আগ্রাসীআমাকে বেঁধেছো দুই হাতে--
জলজ গুল্মের দামে যেমন শরীর
বাঁধা পড়ে।... বেঁধেছো তেমন করে--
ঝড়ের বাতাস যে ভাবে সুদৃঢ় বাঁধে
অসহায় পক্ষের বিস্তার।... আসব বাহিত
সুখে বুঁদ করে দিয়েছো কখন!
রেশমের কক্ষ দিলে লালায় প্রস্তুত--
গুটিশুঁটি দীর্ঘকাল গুটিপোকা…
প্রজাপতি ধীরে মরে যায়।
আমাকে বেঁধেছো দুই হাতে--
ডানে বাঁয়ে রজ্জুর বাঁধন যেমন করে
পৃথিবী পিপাসু এক কন্ঠকে জড়ায়।।
অ-সমপূর্ণ জ্যোৎস্নার রাতে সুখ এসে গান গায়;
মাঠ-ঘাট-বন-ভেসে গেলে সুদিব্য আভায়
হরিণীরা ঘর ছেড়ে আসে--
নির্ভয়ে বাঘের চোখে চোখ রাখে--
যাকে যাচ্ঞা করে দিনরাত কেটে যায়--
আউলানো শরীরে।
ঘাসবনে গোপন ঢেউয়ের মতো
লুক্কায়িত পেশির আভাস--শিকারের
তীব্র নেশাসুখ, গভীর গহনে ছুঁড়ে ফেলে--
কী মায়ায় বাঘের শরীর--
দুচোখে কী তীব্র শিহরণে--হরিণীর শরীর
জড়ায়! পূর্ণ জ্যোৎস্নার রাতে--
হরিণী বাঘের সাথে
কী রভসে রজনী কাটায়।।