• Parabaas
    Parabaas : পরবাস : বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  • পরবাস | সংখ্যা ৬৩ | জুন ২০১৬ | কবিতা
    Share
  • দু'টি কবিতা : অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়



    আনন্দের স্তব

    নির্জন খাদের কোন স্বর, মুঠো করে ছুঁড়ে দিল বিহ্বল চেলিস্ট
    অন্ধকার শষ্যভাণ্ডার, হাতড়ে পাওয়া কোমলগান্ধার
    তার থেকে ছড়ে, ছড় থেকে নির্মম বিষাদ হয়ে শূন্যতায় ঝরে
    শুকনো আমপাতার আঙুল, নুয়ে পড়া কাঁধ, জনহীন সভাঘরে
    নিষ্ফল আরতি করে শূন্যতার অ্যাকর্ডিয়ান
    উড়ে যাওয়া স্কোরশীট, ভুলে যাওয়া আনন্দের স্তব
    মনে পড়ে, মনে পড়ে আজ এখানে সাঙ্গ উৎসব!!!


    কোর্ট কম্পাউন্ড, বর্ধমান, ১৯৮২

    ওই বয়সেই তুমি জেনেছিলে কাকে বলে পাগল ঠাকুর। কোর্ট কম্পাউন্ডে মাদারি
    বোঝাচ্ছিল দড়ি, কতটা গভীর কুয়ো থেকে জল তোলে, অই ছোঁড়া, ইশকুলে
    যাও, সবশেষে, একলা তুমি ও মৃত শুক।
    (কদম্বলতার
    আকাশে তাকানো সেই শুরু
    কি বললে? কদম্বের লতা হয় বুঝি?
    কে জানে, তখন তো হত!
    তখন তো ভাব হত গুরু।)
    বাকি যারা মাৎস্যন্যায়-মন্ত্রকের পি এ, শাদা ছাপ টেরিলিন, পান খায় বাকিতে
    কিছুটা, কিছুটা পরস্মৈপদী। আরও যারা বীজধান-খাদকের অগোছালো গোলা ছেড়ে উঠে
    এল, হেলথসেন্টার থেকে উঠে এলো আই বেগ টু স্টেট অব্দি লেখা বুড়ো র‍্যান্ড।
    (সদ্য লায়েক ফুলপ্যান্ট
    দেখছে যে যেখানে ইচ্ছে
    ঝেড়ে দিন বলে কাঁচা টাকা ওড়ে।
    সন্ধ্যায় ছায়াটি তার কিছু বে-এক্তার, দোলাচলে--
    ফলত নিওন আলোয় তার দ্বিধানাচ। পাগলের কি দিন, কি রাত্রি, তবু ঘরে ফেরা
    চাই। বীজ নাই, খেদ নাই, গানভাষা পেলে বর্তে যাও। কিন্তু... )
    সময়-ফোকরগুলি গিলে খায়, অন্যদেশকালে উগরে দেয় এটুকু জানোনি। তবু
    সপ্তর্ষিমণ্ডল দেখে শীত করে। রাতচরা পাখিদের ডাকে কেঁপে ওঠো। প্রাণপণে
    প্যাডল চালাও, তবু টানে থেকে থেকে কৃষ্ণগহ্বর। সাইকেল গিলে খেল কোর্ট
    কম্পাউন্ড, বর্ধমান, ১৯৮২।



    অলংকরণ (Artwork) : অলংকরণঃ অনন্যা দাশ
  • এই লেখাটি পুরোনো ফরম্যাটে দেখুন
  • মন্তব্য জমা দিন / Make a comment
  • (?)
  • মন্তব্য পড়ুন / Read comments