Click below to read comments on other sections:
|
গল্পদুটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। রচনার দক্ষতা ঈর্ষণীয়, এত অল্প কথায় এই ধরনের অনবদ্য নির্মাণ খুব সহজসাধ্য কাজ নয়।
নিরুপম চক্রবর্তী (ফেব্রুয়ারি ২০১৭; nchak...@gma...)
উঃ, নড়ে গেলাম অরিন্দম! উড়োজাহাজ তো আজকাল তার দিয়ে বাঁধছে, মন তো সেকালেও বাঁধতো!
দীপংকর চৌধুরী (জানুয়ারি ২০১৭; dip84...@gmai...)
আমি আমার কবিতার দুটি লাইন দিয়ে কবি ও কবিতার সঙ্গে সহমত পেশ করছিঃ
স্বার্থপর চারদিকে সব মিষ্টিমুখের জাদুকর
আজও আমি জানিনা কোন্টা আমার নিজঘর।
স্বপন রায় (জানুয়ারি ২০১৭; sroy51...@gmai...)
Ah, there's just so many positives in this story! This is a really fresh take on a love story. It's about everyday people, some a little more imperfect than the others and this story celebrates that imperfection in people.
The choice of the title is very interesting. But it's justified all the same. The word "পুরুষালী" would literally translate to "macho" or "manly" and if I dare say, "daring"; the last one is the implied meaning. This love story in that sense is quite daring. Conventionally speaking, the relationship between Chaiti (the central character) and Tilok might not blossom, but it's all about perspective. Where one person sees imperfection, another sees art. Love doesn't have to be a tributary to the main river of marriage to justify itself; it can be a freshwater lake. Love doesn't have to bind people to one another; it can simply be about two people enjoying the company of each other. It can be an act of defiance, where order can be ditched for pleasure. Love is complete in itself, it doesn't have to turn into marriage for any validation.
Chaiti is your more than average working class woman, with a quite well-off middle class family. She's living in a different part of the city on her own, she holds a high position at work and there are people who work under her and there are folks who look up to her. This character itself is defiance personified. Normally, we'd expect some male character in her role. But we see a woman doing what men do usually. Starting from her visits to Pothik's, to her reading newspapers in a 'cha-jolkhabar dokan', living on her own, her position in the office, her mood swings and her frustrations that she takes out on office underlings, her intolerance for inefficiency. These are all considered to be present in the realm of men; not women. But the story at this point has blown several conventions out of the water. Marriage, ever-looming on the horizon is probably the only thing that can tie Chaiti down. Weddings bind people to one another, it puts a shackle on their movements. Despite being an independent woman, Chaiti is somehow not resisting it. This is probably because how marriage is a social norm. It's like a lie that's become true after several re-iterations. But therein lies the scope of growth for her character and her character does progress, whether she's on the right path or wrong, that is up to the reader but what person we see at the start, and the person we find at the end of the story are quite different but the difference is not something overblown; it's quite subtle and subtlety is one of the beauties of this short story.
Even though the title says it's a love story, it's also something more. The story is a tale of a woman's defiance. It's nothing extravagant, there's no sad backstory, nor any real struggle, not even extreme internal struggle; but despite being about such a simple character the story drives home a very simple truth that is quite often overlooked. Life ought not be bound by rules and expectations. It should be more about enjoying the moments. The story handles this topic perfectly. Not for once does it become preachy; not for once does it become serious in tone.
It's a lighthearted read with a healthy dose of social commentary.
Story is very much character-driven, Chaiti's actions and inputs from characters revolving around her. The spirit of defiance is strong with another female character. Iraboti is what you'd call a social outlaw. She's so on two counts. First, overlooking her gender, her origins are not very much explored, she has a certain outlook towards life which resonates with our wildest spirit. This is the kind of reckless character we love in stories. This is the rebel figure we love to worship. Secondly, she's a woman. Normally one wouldn't see a woman in that role but here we see a woman and she excels at it. She smokes, she has a view of life and she inspires, older women see her as a bad influence on their daughters, only because she didn't follow some oppressive social norm. But once again, this point is dealt with in lighter strokes.
Not hard hitting, just simple and subtle. No epic struggle, just some disorientation in a life of order, small decisions breaking big rules. That's what this story is about. Truly marvelous read! Simple yet effective.
Sohom (জানুয়ারি ২০১৭; miroku.i...@gmai...)
মন খারাপ করানো কবিতা। ছুঁয়ে গেল।
বিরান মানে জানি না।
দীপংকর চৌধুরী (জানুয়ারি ২০১৭; dip84...@gmai...)
সিদ্ধার্থের প্রতিটি লেখাই মনকাড়া, যেমন এটি। রাহুল মজুমদারের চমৎকার অলংকরণ।
দীপংকর চৌধুরী (জানুয়ারি ২০১৭; dip84...@gmai...)
"অন্য কোনখানে" আসছে সংখ্যা থেকে পাবো না ভেবে মন খারাপ। সন্ধ্যা ভট্টাচার্য মাতাচ্ছেন যথারীতি! যশোধরা কৈ?
দীপংকর চৌধুরী (জানুয়ারি ২০১৭; dip84...@gmai...)
বইটি আমার সংগ্রহে ছিল। বারবার বাসা বদলে হারিয়েছি। লেখাটি অনেক ফুরোনো এবং পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে দিল। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় (জানুয়ারি ২০১৭; smuk...@gmai...)
তালা কবিতাটি আমাকে আমূল নাড়িয়ে দিল। বহু সময় চেনা লোক, চেনা পরিবেশ হঠাৎ করে অচেনা হয়ে যায়। এমনকি অবস্থা বুঝে পাল্টে যাই আমিও, মুখে কুলুপ আঁটি, সেও ত' এক প্রকার তালা-ই!
কুয়াশা: পৃথিবীতে পুরোপুরি আলো বা পুরোপুরি অন্ধকার নেই। সব কিছু কুয়াশামোড়া ধূসরতা। ভুল মানুষ, ভুল জায়গায়, ভুল ভাবে জীবন কাটিয়ে দেয়। কুয়াশা থেকে এসেছি আর সব শেষে এই কুয়াশাতেই ফিরে যাব। কোথা থেকে এসেছিলাম জানি না, কোথায় যাব জানি না।
সেক্কারো: ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক পটভূমি সম্বন্ধে আমি অবগত নই। তবুও কবিতাটি নিয়ে গেল বিষণ্ণ চাঁদের আলোয় শুয়ে থাকা এক মায়াবী হাইওয়ে, জলহীন এক শীর্ণা নদীর কিনারে এক শহরে যেখানে ভিন্ন ভাষাভাষী দুইজন মানুষ, কোনো এক সময় মিলেছিল। সে আজ সব স্মৃতি।
সুচরিতা (জানুয়ারি ২০১৭; bisucha...@yahoo.c...)
'সোক্কোরো, নিউমেক্সিকো : ১৯৭৭' কবিতায় নিরুপমবাবুর ছাপ আছে। 'তালা' অনবদ্য। 'কে যেন অভ্যস্ত হাতে তবুও দিয়েছে তালা/ অস্ফুটে বলেছে শুধু: চলে যেতে বড় ভয় করে'!--এই পঙক্তি গভীরভাবে রিলেট করা যায়।
অতনু দেব (জানুয়ারি ২০১৭; atanu.literacy...@gmai...)
তিনটি কবিতাই ভালো। তবে প্রথমটি একটু বেশি স্পর্শ করল। 'বসেছে আকাশ উড়ে যেদিন তোমার কাঁধে অন্ধকারে' - মনে থাকবে।
শুভব্রত দত্ত (জানুয়ারি ২০১৭; shu.da...@gmai...)
আমি কবিতার তাত্ত্বিক বোদ্ধা নই। কবিতা পড়ে ভালো লাগলে মনে রাখি, তবে কবিতা মুখস্থ করতে পারি না। তবুও কেউ যখন কবিতা বুঝিয়ে দেয় ভাল লাগে। গাণিতিক বিশ্লেষণের মধ্যে না গিয়েও বলি কবিতাদুটি চমৎকার, এক পলকে শহর, কংক্রিটের জংগল ছেড়ে নিয়ে যায় গ্রাম বাংলার চিরচেনা সৌন্দর্যের মধ্যে। বিশ্লেষণটি সুন্দর। সম্পূর্ণ কবিতাটির মূল অর্থ সম্প্রসারণ ছাড়াও, কবিতাটিতে রূপক হিসেবে কবি কেন অচিন বৃক্ষ আর নিরাময়্হীন ব্যাধির উপযোগ করেছেন, তাও সুন্দর ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ভিলফ্রেদো পারেটো সম্বন্ধে আমার কিছু জানা নেই, একটু পড়াশুনো করতে হবে।
সুচরিতা (জানুয়ারি ২০১৭; bisucha...@yahoo.c...)
নিরুপমবাবুর গদ্য এই প্রথমবার পড়লাম। অদ্ভুত একটা প্রশান্তি আছে। রিভিউ আর্টিকেলের মনন উপস্থিত, কিন্তু তার সাথে হাতেহাত রেখেছে এক সনাতন আর্তি, প্রজ্ঞা। তাঁর কবিতার মতোই। কোথাও শব্দের ভারে লেখা নুইয়ে পড়েনি। আরও গদ্য লিখুন।
অতনু দেব (জানুয়ারি ২০১৭; atanu.literacy...@gmai...)
গণিতজ্ঞ প্যারিটোর সঙ্গে এক দশকের কিছু বেশি সময় আমিও কাটালাম। তার গাণিতিক তত্ত্বের অন্তর্নিহিত দর্শনকে কবিতা বিশ্লেষণে এমন দক্ষতায় ব্যবহার শুধু একজনই করতে পারেন। তিনি নিরুপম চক্রবর্তী। কারণ তিনি একাধারে কবি ও বিজ্ঞানী। আমার অতিপরিচিত এবং কাছের কবিদের একজন কবি শামসুল হকের 'পরানের গহীন ভিতর' কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতাকে বিশ্লেষণ করতে করতে তিনি যে গভীরতায় তার প্রবন্ধটিকে নিয়ে গেছেন তা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। এই বিশ্লেষণটি কবি শামসুল হকের কবিতা পাঠের আনন্দ অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
শুভব্রত দত্ত (জানুয়ারি ২০১৭; shu.da...@gmai...)
চমৎকার লাগলো! নতুন সংখ্যার প্রথম কবিতাটিতেই নড়ে গেলাম হ্যাঁচকা টানে।
অদ্ভুত চোরাছন্দ!
সাবাস কবি!
দীপংকর চৌধুরী (জানুয়ারি ২০১৭; dip84...@gmai...)
বিষ্ণুপুরের গানবাজনা সম্বন্ধে গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র সত্যকিংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি লেখায় পড়েছি - মৃত্যুর পূর্বে অশক্ত গোপেশ্বর না কি তাঁকে বলেন - এই বাহাদুর খানের গল্প এক রটনা ছাড়া কিছুই নয়। বিষ্ণুপুরের সঙ্গীতকে ভারতের সঙ্গীতের মানচিত্রে জায়গা করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই গল্প রচিত। এবং এই গল্পের রচয়িতা গোপেশ্বর স্বয়ং।
এর সত্যতা বিচারের সবথেকে ভালো উপায় বোধ করি এই সূত্রের মূল খুঁজে বের করা। গোপেশ্বরের আগে এই তথ্য প্রচলিত ছিল কি?
ব্রতীন্দ্র ভট্টাচার্য (জানুয়ারি ২০১৭; bratin...@gma...)
ভবভূতিবাবুর গ্রন্থ সমালোচনা অসম্ভব ভাল হচ্ছে। আশির দশকে দেশ পত্রিকার ক্রমক্ষীয়মান উৎকর্ষের বাজারে চিঠিপত্র আর গ্রন্থ-সমালোচনাই যাহোক মান ধরে রেখেছিল। আনন্দবাজার তো পরে গ্রন্থ পরিচয় ও আলোচনার নতুন পত্রিকাই বের করলেন। ভবভূতিবাবুর গ্রন্থ সমালোচনা সেই মানের চেয়ে বেশিই হবে। এর আগে অংকুরবাবুর নিবিড় পাঠেও সেই উৎকর্ষ পেয়েছি।
সম্বিৎ বসু (জানুয়ারি ২০১৭; sambitb...@hotm...)
গা শিরশির করা ভাল লাগায় ভরে উঠলো মন।
ফুটপাথে ঢেলে বিক্রি করা পুরোনো বই অনেক কিনেছি, আত্মজনেষু লিখে
লেখকের সই করা বই... প্রত্যেকবার মনে হয়েছে, এ কেমন আত্নজন তবে!
না কি, যে কেউ কারোর কিছু সে কখনো কবিতার কেউ নয়
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (জানুয়ারি ২০১৭; probas....@gma...)
perpetual machine নিয়ে যে এমন গল্প লেখা যায়, না পড়লে বিশ্বাস হত না। ভারি চমৎকার।
অরিন্দম (ডিসেম্বর ২০১৬; probasi_a...@yahoo.c...)
তুমুল লেখা। প্রথম থেকে শেষ তক্ গড়গড়িয়ে পড়ে ফেললাম। এ গল্প একবার শুরু করলে আর শেষ না করে থামা অসম্ভব। আচ্ছা, লেখক কি "সত্যজিৎ" ভালোবাসেন? শুভেচ্ছা...
সুবীর বোস (অক্টোবর ২০১৬; subirb...@gmai...)
বিজুদা ফিরে এসেছেন: সুস্বাগতম! Drum roll please!
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; nchak...@gma...)
চমৎকার। খুব ভালো লাগলো।
আর্যা ভট্টাচার্য (অক্টোবর ২০১৬; ary...@gmai...)
কোন তুলনা হয়না এ লেখার। অনন্য সাহিত্যগুণ ছাড়াও অসাধারণ archival value আছে লেখাটির। অদ্ভুত মায়াময় কলম। চোখে জল আনে। আমার মায়ের কথা মনে পড়ে। নির্দ্বিধায়, পরবাসে প্রকাশিত একটি শ্রেষ্ঠ রচনা।
দীপঙ্কর চৌধুরী (ডিসেম্বর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
বড্ড ভালো লাগল। আগে কয়েকবার পড়েছি। এবার মনে হল কেমন লেগেছে জানিয়ে দিই।
প্রদীপ কুমার রায় (নভেম্বর ২০১৬; ray.p...@yaho...)
খুব ভালো লাগল। অনেকদিন পর বাংলায় একটা বুদ্ধিদীপ্ত, বিদগ্ধ লেখা পড়লাম।
ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী (নভেম্বর ২০১৬; inchakra.c...@gmai...)
সিদ্ধার্থবাবু ভালো আলোচনা করেছেন কবিতা নিয়ে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু "বৃত্ত" ছন্দ ব্যাপারটায় এসে ঘেঁটে গেলাম। বৃত্ত বলতে ধরে নিচ্ছি যে আপনি অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত এবং স্বরবৃত্তের কথা বলতে চেয়েছেন। লিখেছেন, "বৃত্ত ছন্দ মানে ঘুরে ফিরে একই জায়গায় প্রত্যাবর্তন। বৃত্ত ছন্দের এই এক বিড়ম্বনা।" একটু উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধা হত। হতে পারে আপনি হয়ত ওই ছন্দগুলোর ব্যাকরণ মেনে একটা বৃত্তকে সম্পূর্ণ করার কথা বলতে চেয়েছেন। তবে এ কথাও সত্যি যে "ভালোলাগা" কবিতাগুলোর বেশিরভাগেরই কিন্তু ভরকেন্দ্র ওই তিনটে ছন্দ।
জীবনানন্দ, যতদূর জানি, ৩০০ কবিতার মধ্যে ২৭৫টা কবিতা লিখতেন অক্ষরবৃত্তে। "শোনা গেল লাশকাটা ঘরে/ নিয়ে গেছে তারে;/ কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে" (একটা উদাহরণই দিলাম)। মাত্রাবৃত্ত ওঁর হাতে তেমন খোলেনি। স্বরবৃত্ত মূলত ছড়ার ছন্দ। অনেক উদাহরণের মধ্যে একটা, "বৃষ্টি নামলো যখন আমি উঠোন-পানে একা/ দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম পাবো তোমার দেখা"। মাত্রাবৃত্তে "বেণীমাধব বেণীমাধব তোমার বাড়ি যাব", বা "দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া", বা "ভূতের মতন চেহারা যেমন নির্বোধ অতি ঘোর", বা শঙ্খ ঘোষের "এই তো জানু পেতে বসেছি, পশ্চিম/ আজ বসন্তের শূন্য হাত/ ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও"। এ ব্যাপারে "শক্তি"র ছন্দ ভাঙা নিয়ে যে উদাহরণ টেনেছেন - সেখানেও মূল কথা হল ছন্দ ভাঙতে হলে "ছন্দ" ব্যাপারটা বুঝতে হবে এবং তবেই "তাকে" ভাঙার কথা ভাবা যেতে পারে। এই তিন "বৃত্ত" নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রয়োজন দীর্ঘ পরিসরের। তাই সে পথে গেলাম না।
বাকি আলোচনা খুব ভালো লাগল। লিখেছেন, "অনেক সময় কোনো অপরিণত কবি বা কবিগোষ্ঠী ইচ্ছাকৃত দুর্বোধ্যতার আড়ালে নিজের (নিজেদের) অক্ষমতা ঢেকে রাখতে চান।" - একমত। এবং খুব ভালো করেছেন "উদাহরণ" না দিয়ে।
শুভেচ্ছা...
সুবীর বোস (অক্টোবর ২০১৬; subirb...@gmai...)
লেখকের উত্তর:
সবাই এমন আলোচনায় যোগ দিলে খুব ভালো লাগে। সুবীরবাবুকে (এবং অন্য পত্রলেখকদের) ধন্যবাদ। আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কবিদের বৃত্তছন্দ ছাড়ার (বা মুক্তছন্দে লেখার) একটি কারণ হল বৃত্তছন্দের ক্লান্তিকর পৌনঃপুনিকতা। অবশ্যই ভালো লাগা বৃত্তছন্দের কবিতায় ছন্দ গৌণ হয়ে অনুভব প্রধান হয়ে ওঠে। জীবনানন্দ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামীর মত কবিদের হাতে ছন্দ ও অনুভবের যুগলবন্দী বাজে। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখি।
Adrian Mitchell বলেছিলেন, “most people ignore most poetry because most poetry ignore most people.” প্রথম যখন এটা শুনেছিলাম, তখন কথাটার সাথে সম্পূর্ণ একমত হয়েছিলাম। কোন কারণে মনটা তিক্ত ছিল তখন কবিতার উপরেই। কিন্তু, তিক্ততা, অভিযোগগুলো বাদ দিয়ে ভেবে দেখলে দেখা যাবে, যে কোন ভাষার যেটাকে বলে essence, যেটাকে বলে মূল রস, সেটা তো কবিতার মধ্য থেকেই পাওয়া যায়। কবিতা মূলত কবির ব্যক্তিগত প্রকাশমাধ্যম বলেই স্বীকৃত বলেই হয়তো, কবিতাতেই ব্যক্তিমানুষ তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বে, সম্পূর্ণ নিজস্বতায় প্রকাশ পায় ভাষার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। আমাদের আদরের ভাষার দুই অনস্বীকার্য ‘কবি’, রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দ। তাঁদের জীবিতাবস্থায় দুজনের প্রতিই অভিযোগের আঙুল উঠেছে অত্যন্ত দুর্বোধ্য বলে। একথা সত্যিই যে গহীনে ডুব না দিলে সার্থক কবিতা বোঝার জো নেই। কিন্তু সেই গহীনে ডুব দেওয়াটাই তো মজা। ওতেই তো সাহিত্যরস! শুধু একটা বিষয় আর সেই বিষয়ে কবির মতামতই তো শুধু নয়, কবিতা পড়ে যে আমরা একটা জটিল মনুষ্যমস্তিস্ককে পরতে পরতে আবিষ্কার করতে পারি!
কাজেই দুর্বোধ্য কবিতাকে খারাপ তা বলব না। দুর্বোধ্য কবিতা চ্যালেঞ্জ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বড়ই বিপাকে পড়েছিলাম ‘বিড়াল’ নিয়ে। কোন অর্বাচীনের লেখা হলে হয়তো ‘আসলে এর কোন মানেই হয়না। যা তা লিখেছে!’ বলে ছেড়ে দিয়ে আত্মতৃপ্ত হতাম। কিন্তু জীবনানন্দকে চিনি। তিনি কবিতা লিখতে বসলে খাঁটি কবিতাই লেখেন, তুমি না বুঝলে তোমার বুদ্ধির দোষ। তবে কী surrealistic কবিতা বোঝার মত বুদ্ধি আমার হয়নি? এই ভেবে মন খারাপ করে বসে ছিলাম বেশ কিছুদিন। তারপর যেদিন কবিতাটা বুঝতে পারলাম সেদিন পুরোটাই দেখলাম জলের মত সোজা! খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম! শুধু কবিতাই নয়, যে কোন ধরনের শিল্পই মানুষের জন্য ঠিকই, কিন্তু মানুষের রুচির সাথে, বা বুদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে তা নীচে নামবে না, বরং মানুষের রুচি ও বুদ্ধিকে টেনে তুলবে, সেটাই তার কাজ, আমি ব্যক্তিগতভাবে তাই মনে করি।
তাহলে কি আমি বলতে চাইছি যে বাংলা কবিতা দুর্বোধ্য হয়ে যায়নি? এত মানুষের এত অভিযোগ কি মিথ্যা? না, তাও আমি বলি না।
এই প্রবন্ধটিতে, প্রবন্ধলেখক যে একশ্রেণীর অকবির কথা বলেছেন, যাঁরা, অবোধ্য অর্থহীন লেখাকে কবিতা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁরা এই অভিযোগের পিছনে একটা কারণ বলে আমি মনে করি। প্রতিভাহীন ‘কবি’ আগেও ছিলেন, কিন্তু, দুর্বোধ্যতা, এক্ষেত্রে অবোধ্যতার পিছনে আত্মগোপন করার সুবিধা তখন কম ছিল। এইরকম কবির আজকাল সংখ্যাবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, বড় বেশি বিরক্তিকর হল, চিন্তাভাবনার দৈন্যকে বাগাড়ম্বর দিয়ে ঢেকে রাখার প্রবণতা। একেবারে অর্থহীন নয়, কিন্তু মানে যেটা হয় তার চেয়ে তার জাঁকজমক এতই বেশি যে যে সরলতাটুকু শিল্পের প্রতি মনকে আকৃষ্ট করে সেটাই নেই, কৃত্রিমতাটাই চোখে পড়ে বড় বেশি করে, এমন কবিতার রমরমা বড় বেড়েছে। বড় বড় রূপকের আড়াল থেকে যে মানেটা বেরিয়ে এল সেটা দুকথায় বলে দিতে পারা যায়। তার জন্য কোন কবিতা ফাঁদার প্রয়োজনই ছিল না যখন দেখি, তখন মনে হয়, মজুরী পোষালো না। আজকাল যেহেতু সোজা কথায় কবিতা লেখার দিনকাল নয়, তাই অত্যন্ত সোজা কথা বলার থাকলেও লোকেরা অত্যন্ত বেঁকিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছে। এটাও মানুষের কাছে কবিতার গ্রহণযোগ্যতা কমাচ্ছে।
পিউ দাশ (অক্টোবর ২০১৬)
পরিচ্ছন্ন ভাবনা ও মননের সমাহার! খুব ভালো লেখা।
গোপীনাথ কর্মকার (অক্টোবর ২০১৬; gkarm...@gmai...)
বাংলা কবিতার আর দোষ কী! আধুনিক সবকিছুই দুর্বোধ্য হয়ে যাচ্ছে। আধুনিক গান, আধুনিক স্থাপত্য (স্কাল্পচার), আধুনিক আর্টস (ড্রয়িং, পেইন্টিং)--অথবা যাকে বলা যায় 'মডার্ন' বা অ্যাাবস্ট্র্যাক্ট আর্টস, এ সবই তো সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা (অক্টোবর ২০১৬; bew...@creighto...)
জরুরী লেখা। পি সাইনাথের লেখায় যেমন কেস স্টাডি থাকে, সেরকম কিছু জুড়ে দিলে বেশ হ'ত।
অতনু দেব (অক্টোবর ২০১৬; atanu.literac...@gma...)
লেখাটা খুবই তথ্যপূর্ণ। কিন্তু সঙ্গের ডায়াগ্রামগুলি ভালো করে দেখতে পেলে আরো ভালো হত। ছাপাটা খুব ঝাপসা ও ছোটো লেখা। আরেকটু বড়ো করা যায় না?
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা (অক্টোবর ২০১৬; bew...@creighto...)
কতটা উন্নতি হল জানি না, কিন্তু ছবিগুলো একটু বড়ো করে দেয়া হয়েছে এখন।--সম্পাদক।
সত্যিই তো, লাও তো বটে কিন্তু আনে কে? আবার, অরুন্ধতী রায় পড়লে যে বড় বাঁধের ভয়াবহতা প্রকট হয়ে ধরা পড়ে।
কোন্ পথে যে আলো জ্বেলে কোন্ পথে যে ক্রমমুক্তি!
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
'একটি ডিটেকটিভ কবিতা' নিরুপমবাবুর অন্যান্য কবিতার থেকে আলাদা লাগল। 'তাল্লিন শহরের কুমারী মিনার'-এ নিরুপমবাবুর চিরায়ত আর্তি উপস্থিত। যেটা আমার খুব পছন্দের। এই কবিতাটি একটি গ্রাফিক কবিতা হতেই পারত।
অতনু দেব (অক্টোবর ২০১৬; atanu.literac...@gma...)
তিনটে লেখাই পড়লাম। তিনটের ভাষাগত আঙ্গিক, ন্যারেটিভ এবং এলিমেন্টস্ তিন রকম। বেশ ভাল লাগল।
অর্পণ বসু (অক্টোবর ২০১৬; arpanba...@gmai...)
নিরুপম চক্রবর্তী যেমন ভালো লেখেন - তেমনটাই লিখেছেন। পড়ে তো "আমি মুগ্ধ হবই"। দ্বিতীয় কবিতাটা বেশি ভালো লেগেছে। আচ্ছা, "গ্রহেতে" নাকি "গ্রহতে"? কারণ আমার মনে হয়েছে, "গ্রহে" লিখলে আর "তে" প্রয়োজন হয় না। শুভেচ্ছা কবিকে।
সুবীর বোস (অক্টোবর ২০১৬; subirb...@gmai...)
কবি, এ লাইনগুলো পড়ে তো আমার প্রিয় শহর মনে পড়ছে!
এ শহর তথাপি আমার,
আমি এর রক্ষয়িত্রী, এ আমার অবয়বে
ফুটিয়াছে পুষ্পসম
এহেন লাইন সর্বজনীন, বিশ্বজনীন!
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
অজস্র ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এই লেখা থেকে উদ্ধৃতি ব্যবহার করার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সম্পাদক যদি 'সিটেশন' জাতীয় কোন বোতাম তৈরি করেন, তবে সুবিধে হয়।
অতনু দেব (অক্টোবর ২০১৬; atanu.literac...@gma...)
অসামান্য--ব্যক্তিগত দর্শন, ভাষাবিজ্ঞানের প্যাঁচ-পয়জার আর আপনাদের সমসাময়িক ভাবনাচিন্তার যে সমন্বয় এই লেখায় ঘটেছে তা আমাদের ঋদ্ধ করল। আপনাদের সময়-যাপন চিত্রটি আমাদের ভাবনাকে উস্কাবে আর আমরা আনৃণ্য অর্জনে ব্যর্থ হব--এই ব্যর্থতা যেন আমাদের গ্রাস করে বারবার। আরও আরও লেখা চাই এরকম।
রাজীব চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; rajibchakraborty2...@gma...)
অনবদ্য একখানি লেখা। উদয় নারায়ণ সিংহের লেখা বেশি পড়তে পাই নি কিন্তু যাই লিখেছেন এ-ওয়ান। যেমন এখানি। আচ্ছা, ঐ "গাঙ্গেয় পত্র" এখন কোথায় পড়তে পেতে পারি?
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
বড্ড মন কেমন করা লেখা রঞ্জনবাবুর। কারণটা শুধু এই নয় যে রঞ্জনের কলম এই পত্রলেখককে তিন দশক পিছনে নিয়ে চলে যায়... মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে যেখানে এক হাঁটু নদী জল ঠেলে এক নব্য প্রবেশনারি অফিসার এমনভাবেই ব্যাঙ্কের প্রথম পাঠ নিয়ে ছিল, কারণটা মূলত এই যে তাঁর লেখা পড়লে অবধারিত ভাবে "ঢোঁড়াই চরিত মানস" মনে পড়ে। ছাত্রাবস্থায় সে-ই ছিল এক মহান উপন্যাসের সঙ্গে প্রথম প্রেম। ভূয়সী সাধুবাদ রইলো।
সঞ্চারীর আঁকা মধুবনী প্রচ্ছদখানি উপাদেয় হয়েছে অতি।
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
একটি অসামান্য লেখা। আগে মিস করে গিয়েছিলাম, এখন চিঠিপত্রের চুম্বকে পড়লাম। এই শীর্ষনামে যে এমন অনবদ্য লেখা যায়... ভাবা যায় না! পুরাণ থেকে বিজ্ঞান... কী নেই এতে? সবচেয়ে উপরে সুখপাঠ্যতা। পরবাসের পাতায় উদয়বাবুর প্রতিটি লেখাই উপভোগ করেছি। ইনিও এক নিখাদ পরবাসী বটেন, অন্যত্র ওনার লেখা পড়িনি। আগামীতে এহেন উপাদেয় নিবন্ধ আরও পাবো, এই আশা রাখি।
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
নিবন্ধটি চমৎকার লাগল। আমি নিজেই অগ্নি আর বায়ু গুলিয়ে ফেলতাম আখছার। তাছাড়া "চার-এ বেদ" ছাড়া আমার এই ধারাপাতের জ্ঞানও ছিল নিতান্ত খাপছাড়া। এবার কিঞ্চিৎ আত্মবিশ্বাসী হয়ে এই বিষয়ে কথাবার্তা বলতে পারব।
ঋজু গাঙ্গুলী (অক্টোবর ২০১৬; riju...@yahoo.co.i...)
সাবাস! এই কবি জানেন অন্ত্যমিলের ঠিক কতটুকু নিরীক্ষা কবিতার ধনুকের ছিলা টান টান করে ধরে রাখে। পড়ে আনন্দ পেলাম।
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; ncha...@gmai...)
বেশ লাগলো ‘সহদেববাবুর কনট্র্যাক্ট’। আশাকরি ইনি পরবাসে নিয়মিত লিখবেন।
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; ncha...@gmai...)
গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভূতি। আমার মা ছিলেন ময়মনসিংহের। মার মুখে "প্রায়" একই রকম অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি। দাদু ছিলেন ডাক্তার। শুনেছি গাঁয়ের লোকজন বলেছিলেন, ডাক্তার, আপনে যাইবেন ক্যান? দাদু ভরসা পাননি। ঘরে একটা কুপি জ্বালিয়ে রেখে সপরিবারে "দেশান্তরী" হয়েছিলেন। পিছনে পড়ে রইল বাড়ি, ঘর, স্মৃতি, স-অ-ব, সব। মা বেঁচে থাকলে নিশ্চিত তাকে এই লেখা পড়ে শোনাতাম। এক হাতে লেখনী, অন্য হাত পাঠকের কাঁধে রেখে লেখক (লেখিকা বললাম না) গোটা লেখাতে একটুও জটিলতা না রেখে, আরোপ না রেখে - যা লিখেছেন - গোগ্রাসে গিলেছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সুবীর বোস (অক্টোবর ২০১৬; subirb...@gmai...)
আমার বাবা-কাকারা সিলেট থেকে এদেশে এসেছিলেন ৭০ বছর আগে। শ্বশুরমশাইরা কিশোরগঞ্জ (ময়মনসিং) থেকে। একই রকম পরিস্থিতিতে। পরের কিস্তির অপেক্ষায় রইলাম।
সুদীপ দেব (অক্টোবর ২০১৬; dev...@gmai...)
কেমন আবার লাগবে এ লেখা, অশ্রু-ঝাপসা চোখে যা পড়েই শেষ করতে পারলুম না?
মাটির গন্ধ মাখা এমন সাবলীল মৌলিক লেখা বহুদিন পড়িনি... কত অনায়াসে কত সারল্যে শুনিয়েছেন দিদি এক গৃহবধূর দেশছাড়ার বেদনা।
বাকি অংশ পড়ার তর সইছে না।
এহেন মৌলিক লিখন পরবাসের গর্ব!
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
এক ভুক্তভোগীর দারুণ প্রাঞ্জল বিবরণ। সময়ের প্রয়োজনীয় দলিল।
সমাজবিজ্ঞানী এর থেকে কোন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করবেন জানি না, কিন্তু সমাজের সাধারণ মানুষ, যাঁরা ১৯৪৭ সালে খবরের কাগজে উদ্ধৃত হতেন না, তাঁদের মত ও পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যত কৌতূহল তার নিরসন হবে এই বয়ানে। এই বয়ানটা পড়ার এই অপূর্ব সুযোগ দেওয়ার জন্য পরবাস-কে ধন্যবাদ।
সংহিতা (অক্টোবর ২০১৬; tupu...@gma...)
এ-লেখার সম্পর্কে মন্তব্য কিছুই করার নেই। শুধু বলব, পরের পর্বের জন্যে উদ্গ্রীব অপেক্ষায় রইলাম।
পিউ দাশ (অক্টোবর ২০১৬)
ভালো লাগলো সুমিতের কবিতা পড়ে।
বিষণ্ণ, সমাহিত, অলীক নক্ষত্র মুখ।
বেশ।
আরো পড়তে চাই।
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
‘খত আয়া আউর খত নে চাক্কু মার দিয়া’! ~ কমলকুমার মজুমদার
গোধূলির ডাকবাক্স আনন্দ ও বেদনায় ভরে উঠছে!
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; ncha...@gmai...)
সুবীরের এই সিরিজের কবিতা আমরা পড়ে চলেছি। ভালো ও লেগে চলেছে।
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
চমৎকার লাগছে এই নতুন কবির কবিতা ... "আসব বাহিত সুখে বুঁদ করে দিয়েছ যখন", বা, "আমাকে বেঁধেছ দুই হাতে... যেমন করে পৃথিবী পিপাসু এক কণ্ঠকে জড়ায়"... চমৎকার লাইনগুলি। বাঃ...
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
‘যাদবের একদিন’ পড়ে ভালো লাগলো।
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; ncha...@gmai...)
চমৎকার লাগলো, লাগে সাবর্ণিদার লেখা। দেহাতি হিন্দোস্তানির অঢেল ব্যবহার গল্পটিকে ভারাক্রান্ত নয়, সমৃদ্ধ করেছে।
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
এই ব্যাপারটা আমাদের ফ্যামিলিতেও হয়েছিল। সমাধান? একই গোল্ড কয়েন বারবার ব্যবহার করুন। আজকালকার যুগে সবই রিসাইক্ল, রি-ইউজ।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায় বিউট্রা (অক্টোবর ২০১৬; bew...@creighto...)
অসাধারণ। গা শিরশিরে।
দীনবন্ধু ভট্টাচার্য (অক্টোবর ২০১৬; dinu195...@rediffm...)
বেশ ভালো লাগল। সহজ ভাষায় আমাদের সমাজের টিপিক্যাল একটা মেন্টালিটির কথা।
প্রিয়ংকা দে (অক্টোবর ২০১৬; rini.priy...@gmai...)
“বিকেল হয়ে আসে নিখিল বরাবর
হেঁটে হেঁটেই যাব। পূর্ব ও অপর
সবটা ভুলে শুধু নিজের হরষিত
একলা মন নিয়ে। একলা ঝরো, প্রীত!”
এই বিবিক্ত যাপন-চিত্র যে কবির, তিনি আমাদের অন্তর্গত বেদনাকে প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর কবিতা আমাদের প্রিয়। এই কবিতাটি পড়বার পরে তার রেশ জেগে থাকে অনেকক্ষণ। তবে দ্বিতীয় কবিতাটিতে ‘ডিসকাউন্টের’ শব্দটিকে যুক্তাক্ষর না ভেঙে ছ’ মাত্রায় পড়তে আমি অপারগ। এই সব অকিঞ্চিৎকর নিহিত ডিটেলে হয়তো কোনোকোনো পাঠকের কোনোকিছু এসে যায়, তাই লিখলাম!
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; nchak...@gma...)
এই তো, এই তো এসেছেন যশোধরা (ভালাই না হয় পুরুষদুঃখ দিতে), তবু উনি ছাড়া পরবাসের নবসংখ্যা হয়? গতবার না পেয়ে দুখী ছিলুম....
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
চমৎকার! ছন্দে মাতোয়ারা!
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
Captcha-র কাঠিন্য feedback দেওয়া অসম্ভব করে তুলেছে প্রায়। Double Captcha are hardly used even in financial txn. সহজতর না করলে আর....
দীপঙ্কর চৌধুরী (অক্টোবর ২০১৬; cdpn...@rediffma...)
অনবদ্য লাগলো আগন্তুক নারী; গৌরী দত্ত আরো লিখুন !
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; nchak...@gma...)
আমার খুব ভালো লেগেছে লেখাটি। দেশের পুজোর একটা 'ফীলিং' পেলাম এই সুদূর আমেরিকাতে বসে। Thank you so much Anindita. Hope to get more beautiful articles soon.
প্রিয়াংকা (অক্টোবর ২০১৬; destinationpri...@gma...)
I am lost completely in my old days reading this beautiful piece of magazine. I could feel her pain as I am also far away from my country. These four days of puja I miss my city a lot, all the day, all the moment. I wish I could escape from this corporate life and just mingle into the ceremony. I wish her best wishes for next Puja, wish she could get back those old days.
Debasish Roy (অক্টোবর ২০১৬; debasis...@gma...)
খুব ভালো লাগল দিদি। আমি পরবাস-অনলাইনের নিয়মিত পাঠক। আপনার প্রগতিশীল লেখা খুব ভালো লাগল। আরো লেখার অপেক্ষায় থাকব।
নন্দন ভট্টাচার্য (অক্টোবর ২০১৬; nndnbh...@gma...)
খুব ভালো লাগল আপনার লেখা। মনে পড়ে যাচ্ছিল ছোটোবেলার সেই সব দিন, যখন সব কিছুর মাঝে পুজো আলাদা আনন্দ নিয়ে আসত। কাশফুল আর মহালয়ার প্রথম প্রভাতে আগমন হোত পুজোর...
সঞ্জীব দে (অক্টোবর ২০১৬; sanjid...@gma...)
খুব ভালো একটা গল্প পড়লাম। টানটান গতি, ঝরঝরে বাংলা। সুপারি শেষ করে মনে হল একটা জীবন্ত ছবির গ্যালারি পরিক্রমা করলাম। অত্যন্ত পজিটিভ গল্প, যদিও আজকালের স্টাইলে অপরাধীকে গ্লোরিফাই করার ব্যাপার নেই। বটা একটি স্বাভাবিক চরিত্র, আমাদের মতই সামাজিক প্রাণী, তাই বুঝি অবচেতনে সেও মানুষ হাতে চায়। সুপারি গাছের সঙ্গে সুপারি-কিলারের সামঞ্জস্য ব্যাপারটা ইউনিক। লেখিকাকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।
সন্দীপকুমার চট্টোপাধ্যায় (অক্টোবর ২০১৬; sandip195...@gmai...)
চমৎকার লেখা। মেদহীন গল্প বলার ধরন: প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠককে টেনে ধরে রাখে।
নিরুপম চক্রবর্তী (অক্টোবর ২০১৬; ncha...@gmai...)
অদ্ভুত ভালো লাগায় ভরে গেল মন। অজানা এক পৃথিবীর গল্প। এমন ঘটনা তো খবরের কাগজে রোজই পড়ি। কিন্তু সুপারি কিলারের মনের হদিস রাখি নি কোনদিন। ভালো লাগা জানিয়ে যেতে ইচ্ছে হল। লেখিকাকে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন।
মল্লিকা ভট্টাচার্য (অক্টোবর ২০১৬; moitre...@gma...)
এই লেখকের (নিজনামে কি ছদ্মনামে) ভৌতিক কি আধিভৌতিক লেখাগুলি অতি চমৎকার, ভারি উপাদেয়।
লীলা মজুমদার বলেছেন - তবে তেমন ভূত হওয়া চাই। যার কথা শুনলে বেশ গা শির-শির করবে, কিন্তু রাতে উঠতে হলে কাউকে ডাকতে হবে না। হাতে একটা টর্চ থাকলেই যথেষ্ঠ।
কী বা বলি। এক্ষেত্রে ঠিক তেমনটিই দেখলুম। ভূত যখন "খারাপ" লোকেদের মারে, আমাদের আঁধার রাতে ভয় কি?
ভূতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এমন লেখা চলতে থাকুক।
সমরজিৎ ঘোষ (সেপ্টেম্বর ২০১৬; samarjit.em...@gma...)
এক কথায় দারুণ ভাল লেগেছে আমার কবিতাটি।
সালমা তালুকদার (সেপ্টেম্বর ২০১৬; salmaakhte...@gma...)
চমৎকার লেখা। অনেক ধন্যবাদ।
ওয়াহিদ হুসেন (সেপ্টেম্বর ২০১৬; wahidhussa...@gma...)
অনেকদিন বাদে রাহুল রায়ের লেখা গল্প পড়লাম। একনাগাড়ে পড়ে গেলাম। মাঝখানে বেশ গা ছমছম করছিল। একটা নতুন রোগের নাম জানলাম, এই গল্পের মাধ্যমে। এককথায় দিব্য লেগেছে।
সুতপা সেন (সেপ্টেম্বর ২০১৬; sutapa.sen5...@gma...)
এই লেখাটা খণ্ডিত দেখে এত খারাপ লাগল যে বলার কথা নয়। এত সুন্দর টলটলে গদ্যে এত উঁচুদরের মানুষদের নিয়ে আলোচনা! অসাধারণ চরিত্র সব একেকটি। খুব খুব খু-উ-ব ভাল লেগেছে। কিন্তু খিদে শুধু বাড়িয়েই দিল লেখাটা। ক্ষুধাপূরণ হল না।
পিউ দাশ (সেপ্টেম্বর, ২০১৬)