দারুণ অস্থিরতায় ফেরিঘাটে পৌছে দেখি
বাঁশি বাজিয়ে ফেরির যাত্রা শুরু।
হাত তুলে ডাকতেই বলে দিলে তুমি
পরের ফেরিতে এসো, মাঠ গেলে দেখা হবে।
অথচ কথা ছিলো পাশাপাশি হেঁটে যাবো সবকটি ফেরিঘাট এক সাথে
দেবো অস্ত্র জমা।
গোমতীর বাঁধ ভেঙ্গে গেলে শ্রাবণ ভোরে তোমার সাথে আমার পরিচয়
বাল্যশিক্ষার পাতায় সাঁতার কাটতে গিয়ে তোমার সাথে আমার সখ্যতা
তারপর দিন---মাস---বছর---যুগের পর যুগ---গভীরতা এবং
এই পড়ন্ত বেলা ফেরিঘাটে আর্ত শব্দাবলী।
দেখা হবে কি হবে না এ নিয়ে আমি চিন্তিত নই
আমি চোখ বুঁজে দেখছি কেবল আশে পাশে মাঠময় ফসলের দেহ
দূরন্ত হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে বিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে
যুদ্ধ ফেরত সৈনিক দেহের পরতে পরতে সোঁদা মাটির গন্ধ
অস্ত্র জমা দিয়ে একা একা দিচ্ছে পাড়ি সীমান্ত নদী।
বাবাদের কথা মনে পড়ে কি? দিনান্তেও বন্ধু ছিলেন
তবু সীমান্ত ফেরিতে এসে বদলে গেলো আজন্ম ইতিহাস।
অতএব ভালোই হলো
কাঁচা কাঁচা অনুতাপ, সন্ধ্যার ঘন কুয়াশা, ভোরের শিশির
ইতিহাসের পাতায় ঢেলে দিলো তপ্ত জল।