সারাদিন কেবল তাংড়ে বেড়াই, সারাদিন কেবল কুড়িয়ে বেড়াই।
জামা করিয়েছি তার অসংখ্য পকেট, প্যান্টেও।
যা কিছু পাই, খোলামকুচি, মণিমাণিক্য পকেটে পুরি,
ঝোলায় ভরি।
বাড়ি ফিরে এসে পকেট উজাড় করে সেইসব সাজিয়ে রাখি ঘরে
বই-এর তাকে থাকথাক করে রাখি বই, আর
নিজের সংগ্রহশালা দেখতে দেখতে মনে মনে ভাবি
একদিন দেবেন ঠাকুর হব।
যার যা খুশি তুলে নিয়ে যাবে ঘর থেকে আর আমি
ক্রমশ প্রত্যক্ষ করব আমার রিক্ত হয়ে যাওয়া।
বড়ো সাধ মনে একদিন দেবেন ঠাকুর হব।
যত প্রিয় বই, পেন, প্রিয় সংগ্রহ, ছবি, বুকের পাঁজর নিয়ে যাবে সব
চেনা-অচেনা, পাড়া-প্রতিবেশী, রাস্তার লোক।
এইভাবে দিন যায় আর ঘরের পরিসর সংগ্রহের চাপে
প্রতিদিন আরও ছোটো হয়ে আসে। একদিন পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়লে
মুচকি হেসে নিজেকে বলি, ‘কি হে কবে হবে দেবেন ঠাকুর?’
হাই তুলতে তুলতে পাশ ফেরার আগে নিজেকেই উত্তর দিই,
‘আর কটাদিন সবুর করো, আরও কিছু জমিয়ে নিই।’