাকে চাইছে খুঁজে পেতে
কে যেন কাকে চায়নি ভুলে যেতে"
"কোথাও কিছু পুড়ছে, তার গন্ধ পাই,যদিও 'বর্ণে, গন্ধে, ছন্দে, গীতিতে' নীরেন্দ্রনাথ ভীষণই নিভৃত, নিরুপম সেখানে অনেকই ব্যাপ্ত, বিস্তৃত!
পুরনো ভালবাসা।
কোথাও কিছু মুচড়ে ওঠে যন্ত্রণায়,
পুরনো ভালবাসা।
কে যেন আজও দাঁড়িয়ে আছে কুয়োতলায়,
আমার ভালবাসা।"
(নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী)
আবার কখনও কৈশোর-যৌবনের সম্মোহক সুধীন দত্তকে মনে করিয়ে দেয় নিরুপমের কবিতা (পৃঃ ৬৪):
"নিভৃত রাত্রি তার প্রশস্তি আমি
রচনা করেছি ধ্রুপদী অহঙ্কারে
হেসেছে নৃপতি মূর্খ অত্যাচারী
যুদ্ধ বিমানে ধ্বংসের প্রতিহারী
প্রলয়ের মেঘে শোণিম বিন্দু ঝরে।"
অকারণেই কি মনে পড়ে যায়
"একটি পণের অমিত প্রগল্ভতা
মর্তে আনিল ধ্রুবতারকারে ধ'রে;
একটি স্মৃতির মানুষী দুর্বলতা
প্রলয়ের পথ ছেড়ে দিল অকাতরে।।"
(শাশ্বতী: সুধীন্দ্রনাথ দত্ত)
অথবা, এক একটি অমোঘ উচ্চারণ: "পরাজয় ছাড়া কোনও প্রাপ্তি নেই ক্লিন্ন অন্ধকারে।" (পৃঃ ৩৮) আর অবশ্যই জীবনানন্দ! যাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে এই লেখা শুরু করেছি; যাঁর পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করে নিরুপম গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন শঙ্খমালাকে—"এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর!" জীবনানন্দ যেন অস্পষ্ট প্রতিচ্ছায়া হয়ে জেগে থাকেন কবির অবচেতনে যেখানে আবার সৃষ্টি হয় কিছু মনে রাখার মত পঙ্ক্তি:
"গলিত চাঁদের ফোঁটাগুলো/ টুপটাপ ঝরে পড়ে" (পৃঃ ৩৮) কিম্বা
"নিবিড় নীলাভ ঘাসে মুখ গুঁজে পড়ে আছে সবুজ আকাশ" (পৃঃ ৪২)
তবু একথা ভাবা অবিচার হবে, অন্যায়ও কেন নয়, যে আলোচ্য গ্রন্থের কবি সচেতনভাবে এইসব অগ্রজ কবিদের ছায়ানুসরণ করেছেন। কদাপি নয়! বরং ক্রিয়াশীল মনের ভেতরে জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় যে কবিমানসের অধিকারী এই কবি, তাকে সময় সময় ঈর্ষা করতে ইচ্ছে হয়। তার কারণ:
(ক) শব্দচয়ন ও ব্যবহারে নিরুপম সত্যিই নিরুপম
(খ) ছন্দ ও মাত্রাবিভাজনে কবির ক্ষমতা প্রায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে শ্রী অজয় চক্রবর্তীর তানকর্তব ও তালের ওপর অলৌকিক দক্ষতার সমপর্যায়ভুক্ত
(গ) রূপকল্প এবং অনৈসর্গিক অনুভূতিমালার সুউচ্চ শিখর থেকে আকস্মিক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দেবার ক্ষমতা রয়েছে কবির: দু-একটা উদাহরণ নিঃসন্দেহে প্রাসঙ্গিক হবে—
(১) "রবীন্দ্রনাথের শ্মশ্রু ভেসে যায় প্রলয়ের স্রোতে
সংবর্তে উত্তাল ঢেউ, আদিম টমটম বাজে ঢাকুরিয়া লেকে"। (পৃঃ ৩৮)
(২) বন্ধুর প্রয়াণে রচিত স্মৃতিবিধুর কবিতা শেষ হচ্ছে কি শাণিত contrast-এ!
"সবাই দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্ম আলো করে
কোন্ ট্রেনে উঠে গেলি গুরু!" (পৃঃ ৪৭)
(৩) কিম্বা, বোধহয় সর্বোত্তম উদাহরণ—
"আহা কি লিখেছো ভায়া, কবিতার একি মহামায়া!
বোল কবি বোল,
কবিতার গন্ধানালা ঘিরে বাজে তীব্র ভাংরা ঢোল!" (পৃঃ ৬৯)
কিছু ঋণাত্মক মন্তব্য করা হয়ত অত্যাবশ্যক বা অনিবার্য নয়। কিন্তু না বলা হলে আমার 'নিজস্ব বাতাস' হয়ত কিঞ্চিৎ রুদ্ধ হয়ে থাকবে! সুতরাং।
বানান সম্পর্কে কবির কিছু বিচার আমার সঙ্গে মেলেনা। পাখী, গীটার, গীর্জা, বা অরায়ুকীতে দীর্ঘ-ঈ ব্যবহারের যৌক্তিকতা আমার হিসেবের বাইরে। হ্রস্ব-দীর্ঘের দ্বন্দ্ব সরিয়ে দিলে চোখে যেন খোঁচা দিয়ে যায় 'দ্যান' (= দান করেন), বা 'দ্যাখে' (= তাকিয়ে থাকে)। বাংলা ব্যাকরণ, তা সে বামনদাস চক্রবর্তীরই হোক, কিম্বা নীরেন চক্রবর্তীর 'কি লিখবেন, কেন লিখবেন' এ ব্যাপারে কী বিধান দিয়ে রেখেছেন? 'সত্ত্বা' কথাটি ভূমিকায় বেশ সন্দেহজনক, কেননা 'সত্ত্ব' বা 'সত্তা' অভিধানে পাচ্ছি, 'সত্ত্বা' নয়!
যতিচিহ্ন ব্যাবহারেও কবির কার্পণ্য সামান্য হলেও বিরক্ত করেছে। 'লুপ্ত পদাবলী' কবিতায় (৬৩) চৌদ্দ পঙ্ক্তিতে মাত্র তিনটি পূর্ণ যতিচিহ্ন (।) ছাড়া আর একটিও খুঁজে পাওয়া যায়না। আবার ৪৭-পৃষ্ঠায় কবিতাটিতে প্রথম ৯ পঙ্ক্তিতে যথাযথ যতিচিহ্ন ব্যবহারের পর সহসা কি কিছু কম পড়িল? অভিযোগ নয়, অনুযোগ মাত্র: কেননা দু-চারিটি চিহ্ন ব্যবহারে যদি পাঠকের পদচারণা আরও সুসংহত হয়, আস্বাদন হয় সরসতর তাহলে 'কেন বঞ্চিত হব তব চরণে?' এ' জাতীয় (প্রায়) সম্পূর্ণ নিরাভরণ সাজে কি সময়-সময় কবিতা-সুন্দরী আরো কিছুটা দূরে চলে যায়না বেগম আখতারের সেই জোছনার মত? অ-কবিরা এ প্রশ্ন করতেই পারেন।
এই লেখা শেষ করার আগে এ'বইয়ের দীর্ঘতম কবিতাটির উল্লেখ না করা কর্তব্যচ্যুতি বলে গণ্য হবে। ফেদেরিয়ো গার্সিয়া লোরকার মূল কবিতার একটি অনবদ্য অনুবাদ "শোচনা: সাঙ্খেজ মেইয়াজের জন্য" (৫০) বইটির এক সম্পদ। বুলফাইটের মত রক্তাক্ত এবং ভয়ঙ্কর বিষয় নিয়ে আশি বছরের পুরোন এই কবিতাটিকে বাংলায় পরিবেশন করে নিরুপম আবারও আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হয়ে রইলেন।
এই পর্যন্ত যতটুকু বলা হল, তার থেকে বেশি না-বলা রয়ে গেল। ঢাকনা খোলা হল আংশিক: এই আশায়, যে আগ্রহী পাঠক, তা তিনি কবি-ই হোন, বা অ-কবি, বইটি নেড়ে-চেড়ে দেখবেন।
এবং অজান্তেই খুলে পাতা উলটে পড়তে শুরু করে নিজের সুখ-দুঃখ-স্বপ্ন-বেদনার সঙ্গে মেতে যাবেন যুগলবন্দিতে, তবে নীরবে, নিভৃতে।
যেখানে পাঠকের 'নিজস্ব বাতাস বয়ে যায়!'