তৃষ্ণাতুমি সে অপেয় জল--
যেখানে বিহার করে
অপ্সরী-কিন্নরী;
হালকা ঢেউয়ে মৎস্য
প্রাণ পায়, আর যত
জলজ শরীর।
সেই জলে হয়ত কখনো
ভেসে উঠেছিল হাস্যে
কমলে কামিনী।
লীলা বিভঙ্গে লাস্যে
ক্রীড়া করে সুন্দরী রমণী,
পান করে আনন্দেতে
বিন্দু সুধারস--
প্রেয়সী বালিকা বালা
ভ্রূভঙ্গে অধীর।
ফাটাভূমে খণ্ড খণ্ড
সপ্তডিঙা--
এক বুক তৃষ্ণা সহচর।
দাঁড়িয়ে রয়েছি নিত্য
অপেক্ষায়--
মরুভূমি বাস করে
কন্ঠের ভিতর।
স্মৃতির নিশ্বাসমজতে থাকে বুকের গভীরে
বিলুপ্ত বিশীর্ণ হয়ে যেতে চায়
বয়ে যাওয়া স্রোত।
সময়ের প্রান্তর আগলে হারালে
পলি জমা স্মৃতির বন্দর।
স্পন্দিত সময়, মুহূর্তের লহমায়
ভালোবাসা আনে;
চোরাবালি-প্রকৃষ্ট থাবায়,
গ্রাস করে দীর্ঘ বালুচর।
হিমবাহ শেষ হয়ে গেলে-
পড়ে থাকে অশেষ শূন্যতা।
জীয়ন্ত কবরে তবু অতিক্ষীণ
স্মৃতির নিশ্বাস।।
আভাসভরা কোটালের জলে
ষাঁড়াষাঁড়ি বান ডাকা
তীব্র আকর্ষণ।
মোমিজির রঙে ঝরা
বিন্দু বিন্দু
হৃদয় ক্ষরণ।
শরীরের গুপিযন্ত্রে
সু-আর্ত চিৎকার;-
তার সাধা নিকো ছিঁড়ে
আকুল বিকুল--
নষ্ট পাট।
তোকে চেয়ে আছড়ায়
নেতা ধোপানীর ঘাটে
তীব্র দিন--
অতি দীর্ঘ রাত।
মুখ সব
মিলে যায়--মিশে যায়--
জল রঙা ছবি হয়;
সর্বনাম হয়ে থাকে ভালোবাসা
প্রেমে লাল
ছায়া ছায়া মুখের আভাস।
মোমিজি--মেপল পাতা, জাপানি ভাষায়
নিকো--জাপানি বাদ্যযন্ত্র/>
অপেক্ষাকৃষ্ণা পঞ্চমীর চাঁদ--জাপানী পাখার মতো
আলস্যে রয়েছে শুয়ে--ঝাউবন ঘিরে।
পুবের বাতাস ছোঁওয়া বিন্দু বিন্দু বর্ষণের সুখ;
অর্ধ চৈতন্যের ঘোর হৃদয়ে লেগেছে।
--ভালোবাসি--বলো এইবার!
হঠাৎ বিদ্যুৎ ছোঁয়া আমূল কাঁপিয়ে দিক,
ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে অপেক্ষার রাত।
অন্ধ চোখে স্পর্শে দেখি কোন্ আকর্ষণ-
শ্রীমতীকে ঘরছাড়া করেছে ভীষণ!