১৯৯৭-এর অগাস্ট মাসে বাংলা পত্রিকা আন্তর্জাল-যাত্রা শুরু করেছিল পরবাসের প্রথম সংখ্যা দিয়ে, বর্তমান ৬৭-তম সংখ্যা দিয়ে সেই যাত্রার প্রথম ২০-বছর সম্পূর্ণ হবে। (মাঝে অবশ্য পরবাসের অন্য বিশেষ বিভাগগুলিতে নতুন লেখা যোগ হবে।) এই খবরে খুশি হবেন এমন লোকের সংখ্যা আশা করি কম নয়। এই অবসরে পরবাসের সহযোগী পাঠক, লেখক ও বিশেষ করে নেপথ্যচারী সহকর্মীদের আবার ধন্যবাদ জানাই।
পরবাসের ১, ২০, ৪০, ৬০, ও বর্তমান ৬৭-তম সংখ্যায় প্রকাশিত লেখার সংখ্যা কমবেশি এই রকমঃ বড়োদের জন্য লেখা-- ১৬, ২৬, ৩৪, ৫৫, ও ৬৭; এবং ছোটোদের জন্য লেখা--০, ৩, ৩, ৫, এবং ৪। অতএব সুধীজন--যা বোঝার বুঝে নিন, এবং যা করণীয়, তা আপনাদেরই হাতে। অবশ্য এখন আন্তর্জালে আরো অনেক পত্রিকা হয়েছে, কিছু পত্রিকা তো বিশেষ করে ছোটোদেরই জন্যে--বাংলা শিশুসাহিত্যের উজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারার সংরক্ষণ ও বৃদ্ধি সকলেরই দায়িত্ব। সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের শুরুতে ৬৮-তম, 'শারদীয়া সংখ্যা' দিয়ে পরবাস একুশে পা রাখবে। তার জন্যে আমাদের লেখকদের বিশেষ করে ছোটোদের পরবাস বিভাগের জন্যেও লেখা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসিদ্ধ চলচ্চিত্র পরিচালক ও কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হল। বাংলাভাষার ধাতু ও ক্রিয়াপদের বিবর্তনের উপর দেবদত্ত জোয়ারদারের প্রবন্ধটি বাংলা ভাষাতাত্ত্বিক গবেষণায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে পরবাসের গল্প-বিভাগ তার সাম্প্রতিক জোরালো ধারাটি অব্যাহত রেখেছে। ২০-টি গল্প রয়েছে এই সংখ্যায়।
কোনো লেখক বা লেখার উপরে আসা মন্তব্যকে কীভাবে বিচার করা উচিত সেটা সবসময়ে পরিষ্কার বোঝা যায় না এই সহজ কমিউনিকেশনের যুগে। 'ফেক নিউজ'-এর মতো 'ফেক-মন্তব্য/ ফেক-মন্তব্যকারী'র অস্তিত্ব মাঝে মাঝে টের পাই, যদিও তা সবসময়ে প্রমাণ করা যায় না বা তার জন্যে প্রয়োজনীয় সাধ্য বা সময় নেই। চিঠিপত্র বিভাগের জন্য কিছু তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় যেখানে ভুল হয়ে থাকতে পারে--এটা পাঠকদের জানিয়ে রাখলাম।