|| ১ ||যদিও তোমায় বলেছি বারংবার,
বয়ে যাব,বয়ে যাওয়া স্বভাব আমার।
তবুও কি প্রাণপণ খুঁজিনি
কোনো অলিখিত রাজধানী
ভেসে চলা নাবিকের আহ্লাদ
এমনই; নগরপত্তনের বারোমাস--
সময় বিগত হলে দুহাতে
প্রদীপের হাসিমুখ তুলে ধরো
কখনো কি খুলে দিতে নেই
অন্ধকারের দরজা?
একবার অন্তত সোচ্চার হও,
এইখানে থেকে যাব,
এই কথা বলতে কেবল
আমার যাবার পথ চিরদিনই
এই একদিকে খোলা...
|| ২ ||চিরদিন এইখানে কিছু কথা রয়ে যাবে
সশব্দ চাবুক যেভাবে উড়ে গেছে নিঃশব্দ ঘ্রাণের দিকে।
শব্দেরা চিরকাল পার পেয়ে যাবে,
এমন নিশ্চয়তা কী?
জংলা ঘাসের দেশে ঝাউপাতা কুড়োতে এসেছি
তোমায় দেখব বলে, একের পর এক ঢেউ তুলে তুলে
দেখা হলো প্রবালদ্বীপ, নোনা দাগ শঙ্খের
খোঁজা হল তন্নতন্ন করে—
সে আশ্রয় বুকের ভিতর
উদভ্রান্ত বালির কাছাকাছি; সমস্ত জল
বাঁধ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।তোমাকে, অভিযোগ
|| ১ ||
নিষ্ঠুর হও, এইবার অন্তত
বলে দাও আর কখনোই
কখনোই কাছে আসা নেই
নেই কোনো স্বগতকথন
নাও যদি বলো, এই বিচ্ছেদ
অনিবার্য, সহজগামী হয়
নিষ্ঠুরতা পেলে, শিকড়ের
গভীরে কিছু মাটির মতন।
বলে দাও, একবার
বিদ্যুতের মত নিশ্চিত এত
মৃত্যু লুকিয়ে আদিগন্ত
বন্ধু সেজো না এমন।|| ২ ||
ঢালু পাড়, ঢালু জমি ধরে
প্রতিজ্ঞা করো, প্রতিজ্ঞা করো
কথা বলবে না, তাকাবে না
আর অমন ঢালু চোখে,
ঢেউ তুলে হাসবে না কিছুতেই
আমি তবে নীল হব, তোমার বালুর কাছে
ফিরে গেলে দেখো, ভেজা বালিতে
পায়ের ছাপ থাকে না কখনো।